মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer Third, Fourth and Fifth Chapter wbbse
📌আরও পড়ুনঃ
1. সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
2. সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
4. সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here
মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (তৃতীয় অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer Third Chapter wbbse
সারসংক্ষেপঃ
সোনা, টিয়া আর মাকু সং-এর সাথে গিয়ে উঠল হোটেলওয়ালার কাছে। হোটেলের এলাহি ব্যাপার। গাছ থেকে লণ্ঠন ঝুলছে, গুঁড়ির উপর তক্তা ফেলে খাওয়া-দাওয়া চলছে। হাতা হাতে হোটেলওয়ালা, মুখ ভরা তার ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ঢাকা ছাই রঙের দাড়ি দেখে সোনা আর টিয়ার বড়ো হাসি পেল। হোটেলওয়ালা তাদের সুরুয়া আর শালপাতাতে একতাড়া রুটি এনে দিল, ওরা খেয়ে নিল। হোটেলওয়ালার সুরুয়া অপূর্ব খেতে। হোটেলওয়ালা ওদেরকে একবেলার চাকরিতে রাখলো। তার বদলে তাদের খেতে ও থাকতে দেবে। টিয়া সেসময় মাকুর কথা প্রায় বলে ফেলেছিল দেখে সোনা তাকে থামিয়ে দিল। তারপর সার্কাসের লোকেরা তাদের দড়ির খেলা অভ্যাস করল। তারপর সোনারা শুয়ে পড়ল। পরদিন সকালে মাকুকে দেখতে না-পেয়ে সোনা প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিল। তারপর দেখল মাকু ঠিকই আছে। সেইদিন সকালে জাদুকর জাদুর খেলা দেখাতে আসবে। পাছে মাকু পরিকে দেখে আবার কষ্ট পায় তাই সোনা মাকুকে জোর করে হোটেলওয়ালার ফাঁদ পাতা স্থানে খরগোশ পড়েছে কিনা তা দেখতে পাঠিয়ে দিল। ইতিমধ্যে জাদুকর খেলা দেখাতে এল।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১
১. হোটেলে সোনা ও টিয়া কী কী খেয়েছিল ?
উত্তরঃ হোটেলে সোনা ও টিয়া রুটি আর সুরুয়া খেয়েছিল।
২. হোটেলওয়ালার চেহারা কেমন ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালার মুখভরা ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ছাই রং-এর দাড়িতে ঢাকা। দেখে মনে হয় যেন ধোপার বাড়ি থেকে ফিরেছে।
৩. শোনা ও টিয়ার সাথে যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা কোথাকার লোক ?
উত্তরঃ যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা সার্কাসের লোক।
৪. রাতে সোনারা কোথায় ঘুমিয়েছিল ?
উত্তরঃ রাতে সোনারা গাছের কোঠরে ঘুমিয়েছিল।
৫. টিয়া আর সোনার কথা কান্না শুনে কারা এসেছিল ?
উত্তরঃ কান্না শুনে গাছ বেয়ে মাকু, হোটেলওয়ালা, সং আর সাতজন দড়াবাজির ওস্তাদ এসেছিল।
৬. সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কী কী রান্না করেছিল ?
উত্তরঃ সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কাদা দিয়ে ভাত বানায় আর গাঁদা ফুলের পাতা দিয়ে মাছ রান্না করে।
৭. মাকু যাতে রাতে পালাতে না পারে তার জন্য সোনা কী করেছিল ?
উত্তরঃ সোনা পুঁটলির মুখের বড়ো সেফটিপিন দিয়ে নিজের ফ্রকের সঙ্গে মাকুর জামার কোণটা এঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। যাতে মাকু রাতে পালাতে না পারে।
৮. কে কোথায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালা বনের মধ্যে বাঁশতলায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল।
৯. খরগোশ দিয়ে কী হবে ?
উত্তরঃ খরগোশ দিয়ে কালিয়া হবে।
১০. জাদুকরের পোশাক কেমন ছিল ?
উত্তরঃ জাদুকরের মাথায় লম্বা চোঙার মতো টুপি আর গায়ে ছিল চকরা বকরা মাটি অবধি ঢোলা জামা, তার হাতা ঢলঢলে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
১. বটতলার হোটেলটি কেমন ছিল ?
উত্তরঃ হোটেলটা ছিল একটি গাছ। গাছের ডাল থেকে কয়েকটা লণ্ঠন ঝুলছে। বটগাছের নীচু নীচু ডালে লোকে পা ঝুলিয়ে বসে আছে। গাছ থেকে রাশি রাশি ঝুরি নেমেছে। গাছের গোড়ায় পাথরের উনুনে গনগনে আগুনের উপর মস্ত পিতলের হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে। গাছের গুঁড়ির উপর কাঠের তক্তা ফেলে খাওয়াদাওয়া চলছে।
২. সার্কাসের লোকেদের জঙ্গলে থাকতে হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ সার্কাসের অধিকারীমশাই সার্কাসের জন্য ঝাড়বাতি কিনে, সকলের জন্য নতুন পোশাক বানিয়ে, চারিদিকে নতুন খেলার বিজ্ঞাপন দিয়ে, খেলা শুরু হবার আগেই কোনো জিনিসের দাম না-দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এখন অধিকারীমশাই নিখোঁজ, তাই ওদের নামেই পরোয়ানা বেরিয়েছে। তাই সার্কাসের লোকেরা জঙ্গলে থাকে।
৩. হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে কী কাজ করতে এবং কীভাবে করতে বলেছিল ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে খাবার জায়গা করা, বাটি ধুয়ে দেওয়া আর ঝাঁটপাট দেওয়ার কাজ করতে বলেছিল। আর গাছের ঘরে থাকতে এবং গাছের ধারে ছোটো ঝরনায় চান, কাপড় কাচা ও বাসন ধুতে বলেছিল। এর জন্য কোনো পয়সাকড়ি যে লাগবে না সেটাও সে বলেছিল।
৪. গাছের উপর ঘরটি কেমন ছিল ?
উত্তরঃ গাছের গায়ে সিঁড়ির মতো খাঁজ কাটা, আট-দশটি ধাপ উঠতেই ডালপালার মধ্যে কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি একটি সুন্দর ঘর। বাতাস বইলে সেটি দোলনার মতো দোলে। সেখানে শুকনো পাতার উপর নীল চাদর বিছানো ছিল।
মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (চতুর্থ অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer Fourth Chapter wbbse
সারসংক্ষেপঃ
জাদুকর খেলা দেখিয়ে মঞ্চে পরিদের রানিকে নিয়ে এল। তাকে এত সুন্দরী দেখে সোনা আর টিয়া অবাক হয়ে গেল। এরপর ওরা গেল হোটেলওয়ালাকে রান্নায় সাহায্য করতে। সেখানে হোটেলওয়ালার মুখে শুনলো এই জঙ্গলে আগে জনবসতি ছিল। তারা দেখল কীভাবে হোটেলওয়ালা তার দাড়ি, গোঁফ সুরুয়ার হাঁড়িতে ফেলে রান্না করছে। তারপর ওরা সেখান থেকে গেল ঘাসের মাঠে জানোয়ারদের খেলা দেখতে। রাস্তায় মাকুর সাথে দেখা। সে খরগোশ না-পেয়ে ফিরে আসছে। ঘাসের মাঠে গিয়ে তারা জানোয়ারদের খেলা দেখল। সেই খেলা দেখার পর আবার ফিরে আসবার সময় দেখল পুলিশের পোশাক পরা একটা লোক। ওরা লুকিয়ে পালিয়ে এল। এসে দেখে হোটেলওয়ালার কাছেও কালো পোশাক পরা একজন। ওরা চান করে খেয়ে নিল। এরমধ্যে সার্কাসের লোকেরাও এসে উপস্থিত। তারা খেতে বসেছে এমন সময় সং এসে খবর দেয় যে জঙ্গলে পেয়াদা ঢুকেছে। সঙ্গে সঙ্গে সবাই থালা হাতে হাওয়া হয়ে যায়। হোটেলওয়ালা মাকুকে নিয়ে গাছ ঘরে লুকিয়ে পড়ে।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১
১. পরিদের রানির পরনে কী রঙের পোশাক ছিল ?
উত্তরঃ পরিদের রানির পরনে গোলাপি রঙের পোশাক ছিল।
২. সং সপ্তাহে কতবার পোস্ট অফিসে যায় এবং কেন যায় ?
উত্তরঃ সং সপ্তাহে দু-তিনবার পোস্ট অফিসে যায়। সে খোঁজ নেয় তার কাটা লটারির ও টিকিটের কোনো খবর এল কিনা।
৩. হোটেলওয়ালা কী দিয়ে সুরুয়া রান্না করে ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালা তার দাড়ি-গোঁফ দিয়ে সুরুয়া রান্না করে।
৪. ক-টি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল ?
উত্তরঃ চারটি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল।
৫. জঙ্গলে ওরা সে-দিন ক-জন লোককে দেখেছিল?
উত্তরঃ জঙ্গলে ওরা সে-দিন দুজন নতুন লোককে দেখেছিল।
৬. পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা কোথায় লুকিয়েছিল ?
উত্তরঃ পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা গাছ-ঘরে লুকিয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩
১. পরির রানিকে দেখতে কেমন ও তার পরনে কী পোশাক ছিল ?
উত্তরঃ পরির রানির গোলাপি মুখে সুন্দর কালো কালো চোখ। মাথায় সোনালি চুল। আর তার গায়ে রুপোলি রঙের পোশাক।
২. হোটেলওয়ালা কীভারে সুরুয়া রান্না করে ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালা রান্না করার সময় সুরুয়ার মধ্যে তার মুখের দাড়ি-গোঁফ খুলে ফেলে দেয়। সেই সুরুয়াই লোকে স্বর্গের সুরুয়া বলে খায়।
৩. হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য কে কী নিয়ে এসেছে ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য গোয়ালা এক মণ দুধ দিয়ে গেছে, সং পাঁচ সের বাতাসা কিনে এনেছে। রাতে ভুনিখিচুড়ির জন্য সুগন্ধি চাল, পেস্তা, বাদাম, কিশমিশ এনেছে। আর শিকারীরা হরিণের মাংস দিয়ে যাবে বলে গেছে।
৪. বটতলার পিছনে ছোটো নদীটির ধারে কী কী শাকসবজি হয় ?
উত্তরঃ সেখানে ছোটো বুনো মটরশুঁটি, গাছতলায় মিষ্টি শাকালু, পালংশাক, টম্যাটো, ডুমুর গাছে ডুমুর, সজনে গাছে সজনে হয়।
৫. মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা কী কাণ্ড দেখল ?
উঃ। মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা দেখলো খাকি কোট-পেন্টেলুন পরা একটা লোক কাঁধে থলে ও কোমরে লণ্ঠন বাঁধা, হাতে একটা লম্বা খাম নিয়ে ঝোপেঝাড়ে কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে।
৬. হোটেলওয়ালার জন্মদিনের ভোজে কী কী রান্না হবে ঠিক হয়েছিল ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালার জন্মদিনের ভোজে ভুনি খিচুড়ি, হরিণের মাংসের কোর্মা আর পায়েস রান্না হবে ঠিক হয়েছিল।
৭. হোটেলওয়ালা কীভাবে দাঁড়িগোঁফ শুকিয়েছিল ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালা কাঠের হাতা দিয়ে সুরুয়া থেকে দাড়িগোঁফ তুলে বালতির জলে ধুয়ে, গাছের ডালে শুকোতে দিল।
৮. সং কোন অবস্থায় এসে হাজির হয়েছিল ?
উত্তরঃ সং-এর চুল খাড়া, ঠিকরে বেরোনো চোখ, জামাকাপড়ে ধুলোবালি ও শুকনো পাতা লাগা এই অবস্থায় সং এসে হাজির হলো।
৯. হোটেলওয়ালা কী কারণে সুরুয়াতে দাঁড়ি গোঁফ ফেলে দিয়ে রান্না করে ?
উত্তরঃ আগে হোটেলওয়ালার রান্না সুরুয়া মুখে দিলেই লোকে ওয়াক-থু বলে ফেলে দিত আর পয়সা ফেরত চাইত। তারপর আচমকা একদিন তার দাড়িগোঁফ খুলে সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে রান্না হয়ে গেল। আর সেদিন সবাই সুরুয়া খেয়ে সুখ্যাতি করতে লাগল। সেই থেকে হোটেলওয়ালা রান্নার সময় দাড়িগোঁফ সুরুয়াতে ফেলে দিয়ে রাঁধে।
মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (পঞ্চম অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণি | Maku Golper Question Answer Fifth Chapter wbbse
সারসংক্ষেপঃ
কিছুক্ষণ ওরা গাছ-ঘরে লুকিয়ে থাকে। সেখানে সেই কালো পোশাকের লোকটাকেও দেখতে পায়। ওরা প্রথমে ভয় পেলেও পরে দেখে এই লোকটা সেই ঘড়িওয়ালা। এদিকে হোটেলওয়ালা বলে যে সং তার টিকিটের আধখানা রাখতে দিয়েছিল, সেটা সে হারিয়ে ফেলেছে। টিয়া তাকে খুঁজে দেবার আশ্বাস দেয়। ঘড়িওয়ালা দুঃখ করে বলে সে সতেরো বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে মাকুকে বানিয়েছিল। কিন্তু সেই মাকুর আবদারের ভয়েতে তাকে এখন পালাতে হচ্ছে। সে মাকুর উপর ভয়ানক রেগে যায়। বলে মাকুকে সামনে পেলে সে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে তাকে খুলে ফেলবে। আর পুলিশের কাছে নিয়ে যাবে। টিয়া আর সোনা ঠিক করে যে তারা মাকুকে একটা বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে আপাতত আটকে রাখবে। তারা জঙ্গলে গিয়ে সেইমতো ব্যবস্থা করে। কিন্তু সেই ফাঁদে পড়ে যায় একজন পেয়াদা।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১
১. ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার কে হয় ?
উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার ভাই হয়।
২. হোটেলওয়ালা কী হারিয়ে ফেলেছে ?
উত্তরঃ হোটেলওয়ালা সং-এর টিকিটের আধখানা হারিয়ে ফেলেছে।
৩. মাকুকে বানাতে ঘড়িওয়ালার কতদিন সময় লেগেছিল ?
উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে মাকুকে বানিয়েছিল।
৪. পেয়াদা কাদেরকে খুঁজছিল ?
উত্তরঃ জঙ্গলে যারা থাকে তাদের পেয়াদা খুঁজছিল।
৫. পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে কোথায় পড়ে গেল ?
উত্তরঃ পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে ফাঁদপাতা গর্তে পড়ে গেল।
৬. গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে সোনা টিয়া কাকে দেখেছিল ?
উত্তরঃ সোনা টিয়া দেখেছিল গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে একপাশে কালো চাদর মুড়ি দিয়ে কে যেন শুয়ে আছে।
৭. পেয়াদাকে দেখে সোনা ও টিয়া দৌড় দিল কেন ?
উত্তরঃ পেয়াদা ঘড়িওলা, মাকু ও সার্কাসের লোকজনদের ধরতে এসেছে ভেবে সোনা-টিয়া দৌড় দিয়েছিল।
৮. সোনা কাকে কোথায় ফেলে দেবে বলেছিল ?
উত্তরঃ সোনা মাকুকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে দেবে বলেছিল।
৯. হোটেল ওয়ালা কে দাড়ি গোঁফের সরবরাহ করতো?
উত্তর- ঘড়িওয়ালা
১০. সং কত টাকা দিয়ে লটারি টিকিট কিনেছিল ?
উত্তরঃ এক টাকা।
১১. “ও তো রোজ পোস্ট অফিসে যায়”- কথাটি কে কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল ?
উত্তরঃ টিয়া সংকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল।
১২. হোটেলওয়ালা সং এর টিকিটটা কোথায় রেখেছিল ?
উত্তরঃ কানে খুঁজে রেখেছিল।
১৩. “হ্যান্ড বিল তো দিলাম অথচ খোঁজার নামটি নেই”- কথাটি কে কাকে বলেছিল ?
উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা টিয়া কে বলেছিল।
১৪. সোনাটিয়া মাকুকে গর্তে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কেন ?
উত্তরঃ বনে আসা পেয়াদার হাত থেকে মাকুকে বাঁচানোর জন্য ।
১৫. “পেয়াদা পড়েছে ফাঁদে”- পেয়াদা কোন ফাঁদে পড়েছিল ?
উত্তরঃ বাঘ ধরার ফাঁদে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-২/৩
১. ঘড়িওয়ালার মাকুকে বানাবার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাকুকে বানিয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে সে ঘড়ির কারখানায় পড়ে থাকত। ম্যানেজার তাকে তাদের নীচে শুতে দিত, আর ছাইপাঁশ খেতে দিত। সে রাত জেগে জেগে গুদাম থেকে সব বিলিতি ঘড়ির কলকবজা খুলে নিয়ে মাকুকে বানিয়েছে।
২. জঙ্গলের পাতা ফাঁদগুলি কেমন তার বিবরণ দাও।
উত্তরঃ জঙ্গলে ফাঁদ পাতার কয়েকটি পুরোনো গর্ত আছে। সেইগুলি বাঘ ধরার ফাঁদ না শুয়োর ধরার তা বলা যায়।না। ফাঁদগুলি বহুদিনের পুরোনো। মাটিতে দু-মানুষ গভীর গর্ত, তার উপরটা লতাপাতাতে ঢেকে গিয়ে বুজে গেছে। কিন্তু তার উপর একবার পা পড়লে লোকজন বা জন্তুজানোয়ার তার ভেতরে গিয়ে পড়বে। তাই সেখানে ফাঁদ পাতা আছে। হোটেলওয়ালা সেখানে একটা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রেখেছে যাতে লোকজন দেখতে পেয়ে সাবধান হয়।
৩. সোনা কেন বাঁশের খুঁটি উপড়ে দিয়েছিল ?
উত্তরঃ সোনা এদিক ওদিক দেখে বড়ো ফাঁদের কিনারা থেকে বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলেছিল। কারণ সে চেয়েছিল। ফাদের মধ্যে মাকুকে ফেলে দিতে, যাতে কেউ সোনা টিয়া দেখিয়ে না দিলে মাকুকে কেউ খুঁজে না পায়।
৪. ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল কেন ? এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে কী বলেছিল ?
উত্তরঃ মাকুর শরীরে যে সব বিলিতি কলকব্জা লাগানো তার দাম পাঁচ হাজার টাকা। সেই টাকার জন্য ঘড়িওয়ালার ।
নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল।
এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে ভাবনা করতে বারণ করে বলেছিল দু’মাস মাকুর খেলা দেখালে এরকম অনেক পাঁচ হাজার টাকা উঠে আসবে।
৫. বাঘ ধরার ফাঁদ সম্পর্কে জাদুকর কি বলেছিল ?
উত্তরঃ জাদুকর বলেছিল -ওগুলি শুয়োর ধরার ফাঁদ ।বুনোশুয়োর চাষীদের ফসল নষ্ট করে দিত। তাই ফাঁদ গুলি তৈরি করা হয়েছিল।
৬. বাঘ ধরার ফাঁদটি কেমন ছিল ?
উত্তরঃ মাটিতে দু’ মানুষ গভীর গর্ত খুঁড়ে তার উপরে কাঠ কুটো লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখ হতো। শস্য খেতে এসে তার মধ্যে শুয়োর পড়ে যেত।
৭. ঘড়িওয়ালার কী ফুরিয়ে গিয়েছিল ? তাই সে কী করতে পারবে না ?
উত্তরঃ ঘড়িওয়ালার পয়সাকড়ি ও বিদ্যাবুদ্ধি ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই মাকুর জন্য কান্নার কল সে তৈরি করতে পারবে না।
৮. মাকু এখন কীভাবে ইচ্ছামতো চলে ?
উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা যেভাবে মাকুকে বানিয়েছিল সে সেভাবে নেই। তার কলের মধ্যে কী যেন এক অন্য শক্তি গজিয়েছে। তার ফলে মাকু নিজের ইচ্ছেমতো চলে।
📌আরও পড়ুনঃ
1. সপ্তম শ্রেণির মাকু ১ম ও ২য় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
2. সপ্তম শ্রেণির মাকু ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
3. সপ্তম শ্রেণির মাকু ৬ থেকে ১১ অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here