মাসিপিসি কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Masipisi Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সাহিত্য মেলা
অষ্টম শ্রেণি বাংলা

মাসিপিসি কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Masipisi Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

মাসিপিসি কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Masipisi Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

মাসিপিসি কবিতার কবিতা, কবি পরিচিতি, কবিতার ব্যাখ্যা, শব্দার্থ, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Masipisi Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

1. অষ্টম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. অষ্টম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

মাসিপিসি কবিতার কবিতা, কবি পরিচিতি, কবিতার ব্যাখ্যা, শব্দার্থ, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Masipisi Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

কবি পরিচিতিঃ জয় গোস্বামী (১৯৫৪) : জন্ম কলকাতায়। বাংলা সাহিত্যের এক খ্যাতিমান কবি। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কবিতার বই প্রত্নজীব, উন্মাদের পাঠক্রম, ভুতুমভগবান, ঘুমিয়েছ ঝাউপাতা, বজ্রবিদ্যুৎভর্তি খাতা, পাগলী তোমার সঙ্গে প্রভৃতি। যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল তাঁর স্মরণীর কাব্য-উপন্যাস। তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে সেই সব শেয়ালেরা, সুড়ঙ্গ ও প্রতিরক্ষা প্রভৃতি। সাহিত্যকৃতির জন্য তিনি আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার সহ বহুবিধ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

বিষয়সংক্ষেপঃ সমাজে এমন কিছু শ্রমজীবী মহিলারা থাকেন, যারা পরিবারের প্রয়ােজনে, সংসারের তাগিদে জীবিকা অর্জনের জন্য পথে বেরােয়, তাদের প্রতিদিনের জীবন সংগ্রামমুখর। দারিদ্র্যপূর্ণ জীবনের সঙ্গে তারা লড়াই করে চলে। পথচলতি রাস্তায় এমন বহু শ্রমজীবী মানুষের সাথে প্রতিদিন পরিচয় ঘটে। কিন্তু তাদের ব্যক্তিজীবনের পরিচয় থেকে যায় অজ্ঞাত। কবি জয় গােস্বামী এই শ্রমজীবী মহিলাদের নাম দিলেন ‘মাসিপিসি। ঘুমপাড়ানি মাসিপিসিরা যখন ঘুম থেকে ওঠে, তখন আকাশে চাঁদ থাকে, ভােরের শুকতারা থাকে। ভাের ভাের উঠে তারা ছাড়া কাপড় কেচে যখন ট্রেন ধরতে আসে, তখনও ঘাসের ওপর শিশির থাকে কয়েক ফোঁটা। বাড়িতে অনেক সদস্য, তাই তাদের রােজগারে বেরােতে হয়। সামান্যই রােজগার। তাদের কাজই হচ্ছে লালগােলা, বনগাঁ থেকে চাল জোগাড় করে কলকাতায় বিক্রি করা, আর তার জন্য ট্রেন তাদের ধরতেই হবে। কিন্তু তাতে তাদের শান্তি নেই, রেলবাজারের হােমগার্ডরা এ নিয়ে নানা ঝামেলা করে। বছর, কিংবা মাস মাইনের কোনাে হিসেব তাদের নেই। জ্যৈষ্ঠ হােক বা বৈশাখ, তারা সবসময় এভাবেই যাতায়াত করে। আবহমান কাল ধরে সময় বয়ে যায়, কিন্তু তারা তাদের কাজ করে চলে।

নামকরণঃ সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যার মধ্য দিয়ে সাহিত্য বিষয়টি পাঠ করার পূর্বে বিষয়বস্তু সম্পর্কে পাঠকরা সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে। ‘মাসিপিসি’ কবিতাটির মধ্য দিয়ে কবি জয় গােস্বামী গ্রাম থেকে শহরে আসা, প্রত্যহ জীবন সংগ্রামে রত নারীদের গল্প বলেছেন, তাঁদের ব্যক্তি পরিচয় চিরদিন থাকে অন্তরালে। ‘মাসিপিসি’ কথার অর্থ মায়ের বােন (বা দিদি) এবং বাবার বােন (বা দিদি)। কিন্তু সাধারণভাবে একটু বয়স্কা মহিলাদের রাস্তাঘাটে আমরা মাসি, পিসি বলে থাকি। তারা আমাদের আপনজন নয়, কিন্তু সম্মান দিয়ে বা আপনজনের মতাে ভেবে তাদের আমরা ‘মাসি-পিসি’ বলি। সেরকম কিছু মহিলার কথা ‘মাসিপিসি’ কবিতায় বর্ণিত, যারা নিজেদের জীবন-জীবিকার জন্য ট্রেনে চাল নিয়ে অন্যত্র যান বিক্রির উদ্দেশ্যে। এতে যেমন তাদের দিন অতিবাহিত হয়, আমাদেরও তেমনই পেট চলে তাদের বিক্রি করা চালের ভাত খেয়ে। মায়ের মতােই তাঁরা কষ্ট করে ভােররাতে ওঠেন, পড়ে-থাকা বাসি কাপড় কাচেন। সংসারে সবার মুখে হাসি ফোটাতে, পেটের ভাত জোটাতে, লালগােলা-বনগাঁ ট্রেনে চাল তুলে তারা অন্যত্র বিক্রির জন্য যান আর রাস্তায় অজস্র ঝামেলায় পড়েন। তাদেরই কঠোর জীবনসংগ্রামের চিত্র কবিতায় বর্ণিত হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয়ে থাকা এই সংগ্রামী মহিলাদের জীবন-সংগ্রামকে সম্মান দিয়ে, তাদের ‘মাসিপিসি’ বলে সম্বােধন করেছেন কবি। তাই এই কবিতার নাম ‘মাসিপিসি’ হওয়ায় তা সার্থক ও যথার্থ হয়েছে।

হাতেকলমে প্রশ্নোত্তর : মাসিপিসি কবিতা অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Hate Kolome Question Answer Masipisi Kobita Class 8 Bengali wbbse

১.১ জয় গােস্বামীর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখাে।

উত্তরঃ জয় গােস্বামীর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম ‘ঘুমিয়েছ ঝাউপাতা’ ও ‘পাগলী তােমার সঙ্গে’।

১.২ জয় গােস্বামীর লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখাে।

উত্তরঃ জয় গােস্বামীর লেখা একটি উপন্যাসের নাম ‘সেই সব শেয়ালেরা।’

২। নীচের প্রশ্নগুলির অতিসংক্ষেপে উত্তর দাও :

২.১ অনেকগুলাে পেট বাড়িতে…….’— ‘পেট’-এর আভিধানিক অর্থ কী ? এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘জয় গােস্বামীর লেখা ‘মাসিপিসি’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোক্ত উক্তিতে ‘পেট’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল— উদর বা জঠর।

এখানে শব্দটি পরিবারের সমস্ত ক্ষুধিত ব্যক্তি বা সদস্য অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

২.২ ‘সাত ঝামেলা জোটায়’— এখানে ‘সাত’ শব্দটির ব্যবহারের কারণ কী ?

উত্তরঃ ‘সাত’ কথাটি এখানে ‘সাত’ সংখ্যাকে বােঝায়নি। ‘নানারকম’ বা ‘বহু’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। রেলের পাহারাদারেরা আইন-কানুনের কথা বলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি করে, কবি তাকেই একসঙ্গে ‘সাত ঝামেলা’ বলেছেন।

২.৩ ‘মাহিনা’ শব্দটি কবিতায় কী অর্থে ব্যবহৃত ? শব্দটির অন্য কোন্ অর্থ তােমার জানা আছে ?

উত্তরঃ জয় গােস্বামীর লেখা ‘মাসিপিসি’ কবিতা থেকে নেওয়া ‘মাহিনা’ শব্দটি মাস অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

শব্দটির অন্য অর্থ— মাসিক বেতন। চাকুরিজীবী সম্প্রদায় সাধারণত মাসের শেষে এই মাহিনা পায়। শব্দটি ফরাসি ‘মাহিয়ানা’ থেকে ‘মাহিনা’ শব্দটি এসেছে।

২.৪ কোন শব্দ থেকে এবং কী করে ‘জষ্টি’ শব্দটি এসেছে ?

উত্তরঃ কবি জয় গােস্বামীর মাসিপিসি কবিতার ‘জষ্টি’ শব্দটি জ্যৈষ্ঠ শব্দ থেকে ধ্বনি পরিবর্তনের মাধ্যমে অভিশ্রুতির নিয়মে এসেছে। জ্যৈষ্ঠ > জইষ্ট > জষ্টি।

৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখাে :

৩.১ ‘শুকতারাটি ছাদের ধারে, চাঁদ থামে তালগাছে’– এই পঙক্তিটির মাধ্যমে দিনের কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে ? তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটির মাধ্যমে ভাের বা শেষরাতের কথা বলা হয়েছে। কারণ, ভােরবেলায় শুকতারাকে পূর্বদিকে দেখা যায়। এ ছাড়া, এ কবিতায় কবি ঘুমপাড়ানি মাসিপিসিদের রাত থাকতে ওঠার কথা বলেছেন।

৩.২ ‘দু-এক ফোঁটা শিশির তাকায় ঘাসের থেকে ঘাসে’– এই পঙক্তিটিতে যে ছবিটি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।

উত্তরঃ শিশির হচ্ছে আকাশের ভাসমান জলকণা, যা রাতের বেলায় নিঃশব্দে ঝরে পড়ে। সেই শিশিরবিন্দু ঘাসের ওপর ফোঁটা ফোঁটা হয়ে জমে থাকে। কবি কল্পনা করেছেন, এই শিশির বিন্দুরা যেন একে অপরের দিকে কৌতূহলপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অর্থাৎ, অপার্থিব সেই সৌন্দর্যরাজি যেন মাসি পিসিদের পরিশ্রম, কাজ ও জীবন-যাপনের সাক্ষী থাকে।

৩.৩ ‘সাল মাহিনার হিসেব তাে নেই’— সাল মাহিনার হিসেব নেই কেন ?

উত্তরঃ কবি জয় গােস্বামী ‘মাসিপিসি’ কবিতায় কঠোর জীবনসংগ্রামী শ্রমজীবী নারীদের কথা তুলে ধরেছেন। সংসারের মুখের দিকে তাকিয়ে জীবিকা নির্বাহের প্রয়ােজনে তাদের নিরন্তর সংগ্রাম সারা বছর ধরেই চলতে থাকে। তাই তাদের কাছে আলাদা করে মাস মাহিনার হিসাব থাকে না। অর্থাৎ, বছরের পর বছর ধরে এই শ্রমজীবী, মেহনতি মহিলাদের জীবন সংগ্রামের ধারা চলতে থাকবেই। তা কবি উদ্ধৃতাংশটির মধ্যে দিয়ে ব্যঞ্জিত করতে চেয়েছেন।

৪। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :

৪.১ শতবর্ষ এগিয়ে আসে শতবর্ষ যায়’— এই পঙক্তিটির মধ্যে দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন আলােচনা করাে।

উত্তরঃ একালের বিশিষ্ট কবি জয় গােস্বামীর ‘মাসিপিসি’ কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত পঙক্তিটি নেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃত পঙক্তির মাধ্যমে কবি সমাজের উন্নয়নমূলক কাজের সামগ্রিক অগ্রসরতার দিকটিকে তুলে ধরেছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশ ও দশের উন্নতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই গতিও বেশ দ্রুত। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, পরিবহণ, চিকিৎসা, যােগাযােগ সর্বত্রই অভূতপূর্ব উন্নতি হলেও সমাজের নিম্নবিত্ত পরিশ্রমী মানুষ তার সুফল পাচ্ছে না। তাদের অবস্থা যেমন ছিল, তেমনই আছে। ধনী বা শিক্ষিত সম্প্রদায়ের যতটা উন্নতি হয়েছে, তার সিকিভাগও পিছিয়ে পড়া নিম্নবিত্ত মানুষের হয়নি। সেখানে উন্নয়নের গতি যেন চিরস্তব্ধ। শতবর্ষ আসা বা চলে যাওয়াতে শ্রমজীবী, নিপীড়িত মানুষের জীবনযাপনের চিরপরিচিত ছবি পালটায় না। জীবনসংগ্রামে টিকে থাকতে শ্রমজীবীরা আগেও যেমন কঠোর পরিশ্রম করত, এখনও তেমন করে, আবার ভবিষ্যতেও করবে।

৪.২ ‘মাসিপিসি’ কবিতায় এই মাসিপিসি কারা ? তাঁদের জীবনের কোন্ ছবি এই কবিতায় তুমি খুঁজে পাও ?

উত্তরঃ জয় গােস্বামীর ‘মাসিপিসি’ কবিতায় উল্লিখিত মাসিপিসিরা হলেন সমাজের হতদরিদ্র, শ্রমজীবী, পরিশ্রমী মহিলারা। এঁরা জীবন-সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিংবা আইনরক্ষকদের অর্থ দিয়ে গ্রাম থেকে চালের বস্তা নিয়ে শহরে বা শহরতলিতে বিক্রি করে।

আলােচ্য কবিতায় মাসিপিসিদের অসহায় ও কঠোর জীবন-সংগ্রামের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ভােরের আলাে ফোটার আগেই তাদের ঘুম ভাঙে। তারপর আগের দিনের বাসি কাপড় কেচে, সমস্ত কাজ সামলে তারা রেলস্টেশনের দিকে চলে যায়। তাদের কোলে কাঁখের পোঁটলা-পুঁটলিতে ও বস্তায় চাল থাকে। পরিবারের সবাই তাদের রােজগারের মুখাপেক্ষী। রােজগার তাদের সামান্য হলেও তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। দুঃসহ কায়িক পরিশ্রমের পরেও আছে পুলিশি নজরদারি, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা ও নানান বিপত্তি। স্টেশনে কর্তব্যরত হােমগার্ডদের সঙ্গেও তাদের নানা ঝামেলা লাগে। সামাজিক আনন্দ-উৎসব তাদের জীবনে কোনাে স্বতন্ত্র তাৎপর্য আনে না। পরিবর্তনহীন অনুজ্জ্বল চিরন্তন পরিস্থিতির মধ্যে তাদের জীবন কাটে। সেখানে থেকেই বেঁচে থাকার ক্ষীণ আশা নিয়ে তারা জীবনভর কঠোর পরিশ্রম করে যায়।

৪.৩ ‘মাসিপিসি’ কবিতার এই মাসিপিসিদের মতাে আর কাদের কথা তুমি বলতে পারাে যাদের ট্রেনের ওপর নির্ভর করে জীবিকা অর্জন করতে হয় ?

উত্তরঃ ‘মাসিপিসি’ কবিতায় ট্রেনে চাল তুলতে আসা হতদরিদ্র নারীদের পরিচয় মেলে। এঁরা ছাড়াও বিচিত্র জীবিকার মানুষদের ট্রেনে দেখা যায়। সাধারণভাবে এঁদের হকার বলা হয়। এই হকারদের অনেকে ফল বিক্রি করে, আবার কেউ বা কাজু, কিসমিস, বাদাম, চানাচুর, চিপস, লজেন্স, খেলনা, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ইত্যাদি বিক্রি করে। আবার অনেক জুতাে পালিশওয়ালাও ট্রেনের যাত্রীদের চটি-জুতাে পালিশ করে উপার্জন করে। এছাড়াও আজকাল ট্রেনে গান শুনিয়েও অনেকে আয় করে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনেক সদস্যকেও ট্রেনে উঠে কুপন বিক্রি করতে দেখা যায়। তারা কোনাে দুরারােগ্য রােগীর চিকিৎসার জন্য সাধারণ যাত্রীদের কাছে সাহায্য চায়। তা ছাড়াও কিছু ভিক্ষুকও ট্রেনে উঠে ভিক্ষা করে। এটিই তাদের জীবিকা। ট্রেনকে কেন্দ্র করেই তারা খুঁজে পায় তাদের বেঁচে থাকার রসদ।

৪.৪ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ওরা কাজ করে’ কবিতাটি তুমি পড়ে নাও। ‘মাসিপিসি’ কবিতার সঙ্গে ‘ওরা কাজ করে কবিতার কোন্ সাদৃশ্য তােমার চোখে পড়ল তা আলােচনা করাে।

উত্তরঃ ‘শ্রমজীবী মানুষ সভ্যতার পিলসুজ’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই তাঁর ‘রাশিয়ার চিঠি’ গ্রন্থে এ কথা বলেছিলেন। শ্রমজীবী মানুষেরাই সভ্যতার আলাে মাথায় করে দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের অবস্থার কোনাে উন্নতি হয় না। কিন্তু তাদেরই ধরে রাখা আলােতেই সমাজের অন্যান্য সবাই আলােকিত হয়। ‘ওরা কাজ করে’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই শ্রমজীবী কৃষক, শ্রমিক, মজুরদের কথাই বলেছেন। কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের ‘আরােগ্য কাব্যগ্রন্থের দশম কবিতা।

কবিতাটিতে তিনি স্পষ্ট ঘােষণা করেছেন যে, ‘মাটির পৃথিবীর এই মানুষেরাই মন্দ্রিত করিয়া এঁরাই অঙ্গ-বঙ্গ তােলে জীবনের মহামন্ত্রধ্বনি’। কলিঙ্গের ঘাটে ঘাটে, পাঞ্জাব, বােম্বাই(মুম্বই), গুজরাটে কাজ করে। মানুষের দৈনন্দিন প্রয়ােজনে যুগ-যুগান্তর ধরেই এই শ্রমজীবীরাই কাজ করে চলে। তারাই সমাজ-সভ্যতার হাল ধরে রাখে। ‘মাসিপিসি’ কবিতার মাসিপিসিরা সেই শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি। তাঁদের কর্মের সুফল সমস্ত মানুষ ভােগ করে। এভাবেই ‘ওরা কাজ করে’ কবিতার সঙ্গে মাসিপিসি কবিতার সাদৃশ্য স্থাপিত হয়।

৫। নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো :

৫.১ ফুল ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায়, জল ছুঁয়ে যায় ঠোঁটে। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যখন ফুল ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায় তখন জল ছুঁয়ে যায় ঠোঁটে।

৫.২ ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি রাত থাকতে ওঠে। (জটিল বাক্যে )

উত্তরঃ যখন রাত তখন ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি ওঠে।

৫.৩ অনেকগুলো পেট বাড়িতে, একমুঠো রোজগার। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ অনেকগুলো পেট বাড়িতে কিন্তু একমুঠো রোজগার।

Leave a Reply