2022 Geography Question Paper with answers for Madhyamik students of West Bengal Board of Secondary Education. Question and Answers of the question paper are given below.
মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীন মাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ২০২২ সালের উত্তরসহ ভূগোল বিষয়ের প্রশ্নপত্র।
2022
GEOGRAPHY
TimeThree Hours Fifteen Minutes
(First FIFTEEN minutes for reading the question paper only)
Full Marks- 90
(For Regular and Sightless Regular Candidates)
Full Marks – 100
(For External and Sightless External Candidates)
Special credit will be given for answers which are brief and to the point.
Marks will be deducted for spelling mistakes, untidiness and bad handwriting.
[‘ক’ বিভাগ থেকে ‘চ’বিভাগ পর্যন্ত প্রদত্ত প্রশ্ন নিয়মিত ও বহিরাগত সব পরীক্ষার্থীদের জন্য এবং ‘ছ’ বিভাগে প্রদত্ত প্রশ্ন শুধুমাত্র বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের জন্য]
[‘ক’ বিভাগে সকল প্রশ্ন আবশ্যিক, অন্য বিভাগে বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়। ‘চ’ বিভাগে কেবলমাত্র দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীরা বিকল্প প্রশ্নের নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর লিখবে। অন্য সকলে মানচিত্র চিহ্নিত করবে।]
মাধ্যমিক সমস্ত বিষয়ের মক্ টেস্ট
বিভাগ ‘ক’
১। বিকল্পগুলির থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১×১৪=১৪
১.১ যে প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় তাকে বলে—
(ক) অগ্নুদ্গম্ (খ) আরােহণ (গ) সঞ্চয় কার্য
(ঘ) অবরােহণ
উত্তরঃ (ঘ) অবরােহণ
১.২ দুটি নদী-অববাহিকার মধ্যবর্তী উচ্চভূমিকে বলে—
(ক) জলবিভাজিকা (খ) নদীমঞ্চ
(গ) স্বাভাবিক বাঁধ (ঘ) দোয়াব
উত্তরঃ (ক) জলবিভাজিকা
১.৩ হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদ হ’ল—
(ক) করি হ্রদ (খ) প্লায়া হ্রদ
(গ) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ (ঘ) উপহ্রদ
উত্তরঃ (ক) করি হ্রদ
১.৪ বায়ুর সঞ্চয়ের ফলে গঠিত সমভূমিকে বলে—
(ক) বালিয়াড়ি (খ) হামাদা (গ) ধ্রিয়ান
(ঘ) লোয়েস
উত্তরঃ (ঘ) লোয়েস
১.৫ সাহারা মরুভূমির লবণাক্ত হ্রদগুলিকে বলে—
(ক) শট্স (খ) বোলসন (গ) ধান্দ্ (ঘ) তাল
উত্তরঃ (গ) ধান্দ্
👉আরো দেখো : সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র👈
১.৬ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাডাককে পৃথক করা হয়েছে—
(ক) তেলেঙ্গানা (খ) জম্মু ও কাশ্মীর
(গ) উত্তরাখণ্ড (ঘ) ঝাড়খণ্ড
উত্তরঃ (খ) জম্মু ও কাশ্মীর
১.৭ শিবালিক ও অবহিমালয়ের মধ্যে অবস্থিত উপত্যকাকে বলে—
(ক) ভাবর (খ) খাদার (গ) কারেওয়া
(ঘ) দুন
উত্তরঃ (ঘ) দুন
১.৮ ভারতের সর্ববৃহৎ নদী পরিকল্পনাটি হল—
(ক) হিরাকুঁদ (গ) নাগার্জুন সাগর
(খ) ভাকরা-নাঙ্গাল (ঘ) রাণাপ্রতাপ সাগর
উত্তরঃ (খ) ভাকরা-নাঙ্গাল
১.৯ মৌসুমি বিস্ফোরণ’ প্রথমে দেখা যায়—
(ক) কেরলে (খ) কর্ণাটকে (গ) মেঘালয়ে
(ঘ) পশ্চিমবঙ্গে
উত্তরঃ (ক) কেরলে
১.১০ যে অঞ্চলে ‘চন্দন’ গাছ জন্মায় তা হল—
(ক) ক্রান্তীয় চিরহরিৎ উদ্ভিদ
(খ) ক্রান্তীয় পর্ণমােচী উদ্ভিদ
(গ) ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদ
(ঘ) সরলবর্গীয় উদ্ভিদ
উত্তরঃ (খ) ক্রান্তীয় পর্ণমােচী উদ্ভিদ
১.১১ ভারতের কেন্দ্রীয় কফি গবেষণাগার অবস্থিত—
(ক) জোড়হাটে (খ) বেঙ্গালুরুতে
(গ) চিকমাগালুরে (ঘ) কোয়েম্বাটোরে
উত্তরঃ (গ) চিকমাগালুরে
১.১২ পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্র হ’ল—
(ক) দুর্গাপুরে (খ) খড়গপুরে
(গ) সেক্টর ৫, সল্টলেকে (ঘ) শিলিগুড়িতে
উত্তরঃ (গ) সেক্টর ৫, সল্টলেকে
১.১৩ ভারতের আদমসুমারি অনুযায়ী একটি শহরের ন্যূনতম জনসংখ্যা হ’ল—
(ক) ৪০০০ (খ) ৫০০০ (গ) ৬০০০
(ঘ) ৭০০০
উত্তরঃ (খ) ৫০০০
১.১৪ ভারতের বৃহত্তম বন্দর শহর হ’ল—
(ক) হলদিয়া (খ) চেন্নাই (গ) কোলকাতা
(ঘ) মুম্বই
উত্তরঃ (ঘ) মুম্বই
বিভাগ – ‘খ’
২। ২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে পাশে শু’ এবং অশুদ্ধ হলে পাশে ‘অ’ লেখাে (যে কোনাে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×৬=৬
২.১.১ নদীর গতিবেগ পরিমাপের একক হ’ল কিউসেক।
উত্তরঃ ‘শু’
২.১.২ সমুদ্রে ভাসমান বরফের স্তুপকে হিমশৈল বলে।
উত্তরঃ ‘শু’
২.১.৩ শ্রীলঙ্কা ভারতের সীমানা সংযুক্ত একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
উত্তরঃ ‘অ’
২.১.৪ ভারতের আরাবল্লি একটি নবীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
উত্তরঃ ‘অ’
২.১.৫. লােকটা ভারতের বৃহত্তম উপহ্রদ।
উত্তরঃ ‘অ’
২.১.৬ দেরাদুনে ভারতের কেন্দ্রীয় অরণ্য গবেষণাগার অবস্থিত।
উত্তরঃ ‘শু’
২.১.৭ ভারতের একটি বনজভিত্তিক শিল্প হ’ল কাগজ শিল্প।
উত্তরঃ ‘শু’
২.২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে (যে কোনাে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×৬=৬
২.২.১ নীল নদের বদ্বীপ ___________
আকৃতির।
উত্তরঃ ধনুক
২.২.২ দুটি করির মধ্যবর্তী উচ্চ অংশকে __________ বলে।
উত্তরঃ এরিটি
২.২.৩ দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল ___________।
উত্তরঃ আনাইমুদি
২.২.৪ অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্র __________ নামে পরিচিত।
উত্তরঃ ডিহং
২.২.৫ উত্তর-পশ্চিম ভারতে গ্রীষ্মকালে সৃষ্ট ধুলিঝড়কে বলে ___________।
উত্তরঃ আঁধি
২.২.৬ __________মৃত্তিকা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য আদর্শ।
উত্তরঃ শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক
২.২.৭ জামনগর ____________ শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
উত্তরঃ পেট্রোরসায়ন শিল্প।
২.৩ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে কোনাে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×৬= ৬
২.৩.১ নদী বাঁকের কোন্ দিকে ক্ষয় বেশি ঘটে ?
উত্তরঃ অবতল অংশে
২.৩.২ মেরু অঞ্চলে কোন উচ্চতায় হিমরেখা দেখা যায়।
উত্তরঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ
২.৩.৩ বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে সৃষ্ট বালিয়াড়িগুলির নাম লেখাে।
উত্তরঃ সিফ বা অনুদৈর্ঘ্য
২.৩.৪ পশ্চিম হিমালয়ের ‘তাল’ কী ?
উত্তরঃ হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদ
২.৩.৫ ভারতের কোন্ রাজ্যে গঙ্গানদীর নিম্নগতি দেখা যায় ?
উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গ
২.৩.৬ পার্বত্য ঢালে ভূমিক্ষয় রােধের একটি কৃষি-পদ্ধতির নাম লেখাে।
উত্তরঃ ফালি চাষ
২.৩.৭ ভারতের কোন রাজ্য ইক্ষু উৎপাদনে প্রথম স্থানের অধিকারী ?
উত্তরঃ উত্তরপ্রদেশ
২.৩.৮ ভারতের প্রথম কাপড়ের কল কোথায় স্থাপিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ হাওড়ার ঘুঘুরি
২.৪ বামদিকের সাথে ডানদিকের গুলি মিলিয়ে লেখাে: ১×৪=৪
বামদিক | ডানদিক |
২.৪.১ নামচা বারওয়া | ১.রাজস্থান |
২.৪.২ মাজুলি | ২.ওড়িশা |
২.৪.৩ মরুস্থলী | ৩.পূর্ব-হিমালয়ের শৃঙ্গ |
২.৪.৪ পারাদ্বীপ | 8.ব্রহ্মপুত্র |
উত্তরঃ
২.৪.১ নামচা বারওয়া ৩.পূর্ব-হিমালয়ের শৃঙ্গ
২.৪.২ মাজুলি ৪. ব্রহ্মপুত্র
২.৪.৩ মরুস্থলী ১. রাজস্থান
২.৪.৪ পারাদ্বীপ ২. ওড়িশা
বিভাগ- ‘গ’
৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : ২×৬=১২
৩.১ পর্যায়ণের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে ভূত্বকের উপরিভাগের উচ্চতার পরিবর্তন ঘটে এবং বিভিন্ন উচ্চতাযুক্ত ভূমিরূপের ক্রমশ একটি সমতা এনে একটি সাধারণ তল বা পৃষ্ঠ গঠিত হয়, তাকে পর্যায়ণ বলে।
অথবা,
পলল শঙ্কু কী ?
উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চল থেকে নদী সমভূমিতে প্রবেশ করলে ভূমির ঢাল হঠাৎ খুব কমে যায়। তখন নদীর বহন ক্ষমতা থাকে না। ফলে নদীবাহিত পদার্থের সঞ্চয় শুরু হয়। পর্বতের পাদদেশে নুড়ি, বালি, পলি, কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তাকে পলল শঙ্কু বলে।
৩.২ পাদদেশীয় হিমবাহ বলতে কী বােঝাে ?
উত্তরঃ হিমবাহ যখন উঁচু পর্বতের থেকে নেমে এসে পর্বতের পাদদেশে বিরাট অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করে, তখন তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে।
অথবা,
তির্যক বালিয়াড়ির সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ তুর্কি শব্দ বার্খান কথার অর্থ ‘বালির পাহাড়’ । মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতিপথে আড়াআড়িভাবে যে আধখানা চাঁদের মতো বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে তাকে বার্খান বা অর্ধচন্দ্রাকৃতি বালিয়াড়ি বলে।
৩.৩ ‘ময়দান’ বলতে কী বােঝাে ?
উত্তরঃ ময়দান শব্দের অর্থ অনুচ্চ ভূমিভাগ। কর্ণাটক মালভূমির পূর্বের অনুচ্চ ও মৃদু তরঙ্গায়িত সমপ্রায় ভূমি ভাগকে ময়দান বলে।
অথবা,
‘কচ্ছের রণ’ কী ?
উত্তরঃ কচ্ছের রণ হল একটি লবণাক্ত জলাভূমি যার বেশিরভাগই অংশ ভারতের গুজরাত রাজ্যে (মূলতঃ কচ্ছ জেলায়) অবস্থিত ও কিছু অংশ পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অবস্থিত। এটি দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত; কচ্ছের বড় রণ এবং কচ্ছের ছোট রণ।
৩.৪ ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝা’র সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ শীতকালে ভূমধ্যসাগরের উপর উৎপন্ন ঘূর্ণবাত পূর্ব দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে হালকা ঝড়বৃষ্টি এবং পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত ঘটায়, এই ঘটনাকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বা পশ্চিমী ঝামেলা বলে।
অথবা,
কৃষি বনসৃজন বলতে কি বােঝাে ?
উত্তরঃ কৃষি বনসৃজন হল এক ধরণের ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থা যেখানে কৃষক তার নিজের কৃষি জমিতে কৃষিজ ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি জ্বালানি কাঠ, ফলমূল, ঔষধ ইত্যাদি উৎপাদন করে।
৩.৫ ধাপ চাষের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ ধাপ কেটে চাষ করাকেই ধাপ চাষ বলে। মূলতঃ পাহাড়ি অঞ্চলে, যেখানে জল দাঁড়ায় না, সেখানেই ধাপ চাষ (terrace farming) করা হয়। এই ধাপ চাষে সাধারণতঃ পাহাড়ি অঞ্চলে ধাপে ধাপে জল আটকিয়ে এই চাষ হয়।
অথবা,
বাণিজ্যিক ফসল কী ?
উত্তরঃ বাণিজ্যিক ফসল মানে, যা উৎপাদন হয় শুধু বাজারে বিক্রি করার জন্যই নিজে ভোগ করার জন্য নয়। তৈলবীজ যেমন বাণিজ্যিক ফসল, তুলো, পাট ইত্যাদিও।
৩.৬ ‘বিশুদ্ধ কাচামাল’ বলতে কি বােঝাে ?
উত্তরঃ যে সকল কাঁচামালকে শিল্পজাত করণের পর কাঁচামালের ওজন এবং শিল্প জাত পন্যের ওজন একই হয়ে থাকে, সেই কাঁচামালকে বিশুদ্ধ বা ভার হ্রাসহীন কাঁচামাল বলে। যেমন- কার্পাস।
অথবা,
‘উত্তর-দক্ষিণ করিডর’ কী ?
উত্তরঃ ভারতের কৃষি শিল্প, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ভারত সরকারের অনুমোদনে এবং NHAI এর তত্ত্বাবধানে উত্তরের শ্রীনগর থেকে দক্ষিনে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যে সড়ক পথ তৈরি করে, তাকে উত্তর দক্ষিণ করিডর বলা হয়।
বিভাগ – ‘ঘ’
৪। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : ৩×৪=১২
৪.১ উষ্ণ মরুঅঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্য দেখা যায় কেন, ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ মরু অঞ্চলে বায়ু ছাড়া ক্ষয়কার্যের অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তি উপস্থিত না থাকায় ভূমিরূপ বিবর্তনে বায়ুই প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে অর্থাৎ মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য দেখা যায়। কারণ—
বাধাহীন বায়ুপ্রবাহঃ মরু অঞ্চল প্রায় উদ্ভিদ বিরল হওয়ায় এখানে বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। এছাড়া, মরু অঞ্চল জনমানবহীন বলে বায়ু বসতবাড়ি বা অন্য কোনো বাধারও সম্মুখীন হয় না। ফলে ভূপৃষ্ঠের আলগা বালুকারাশি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবাহিত হয়।
যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রাবল্যঃ মরু অঞ্চলে দিন-রাত্রি এবং শীত-গ্রীষ্মের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য অনেক বেশি। তাই উষ্ণতার পার্থক্যে শিলাসমূহ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে অবশেষে বালিকণায় পরিণত হয়, যা বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রধান উপাদান।
বৃষ্টিপাতের অভাবঃ মরু অঞ্চলে বৃষ্টি প্রায় হয় না বা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই অল্প। তাই বালিস্তর সর্বদা আলগা ও শিথিল থাকে, আর এই আলগা বালুকণা বায়ু সহজেই উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
উদ্ভিদবিরলতাঃ বৃষ্টির অভাবে মরু অঞ্চল প্রায় উদ্ভিদশূন্য। উদ্ভিদের সমাবেশ না থাকায় বায়ু যেমন বাধাহীনভাবে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়, তেমনি উদ্ভিদ না থাকায় মৃত্তিকা কে আঁকড়ে ধরে রাখার সুযোগ নেই। ফলে মৃত্তিকার স্তরও আলগা প্রকৃতির হয়, যা বায়ুর দ্বারা সহজেই অপসারিত হয়।
অথবা, উপনদী ও শাখানদীর মধ্যে পার্থক্য করাে।
উত্তরঃ
৪.২ সুন্দরবন অঞ্চলের জলবায়ুর পরিবর্তনের তিনটি প্রভাব সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ সুন্দরবন অঞ্চলের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব : পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন সুন্দরবন অঞলে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে—
(1) উষ্ণতা বৃদ্ধি : বিগত 1980 সাল থেকে 2017 সাল পর্যন্ত সুন্দরবন সংলগ্ন নদী ও সমুদ্রজলের উষ্ণতা প্রতি দশকে 0.5 °সে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উষ্ণতার এই বৃদ্ধি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বাস্তুতন্ত্রের ওপর অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে ।
(2) ঘূর্ণবাত ও মৌসুমি বৃষ্টিপাত : পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য সুন্দরবন অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আয়লা এমনই একটি ঘূর্ণবাত।
(3) জল এবং মাটির লবণতা বৃদ্ধি : জলতল বেড়ে যাওয়ায় এখানকার জল এবং মাটির লবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে কৃষির প্রয়ােজনীয় জল এবং খাদ্য ও পানীয় জলের সমস্যাও বাড়ছে।
(4) বন্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি : জলতল বেড়ে যাওয়ার কারণে নদীবাঁধ ভেঙে বন্যার আশঙ্কা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অথবা, নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার তিনটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।
(১) অবস্থান গত পার্থক্য—
মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায় না।
অন্যদিকে, হিমবাহ উপত্যকা কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
(২) প্রবাহের গতি—
পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতিবেগ ধীরে ধীরে কমে আসে ।
অন্যদিকে, বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়।
(৩) ক্ষয়ের প্রকৃতি—
নদী উপত্যকায় ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট পাথরখন্ডগুলির আকৃতি গোলাকার ও মসৃণ হয়।
হিমবাহ উপত্যকায় ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট পাথরখন্ডগুলির কোনো নির্দিষ্ট আকার থাকে না এবং আকৃতিতে এরা এবড়ো খেবড়ো হয়।
(৪) ভূমিরূপের পার্থক্য—
নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাবাভিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়।
হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে হিমবাহ উপত্যকায় গ্রাবরেখা, ড্রামলিন, টিলা, কেম প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়।
৪.৩ পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাটের পর্বতমালার মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখাে।
(১) বিস্তৃতিগত পার্থক্য—
পূর্ব উপকূলে মহানদী নদীর অববাহিকায় দক্ষিণ সীমা থেকে ভাইগাই নদীর অববাহিকা পর্যন্ত পূর্বঘাট পর্বত বিস্তৃত।
পশ্চিম উপকূলে তাপ্তী নদীর অববাহিকা থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পশ্চিমঘাট পর্বত বিস্তৃত।
(২) প্রকৃতিগত পার্থক্য—
পূর্বঘাট পর্বতমালা একটি ক্ষয়জাত পর্বতমালা। অন্যদিকে, পশ্চিমঘাট পর্বত তির্যক চ্যুতির পর্বত।
(৩) গঠনগত পার্থক্য—
পূর্বঘাট পর্বত পশ্চিমঘাটের মতাে একটানা নয়, বিচ্ছিন্ন। মাঝে মাঝে পর্বতের কোনাে অস্তিত্বই নেই।
পশ্চিমঘাট পর্বত আরব সাগরের উপকূল বরাবর একটানা প্রাচীরের মতাে বিস্তৃত।
(৪) উচ্চতার পার্থক্য—
পূর্বঘাট পর্বতের গড় উচ্চতা 600 মিটার।
অপরদিকে, পশ্চিমঘাট পর্বতের গড় উচ্চতা প্রায় 900 মিটার।
অথবা, ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদী মােহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি কেন ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ দক্ষিণ ভারতে পশ্চিমবাহিনী নদী-মােহনায় বদ্বীপ না থাকার কারণ : দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ পূর্ববাহিনী বা বঙ্গোপসাগরে পতিত নদীগুলির মােহনায় বদ্বীপ থাকলেও পশ্চিমবাহিনী বা আরব সাগরে পতিত নদীগুলির মােহানায় প্রায় উল্লেখযােগ্য কোনাে বদ্বীপ নেই, কারণ—
(1) নদীগুলি স্বল্প দৈর্ঘ্যের : অধিকাংশ নদী স্বল্প দৈর্ঘ্যের বলে নদীর জলে পলি কম থাকে। যার জন্য নদী মােহানায় বদ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় না।
(2) খরস্রোতা : নর্মদা ও তাপ্তী অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ নদী। কিন্তু এই নদী দুটির মােহানাতেও বদ্বীপ নেই। কারণ, নর্মদা ও তাপ্তী নদী গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মােহানার কাছেও নদী দুটি বেশ খরস্রোতা। ফলে নদীর মােহনায় পলি সঞ্জিত হয়ে বদ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় না।
(3) ক্ষয়কার্য কম : এই নদী দুটি কঠিন আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা গঠিত অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ক্ষয়কার্য কম হয়। ফলে নদীবাহিত বােঝার পরিমাণও যথেষ্ট কম। যার জন্য বদ্বীপ গঠিত হয় না।
(4) পলির পরিমাণ কম : নর্মদা ও তাপ্তী নদীর উপনদীর সংখ্যা কম হওয়ার জন্যও নদীবাহিত পলির পরিমাণ কম। তাই নদী মােহানায় বদ্বীপ গঠিত হতে পারে না।
(5) মােহানায় সমুদ্রের ঢাল বেশি : কাম্বে উপসাগরের যে অংশে নদী দুটি এসে মিশেছে সেখানে সমুদ্রের তলার ঢাল খুব বেশি, ফলে মােহানায় পলি সঞ্চিত না হয়ে তা দূর সমুদ্রে চলে যায়। যার জন্য নর্মদা ও তাপ্তী নদীর মােহনায় বদ্বীপ গঠিত হয়নি।
৪.৪ ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতির তিনটি কারণ বিশ্লেষণ করাে।
উত্তরঃ যে শিল্পে ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিকস মাধ্যমে তথ্যের অন্বেষণ, পুনরুদ্ধার, পরিবর্তন,পরিমার্জন, বিশ্লেষণ, সংরক্ষণ বা মজুত, আদানপ্রদান প্রভৃতি কাজ ব্যাবসায়িক প্রয়ােজনে করা হয়, সেই শিল্পকে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বলে। 1970-এর দশকের শুরু থেকে 1980 দশকের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ধীর উন্নতি শুরু হয়। কিন্তু 1990 দশকের পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ভারতের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে বিকাশ লাভ করে। ভারতে এই শিল্পের উন্নতি কারণগুলি হল—
(1) দক্ষ ও মেধাবী কর্মী: বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি শিক্ষায় ভারতীয়রা সবসময়ই এগিয়ে থাকে। দেশে বিখ্যাত প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি প্রযুক্তি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এইসব কেন্দ্র থেকে আসা দক্ষ এবং মেধাবী কর্মীরা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে নিযুক্ত হচ্ছেন।
(2) বিশ্ব বাজার: ইউরােপ এবং আমেরিকার দেশগুলির বিভিন্ন কাজ ভারত থেকে আউটসাের্সিংয়ের মাধ্যমে করা হয়। এ ছাড়া দেশে ব্যাংকিং, রেল, টেলিকম ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের পরিধি বেড়েছে। সুতরাং, বিশ্ব বাজারে তথ্যপ্রযুক্তির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
(3) জমির সমস্যা কম : অন্যান্য শিল্পের মতাে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশাল জমির প্রয়ােজন নেই। একই বাড়িতে অনেকগুলি কোম্পানি তাদের কাজ করতে পারে।
(4) পরিকাঠামাে: তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প শহরকেন্দ্রিক। বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই, মুম্বাই, কলকাতা প্রভৃতি ভারতের বড়াে বড়াে শহরগুলিতে এই শিল্প গড়ে উঠেছে। ভালাে রাস্তাঘাট, পর্যাপ্ত জল, বিদ্যুৎ, ইনটারনেট, ওয়াইফাই এবং আরও আধুনিক সুবিধা থাকায় শহরগুলিতে এই শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে।
(5) সরকারি উদ্যোগ : রাজ্য সরকারগুলি এই শিল্পের উন্নয়নে সবরকম সহায়তা করে। এজন্য বিভিন্ন রাজ্যে নানা রকম তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া স্পেশাল ইকোনমিক জোন (SEZ) গঠন, নানা ক্ষেত্রে সরকারি ভরতুকি এই শিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
(6) মূলধন বিনিয়ােগ : টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রাে, আইবিএম প্রভৃতি বহুজাতিক কোম্পানিগুলি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিপুল পরিমাণে মূলধন বিনিয়ােগ করছে।
অথবা, গাঙ্গেয় সমভূমিতে জনঘনত্ব অত্যাধিক কেন ?
উত্তরঃ গাঙ্গেয় সমভূমি অত্যন্ত জনবহুল হওয়ার কারণ: গাঙ্গেয় সমভূমি ভারতের সবথেকে জনবহুল অঞ্চল। এখানকার গড় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 980 জনের বেশি। যেসব কারণগুলির জন্য অঞ্চলটি অত্যন্ত জনবহুল সেগুলি হল—
(1) সমতল ভূপ্রকৃতি: গাঙ্গেয় সমভূমিটিতে ভূমির বন্ধুরতা একেবারেই নেই। এখানকার সমতল ভূপ্রকৃতি কৃষিকাজ, পরিবহণ ও শিল্পস্থাপনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে।
(2) অনুকূল জলবায়ু: এই অঞ্চলটির উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাত মধ্যম প্রকৃতির। এইরূপ জলবায়ু কৃষিকাজ ও অধিবাসীদের জীবনধারণের পক্ষে অনুকূল।
(3) উর্বর মৃত্তিকা: এখানকার মৃত্তিকা খুব উর্বর। এই মৃত্তিকায় ধান, গম, পাট, আখ, তৈলবীজসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন খুব বেশি হয়।
অন্যান্য কারণ :
(1) উন্নত পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থা : ভূমি যথেষ্ট সমতল বলে সড়ক এবং রেল পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত। সমগ্র অঞ্চলটিতে যােগাযােগ ব্যবস্থারও যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে, যা অধিক জনবসতি গড়ে তােলার পক্ষে সহায়ক।
(2) শক্তির প্রাচুর্য: এই অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই শক্তি কেন্দ্রগুলি কৃষি ও শিল্পের প্রসার ঘটাতে সাহায্য করেছে।
উল্লিখিত কারণগুলির জন্য সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চল অত্যন্ত জনবহুল।
বিভাগ – ‘ঙ’
(দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে চিত্রাঙ্কন আবশ্যিক নয়)
৫। ৫.১ নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি থেকে যে কোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×২=১০
৫.১.১ মধ্যগতিতে নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ বর্ণনা দাও।
৫.১.২ হিমবাহের সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপের সচিত্র বিবরণ দাও।
৫.১.৩ বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপের সচিত্র বিবরণ দাও।
৫.১.৪ শুষ্ক অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের বর্ণনা দাও।
৫.২ নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি থেকে যে কোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×২=১০
৫.২.১ ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য নিরূপণ করাে।
৫.২.২ ভারতীয় জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করাে।
৫.২.৩ ভারতে ধান চাষের অনুকুল প্রাকৃতিক পরিবেশের বিবরণ দাও।
৫.২.৪ পূর্ব-ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প-কেন্দ্রীভবনের কারণগুলি ব্যাখ্যা করাে।
বিভাগ ‘চ’
৬। প্রশ্নপত্রের সাথে প্রদত্ত ভারতের রেখা- মানচিত্রে নিম্নলিখিতগুলি উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নিত করে মানচিত্রটি উত্তরপত্রের সঙ্গে জুড়ে দাও। ১x১০=১০
৬.১ বিন্ধ্য পর্বত
৬.২ মালাবার উপকূল
৬.৩ কাবেরী নদী
৬.৪ একটি অতি অল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল।
৬.৫ একটি কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল
৬.৬ উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি চা উৎপাদক অঞ্চল।
৬.৭ পশ্চিমবঙ্গের একটি পেট্রো-রসায়ন- শিল্পকেন্দ্র।
৬.৮ একটি ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকেন্দ্র।
৬.৯ পূর্ব-উপকুলের একটি কৃত্রিম পােতাশ্রয়যুক্ত বন্দর।
৬.১০ নতুন দিল্লি
অথবা,
[ শুধুমাত্র দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের জন্য ]
নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি থেকে যে কোনাে দশটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×১০=১০
৬.১ ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তি কী ?
৬.২ ভারতের প্রাচীনতম পর্বতমালার নাম লেখাে।
৬.৩ ভারতের প্রবাল দ্বীপপুঞ্জের নাম কী ?
৬.৪ ভারতের একটি শীতল মরুভূমির নাম লেখাে।
৬.৫ কোন নদীর উপর ডিভিসি (DvC) পরিকল্পনা গড়ে তােলা হয়েছে ?
৬.৬ ভারতে প্রধান খরিফ শস্য কি ?
৬.৭ ভারতের সরলবর্গীয় অরণ্যের একটি উদ্ভিদের নাম করাে।
📌 আরও দেখুনঃ
» Madhyamik Geography Q.P 2024
» Madhyamik Geography Q.P 2023
» Madhyamik Geography Q.P 2022
» Madhyamik Geography Q.P 2020
» Madhyamik Geography Q.P 2019
» Madhyamik Geography Q.P 2018
» Madhyamik Geography Q.P 2017
📌 আরও দেখুনঃ
» মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যবই সমাধান
» মাধ্যমিক ইংরেজি পাঠ্যবই সমাধান
» মাধ্যমিক ইতিহাস পাঠ্যবই সমাধান
» মাধ্যমিক ভূগোল পাঠ্যবই সমাধান
» মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান পাঠ্যবই সমাধান
» মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পাঠ্যবই সমাধান
» দশম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র
» মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন ২০২৫
» মাধ্যমিক সমস্ত বিষয়ের MCQ মক টেস্ট