মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ থেকে এগারো অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Class 7 Maku Golper Question Answer 6,7,8,9,10 and 11 Chapter wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ থেকে এগারো অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Class 7 Maku Golper Question Answer 6,7,8,9,10 and 11 Chapter wbbse

1. সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

4. সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

5. সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (ষষ্ঠ অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer 6 Chapter wbbse

মাকু গল্প ষষ্ঠ অধ্যায় 

সারসংক্ষেপঃ এই অধ্যায়েই আমরা দেখতে পায়, পেয়াদা বাঘের ফাঁদে পড়ার পর সোনাটিয়া ঘাস জমির দিকে প্রাণপণে ছুটতে থাকে। বনের ভিতর মাকুকে ডাকতে থাকে কিন্তু মাকুর সাড়া পাওয়া যায় না। তারপর ছুটতে ছুটতে ঘাস জমিতে পৌঁছেই তারা দেখতে পায় হোটেলওয়ালার জন্মদিনের উৎসবের মহড়া চলছে। সঙ্ কে খুব খাটানো হচ্ছে, জানোয়ারদের সাজানো হচ্ছে। তারপর এক মেম এসে সোনা-টিয়াকে বলে সে সোনালী ঘন্টি দেওয়া লাল গাউন পড়বে। তাদের কাছে সে জানতে চায় বার্থডে পার্টিতে তারা কী পড়বে ? এ কথা শুনে সং তাড়াতাড়ি বাক্স খুলে সোনা টিয়াকে জামা দুটো দেখায়। তারপর তারা মেম ও দড়াবাজির ছোকরাদের সঙ্গে গল্প, হাসি-ঠাট্টায় দিন কাটায়। শেষে হঠাৎ মাকুর কথা মনে পড়লে সোনা-টিয়া বটতলার দিকে দৌড় দেয়।

• অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. টিয়ার পায়ের ছাল উঠলে কী দিতে হবে‌ ?

উত্তরঃ আইডিন দিতে হবে।

২. কোন বিষাক্ত সাপের কথা সোনা টিয়াকে বলেছিল ?

উত্তরঃ তক্ষক সাপের কথা সোনা টিয়াকে বলেছিল।

৩. ছুঁচোর মতো জানোয়ার কী ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল ?

উত্তরঃ ছুঁচোর মতো জানোয়ার একটা ব্যাঙের ঠ্যাং ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল।

৪.‘ঘড়িওলা কী নিষ্ঠুর’— কেন ?

উত্তরঃ ঘড়িওলা বলেছিল সে মাকুর যন্ত্রপাতি খুলে থলেয় পুরে দোকানদারকে দিয়ে দেবে। তাই সোনা ও টিয়া তাকে নিষ্ঠুর ভেবেছিল।

৫. সং আঁতিপাঁতি করে কী খুঁজছিল ?

উত্তরঃ ওষুধের শিশি।

৬. মা-দাঁড়কাক ছানা-দাঁড়কাককে কী খাওয়াচ্ছিল ?

উত্তরঃ একটা গাছের ডালে বসে মা দাঁড়কাক নীচের ডালে বসা ছানা দাঁড়কাককে পোকা খাওয়াচ্ছিল।

৭. ঘাস জমিতে মহা হইচই কেন ?

উত্তরঃ হোটেলওয়ালার জন্মদিন উপলক্ষ্যে উৎসবের মহড়া চলছে, তাই ঘাস জমিতে মহা হইচই।

৮. খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের কী খাওয়াতে হয় ?

উত্তরঃ খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হয়।

৯. জানোয়ারদের ভিটামিনের গুলি খাওয়াতে হয় কেন ?

উত্তরঃ ভিটামিনের গুলি না-খাওয়ালে জানোয়ারেরা রাতে খেলা দেখাতে পারবে না।

১০. সার্কাসের দড়িতে কে ছাতা নিয়ে নাচে ?

উত্তরঃ সার্কাসের দড়িতে কালো মেম ছাতা নিয়ে নাচে।

১১. মেম পার্টিতে কী ড্রেস পড়ে যাবে বলেছিল ?

উত্তরঃ মেম পার্টিতে সোনালি ঘুণ্টি দেওয়া লাল গাউন পড়ে যাবে বলেছিল।

১২. সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা কে দিয়েছিল ?

উত্তরঃ হোটেলের চাকর বেহারি তথা মাকু সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল।

১৩. মেম সোনাদের কী উপহার দিয়েছিল ?

উত্তরঃ মেম সোনাদের একটা করে রেশমি ফিতে উপহার দিয়েছিল।

১৪. সোনা-টিয়ার জুতোয় পালিশ করে দিয়েছিল কে ?

উত্তরঃ যে লোকটা ঘোড়ার খুরে পালিশ লাগাচ্ছিল সে সোনা-টিয়ার জুতো পালিশ করে চকচকে করে দিল।

১৫. কার পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল ?

উত্তরঃ রানির পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল।

১৬. সোনা টিয়া স্কুলের মেয়েদের সাথে কোন গানটি গেয়ে নেচে ছিল ?

উত্তরঃ ‘ফুলকলি, আসে অলি গুনগুন্ গুঞ্জনে’ গানটি গেয়ে নেচে ছিল।

• সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩

১. সং ওষুধের শিশি খুঁজছিল কেন ?

উত্তরঃ যারা দড়াবাজির খেলা দেখাবে তাদের ভিটামিনের বড়ি খাওয়াতে হবে। না হলে তারা খেলা দেখাবে না। তাই সং ভিটামিনের বড়ির শিশি খুঁজছিল।

২. ‘টিয়া অবাক হয়ে দেখে’– কী দেখে ?

উত্তরঃ জঙ্গলের মধ্যে টিয়া অবাক হয়ে দেখে মস্ত একটা ছুঁচোর মতো জানোয়ার বড়ো একটা ব্যাঙের ঠ্যাং ধরে টেনে নিয়ে চলেছে। ব্যাঙটা মাটির উপরে হিঁচড়ে চলেছে এবং চিঁচিঁ শব্দ করছে।

৩. ছুঁচোর মত জানোয়ারের হাত থেকে সোনা-টিয়া কীভাবে ব্যাঙকে বাঁচিয়েছিল ?

উত্তরঃ সোনা-টিয়া দেখল ছুঁচোর মতো দেখতে একটা প্রাণী একটা ব্যাঙের পা ধরে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পথের ধার থেকে একটি ছোট শুকনো ডাল তুলে টিয়া ছুঁচোর মাথায় এক বাড়ি দিলে ছুঁচো ব্যাঙ ছেড়ে পালায়।

৪. কে ওষুধের কৌটো খুঁজছিল ? কীভাবে তা পাওয়া গেল এবং কাদের তা খাওয়ানো হল ?

উত্তরঃ সং ওষুধের শিশি খুঁজছিল।

রুমাল বের করার জন্য সং যেই পকেটে হাত দিয়েছে তখনি পকেট থেকে সে সবুজ রংয়ের কৌটো খুঁজে পেল। ওষুধটি আর কিছুই নয়, সেটি ভিটামিন বড়ি। একটুকরো গুড়ের সঙ্গে একটি করে বড়ি জানোয়ারদের মুখে ফেলে দেওয়া হল। তাই খেয়ে তারা মাথা নাড়িয়ে লেজ দুলিয়ে আহ্লাদ করতে লাগল।

৫. হোটেলওয়ালার জন্মদিনের উৎসবের প্রস্তুতি কীভাবে নেওয়া হয়েছিল ?

উত্তরঃ জানোয়ারদের পায়ে পালিশ লাগানো হচ্ছে। প্রত্যেকে স্নান করেছে, গায়ে মাথায় বুরুশ করেছে। তাদের গলার ঘণ্টি আর কলার আজ সব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দেওয়া হয়েছে। সার্কাসের লোকেদের পোশাক রোদে দেওয়া হয়েছে।

৬. সোনা-টিয়ার জন্য সং যে জামা কিনে এনেছিল, তা কেমন ছিল ?

উত্তরঃ সঙের কেনা জামাটির রং ছিল একটা গোলাপি আর একটা ফিকে বেগুনি। জামাটির তলায় কুঁচি দেওয়া আর গলায় ছোট্ট একটা করে রূপোলি ফুলের মতো বোতাম দেওয়া।

৭. বিকেলে সার্কাসে কী কী খেলা হবে ? কোন্ খেলা কেন জমাতে হবে ?

উত্তরঃ সার্কাসে প্রথমে হবে দড়াবাজির খেলা। তারপর কুকুরদের খেলা শেষে জাদুর খেলা হবে। জাদুকর পরিদের রানিকে নামাবে।

দড়াবাজির খেলা প্রথমেই জমাতে হবে কারণ দড়াবাজির মতো খেলা হয় না, সে খেলা গোড়াতে না জমলে লোকে শেষ অবধি বসে থাকবে না।

৮. পরিদের রানির কী কী সাজ পোশাক রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছিল তার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ পরিদের রানির পোশাক ঘাসের উপর শুকোতে দেওয়া হয়েছে। সেই পোশাকের সর্বাঙ্গে ছোটো ছোটো রুপোলি বুটি। পাশে রুপোলি ডানা জোড়াও রয়েছে। তার পাশে কাগজের বাক্সে রানির মাথার তারা দেওয়া মুকুট, হাতের চাঁদ-বসানো রাজদণ্ড, গলার সীতাহার, হাতের তাগা, কানের ঝুমকো রাখা আছে। গয়নার সঙ্গে রূপোলি পাড় দেওয়া সাদা রেশমি রুমালও রোদে শুকোচ্ছে।

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (সপ্তম অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer 7 Chapter wbbse

মাকু গল্প সপ্তম অধ্যায়

সারসংক্ষেপঃ গল্পে আমরা দেখতে পায় সোনা ও টিয়া বনের গভীরে প্রবেশ করে প্রথমে বাঘের ফাঁদের কাছে এসে পড়ে। সেখানে আড়াল করা গর্তে দুষ্টু লোকটার চেঁচামেচি শুনে এক দৌড়ে নদীর পাশে একটি বটতলার হোটেলে পৌঁছায়। সেখানে তারা দেখতে পায় হোটেলে মহা ভিড়, সবাই ব্যস্ত। কারণ হোটেলওয়ালার জন্মদিন। তখন খবর আসে যে জানোয়ারদের খেলা দেখানোর কথা ছিল সং ভুল করে তাদের জেলাপ খাইয়ে দিয়েছে। ফলে জানোয়াররা কাত হয়ে পড়ে আছে। তখন সং মনের দুখে বুক চাপড়াতে লাগলো সব পন্ড হয়ে গেছে বলে। তখন টিয়া জানায় কিছু পন্ড হয় নি তারা নিজেরাই নাচবে, গাইবে এবং জাদুকর রাজকন্যাকে নামাবে। তখন কালো চাদরে লুকিয়ে থাকা ঘড়িওয়াল সকলের সামনে বেরিয়ে বলে উঠল আমার মাকু থাকলে সে একাই বাজিমাত করে দিত। ঘড়িওয়ালা দুঃখের চোটে মাকুর অনেক কথা বলতে থাকে। তার পেছনে যে হুলিয়া লেগেছে তাও সে ভুলে যায়। তারপর সে ভয়ে দুঃখে সবাইকে বলে দেয় মাকুকে সে কীভাবে বানিয়েছিল। তারপর যাদুকর জানোয়ারদের বাদ দিয়ে ঘড়িওয়ালাকে মাকু দিয়েই খেলা দেখানোর কথা বলে। কিন্তু সে জানায় মাকুর কাঁদার কল চাই বলে ঘড়িওয়ালাকে খুঁজতে গেছে। শেষে সোনাটিয়ার সঙ্গে হোটেলওয়ালোও মাকুর খোঁজে চলে যায়।

• অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. ‘তাহলে মাকু আর পালাবে না’– মাকুকে কী দিলে পালাবে না ?

উত্তরঃ কাঁদার কল।

২. ঘড়িওয়ালা মাকুকে কাঁদার কল দিতে পারেনি কেন ?

উত্তরঃ মাকুকে তৈরি করতেই ঘড়িওয়ালার সব বিদ্যে ফুরিয়ে গিয়েছিল।

৩. প্রজাপতির পা কীসে জড়িয়ে যায় ?

উত্তরঃ করমচা ডালের মধ্যে ঝোলানো বড়ো মাকড়সার মোটা জালে প্রজাপতির পা জড়িয়ে যায়।

৪. সং ভূল করে জানোয়ারদের কী খাইয়ে দিয়েছিল ?

উত্তরঃ সং জানোয়ারদের ভিটামিনের বদলে ভুল করে কড়া জোলাপ খাইয়ে দিয়েছিল।

৫. মাকু কোন বাজনা বাজাতে পারে ?

উত্তরঃ মাকু কলের মানুষ হলেও ক্ল্যারিনেট বাজাতে পারে।

৬. প্রজাপতি কখন উড়তে পারে না ?

উত্তরঃ প্রজাপতিদের ডানার রঙের গুঁড়ো হাতে লেগে গেলে প্রজাপতিরা উড়তে পারে না।

৭. মাকু কাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ?

উত্তরঃ মাকু পরিদের রানিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।

৮. কে মাকুকে কাঁদার কল দেবে বলল ?

উত্তরঃ সোনা মাকুকে কাঁদার কল দেবে বলল।

৯. কী খাওয়ার জন্য ঘড়িওয়ালা কেঁদে উঠেছিল ?

উত্তরঃ মায়ের হাতের মোচার ঘন্ট খাওয়ার জন্য ঘড়িওয়ালা কেঁদে উঠছিল।

১০. ঘুড়িওয়ালা কতদিন মাকুর খেলা দেখাতে পারলে সব ধার শোধ করে দেবে বলেছিল ?

উত্তরঃ এক মাস।

১১. জানোয়ারদের খেলা দেখার জন্য কত লোক আগাম টিকিট কেটে রেখেছে ?

উত্তরঃ তিন গাঁয়ের লোক খেলা দেখার জন্য আগাম টিকিট কেটে রেখেছে।

১২. সোনা বুক ফুলিয়ে কী কী জানার কথা বলেছিল ?

উত্তরঃ সোনা বুক ফুলিয়ে বলেছিল সে যোগ-বিয়োগ, ছোটো নদী, দিনরাত এইসব জানে।

১৩. বাঘের ফাঁদের গর্ত থেকে কীসের আওয়াজ আসছিল ?

উত্তরঃ বাঘের ফাঁদের গর্ত থেকে মানুষের চেঁচামেচির আওয়াজ আসছিল।

১৪. দুটো করমচা গাছের মাঝখানে কী ছিল ?

উত্তরঃ দুটো করমচা গাছের মাঝখানে মাকড়সার জাল ছিল।

১৫. কতক্ষণ বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখাবার কথা ?

উত্তরঃ পাঁচ ঘণ্টা বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখানোর কথা।

১৬. সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে, হোটেলওয়ালা কী খোঁজে ?

উত্তরঃ সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে হোটেলওয়ালা টিকিটের আধখানা খুঁজতে থাকে।

• সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩

১. সোনা-টিয়ার দেখা প্রজাপতিটি কেমন ছিল ?

উত্তরঃ সোনা-টিয়ার নাকের সামনে দিয়ে প্রকান্ড বড়ো একটি প্রজাপতি উড়ে যায়। প্রজাপতিটি আকারে সোনার দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি জুড়লে যত বড়ো হয় তার চেয়েও বড়ো। তার গায়ে নীল, সবুজ, সাদা-কালো বর্ডার দেওয়া রঙের বাহার। আর লাল সুতো আঁকা রামধনু রঙের চোখ বসানো।

২. আম্মা প্রজাপতিদের সম্বন্ধে কী বলেছেন ?

উত্তরঃ আম্মা বলেছেন প্রজাপতিদের ডানার রঙের গুঁড়ো হাতে লেগে গেলে প্রজাপতিরা আর উড়তে পারে না, মাটিতে পড়ে যায়। তারপর কাকেরা ওদের ঠোকরায়। আবার মাকড়সারা চুষে খেয়ে ফেলে। এতে প্রজাপতিরা মরে যায়।

৩. হোটেলের মালিক জাদুকরকে নষ্টের গোড়া বলেছিল কেন ?

উত্তরঃ জাদুকরের দেখানো পরির রানির খেলা দেখেই মাকু পরিদের রানিকে বিয়ে করতে চায়। তখন সবাই তাকে বলে যে সে কলের পুতুল হাসতে কাঁদতে পারে না, তার আবার বিয়ে হবে কীভাবে ? তখন মাকু ঘড়িওয়ালার কাছে কাঁদার কল চায়। এদিকে ঘড়িওয়ালার বিদ্যে ফুরিয়ে যাওয়ায় সে পালায়। তাই মাকু তাকে খুঁজতে গেছে। তাই মাকুর পালানোর জন্য জাদুকরই দায়ী।

৪. মাকুর পালানোর কারণ জেনে জাদুকর কী কী কথা বলেছিল ?

উত্তরঃ জাদুকর মাকুর পালানোর এই কারণ শুনে বললো যে এই সামান্য কারণে সে পালালো কেন। আগে জানলে মাকুর সঙ্গে রোজ পরিদের রানির বিয়ে দেওয়া হতো। কলের মানুষের সঙ্গে পরির রানির বিয়ে দেখতে রোজ প্রচুর লোক আসত, প্রচুর টাকা হতো। এর জন্য শুধু ঘড়িওয়ালা নয়, সার্কাস পার্টিরও ধার শোধ হয়ে যেতো।

৫. বনের মধ্যে সোনাটিয়ার দেখা বড় রঙিন প্রজাপতির বিবরণ দাও।

উত্তরঃ বনের মধ্যে সোনাটিয়া দৌড়ানোর সময় সামনে দিয়ে একেবারে ওদের নাকঘেঁষে প্রকাণ্ড বড়ো রঙিন প্রজাপতি উড়ে যায়। এত বড়ো প্রজাপতি ওরা কখনো দেখেনি। সোনার দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি জুড়লে যত বড়ো হয়, তার চেয়েও বড়ো। আর কী রঙের বাহার, গায়ে নীল, সবুজ, সাদা, কালো বর্ডার দেওয়া, লাল সুতো আঁকা রামধনু রঙের চোখ বসানো।

• রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫

১. বনের মধ্যে সোনা-টিয়ার প্রজাপতির ধরার ঘটনাটি লেখো।

উত্তরঃ বনের মধ্যে সোনা-টিয়া একটা প্রজাপতি দেখতে পায়। সেটি এত বড়ো যে সোনার দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি জুড়লে যত বড়ো হয়, তার চেয়েও বড়। তার গায়ে নানা রং। সেই প্রজাপতির সঙ্গে সঙ্গে তারা দৌড়াতে থাকে। প্রজাপতি একবার গাছের গোড়ায় ভুঁইচাপা ফুলে বসে মধু খায়, ওরা কাছে গলে উড়ে পালায়। বুনো বাতাবি লেবুর মগডালে ফুলের উপর বসে, ওরা ডাল ধরে নাড়া দিলেই উড়ে পালায়। কখনো উঁচুতে কখনো নীচে ওড়ে, রোদে বসে ডানা কাঁপায়, ওদের সাড়া পেলেই উড়ে পালায়। দৌড়ে দৌড়ে দৌড়ে সোনা-টিয়া আর পারে না, পা ব্যথা করে। এমনি সময় দুটো বেঁটে করমচা গাছের ডালের মধ্যে ঝোলানো বড়ো মাকড়সার মোটা জালে প্রজাপতির পা জড়িয়ে যায়, সোনা- টিয়ার প্রায় হাতের মুঠোর মধ্যে! করমচার ডালের আড়ালে বসে মাকড়সা সব দেখেছে, যেই না সুতো বেয়ে প্রজাপতি ধরবে, সোনা হাত বাড়িয়ে জাল ছিঁড়ে দেয়, প্রজাপতি আবার উড়ে পালায়।

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (অষ্টম অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer 8 Chapter wbbse

মাকু গল্প আট অধ‍্যায়

সারসংক্ষেপঃ বনের ঝোপে ঝাড়ে খুঁজে খুঁজে মাকুকে পাওয়া গেল না। সোনা-টিয়ার কান্না আসে। চলতে চলতে তারা বনের আগাছা, রংবেরঙের হলুদ ফুল, খরগোশ প্রভৃতি দেখতে থাকে। তাদের পোষা কুকুর নোনোর কথা মনে পড়ে। তাদের খিদে পেলে, ঠামুর দেওয়া পান খায়। তারপর হঠাৎ মাকুর সঙ্গে দেখা হয়, অনেক কথা হয়। পরিদের রানীর সঙ্গে বিয়ের কথা উঠতেই মাকু আবার দৌড়ে পালায়। অনেক ডাকাডাকির পরেও ফিরে আসে না। তারপর সোনাটিয়া বনের মধ্যে নাচতে গাইতে থাকে। তাতে সঙ্গ দেয় পায়রা, কাঠঠোকরা ও বন ময়ূর। শেষে সোনা টিয়ার বাবা-মার কথা মনে পড়ে। বটতলায় ফিরে আসে, গাছে উঠে গেছো ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে।

• অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. নোনো কার নাম ছিল ?

উত্তরঃ সোনাদের পোষা কুকুরের নাম ছিল নোনো।

২. ঝোপের মধ্যে মোট ক-টা খরগোশ ছিল ?

উত্তরঃ ঝোপের মধ্যে মোট তিনটে খরগোশ ছিল। মা-খরগোশ ও তার দুটো বাচ্চা।

৩. কে খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে ?

উত্তরঃ আম্মার এক উড়নচড়ে ছেলে রঙা, সে খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে।

৪. সোনা কাকে কেন নাচতে বারণ করল ?

উত্তরঃ সোনা বনময়ূরকে নাচতে বারণ করল, পাছে বৃষ্টি নেমে যায়।

৫. সং সোনাকে জাদুকর কী দেবে বলেছিল ?

উত্তরঃ সং সোনাকে বলেছিল জাদুকর বড়ো প্যাঁ প্যাঁ পুতুল দেবে ।

৬. বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া কী করতে লাগল ?

উত্তরঃ বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পড়ে নাচতে গাইতে লাগল।

৭. টিয়া তাদের ক্লাসের কোন গানটা গেয়েছিলো ?

উত্তরঃ ‘ছোট শিশু মোরা’ গানটা।

৮. টিয়া বনের মধ্যে গান গাইতে শুরু করলে ঝোপের মধ্যে থেকে কে বেরিয়ে এসে কী করতে লাগল ?

উত্তরঃ ঝোপের মধ্যে থেকে একটি বড়ো ডোরাকাটা সাপ বেরিয়ে এসে কুণ্ডুলি পাকিয়ে ফণা তুলে দুলতে আরম্ভ করল।

৮. মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে কী হবে ?

উত্তরঃ মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে মাকু এলিয়ে পড়বে, তখন তাকে ঘড়িওলার কাছে দিতে হবে।

• সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩

১. বনের মধ্যে ঠেলেঠুলে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে কী দেখল ?

উত্তরঃ বনের মধ্যে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে দেখল যে ঝোপের মাঝখানটা একেবারে ফাঁকা, কচি নরম দুর্বোঘাসে ঢাকা। তারই মধ্যে লাল চোখ, সাদা ধবধবে মা-খরগোশ, দুটো সাদা তুলোর মতো বাচ্চা নিয়ে ওদের দিকে চেয়ে থর থর করে কাঁপছে।

২. সোনা ও টিয়া বনের মধ্যে কেমন নেচেছিল এবং কারা কারা সঙ্গী হয়েছিল ?

উত্তরঃ বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পড়ে নাচতে গাইতে লাগল। তখন গাছ থেকে টুপটাপ সাদা ফুল পড়তে লাগল, তখন সোনা-টিয়া সেগুলিকে কানের পেছনে গুঁজে রাখল। কোথা থেকে এক জোড়া সবুজ পায়রা উড়ে এসে গাছের ডালে বসে বাকুম্ বাকুম্ করতে লাগলো। পাতার আড়াল থেকে কাঠঠোকরার ঠুনুন্ ঠুনুন্ করে তাল দিতে লাগল, ঝোপের বনময়ূর এসে পেখম ধরে নাচ জমাল।

৩. বনের মধ্যে মা-খরগোশ তার বাচ্চা দুটোকে নিয়ে থাকার জায়গা কেমন ছিল ?

উত্তরঃ বনের মধ্যে এক জায়গায় গোল হয়ে ঝোপ গজিয়েছে, তাতে কী সুন্দর ছোট্ট ছোট্ট হলুদ রঙের ফুল ফুটেছে, সুগন্ধ চারিদিকে ভুরভুর করছে, গাছের সারা গায়ে বেঁটে বেঁটে কাঁটা। মাঝখানটা একেবারে ফাঁকা, কচি নরম দুর্বোঘাসে ঢাকা। এমন সুন্দর ঝোপের মধ্যে মা-খরগোশ তার দুটি বাচ্চাকে যত্ন করে রেখেছিল।

• রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫

১. সোনা টিয়া বন থেকে বটতলায় ফিরে কী দেখেছিল ? তারপর সোনা কী করেছিল এবং তারা কী কী না দেখেই ঘুমিয়ে পড়ল ? ২+৩

উত্তরঃ লীলা মজুমদার রচিত গল্পে সোনা ও টিয়া মাকুকে খুঁজতে বনে গিয়েছিল। সেখান থেকে বটতলায় ফিরে তারা বটতলাতে কেউ নেই। উনুনের আঁচ পড়ে এসেছে, উনুনে চাপানো দুধের কড়ার দুধ ফুটে ফুটে ঘন হয়ে এসেছে।

তারপর সোনা তাতে মিছরির ঠোঙা, কিশমিশের কৌটো খালি করে দিল। তারপর কড়াইটাকে ঢাকা দিয়ে, দু-জনে দু-মুঠো খেজুর খেয়ে, জল খেয়ে ছোটো নদীতে হাত-পা মুখ ধুয়ে হাঁচড়-পাঁচড় করে বটগাছে ঝোলানো ঘরে উঠে পাশাপাশি শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। এক কোণে হোটেলওলা কখন ওদের নতুন জামা, সাদা চুল-বাঁধার ফিতে তুলে রেখেছে ওদের চোখেও পড়ল না। গাছতলায় গামলা-ভরা ভাজা মাছ, বালতি-ভরা মশলা-মাখা মাংস, থলি-ভরা বাসমতি চাল পড়ে রইল। উনুন জ্বলে জ্বলে নিবে গেল, কেউ দেখবারও রইল না।

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (নবম অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer 9 Chapter wbbse

মাকু গল্প নবম অধ‍্যায়

সারসংক্ষেপঃ এই অধ্যায়ে আমরা দেখি দুপুরে ঘুমানোর জন্য সোনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তাই ঘুম থেকে উঠেই মাকুকে তিরস্কার করতে থাকে, কারণ বনে মাকুর সঙ্গে দেখা হয়েও আবার পালিয়ে য়ায়। তারপর তারা দেখতে পায় গাছ ঘরের দেয়াল ঠেসে সং ও হোটেলওয়ালার দেওয়া জন্মদিনের কিছু উপহার। আনন্দে তাদের মেজাজ ঠিক হয়ে যায়। সোনা টিয়া জাদুকরের সঙ্গে গল্পে, হাসি-ঠাট্টায় মেতে যায়। জাদুকরও বিভিন্নভাবে তাদের খুশি করতে থাকে। এরপর যাদুকর তাদের জানাই মাকুকে পাওয়া গেছে। চাবি ফুরিয়ে যাওয়ায় তাকে কুকুরদের ঘরে রাখা হয়েছে। মুশকিল হলো চাবিটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘড়িওয়ালা জানায় কান খুশকির বা ওই ধরনের কিছু থাকলেও হবে। টিয়া জানায় যে সে কানখুশকি বানিয়েছে, তা শুনে ঘড়িওয়ালা ভীষণ আনন্দ পায়।

• অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. দুপুরে বেশি ঘুমুলে সোনার কী হয় ?

উত্তরঃ দুপুরে বেশি ঘুমালে সোনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

২. মাকু কোথায় আটকা পড়েছিল ?

উত্তরঃ মাকু খরগোশ ধরার ফাঁদে আটকা পড়েছিল।

৩. মাকু অচল হয়ে পড়েছিল কেন ?

উত্তরঃ মাকুর চাবি ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে সে অচল হয়ে পড়েছিল।

৪. জাদুকর সোনাদের কী দিয়েছিল ?

উত্তরঃ জাদুকর সোনাদের দুটি খরগোশ-ছানা দিয়েছিল।

৫. সং সোনা-টিয়াদের কী দিয়েছিল ?

উত্তরঃ সং সোনা-টিয়াদের পুঁতি দিয়ে গাঁথা মালা দিয়েছিল।

৬. ঘাস জমিতে কে সোনাদের সাজিয়ে দেবে ?

উত্তরঃ ঘাস জমিতে মেম সোনাদের সাজিয়ে দেবে।

৭. সঙেদের থলিতে কত পয়সা জমা হয়েছে ?

উত্তরঃ সঙেদের থলিতে দেড় হাজারের বেশি দশ পয়সা জমা হয়েছে।

৮. মাকুকে কোথায় পাওয়া গেলো ?

উত্তরঃ মাকুকে বাঁশবনে পাওয়া গেল। সেখানে খরগোশ ধরার ফাঁদে সে আটকে ছিল।

৯. বাঁশবন থেকে উদ্ধার করে মাকুকে কোথায় রাখা হলো ?

উত্তরঃ বাঁশবন থেকে উদ্ধার করে মাকুকে কুকুরদের ঘরে রাখা হয়েছে।

১০. মাকু সার্কাস পার্টিকে কী করে দিতে পারে ?

উত্তরঃ মাকু একটি সোনার খনি। সে সার্কাস পার্টিকে বড়োলোক করে দিতে পারে।

১১. কোন কাজকে জাদুকর অসভ্যতা বলছে ?

উত্তরঃ সোনা ও টিয়ার কানে কানে কথা বলাকে জাদুকর অসভ্যতা বলেছে।

১২. মাকুর ১৫ দিনের চাবি একদিনেই শেষ হলো কীভাবে ?

উত্তরঃ বাঁশ বনেতে খরগোশ ধরবার ফাঁদে আটকে মাকু হাত-পা ছুড়ে, চেঁচিয়ে-মেচিয়ে ১৫ দিনের চাবি একদিনেই শেষ করেছে।

• সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩

১. বন থেকে ফিরে সোনা-টিয়া যখন গেছো ঘরে ঘুমিয়ে পড়ল তখন বটগাছতলায় কী কী পড়ে রইলো ?

উত্তরঃ গাছতলায় গামলা ভরা ভাজা মাছ, বালতি ভরা মশলা মাখা মাংস, থলি ভরা বাসমতি চাল পড়ে রইল। উনুন জ্বলে জ্বলে নিভে গেল, কেউ দেখবার রইল না।

২. জাদুকর সোনা-টিয়াকে কী ধরে দিল ?

উত্তরঃ জাদুকর শূন্য থেকে খপখপ করে গোলগাল দুটি সাদা ঘরগোশের বাচ্চা ধরে দিল। তাদের লাল টুকটুকে চোখ, গলায় লাল ফিতেয় ছোটো দুটি ঘন্টি বাঁধা। নড়লে চড়লে সেগুলি টুংটাং করে বাজে।।

৩. জাদুকরের টাকার ভাবনা ছিল না কেন ?

উত্তরঃ সাড়ে তিন গাঁ থেকে লোক হোটেল মালিকের জন্মদিনে খেলা দেখবে বলে টিকিট কেটেছে। সঙেদের থলিতে দেড় হাজারের বেশি দশ পয়সা জমা হয়েছে। তাই জাদুকরের টাকার ভাবনা নেই।

৪. হলুদ ও সবুজ প্যাকেটগুলিতে কী ছিল, তাতে কী লেখা ছিল ?

উত্তরঃ হলুদ কাগজে মোড়া দুটি ছোটো প্যাকেটে পেনসিল দিয়ে লেখা ছিল—ইতি স্নেহের সং। প্যাকেট দুটিতে ছিল ছোটো ছোটো পুঁতিমুক্তো দিয়ে গাঁথা সুন্দর দুটি সাদা মালা। হলুদ প্যাকেটের নীচে রাখা দুটি সবুজ প্যাকেটে লেখা ছিল জন্মদিনের উপহার ইতি—হোটেলওলা। তার ভিতরে ছিল সরু লেসের পাড় দেওয়া ছোটো দুটি সাদা রেশমি রুমাল।

৫. মাকুকে কোথায় কীভাবে পাওয়া গেল ? তাকে কেমন সাজানো হয়েছিল ?

উত্তরঃ বাঁশবনেতে খরগোশ ধরবার ফাঁদে আটকে মাকু চাবি ফুরিয়ে ফেলেছিল। কল ছাড়িয়ে তাকে কুকুরদের ঘরে রাখা হলো। সঙেরা রং মাখিয়ে মাকুর চেহারা ফিরিয়ে দিল। মেম তাকে নতুন কাপড় চোপড় পড়িয়ে দিয়েছে।

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (দশম অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer 10 Chapter wbbse

মাকু গল্প দশম অধ্যায়

সারসংক্ষেপঃ টিয়ার কাছ থেকে চাবির কথা শুনে ঘড়িওয়াল হন্তদন্ত হয়ে দৌড় শুরু করে। তার সাথে সাথে হোটেলওয়ালা সোনাটিয়া সবাই ছুটতে শুরু করে। ঘাস জমির কাছে আসতেই তারা বাজনার আওয়াজ শুনতে পাই, বাদ্যকররা বাজনা অভ্যাস করছে কিন্তু কারো মনে ফুর্তি নেই। ছাউনির তলায় আসতেই তারা দেখতে পায় ময়লা শতরঞ্চির উপর হাত-পা এলিয়ে মাকু পড়ে আছে, তার দিকে তাকানো যায় না। সবাই মিলে মাকুকে চাবি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে। প্রথমে টিয়া নিজের বানানো গোলাপি কাঠি দিয়ে আস্তে আস্তে পাক দিতে শুরু করে। চাবি দেওয়া হয়ে গেলে ঘড়িওয়ালা চেপে-চুপে দেখল, পুরো চাবি ঠিকঠাক ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিয়া নাকের টিপ কলটা টিপতেই মাকু নড়ে উঠলো। ঘড়িওয়ালা মাকুকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে ঠিক আছে কিনা দেখে নিল। সবার মুখেই হাসি ফুটল। এদিকে সার্কাস খেলা দেখার জন্য ঘাস জমিতে লোক ধরে না। ঘাস জমির মাঝখানে পুরোনো শিরীষ গাছের নিচে সার্কাস হবে। সবই ঠিক হলো কিন্তু রিং মাস্টার হবে কে ? সবাই মিলে হোটেলওয়ালাকে চেপে ধরতেই সে রাজি হয়ে যায়। তারপর একের পর এক খেলা দেখানো হয়। গাঁয়ের লোক ভীষণ আনন্দ পায়। খেলা এমন জমে যায় দর্শক বাড়ি যেতে চাই না। শেষে বুদ্ধি করে জাদুকর বড় আলো নিভিয়ে দিলে দর্শক বাড়ির পথে রওনা দেয়।

• অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. কে মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল ?

উত্তরঃ টিয়া মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল।

২. মাকুকে টিয়া যে চাবি দিয়েছিল তার রং কী ?

উত্তরঃ চাবির রং ছিল গোলাপি।

৩. কে সোনা টিয়াদের সাজিয়ে দিল ?

উত্তরঃ মেমসাহেব সোনা-টিয়াদের।

৪. কার সাথে মাকুর বিয়ে হল ?

উত্তরঃ পরিদের রানির সাথে মাকুর বিয়ে হলো।

৫. সার্কাসে কে রিং মাস্টার সাজল ?

উত্তরঃ হোটেলের মালিক সার্কাসে রিং মাস্টার সাজল।

৬. কে মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল ?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল।

৭. মাকুর শরীরে কোথায় কল আছে ?

উত্তরঃ মাকুর নাকের কালো তিলের নীচে টেপা কল আছে।

৮. টিয়া মাকুর চাবি কোথায় রেখেছিল ?

উত্তরঃ টিয়া মাকুকে চালু করার চাবি ঝোলার ভিতরে রেখেছিল।

৯. মাকু কীভাবে গান গেয়ে উঠলো ?

উত্তরঃ মাকু এক হাত কোমরে দিয়ে এক হাত আকাশে উড়িয়ে বিলিতি কায়দায় গান গেয়ে উঠলো।

১০. মাকু কোন্ গান গাইল ?

উত্তরঃ মাকু “ইয়াঙ্কি ডুডডল ওয়েন্ট টু টাউন রাইডিং অন্-এ পোনি!” গানটা গাইল।

১১. কীভাবে সার্কাসের খেলা শেষ হয়েছিল ?

উত্তরঃ মাকুর সাথে পরিদের রানির বিয়ের মধ্য দিয়ে সার্কাসের খেলা শেষ হলো।

১২. দর্শক বাড়ি যেতে না চাওয়ায় শেষ পর্যন্ত জাদুকর কী করলো ?

উত্তরঃ শেষ পর্যন্ত জাদুকর বুদ্ধি করে বড়ো আলো নিভিয়ে ছিল।

• সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩

১. সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে কী গান গাইলো ?

উত্তরঃ সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে বড়ো আলোর নীচে দাঁড়িয়ে একটা নমস্কার করে হাত মেলে “ফুল কলি‌ অলি গুণগুণ গুঞ্জনে” গান গাইলো ও নাচতে লাগলো।

২. দুরের ছাউনিতে কীসের শব্দ শোনা যাচ্ছে ?

উত্তরঃ দূরের ছাউনিতে জানোয়াররা সুস্থ হয়ে ওঠায় সেখান থেকে কুকুরের ডাক আর মাঝে মাঝে ঘোড়াদের পা ঠোকার শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

৩. ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে কী বললো ?

উত্তরঃ ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে সবাইকে বললো আজ আমাদের প্রিয় অধিকারীর জন্মদিন উপলক্ষে খেলা শেষ। সবাই সাধু সাধু বলুন।

৪. সং সার্কাসে কী কী মজার কাণ্ড করলো ?

উত্তরঃ সং একগালে চুন আর একগালে কালি মেখে গাধার টুপি মাথায় দিয়ে একটার পর একটা উল্টো দিক দিয়ে ডিগবাজি খেলো। দড়াবাজির ছেলেরা যখন দোলনা থেকে লাফিয়ে নীচে নামছিল সে তখন লাফিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিল। তারপর গান শেষ হলে সং পরপর পাঁচটা ডিগবাজি খেয়ে নিচে থেকে একলাফে সত্যি সত্যি বড়ো দোলনায় উঠে পড়ে দুটো বড় বড় করতাল দিয়ে হাততালি দিতে লাগলো।

৫. সার্কাসে মাকু কী কী করল ?

উত্তরঃ ঘড়িওলা মাকুকে যা বললো সে তাই করতে লাগলো। মাকু নাচল গাইল, কাঠের বাক্সে পেরেক ঠুকলো, মোড়লের সাইকেল চালাল, ভাঙা টাইপরাইটার দিয়ে ইংরাজিতে চিঠি লিখল ঘড়িওলার সঙ্গে কুস্তি করলো।

৬. মাকুর সঙ্গে পরির রানির বিয়ের ঘটনা লেখো।

উত্তরঃ পরিদের রানির খেলা শেষ হতেই তাকে পিঠে নিয়ে দুই বড়ো বড়ো ঘোড়া আলোর নীচে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো। পরিদের রানিকে অধিকারী হাত ধরে নামাল এবং ঘড়িওলা মাকুকে রানির সামনে দাঁড় করাল। সং বেতের ঝুড়িতে দু-গাছি মোটা গোড়ে-মালা আর বরের টোপর এনে দাঁড়াল। জোরে জোরে বাজনা বাজতে লাগলো, থোপা থোপা ফুল পড়তে
লাগলো। এইভাবে মহা ধূমধামের সঙ্গে মাকু আর পরিদের রানির বিয়ে হয়ে গেল।

• রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫

১. সার্কাসে মাকু কী কী করল ? মাকুর সঙ্গে পরির রানির বিয়ের ঘটনা লেখো। ২+৩

উত্তরঃ লীলা মজুমদার রচিত মাকু গল্পে সার্কাস খেলা শুরু হওয়ার পর মাকুর খেলা দেখানোর পালা যখন এলো তখন ঘড়িওলা মাকুকে যা বললো সে তাই করতে লাগলো। মাকু নাচল গাইল, কাঠের বাক্সে পেরেক ঠুকলো, মোড়লের সাইকেল চালাল, ভাঙা টাইপরাইটার দিয়ে ইংরাজিতে চিঠি লিখল ঘড়িওলার সঙ্গে কুস্তি করলো।

পরিদের রানির খেলা শেষ হতেই তাকে পিঠে নিয়ে দুই বড়ো বড়ো ঘোড়া আলোর নীচে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো। পরিদের রানিকে অধিকারী হাত ধরে নামাল এবং ঘড়িওলা মাকুকে রানির সামনে দাঁড় করাল। সং বেতের ঝুড়িতে দু-গাছি মোটা গোড়ে-মালা আর বরের টোপর এনে দাঁড়াল। জোরে জোরে বাজনা বাজতে লাগলো, থোপা থোপা ফুল পড়তে
লাগলো। এইভাবে মহা ধূমধামের সঙ্গে মাকু আর পরিদের রানির বিয়ে হয়ে গেল।

২. মাকু গল্পে সার্কাস খেলা কোথায় বসেছিল ? সং সার্কাসে কী কী মজার কাণ্ড করলো ? ২+৩

উত্তরঃ লেখিকা লীলা মজুমদার রচিত গল্পে ঘাস জমি নামক একটি ফাঁকা জায়গা, যার মাঝখানে পুরনো শিরীষ গাছ অনেক উঁচুতে ডালপালা মেলে, প্রায় তাবুই বানিয়ে রেখেছে, তারই নিচে সার্কাস বসেছিল। সেখানে কোন দেয়াল ছিল না চেয়ার ছিল না গ্যালারি ছিল না এমনকি টিকিট দেখবার লোকও ছিল না।

সার্কাস খেলার শুরুতেই সং একগালে চুন আর একগালে কালি মেখে, গাধার টুপি মাথায় দিয়ে, একটার পর একটা উল্টো দিক দিয়ে ডিগবাজি খাচ্ছে আর কি সব বলছে। সঙ্‌ এর কান্ড দেখে গাঁয়ের লোকেরা বেজায় হাসছে। দড়াবাজির ছেলেরা যখন দোলনা থেকে লাফিয়ে নীচে নামছিল, সে তখন লাফিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিল। তারপর গান শেষ হলে সং পরপর পাঁচটা ডিগবাজি খেয়ে নিচে থেকে একলাফে সত্যি সত্যি বড়ো দোলনায় উঠে পড়ে দুটো বড় বড় করতাল দিয়ে হাততালি দিতে লাগলো।

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (একাদশ অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer 11 Chapter wbbse

মাকু গল্প এগারো অধ্যায়

সারসংক্ষেপঃ সার্কাস শেষে, সোনা মাকুর মাথায় কান্নার কল লাগাল। সবাই সাধুবাদ দিল। ইতিমধ্যে পোস্টমাস্টার এসে সং-এর লটারিতে পাঁচ হাজার টাকা জেতার খবর দিল। টিয়া ইতিমধ্যে টিকিটের আধখানা খুঁজে পেয়েছিল। সোনা সেটা মালিককে দিল। তারপর তারা খাবার জন্য বটতলায় গেল। সেখানে গিয়ে সবাই আশ্চর্য হলো। সোনাদের মামনি-বাপি- আম্মা-ঠামি সেখানে রয়েছে। ঝোপের মধ্যে থেকে তাদের পুরোনো মাকু বেরিয়ে এল। সোনারা শুনল সে-ই হলো তাদের পিশেমশাই। সোনাদের খুঁজতে বেরিয়ে তিনি তাদের পেয়ে তাদের সাথে মাকু হিসেবে ছিলেন। পিসেমশাই মালিককেও মাফ করেছেন। মালিকই আসলে সার্কাসের অধিকারী। সে বলে সে সব দেনা মিটিয়ে দেবে। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সে-দিন সবাই ফিস্ট করে। তারপর অনেক রাতে তারা সবাই বাড়ি ফিরে গেল।

মূল বিষয়ঃ গল্পের শেষ অংশে আমরা দেখতে পায় টিয়া ও সোনা যাকে মাকু ভেবেছিল সে আসলে তাদের পিসেমসাই যিনি ছিলেন পুলিশের লোক। ঘড়িওয়ালা ও নোটো মাস্টারকে ধরতেই তিনি বনে গিয়েছিলেন। নোটো মাস্টার সার্কাসের টাকা না দেওয়াই পুলিশ তাকে খুঁজছিল। টিয়া ও সোনা খিদে পাওয়ার পর যখন বায়না ধরে যে তাদের বাপি, মামনি ও আম্মাকে চাই তখন সার্কাসের লোকেরা তাদের কোলে করে নিয়ে বটতলা পৌঁছায় এবং দেখে পুলিশ। তখন তারা কাঠ হয়ে যায়। হোটেল মালিক শেষমেষ পিসেমসাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে যখন বলে যে কাল থানা গিয়ে সে সব টাকা শোধ করে দেবে তখন বোঝা যায় হোটেলওয়ালই আসল নোটো অধিকারী যে সার্কাসের টাকা না দিয়ে পালিয়েছিল।

• অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. মাকু কখন ঘুমিয়ে কাদা হয়েছিল ?

উত্তরঃ ঘুড়িওয়ালা যখন মাকুর নাকের কল টিপে দিল, অমনি মস্ত একটা হাই তুলে মাকু ঘুমিয়ে কাদা হল।

২. হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কী ?

উত্তরঃ হোটেল মালিকই হলো সার্কাসের নোটো অধিকারী।

৩. সং কত টাকা পুরস্কার পেয়েছিল ?

উত্তরঃ সং পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছিল।

৪. সং অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়েছিল কেন ?

উত্তরঃ পোস্টমাস্টারের কাছ থেকে লটারি টিকিট জেতার খবর শুনে সং অজ্ঞান হয়ে ধপাস করে মাটিতে পড়েছিল।

৫. মামুনের সিঁদুর পড়বার রুপোর কাঠি আসলে কী ?

উত্তরঃ মামুনির সিঁদুর উপর বা রুপোর কাঠি আসলে লটারি টিকিটের অর্ধেক অংশ।

৬. হোটেল মালিকের জন্মদিনের ভোজ আসলে কিসের ভোজ ছিল ?

উত্তরঃ হোটেল মালিকের জন্মদিনের ভোজ আসলে সোনাটিয়ার পিসেমশাইয়ের ব্যবস্থা করা পিকনিকের ভোজছিল।

৭. সোনা-টিয়া পোস্টাফিসের পিয়নকে বাঘের গর্তে ফেলেছিল কেন ?

উত্তরঃ পেয়াদা ভেবে সোনা-টিয়া পোস্টাফিসের পিয়নকে বাঘের গর্তে ফেলেছিল।

৮. পিয়নের নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ পিয়নের নাম ছিল ফেলারাম।

৯. মাকুর আসল পরিচয় কী ?

উত্তরঃ মাকুর আসল পরিচয় হল তিনি সোনা ও টিয়ার মেসোমশাই।

১০. সোনার পিসেমশাই জঙ্গলে কেন এসেছিলেন ?

উত্তরঃ সোনার পিসেমশাই নোটো অধিকারী আর ঘড়িওয়ালাকে ধরতে জঙ্গলে এসেছিলেন।

১১. ঘড়িওলারা দুই ভাই মিলে মায়ের কাছে গিয়ে কী কী পেট ভরে খেতে চেয়েছিলো ?

উত্তরঃ চাপড় ঘণ্ট, মোচা চিংড়ি আর দুধপুলি।

১২. বটতলায় পুলিশ পেয়াদারা কী কাজে সাহায্য করছিলো ?

উত্তরঃ তারা ভজহরি আর বেহারিকে রান্নাবান্না ও খাবার জায়গা করতে সাহায্য করছিলো।

১৩. পরিদের রানি কে সাজে ?

উত্তরঃ দরাবাজির সবথেকে ছোট্ট ঝগড়া পরিদের রানি সাজে।

• সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩

১. পোস্টমাস্টার সঙ্ এর জন্য কী খবর এনেছিল ?

উত্তরঃ পোস্টমাস্টার বলেছিলেন সংবাবু লটারির টিকিট জিতেছেন। আপিসে টিকিট জমা দিলে সং পাঁচ হাজার টাকা পাবেন।

২. সোনা মাকুকে কাঁদার কল বসানোর জন্য পুঁটলি খুলে কী কী বের করেছিলো ?

উত্তরঃ সোনা পুঁটলি খুলে ফুটো জ্যামের টিন, কেরোসিন তেল ঢালবার ফোঁদল আর
বাপির কাজের ঘর থেকে আনা রবারের নল বের করেছিলো।

৩. সোনা কীভাবে মাকুকে কাঁদাল ?

উত্তরঃ সোনা মাকুর কলকব্জার ফাঁকে সবচেয়ে উপরে জ্যামের টিন বসিয়ে তার তলায় ফোঁদল দিয়ে মুখে রবারের নল লাগিয়ে নলের অন্য দিকটাকে মাকুর মুন্ডুর ভিতরে দুই চোখের মাঝখানে গুঁজে দিল। তারপর গেলাসের জলটুকু টিনে ঢেলে, পট করে খুলির ঢাকনি বন্ধ করেই মাকুর নাকের টিপকল টিপে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে উঠে মাকু কেঁদে ভাসিয়ে দিল।

৪. হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কীভাবে বেরিয়ে পড়েছিল ?

উত্তরঃ মাকুর মাথায় কাঁদার কল বসানোর পর আনন্দের চোটে সে হেসে ফেলে এবং ফুর্তির চোটে হোটেল মালিকের দাড়ি খামচে একলাফে যেই উঠে দাঁড়ালো সঙ্গে সঙ্গে মালিকের দাড়ি-গোঁফ হেচকা টানে খুলে গিয়ে মাকুর হাতে ঝুলে থাকলো। উপস্থিত সকলে মালিকের চাচা ছোলা ন্যাড়া মুখের দিকে হা করে চেয়ে রইল। এইভাবে হোটেল মালিকের আসল পরিচয় সবার সামনে বেরিয়ে পড়েছিল‌।

৫. হোটেল মালিক হাসতে হাসতে কাঁদতে কাঁদতে নিজের দলের লোকেদের কী বলেছিল ?

উত্তরঃ মালিক একসঙ্গে হাসতে হাসতে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল, ‘ওরে, সত্যিই আমি তোদের সেই পালানো নোটো অধিকারী রে! জিনিস কিনে দাম না দিয়ে, তোদের সবাইকে অকূল পাথারে ভাসিয়ে দিলাম আর তোদের পেছনেই পেয়াদা লাগল। তাই ভেবে দুঃখ রাখবার জায়গা পাই না। তবে সুখের বিষয়, আর কোনো ভয় নাই রে। পুলিশের ভয়ে ছদ্মবেশ ধরে, এতদিন হোটেল চালিয়ে যে টাকা জমিয়েছি আর আজ যা পেলাম, তাই দিয়ে সব ধার শোধ করে, জিনিস ছাড়িয়ে, নতুন তাঁবুর তলায় আবার নতুন করে সার্কাস খুলব রে।’ সবাই বলল ‘সাধু! সাধু!’

৬. হোটেল মালিক হাসতে হাসতে ও কাঁদতে কাঁদতে কী বলেছিল ?

উত্তরঃ মাকু গল্পে হোটেল মালিক হেঁসে এবং কান্নাকাটি করে বলেছিল পুলিসের ভয়ে ছদ্মবেশ ধরে ততদিন হোটেল চালিয়ে যে টাকা জমেছে আর আজ যে পেয়েছে সেই দিয়ে সব ধার শোধ করে জিনিস ছাড়িয়ে নতুন তাঁবুর তলায় নতুন করে সার্কাস খুলবে।

৭. সোনা টিয়ার পিশেমশাই বনে এসেছিলেন কেন ?

উত্তরঃ সোনা টিয়ার পিসেমশাই পুলিশের বড়োসাহেব। তিনি নোটোমাস্টার আর ঘড়িওলাকে ধরতে বনে এসেছিলেন। তারা যে এখানে আছে তিনি এখবর জানতেন। সোনা-টিয়ার বাড়ি গিয়ে তিনি শোনেন যে তারা বনে পালিয়েছে। তখন
পিসেমশাই আর সোনা-টিয়ার বাবা বনে গিয়ে দেখেন যে তারা নদীর ধারে ঘুমাচ্ছে। তখন বাপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে পিসেমশাই সোনা টিয়ার কাছে রইলেন।

৮. পোস্টঅফিসের পিয়ন কীভাবে গর্তে পড়েছিল এবং কীভাবে উঠে এসেছিল ?

উত্তরঃ সোনা ও টিয়া পোস্টাপিসের পিওনকে পেয়াদা ভেবে বাঘের গর্তে ফেলেছিল। পিয়ন ধপাস করে গর্তের ভিতরে পড়ে থাকা তিনজন সত্যিকারের পেয়াদার উপর পড়েছিল। অনেক জেরা করবার পর পেয়াদারা ঠেলেঠুলে পিয়নকে গর্তের ওপরে তুলে দিয়েছিল।

• রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-৫

১. হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কী ?
হোটেল মালিকের আসল পরিচয় প্রকাশ হলে উপস্থিত সকলের কী প্রতিক্রিয়া ছিল ? ১+৪

উত্তরঃ লীলা মজুমদার রচিত গল্পে হোটেল মালিকই হলো সার্কাসের নোটো অধিকারী।

হোটেল মালিকের আসল পরিচয় প্রকাশ হলে উপস্থিত সকলে একেবারে থ হয়ে এক সেকেন্ড মালিকের চাঁচাছোলা ন্যাড়া মুখের দিকে হাঁ করে চেয়ে রইল, তারা বলতে লাগলো ‘ওই ওই ওই আমাদের পালানো নোটো মাস্টার। হোটেলের মালিক সেজে এতকাল আমাদের মাঝখানেই লুকিয়ে ছিল গো। ও মাস্টার, বলি আমরা তোমার জন্যই হেদিয়ে মরছিলাম আর তুমি কি না ভোল বদলে এইখানেই ছিলো গো!’

তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে মালিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, কেউ তার হাত ধরে নাড়ে, কেউ পায়ের ধুলো মাথায় নেয় আর মেম তাঁর দুই গালে দুটো চুমু খেল। যারা যারা সেখানে উপস্থিত ছিল তাদের সবার চোখে জল এসে গেল।

২. সোনা মাকুকে কাঁদার কল বসানোর জন্য পুঁটলি খুলে কী কী বের করেছিলো ? সোনা কীভাবে মাকুকে কাঁদাল ? ২+৩

উত্তরঃ লীলা মজুমদার রচিত গল্পে সোনা পুঁটলি খুলে ফুটো জ্যামের টিন, কেরোসিন তেল ঢালবার ফোঁদল আর বাপির কাজের ঘর থেকে আনা রবারের নল বের করেছিলো।

সোনা মাকুর চাঁদি অর্থাৎ মাথার খুলি খুলে ভিতরের কলকব্জার ফাঁকে সবচেয়ে উপরে জ্যামের টিন বসিয়ে তার তলায় ফোঁদল দিয়ে মুখে রবারের নল লাগিয়ে দিলো। নলের অন্য দিকটাকে মাকুর মুন্ডুর ভিতরে দুই চোখের মাঝখানে গুঁজে দিল। তারপর গেলাসের জলটুকু টিনে ঢেলে, পট করে খুলির ঢাকনি বন্ধ করেই মাকুর নাকের টিপকল টিপে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে উঠে মাকু কেঁদে ভাসিয়ে দিল। যতক্ষণ না জ্যামের টিনের তলার ফুটো দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে সব জল বেরিয়ে টিন খালি হয়ে গেল ততক্ষণ মাকুর কান্না আর থামেনা।

৩. হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কীভাবে বেরিয়ে পড়েছিল ? হোটেল মালিক হাসতে হাসতে কাঁদতে কাঁদতে নিজের দলের লোকেদের কী বলেছিল ? ২+৩

উত্তরঃ মাকুর মাথায় কাঁদার কল বসানোর পর আনন্দের চোটে সে হেসে ফেলে এবং ফুর্তির চোটে হোটেল মালিকের দাড়ি খামচে একলাফে যেই উঠে দাঁড়ালো সঙ্গে সঙ্গে মালিকের দাড়ি-গোঁফ হেচকা টানে খুলে গিয়ে মাকুর হাতে ঝুলে থাকলো। উপস্থিত সকলে মালিকের চাচা ছোলা ন্যাড়া মুখের দিকে হা করে চেয়ে রইল। এইভাবে হোটেল মালিকের আসল পরিচয় সবার সামনে বেরিয়ে পড়েছিল‌।

মালিক একসঙ্গে হাসতে হাসতে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল, ‘ওরে, সত্যিই আমি তোদের সেই পালানো নোটো অধিকারী রে! জিনিস কিনে দাম না দিয়ে, তোদের সবাইকে অকূল পাথারে ভাসিয়ে দিলাম আর তোদের পেছনেই পেয়াদা লাগল। তাই ভেবে দুঃখ রাখবার জায়গা পাই না। তবে সুখের বিষয়, আর কোনো ভয় নাই রে। পুলিশের ভয়ে ছদ্মবেশ ধরে, এতদিন হোটেল চালিয়ে যে টাকা জমিয়েছি আর আজ যা পেলাম, তাই দিয়ে সব ধার শোধ করে, জিনিস ছাড়িয়ে, নতুন তাঁবুর তলায় আবার নতুন করে সার্কাস খুলব রে।’ সবাই বলল ‘সাধু! সাধু!’

📌আরও পড়ুনঃ

1. সপ্তম শ্রেণির মাকু ১ম ও ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. সপ্তম শ্রেণির মাকু ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. সপ্তম শ্রেণির মাকু ৬ থেকে ১১ অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

This Post Has One Comment

  1. Kalyani patra

    A book pori

Leave a Reply