মেঘ-চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Megh Chor Golper Question Answer Class 7 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সাহিত্য মেলা
সপ্তম শ্রেণি বাংলা

সপ্তম শ্রেণির বাংলা (চতুর্থ পাঠ) মেঘ-চোর গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Bengali Megh Chor Golper Question Answer wbbse

সপ্তম শ্রেণির বাংলা (চতুর্থ পাঠ) মেঘ চোর গল্পের লেখক পরিচিতি, বিষয় সংক্ষেপ, শব্দার্থ ও টীকা, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Bengali Megh Chor Golper Question Answer wbbse

1. সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

4. সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

5. সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

সপ্তম শ্রেণির বাংলা (চতুর্থ পাঠ) মেঘ চোর গল্পের লেখক পরিচিতি, বিষয় সংক্ষেপ, শব্দার্থ ও টীকা, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Bengali Megh Chor Golper Question Answer wbbse

মেঘ-চোর
—সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

লেখক পরিচিতিঃ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৩৪-২০১২): জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা- সম্পাদক। ‘আত্মপ্রকাশ’ তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস, আর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’। কবি হিসেবে তাঁর খ্যাতি অসামান্য। ছোটোদের মহলেও সমান জনপ্রিয় তিনি। প্রথম কিশোর-উপন্যাস ‘ভয়ংকর সুন্দর’। ‘নীললোহিত’ ছদ্মনাম ছাড়াও ‘সনাতন পাঠক’ ও ‘নীল উপাধ্যায়’ নামে অনেক লেখা লিখেছেন। ‘আনন্দ পুরস্কার’, ‘বঙ্কিম পুরস্কার’, ‘সাহিত্য আকাদেমি’ ইত্যাদি নানা পুরস্কারে তিনি সম্মানিত। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘প্রথম আলো’, ‘সেই সময়’, ‘পূর্ব পশ্চিম’, ‘মনের মানুষ’, ‘অর্জুন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। গ্রন্থ সংখ্যা দুশোর বেশি। তাঁর লেখাগুলি চলচ্চিত্রে, বেতারে ও টিভির পর্দায় রূপায়িত ও পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত।

মেঘ চোর গল্পের বিষয়বস্তুঃ পুরন্দর চৌধুরি বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী। তিনি সাহারায় এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সোরগোল ফেলেছেন। কিন্তু তাঁর এই কাজের সমালোচনাও হয়েছে। তাঁর এই দক্ষতার ক্ষমতা ধরে রাখতে না-পেরে তিনি যেন ক্রমশ উন্মাদ হয়ে উঠছেন। তিনি অন্যদেশ থেকে মেঘ তাড়িয়ে এনে সাহারায় বৃষ্টি ঝরিয়েছেন। একে মেঘ চুরি বলা হয়। তাঁর ধারণা তিনি সর্বশক্তিমান। যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন।

তিনি শ্রেভার লেকের জল শুকিয়ে দিয়ে মেঘ তৈরির পরিকল্পনা করেন। সেই কাজ থেকে তাঁকে নিবৃত্ত করেন আর-এক বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে অসীমা। সে পৃথিবীর জল পৃথিবীতে ধরে রাখাটাকেই শ্রেয় বলে মনে করে। সে কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্যে পুরন্দর চৌধুরির রকেটকে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এনে তাঁর তৈরি নতুন অ্যালয়কে নষ্ট করে দেয়। পৃথিবীর জল বেঁচে যায়।

• শব্দার্থ ও টীকা :

১. রকেট— পৃথিবীর অভিকর্ষের টান ছাড়িয়ে মহাশূন্যে যাওয়ার দ্রুতগামী যান। ২. কম্পিউটার— যন্ত্রগণক।
৩. পুরন্দর— ইন্দ্র।
৪. দিক্‌বিজয়— সর্বদিক বা নানা দেশ জয়। ৫. তুষারযুগ — হিমযুগ।
৬. যুগান্তকারি— নতুন যুগ শুরু করার মতো
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৭. এয়ার কন্ডিশন— শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, বাতানুকুল।
৮. প্রাগৈতিহাসিক— যে যুগ থেকে ইতিহাস ৯. জানা গেছে তার পূর্ববর্তী যুগ।
১০. নিশ্চিহ্ন— অদৃশ্য বা উধাও।
১১. মারকারি— পারদ।
১২. অ্যালয়— ধাতুসংকর।
১৩. এয়ারটাইট— বায়ুনিরোধক।
১৪. স্পাই—চর, গোয়েন্দা।
১৫. সকেট— কোটর।
১৬. অকেজো— অকর্মণ্য, অব্যবহার্য।

» সাহারা মরুভূমি: আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় গোটা উত্তরাংশ জোড়া ৯,৪০০,০০০ বর্গ কি.মি. বিস্তৃত পৃথিবীর বৃহত্তম উয় মরুভূমি। আলজিরিয়া, মিশর, লিবিয়া, মালি, সুদান, তিউনিশিয়া সহ মোট বারোটি দেশ জুড়ে এই মরুভূমি।

» রাষ্ট্রসঙ্ঘ: ১৯৪৫-এ প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বিকাশ, মানবাধিকার ও বিশ্বশান্তির লক্ষে প্রতিষ্ঠিত। মূল কার্যালয় নিউইয়র্ক, আমেরিকা। সদস্য দেশ ১৯৩।

» হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়: আমেরিকার ম্যাসাচুসেট্স এ অবস্থিত, ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়।

» বোস্টন: ম্যাসাচুসেটসের রাজধানী।

» আলাস্কা: আমেরিকার উত্তর পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম প্রদেশ। এর উত্তরে সুমেরু মহাসাগর, পূর্বে কানাডা এবং দক্ষিণ পশ্চিমদিক জুড়ে আছে প্রশান্ত মহাসাগর।

» এস্কিমো: পূর্ব সাইবেরিয়া, আলাস্কা, কানাডা ও গ্রিনল্যান্ড জুড়ে বসবাসকারী জনজাতি। এদের প্রধান দুটি ভাগ হলো ইউপিক এবং ইনুইট।

» ইগলু: এস্কিমোদের তৈরি বরফের বাড়ি। বরফ বায়ু নিরোধক বলে ইগলুর ভেতরের উয়তা বাইরের প্রকৃতির থেকে অনেক বেশি থাকে।

» মাউন্ট চেম্বারলিন: আলাস্কার বুকস পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। উচ্চতা ২৭৪৯ মিটার।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর মেঘ-চোর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Megh Chor Golper Question Answer Class 7 Bengali wbbse

• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

১. মেঘ চোর গল্পটির লেখক হলেন— (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় / রামকিঙ্কর বেইজ / শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়)।

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

২. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা— (বাংলা একাডেমি / কৃত্তিবাস / কবিতা পত্রিকা)।

উত্তরঃ কৃত্তিবাস।

৩. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম— (মৌমাছি / নীললোহিত / চাণক্য)।

উত্তরঃ নীললোহিত।

৪. ‘দুটিমাত্র আসন।’— একটিতে বসে আছেন পুরন্দর ও অন্যটিতে— ( নাসিমা / অনামিকা / অসীমা)।

উত্তরঃ অসীমা।

৫. পুরন্দরের বয়স— (পঞ্চাশের / ষাটের / সত্তোরের ) কাছাকাছি।

উত্তরঃ পঞ্চাশের।

৬. সাহারা মরুভূমিতে পুরন্দর এক মাসে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিলেন— (একশো ইঞ্চি / দুশো ইঞ্চি / তিনশো ইঞ্চি)।

উত্তরঃ একশো ইঞ্চি।

৭. পুরন্দর চৌধুরী ইতিহাসে— ( আকাশ বিজ্ঞানী / উদ্ভিদ বিজ্ঞানী / বৃষ্টি বিজ্ঞানী) নামে পরিচিত।

উত্তরঃ বৃষ্টি বিজ্ঞানী।

৮. অসীমা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন— ( অক্সফোর্ড / হাভার্ড / দিল্লি )।

উত্তরঃ হাভার্ড।

৯.পুরন্দরকে মেঘ চোর বলেছিলেন ? (কারলভ / কারভব / কারপভ)।

উত্তরঃ কারপভ।

১০. পুরন্দরের ভাইয়ের নাম— (দিকবিজয় / বিশ্ব বিজয় / বিজয়)।

উত্তরঃ দিকবিজয়।

১১. দিকবিজয় থাকেন— (মরুভূমিতে / আলাস্কায় / আমেরিকায় )।

উত্তরঃ আলাস্কায়।

১২. বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য যেখান থেকে মেঘ আনা হয়েছিল— ( কন্যাকুমারিকা / আয় বেরিয়া / সাইবেরিয়া)।

উত্তরঃ সাইবেরিয়া।

১৩. শেষ হিমযুগ শেষ হয়েছিল (১৩ / ১৪ / ১৫) হাজার বছর আগে।

উত্তরঃ ১৩ হাজার।

১৪. সারা বছর পৃথিবীতে থেকে যত জল ব বাষ্প হয়ে মেঘে উড়ে যায় (৯৩ / ৯৪ / ৯৫) হাজার কিউবিক মাইল।

উত্তরঃ ৯৫

১৫. ‘লুপ্ত সভ্যতার কথা জানো ?’— লুপ্ত সভ্যতার নাম কী ? ( আটলান্টিক / আটলান্টিস / সিন্ধু সভ্যতা )

উত্তরঃ আটলান্টিস।

১৬. একবার পৃথিবীর উত্তাপ কমেছিল (১-২ / ২-৩ / ৩-৪) ডিগ্রী ফারেনহাইট।

উত্তরঃ ৩-৪

১৭. ‘আমি হব আকাশের দেবতা ইন্দ্র।’— কথাটি বলেছিল-(কারপভ / অসীমা / পুরন্দর)।

উত্তরঃ পুরন্দর।

১৮. অসীমা হল (দ্বিগবিজয় / পুরন্দরের /
কারপভের) মেয়ে।

উত্তরঃ কারপভের।

১৯. ‘তুমি একটা স্পাই।’— স্পাই শব্দের অর্থ হলো- (চোর / গোয়েন্দা / মেঘ চোর)।

উত্তরঃ গোয়েন্দা।

২০. বায়ুমণ্ডলের বাইরে পুরন্দরের অ্যালয়টা– ( অকেজো / সক্রিয় / খুব গরম)।

উত্তরঃ অকেজো।

হাতে কলমে’র প্রশ্ন ও উত্তর মেঘ-চোর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Megh Chor Golper Question Answer Class 7 Bengali wbbse

১. সন্ধি করো :

» বৃষ + তি > বৃষ্টি
» গো + এষণা > গবেষণা
» আবিঃ + কার > আবিষ্কার
» অপ + ইক্ষা > অপেক্ষা
» পরি + ঈক্ষা > পরীক্ষা
» কিম্ + তু > কিন্তু

২. সন্ধি বিচ্ছেদ করো:

নিরুদ্দেশ, বিয়োগ, উত্তাপ, নির্জন, যুগান্ত।
উত্তরঃ
» নিরুদ্দেশ— নিঃ + উদ্দেশ্য,
» বিয়োগ— বি + যুজ্‌ + অ,
» উত্তাপ— উৎ + তাপ,
» নির্জন— নিঃ + জন,
» যুগান্ত— যুগ + অন্ত ।

৩. নীচের শব্দগুলিতে ব্যবহৃত নঞর্থক উপসর্গগুলি দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করো।

» উপসর্গ— অ,  যেমন— অচেনা।

নতুন তৈরি শব্দ : অজানা, অদেখা, অনুচিত, অন্যায়, অসুখ, অচল, অকেজো, অকর্মা, অখাদ্য, অমানুষ।

» উপসর্গ— নি, যেমন— নিখুঁত।

নতুন তৈরি শব্দ : নিষ্ঠুর, নিমেষ, নিখোঁজ, নিথর, নিখুঁত।

» উপসর্গ— বি,  যেমন— বিদেশ।

নতুন তৈরি শব্দ : বিকল, বিরোধ, বিকার, বিরূপ, বিপরীত

» উপসর্গ— নিঃ,  যেমন— নিশ্চিহ্ন।

নতুন তৈরি শব্দ : নিষ্পাপ, নির্মল, নিষ্কাম, নির্বোধ, নিশ্চুপ।

» উপসর্গ— বে,  যেমন— বেবন্দোবস্ত।

নতুন তৈরি শব্দ : বেদম, বেগম, বেনিয়ম, বেআক্কেল, বেমালুম।

৪. নঞর্থক উপসর্গ ছাড়া অন্যান্য উপসর্গের ব্যবহারে তৈরি শব্দও এই গল্পে কম নেই। এখানে সেই ধরনের একটি করে শব্দ দিয়ে দেওয়া হলো, প্রতিটি উপসর্গ দিয়ে তৈরি আরো পাঁচটি করে শব্দ লিখতে হবে তোমাকে।

» উপসর্গ– প্র, যেমন– প্রশংসা।

নতুন তৈরি শব্দ : প্রকাশ, প্রলেপ, প্রজাতি, প্রলয়, প্রবোধ।

» উপসর্গ– আ, যেমন– আলাপ।

নতুন তৈরি শব্দ : আবহ, আবরণ, আহার, আগমন, আলোচনা।

» উপসর্গ– বি, যেমন– বিজ্ঞানী।

নতুন তৈরি শব্দ : বিজিত, বিকাশ, বিজয়, বিক্ষোভ, বিচিত্র।

» উপসর্গ– প্ৰাক্‌, যেমন– প্রাগৈতিহাসিক।

নতুন তৈরি শব্দ : প্রাক্‌-কাল, প্রাক্‌+কথা, প্রাক্তন, প্রাগুক্ত, প্রাগেব।

» উপসর্গ– সম্,  যেমন– সংক্ষেপ।

নতুন তৈরি শব্দ : সংস্কার, সম্বোধন, সম্ভার, সম্বল, সম্পাদক।

» উপসর্গ– অধি,  যেমন– অধিকার

নতুন তৈরি শব্দ : অধিবাস, অধিক, অধিবাসী, অধিবেশন।

৫. “অসীমা বলল, না তা নয়,… এক বিশাল মেঘ নিয়ে আকাশে-আকাশে ফেরিওয়ালার মতন ঘুরছেন” আর… “আমি তো মেঘের ব্যবসাদার নই…” উদ্ধৃতাংশটিতে ‘ফেরিওয়ালা’ আর ‘ব্যবসাদার’ শব্দ দুটি পাচ্ছি। এই ‘ওয়ালা’ এবং ‘দার’ অনুসর্গ দুটি ব্যবহার করে অন্তত পাঁচটি করে নতুন শব্দ বানাও।

» ওয়ালা— বাড়িওয়ালা, চুড়িওয়ালা, ফলওয়ালা, সবজিওয়ালা, পেপারওয়ালা।

» দার— দোকানদার, ঝাড়ুদার, পাওনাদার, জমিদার, হাবিলদার।

৬. এই গল্পটিতে অজস্র শব্দ দ্বৈত ব্যবহৃত হয়েছে। কোনটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে বুঝে নিয়ে অথবা গঠনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নীচের খোপগুলিতে শব্দবাক্স থেকে শব্দ নিয়ে সঠিকস্থানে বসাও। একটি করে উদাহরণ দিয়ে দেওয়া হলো :

[ খালবিল, গাছ পালা, হইচই, ঠিকঠাক, আত্মীয়স্বজন, জল্পনা-কল্পনা, খোঁড়াখুড়ি, ঝকঝক, জীবজন্তু, একটু একটু, হা-হা, যোগ বিয়োগ, খোঁজাখুঁজি, নিজে নিজে, মেঘ-মেঘ, চ্যাঁচামেচি, মাঝে মাঝে, কমে বাড়ে, পরে পরে, কোথাও কোথাও, বোমা-টোমা, কিছু কিছু, উড়িয়ে উড়িয়ে, মুচকি মুচকি, সত্যি সত্যি, টলটলে, এদিক ওদিক, জানলাটানলা। ]

» দ্বিরুক্তি-অর্থে— উড়িয়ে উড়িয়ে, নিজে নিজে, কোথাও কোথাও, মাঝে মাঝে, একটু একটু।

» ঈষদর্থে / সাদৃশ্য-অর্থে— মেঘ মেঘ, পায়ে পায়ে, কিছু কিছু, খোঁজাখুঁজি।

» প্রকৃত শব্দ + বিকৃত শব্দে— হইচই, চ্যাঁচামেচি, বোমা-টোমা, জানলাটানলা।

» সমার্থক শব্দযুগ্ম— আত্মীয় স্বজন, খালবিল, আত্মীয়স্বজন, গাছপালা, জীবজন্তু।

» বিপরীতার্থক শব্দযুগ্ম— যোগ-বিয়োগ, কমে বাড়ে, এদিক ওদিক।

» ধ্বন্যাত্মক/অনুকারাত্মক— হা-হা, মেঘ-মেঘ, ঝকঝক, টলটলে, ঠিকঠাক, খোঁড়াখুঁড়ি।

৭. সমার্থক শব্দ লেখো:
জব্দ, নিরুদ্দেশ, কারবার, লুপ্ত, নিখুঁত, কৃত্রিম, ধ্বংস, শ্রদ্ধা, অনুগ্রহ, স্থির।

উত্তরঃ
» জব্দ – অপদস্থ,
» নিরুদ্দেশ – নিখোঁজ,
» কারবার – ব্যবসা,
» লুপ্ত – বিলীন,
» নিখুঁত – নিটোল,
» কৃত্রিম – নকল,
» ধ্বংস – বিনাশ,
» শ্রদ্ধা – সম্মান,
» অনুগ্রহ – দয়া,
» স্থির – নিশ্চল / অচল

৮. নীচের শব্দগুলির দুটি করে পৃথক অর্থ জানিয়ে প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা বাক্য লেখো :

[কাণ্ড, বল, যোগ, আলাপ, ব্যাপার, অঙ্ক, পর, ধার, চেয়ে, জন।]

» কান্ড (গাছের গোড়া বা মূল)– কলাগাছের কান্ড খুব নরম।
» কান্ড (ঘটনা)– ঐবাড়িতে একটা অদ্ভুত কান্ড ঘটে গেলো।

» বল (খেলার বল)– শিশুরা ফুটবল খেলতে ভালোবাসে।
» বল (শক্তি)– ঠিকমতো না খেলে শরীরের বল কমে যাবে।

» যোগ (ব্যায়াম বিশেষ)– রোজ সকালে যোগ অভ্যাস করলে মনোসংযোগ বাড়ে।
» যোগ (যুক্ত)– আমিও তাদের দলে যোগ দিলাম।

» আলাপ (কথাবার্তা)– বাবার সাথে বন্ধুদের আলাপ করিয়ে দিলাম।
» আলাপ (সুর ভাঁজা)- মিমি গান শুরুর আগে সুরের আলাপ করে নেয়।

» ব্যাপার (ব্যবসা)– গণেশ চাল-ডালের ব্যাপারী।
» ব্যাপার (বিষয়)– সামান্য ব্যাপারে মারামারি করা ঠিক নয়।

» অঙ্ক (গণিত)– রাতুল অঙ্কে কাঁচা।
» অঙ্ক (কোল)– মাতৃ অঙ্কে শিশুটি শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে।

» পর (নিজে নয়)– পরের কাছে গোপন কথা বলতে নেই।
» পর (পরিধান করা)– তাড়াতাড়ি সবুজ জামাটা পর।

» ধার (ঋণ)– ধার করা অভ্যাস মোটেই ভালো নয়।
» ধার (কিনারা)– ছাদের ধারে যাওয়া উচিত নয়।

» চেয়ে (চাওয়া)– বাকি চেয়ে লজ্জা দেবেন না।
» চেয়ে (এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকা)– অনিক আকাশের দিকে চেয়ে রইল।

» জন (মজুর)– জন খেটে স্বল্প পারিশ্রমিক মেলে।
» জন (লোক)– কতজন এসেছে গুনে নেওয়া দরকার।

৯. সমোচ্চারিত / প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের অর্থ লিখে আলাদা আলাদা বাক্য রচনা করো।

» চাপা(পিষ্ট)– গাড়ি চাপা পড়ে মানুষটি আহত হয়েছে।
» চাঁপা(ফুল বিশেষ)– চাঁপা ফুল আমার প্রিয়।

» যোগ (যুক্ত)– তাদের সাথে আমিও পিকনিকে যোগ দিলাম।
» যুগ(১২ বছর)– অনেক যুগ পার করে মানুষ আরও উন্নত হয়েছে।

» লক্ষ(গণিতের হিসাব)– লক্ষ টাকার হিসেবে ভুল যেন না হয়।
» লক্ষ্য (নিশানা )– লক্ষ্য ঠিক রাখলে সাফল্য আসবেই।

» দেশ (নিজের বাসভূমি)– আমি আমার দেশকে ভালোবাসি।
» দ্বেষ (ঈর্ষা)– হিংসা, দ্বেষ ত্যাগ করো।

» চুরি (চৌর্যবৃত্তি)– চুরি করা দন্ডনীয় অপরাধ।
» চুড়ি (অলংকার)– মেয়েরা হাতে চুড়ি পরে।

» কাটা (ছেদন করা)– গাছ কাটা উচিত নয়।
» কাঁটা (কণ্টক)– গোলাপ গাছে কাঁটা থাকে।

১০. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো :

১০.১ আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে।

উত্তরঃ কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

১০.২ অসীমা ইতিহাসের ছাত্রী হলেও ভূগোলও বেশ ভালই জানে।

উত্তরঃ কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

১০.৩ তার মধ্যে আশি হাজার কিউবিক মাইলই যায় সমুদ্র থেকে

উত্তরঃ অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।

১০.৪ সাইবেরিয়ায় বড়জোর এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমে।

উত্তরঃ অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।

১০.৫ তাঁর নিজস্ব রকেটে তিনি অসীমাকে নিয়ে বহু জায়গায় বেড়াচ্ছেন।

উত্তরঃ করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।

১১. একটি দুটি বাক্যে উত্তর দাও :

১১.১. ‘মেঘচোর’ এর মতো তোমার পড়া দু-একটি কল্পবিজ্ঞানের গল্পের নাম বলো।

উত্তরঃ ‘কুম্ভির বিভ্রাট’, ‘পাগলা গণেশ’ এই দুটি আমার পড়া কল্পবিজ্ঞানের গল্প।

১১.২ এই গল্পে কতজন চরিত্র ? তাদের নাম কী ?

উত্তরঃ এই গল্পে মূল চরিত্র দুটি পুরন্দর চৌধুরি ও অসীমা। যদিও আর একজনের নাম পাওয়া যায় এই গল্পে তিনি হলেন কারপভ।

১১.৩ ‘মেঘ-চোর’ কাকে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ মেঘ-চোর গল্পের মুখ্য চরিত্র বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে।

১১.৪ পুরন্দরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি হলেন বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী এবং আবহাওয়াবিদ। যিনি সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সাংঘাতিক কান্ড ঘটিয়েছেন। এজন্য তিনি যতটা প্রশংসিত হয়েছেন, ঠিক ততটাই নিন্দিত হয়েছেন।

১১.৫ অসীমা সম্বন্ধে দু-একটি বাক্য লেখো।

উত্তরঃ সাতাশ বছর বয়সি অসীমা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের গবেষক। বোস্টনে আবহাওয়া বিষয়ক একটি আলোচনা সভায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন রাশিয়ান বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে। নিজের বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তিনি পৃথিবীকে মহাপ্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

১১.৬ পুরন্দর কী সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড করেছেন ?

উত্তরঃ বাঙালি বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি ধূসর, রুক্ষ সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে এক সাংঘাতিক কান্ড ঘটিয়েছেন।

১১.৭ রাষ্ট্রসংঘে বিভিন্ন দেশ কী দাবি তুলেছে ?

উত্তরঃ মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এক দেশ থেকে মেঘ তাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে অন্য দেশে বৃষ্টিপাত ঘটানো বেআইনি, যাকে মেঘ চুরি বলা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন দেশ এই মেঘ চুরিকে আইন করে বদলের দাবি তুলেছে।

১১.৮ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় ?

উত্তরঃ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-এ অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম।

১১.৯ পুরন্দরের মুখটা হাঁ হয়ে গেল কেন ?

উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি যখন জানতে পারলেন তাঁর সঙ্গের রকেটযাত্রী তাঁর ভাইঝি নয়, তাঁর শত্রু কারপভের মেয়ে। সে ইতিহাসের গবেষক হলেও কম্পিউটারেও দক্ষ ও তীক্ষ্ণবুদ্ধির অধিকারী তখন পুরন্দরের মুখটি হাঁ হয়ে গেল।

১০. জ্ঞান ফিরে পুরন্দর অবাক হয়েছিলেন কেন ?

উত্তরঃ আমেরিকার বোস্টনে আবহাওয়া সংক্রান্ত এক আলোচনায় কারপভ নামে এক বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে ‘মেঘ-চোর’ বলায় পুরন্দর চিৎকার করে কিছু বলতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফিরে এলে তিনি দেখতে পান, একটি সুন্দরী মেয়ে তাঁর মাথায় হাত বোলাচ্ছে। আত্মীয়স্বজনহীন পুরন্দর এই সেবা পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

১১.১১ দিক্‌বিজয় কে ছিলেন ?

উত্তরঃ দিকবিজয় ছিলেন পুরন্দর চৌধুরির ছোটো ভাই । তিনি প্রায় পঁচিশ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন।

৩১.১২ গল্পের ঘটনা যখন ঘটছে তখন চরিত্রগুলি কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ গল্পের ঘটনা যখন ঘটেছে তখন চরিত্রগুলি আলাস্কার আকাশে উড়তে থাকা রকেটের মধ্যে ছিল।

১১.১৩ ইগলুর পরিবর্তে সেখানে তখন কী দেখা যাচ্ছিল ?

উত্তরঃ ইগলুর পরিবর্তে সেখানে বড়ো বড়ো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এস্কিমোদের বাড়ি দেখা যাচ্ছিল।

১১.১৪ কেন বলা হয়েছে অসীমা ‘ভূগোলও বেশ ভালো জানে’ ?

উত্তরঃ আলাস্কার আকাশে একটি সোনালি পাহাড়ের চূড়া দেখে পুরন্দর চৌধুরি সেটির সম্বন্ধে জানতে চাইলে, তখন তার উত্তরে অসীমা জানান, সেটি মাউন্ট চেম্বারলিন এবং তার পাশে কুয়াশায় ঢাকা হ্রদটি লেক শ্রেভার। তাই মনে করা হয়েছে অসীমা ইতিহাসের ছাত্রী হলেও ভূগোলটাও বেশ ভালো জানে।

১১.১৫ কে কোথা থেকে কোথায় মেঘ এনেছিল ?

উত্তরঃ সাইবেরিয়া থেকে সাহারা মরুভূমিতে মেঘ নিয়ে এসেছিলেন বিশিষ্ট বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি।

১১.১৬ তুষার যুগ কাকে বলা হয় ?

উত্তরঃ আজ থেকে বহু লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর উত্তাপ একসময় তিন থেকে চার ডিগ্রি ফারেনহাইট কমে গিয়েছিল। তাতে গোটা উত্তর আমেরিকা বরফে ঢেকে গিয়েছিল। এই সময়টি পৃথিবীতে তুষার যুগ নামে চিহ্নিত হয়ে আছে। তুষার যুগকে ইংরেজিতে ‘Ice-Age’ বলা হয়। কখনো কখনো একে “Glacial Age” বলে।

১১.১৭ পৃথিবী থেকে সারাবছর কত জল বাষ্প হয়ে উড়ে যায় ?

উত্তরঃ পৃথিবী থেকে সারা বছর পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল জল বাষ্প হয়ে উড়ে যায়।

১১.১৮ মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার কেন ?

উত্তরঃ গাছপালা, জীবজন্তু সর্বোপরি, মানুষের জন্য বৃষ্টির ভীষণ প্রয়োজন। পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে আর বৃষ্টির জলের সাহায্যেই চাষাবাদ করে খাদ্যশস্যের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। তাই মানুষের জন্য বৃষ্টি দরকার।

১১.১৯ আটলান্টিস কী ?

উত্তরঃ আটলান্টিস হল একটি লুপ্ত সভ্যতা।

১১.২০ পুরন্দরের মতে আটলান্টিসের অবস্থান কোথায় ?

উত্তরঃ পুরন্দরের মতে, আটলান্টিসের অবস্থান হল আলাস্কার কাছে মাউন্ট চেম্বারলিনের পাশে থাকা লেক শ্রেভারের তলায়। সেখানেই সভ্যতাটি চাপা পড়ে আছে।

১১.২১ সাইবেরিয়া কোথায় ?

উত্তরঃ সাইবেরিয়া রাশিয়ার উত্তরে অবস্থিত চিরতুষারাবৃত্ত এক দেশ।

১১.২২ অসীমা কেন পুরন্দরকে ফেরিওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করেছে ?

উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরির মতে, সে বিশাল মেঘের অধিকারী হয়ে মেঘকে আকাশে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আবার দরকারমতো যে-কোনো দেশের প্রধানকে বৃষ্টি নেওয়ার প্রস্তাবও দিতে সক্ষম হবে। ফেরিওয়ালারা যেভাবে নিজেদের দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি করে, পুরন্দর চৌধুরির পরিকল্পনাও ঠিক তেমনই। এই দিকটি উপলদ্ধি করেই অসীমা তাঁকে ব্যঙ্গ করেছিল।

১১.২৩ অ্যালয় কী ?

উত্তরঃ ‘অ্যালয়’ হল একপ্রকার সংকর ধাতু, যা একাধিক ধাতুর মিশ্রণে সৃষ্টি। এগারটি ধাতুর সঙ্গে মার্কারি বা পারদকে মিশিয়ে পুরন্দর চৌধুরি একটি অ্যালয় তৈরি করেছিলেন।

১১.২৪ পুরন্দরের তৈরি গোলকটিতে আছে এমন কোন ধাতুর নাম গল্পে পেলে ?

উত্তরঃ পুরন্দরের তৈরি গোলকটিতে এগারটি ধাতু আছে, যদিও সেগুলির কোনো উল্লেখ নেই। কিন্তু একটি তরল ধাতুর নাম উল্লিখিত আছে – সেটি হল পারদ বা মার্কারি।

১১.২৫ পুরন্দরের তৈরি গোলকটি এয়ারটাইট রাখতে হয় কেন ?

উত্তরঃ পুরন্দরের তৈরি গোলকটি এয়ারটাইট রাখতে হয়। কারণ, ওই গোলকটি সংস্পর্শে এলেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। আর তাতে নিমেষে বরফ বাষ্প হয়ে যায়। তাই একে এয়ারটাইট বা বায়ুনিরুদ্ধ রাখতে হয়।

১১.২৬ ‘প্রকৃতিকে ধ্বংস করা একটা অপরাধ’ – কে কাকে কখন বলেছে ?

উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি তাঁর অ্যালয় নির্মিত গোলকটির সাহায্যে লেক শ্রেভারের সব বরফকে বাষ্পে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তখন অসীমা পুরন্দরকে বাধা দিয়ে উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছিল।

১১.২৭ অসীমার প্রকৃত পরিচয় কী ?

উত্তরঃ অসীমা ইতিহাসের গবেষক, কম্পিউটারে দক্ষ। সে আসলে রাশিয়ান বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে। যদিও তার মা বাঙালি।

১১.২৮ ‘তাহলে আমরা গুঁড়ো হয়ে যাব’— কে, কাকে, কেন বলেছে ?

উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরির প্রকৃতি ধ্বংসকারী কাজে অসীমা বাধা দিয়েছিল। এমনকি রিভলভার দেখিয়ে পুরন্দরকে ক্ষান্ত করতেও চেয়েছিল। তবুও নাছোড় পুরন্দর তাঁর অ্যালয়টি লেক শ্রেভারে ফেলবার জন্য রকেটের একটি অংশ খোলার চেষ্টা করতেই অসীমা প্রশ্নোক্ত উদ্ধৃতিটি করেছিল।

১১.২৯ অসীমার বিশেষ আগ্রহ কোন বিষয়ে ?

উত্তরঃ অসীমা ইতিহাসের গবেষক হলেও কম্পিউটারেই তার বিশেষ আগ্রহ। তাই কম্পিউটারে সে এমনভাবে প্রোগ্রাম করে রেখেছিল, যাতে তাদের কোনো বিপদ না হয়।

১১.৩০ ‘পৃথিবীতে জল যেমন আছে তেমনই থাকুক’— কে কখন এই কথা বলেছে ?

উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি একজন পৃথিবী বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী। এক আবহাওয়া বিজ্ঞানী তাঁকে যে অপমান করেছিল, সেই অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পৃথিবীর একটি হ্রদের বরফকে তিনি বাষ্পের মেঘ করতএ চেয়েছিলেন। তাঁর সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন এক ঠান্ডা মাথার বুদ্ধিমতী মেয়ে অসীমা। সে প্রকৃতির বিরুদ্ধে যেতে চায়নি। তাই পুরন্দরের তৈরি অ্যালয় বলটি মহাশূন্যে নিরাপদে রেখে দিয়ে সে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।

১২. আট দশটি বাক্যে উত্তর দাও :

১২.১. এই গল্পে কাকে কেন ‘মেঘ-চোর’ বলা হয়েছে ? তার মেঘ চুরির কৌশলটি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ আলোচ্য গল্পটিতে পুরন্দর চৌধুরীকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে। কারণ তিনি সাইবেরিয়া থেকে মেঘ উড়িয়ে এনে সাহারা মরুভূমিতে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিলেন। তাতে সাহারাতে একশো ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে।
» আলোচ্য গল্পে তার মেঘচুরির কৌশলটি হল যে দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, সেখান থেকে মেঘকে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে, যেখানে বৃষ্টিপাত হয় না সেখানে বৃষ্টিপাত ঘটানো। এটাই হল তার মেঘচুরির কৌশল।

(বেশি নম্বর থাকলে নীচের উত্তর লিখবে)

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘মেঘ-চোর- গল্পে বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে মেঘ- চোর বলা হয়েছে। সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তিনি সাংঘাতিক কান্ড করেছেন। কিন্তু অন্য দেশ থেকে মেঘ চুরি করে এনে সাহারায় বৃষ্টি ঝরানোর জন্য তাঁকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে।

পুরন্দর চৌধুরি বৃষ্টিবিজ্ঞানী হিসেবে প্রখ্যাত। কিন্তু এক আলোচনা সভায় সকলের সামনে তাঁকে মেঘ-চোর হিসেবে গালাগাল দিয়েছিলেন কারপভ নামক আর-এক রাশিয়ান বিজ্ঞানী। তাঁকে জব্দ করার জন্য পুরন্দর চৌধুরি একটি গোটা লেকের জলকেই মেঘে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। এগারটি ধাতুর সঙ্গে পারদ মিশিয়ে তিনি এমন একটি অ্যালয় তৈরি করেছিলেন, যার যাহায্যে একটি গোটা হ্রদের বরফজলকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মেঘে পরিণত করে কারপভের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। এজন্য তিনি নিজেকে আকাশের দেবতা ইন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি যারা তাঁর নিন্দে করেছে, তাদেরকেও বৃষ্টি রাখবেন বলে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।

১২.২ “বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অমিত বল, কিন্তু অযোগ্য মানুষের হাতে সেই ক্ষমতা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী”— পঠিত গল্প অবলম্বনে উপরের উদ্ধৃতিটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা আলোচ্য ‘মেঘ-চোর’ গল্পে মানুষের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে লেখক এখানে উপস্থিত করেছেন। বিজ্ঞান মানুষকে অমিত ক্ষমতার অধিকারী করলেও মানুষ সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছে। যার ফলে মানুষ অ্যাটম বোম, হাইড্রোজেন বোম তৈরি করেছে যা দিয়ে পৃথিবীকে কয়েক মুহূর্তে ধ্বংস করে দেওয়া যায়; পৃথিবীকে জ্বালিয়ে ছারখার করে দেওয়া যায়।

সেরকম ভাবে পুরন্দরও নিজে বিজ্ঞানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৃথিবীর আবহাওয়ার ভারসাম্য নষ্ট করতে চেয়েছে। এই ভারসাম্য নষ্ট করার মধ্য দিয়ে নিজের নামকে অক্ষয় করে রাখতে চেয়েছে। অর্থাৎ, বিজ্ঞানের অমিত বলের অপব্যবহার করে সে অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছে।

(৫ মার্কের প্রশ্ন থাকলে নীচের উত্তর লিখবে)

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর একটি কল্পবিজ্ঞানের গল্প। এই গল্পে লেখক দেখিয়েছেন, বিজ্ঞানের অমিত বল অযোগ্য মানুষের হাতে পড়ে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। পুরন্দর চৌধুরি একজন বিখ্যাত আবহাওয়া বিজ্ঞানী। সারা পৃথিবী তাঁকে বৃষ্টিবিজ্ঞানী হিসেবে চেনে। বৃষ্টিহীন সাহারা মরুভূমিতে সাইবেরিয়া থেকে মেঘ এনে একসঙ্গে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তিনি সাংঘাতিক কান্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু এক আলোচনা সভায় তাঁকে মেঘ-চোর বলে গালাগাল দেওয়ায় তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে, এক ভয়ংকর পরিকল্পনা করে বসেন।

আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে আলাস্কা প্রদেশের মাউন্ট চেম্বারলিন-এর পাশে অবস্থিত এক বিরাট হ্রদ শ্রেভার। যাকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর নির্মিত অ্যালয়ের সাহায্যে তিনি বাষ্পে পরিণত করে মেঘরূপে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। সেই মেঘকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তিনি তাঁর অপমানকারীর দেশের ওপর ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এইভাবে প্রকৃতির নিয়মবিরুদ্ধ কাজের মাধ্যমে তিনি নিজেকে দেবতার সঙ্গে তুলনা করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করার মধ্য দিয়ে নিজের নামকে অক্ষয় করে রাখতে চেয়েছে। অর্থাৎ, বিজ্ঞানের অমিত বলের অপব্যবহার করে সে অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছে।

১২.৩ পুরন্দর চৌধুরীর চরিত্রটি তোমার কেমন বলে মনে হয়েছে—বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল পুরন্দর চৌধুরি, যিনি বিখ্যাত আবহাওয়া বিজ্ঞানী। পৃথিবীতে তিনি বৃষ্টিবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত। সমগ্র গল্প পাঠ করে পুরন্দর চৌধুরি সম্পর্কে যে-ধারণা জন্মায়, তা হল পুরন্দর বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পারেন কিন্তু তিনি সংকীর্ণমনা, নীতিহীন এক হিংসুটে ধরনের মানুষ, অহংকারী স্বার্থসম্পন্ন এক কুটিল চরিত্র। প্রথমত, তিনি সংকীর্ণমনা। কারণ, বিজ্ঞানের আশীর্বাদপুষ্ট এই মানুষটি শুধুমাত্র নিজের অপমানটাকেই বড়ো করে দেখে প্রকৃতির সর্বনাশ করতে চেয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত, তিনি নীতিহীন কারণ পুরন্দর বিজ্ঞানী হয়েও নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সর্বোপরি, হিংসার বশবর্তী হয়ে একজন মানুষকে শিক্ষা দিতে গিয়ে জাগতিক নিয়ম লঙ্ঘন করতেও তিনি পিছপা হননি। পুরন্দর অহংকারী হয়ে নিজেকে আকাশের দেবতা ইন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। চৌধুরী বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পারেন কিন্তু মানুষ হিসেবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

১২.৪ গল্পটি অবলম্বনে অসীমা চরিত্রটি সম্বন্ধে তোমার মতামত জানাও।

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর গল্পের অন্যতম চরিত্র অসীমা। গল্পের শুরুতেই যার পরিচয় আমরা পায় বিখ্যাত বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরির ভাইঝি হিসেবে, সে ইতিহাসের ছাত্রী ও গবেষক। কিন্তু ভূগোলটাও বেশ ভালোই জানে। তার পাশাপাশি কম্পিউটারেও দক্ষ। বেশ নিপুণভাবে সে নিজেকে পুরন্দর চৌধুরির ভাইঝি বলে তার বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছিল। যার ফলে পুরন্দর তাকে নিজের আত্মীয় হিসেবে মেনে নিয়ে তাঁর অভিযানের সঙ্গী করে নিয়েছিলেন। এই সুযোগটিই হয়তো অসীমা খুঁজছিল। গল্পের পরিসমাপ্তিতে এসে আমরা উপভোগ করি, অসীমা অসাধারণ বুদ্ধিমতী ও ঠান্ডা মাথার মেয়ে। পুরন্দর যখন অ্যালয় বলটি হ্রদে ফেলতে যাবে, ঠিক সেইসময় অসীমা নিজের পরিচয় দিয়ে গল্পের চূড়ান্ত পরিণতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে অসীমা যথার্থ মানবতার পরিচয় দান করেছে।

১২.৫ এই গল্পে পুরন্দর এবং অসীমা আসলে দুটি পৃথক এবং পরস্পর বিরোধী বিজ্ঞান চেতনার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
কে, কোন ধারণার প্রতিনিধিত্ব করেছেন জানিয়ে তুমি এঁদের মধ্যে কাকে, কেন সমর্থন করো বিশদে জানাও।

উত্তরঃ ‘মেঘ-চোর’ গল্প থেকে জানা যায় পুরন্দর একজন দক্ষ বিজ্ঞানী, যিনি নিত্য নতুন আবিষ্কারের নেশায় মত্ত। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে আমরা দেখি অসীমা একজন প্রকৃতিপ্রেমী। সে নিত্যনতুন আবিষ্কারকে সম্মান জানালেও প্রকৃতির বিরুদ্ধ কোনো কাজে রাজি নয়। সে আমাদের এই জীবনভূমি প্রকৃতির রক্ষায় একনিষ্ঠ। তাই তাকেই আমি সমর্থন করি।

(পাঁচ মার্কস থাকলে নীচের উত্তরটি লিখবে)

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর গল্পটি কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি। গল্পের দুটি চরিত্রকে লেখক তাঁর পৃথক বিজ্ঞানচেতনার সাহায্যে সুচারুভাবে উপস্থাপন করেছেন। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিখ্যাত আবহাওয়া বিজ্ঞানী পুরন্দর। দুনিয়াজোড়া তাঁর খ্যাতি। তাঁর সাম্প্রতিক ক্রিয়াকলাপ মানুষকে অবাক করে দিয়েছে। ধূসর সাহারা মরুভূমির বুকে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে বিজ্ঞানী মহলে তিনি প্রবলভাবে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু এই ক্রিয়াকলাপ তাঁকে বিজ্ঞানের ধ্বংসাত্মক দিকের প্রতিনিধি করে তুলেছে। বিজ্ঞান সর্বদা মানুষের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হওয়ার সদর্থক বার্তা দেয়। যা তাঁর ক্ষেত্রে পরিপন্থী হয়ে উঠেছে।

অপরদিকে অসীমা বিজ্ঞানের ছাত্রী না-হলেও বিজ্ঞানের কল্যাণকর দিকের পূজারি। প্রকৃতির অনিষ্ট রোধের কারণে নিজের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন করে সে পুরন্দরের ধ্বংসাত্মক কার্যের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। পুরন্দরকে তাঁর ধাতব বল বরফজমা হ্রদে নিক্ষেপ করতে দেয়নি। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করেছে। এই দুটি পরস্পরবিরোধী বিজ্ঞানচেতনার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গল্পটি উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।

আমি অবশ্যই অসীমাকে সমর্থন করব। কারণ, এই সুন্দর পৃথিবী কয়েকটি মানুষের খেয়ালের কারণে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাক তা আমি চাইব না। অসীমা বিজ্ঞানের ছাত্রী না হলেও বিজ্ঞানের কল্যাণকর দিকের প্রতিনিধি। সে সৃষ্টিসুখের সন্ধানকারী এক অভিযাত্রী। তাই তাকে সমর্থন করাটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি।

১২.৬. গল্পটিতে যতগুলি স্থানের নাম আছে তার একটি তালিকা বানিয়ে প্রত্যেকটি স্থান সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ এই গল্পের স্থানগুলি হল— বোস্টন, আমেরিকা, সাইবেরিয়া, আলাস্কা, সাহারা মরুভূমি, মহাকাশ।

স্থানগুলির সম্পর্কে আলোচনা :

বোস্টন : আমেরিকার একটি শহরের নাম হল বোস্টন। আলোচ্য গল্পে যেখানে আবহবিদদের সম্মেলন বসেছিল।

আমেরিকা : পৃথিবীর একটি শক্তিশালী দেশ হল আমেরিকা, আলোচ্য গল্পে আছে অসীমা আমেরিকার হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ে পড়াশুনা করে।

সাইবেরিয়া : সাইবেরিয়া উত্তর মেরু প্রদেশের একটি শীতল দেশ। নির্জন বরফ প্রধান দেশ।

সাহারা মরুভূমি : সাহারা পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম মরুভূমি। পুরন্দর চৌধুরী সাহারাতে মেঘ উড়িয়ে এনে বৃষ্টি সৃষ্টি করেছিল।

আলাস্কা : আলাস্কা একটি শীতপ্রধান দেশ। আলাস্কায় অসীমার আদিবাড়ি। আলাস্কাতে এস্কিমোরা বাস করে।

মহাকাশ : মহাকাশে নক্ষত্র গ্রহাণুপুঞ্জের বসবাস। পুরন্দর ও অসীমা মহাকাশে রকেটে করে বেড়াচ্ছিল।

📌আরও পড়ুনঃ

📌 সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

This Post Has One Comment

  1. Swarnanka Pal

    Hi,
    My name is Swarnanka Pal. I read in Class VI(7).I am from Jodhpur park boys school(WBBSE Board)
    There is a story named ‘মেঘ চোর’ or ‘Megh Chor’ in our Bengali text book(Sahityamela). I have a different answer in qs.2 of activity no.11 of that story.The answer was there was three people introduced. I say that there was 4 people introduced.
    Then the answer will be’এই গল্পে তিনজন চরিত্র। তাদের নাম পুরন্দর চৌধুরী, অসীমা, কারপভ ও পুরন্দরের নিরুদ্দেশ ভাই দিক্-বিজয়।’. I have prepared this answer because I found the last name from reading this story carefully.Please inform me is it a good answer.
    Thank you

Leave a Reply