NAS (National Achievement Survey) Class 10 Bengali 2021 Questions

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

 বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন

                          বাংলা
                       দশম শ্রেণি
ভাগ ১ নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো :
টুনটুনি পাখি তার বাসা তৈরি করার আগে দুটি কি তিনটি পাতা সেলাই করে একটা বাটির মতো তৈরি করে; তার মধ্যে নরম ঘাস পাতা দিয়ে সে তার বাসাটি বানায়। সেলাইয়ের সুতো সাধারণত রেশমেরই ব্যবহার করে; কাছে রেশম না থাকলে যে সুতো পায় তাই দিয়ে করে। সেলাইয়ের ছুঁচ হল তার সরু ঠোঁট-জোড়া। বাসাটা অনেকটা দোলনার মতো ঝুলতে থাকে। খুব ছোটো জাতের পাখিরা হিংস্র জন্তু আর সাপ গিরগিটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্যে প্রায়ই ঐরকম দোলনার মতো বাসা তৈরি করে থাকে। অনেক জাতের পাখি আবার মাটিতেই বাসা করে; গাছে বাসা তারা পছন্দই করে না। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বাসা তৈরিই করে না। নিজেরা গাছের আড়ালে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে আর মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে ডিম পাড়ে। মোরগ, তিতির, পেরু এরা সবই এই জাতের। আবার কোনো কোনো পাখি সুন্দর করে লতা পাতা দিয়ে কুঞ্জবনের মতো বানায়। অস্ট্রেলিয়া দেশের ‘কুঞ্জ-পাখি’ (Bower bird) তার বাসার সামনে খুব সুন্দর লতা-কুঞ্জ তৈরি করে। পাখিটি আকারে ছোটো বটে, কিন্তু কুঞ্জটি কিছু ছোটো হয় না। এদের আবার রংচঙে জিনিসের বড়ো শখ, ভাঙা কাচ, পাথর, রঙিন জিনিস, যা সামনে পাবে সব এনে বাসার চারিদিকে সাজিয়ে রাখবে।
কোনো কোনো পাখি থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে। তালটোঁচ পাখি এই জাতের। পালক, ঘাস এসব জিনিস থুতু দিয়ে জোড়া লাগিয়ে তার বাসা তৈরি হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া দ্বীপপুঞ্জে এক জাতের তালচোঁচ আছে, তারা কেবলই থুতু দিয়ে নিজেদের বাসা বানায়। চীন দেশে এ বাসার খুব তাদর; তারা এর ঝোল বানিয়ে খায়। এইজন্য সে দেশে এর দামও খুব বেশি।
অনেক জাতের পাখি কাদা দিয়েও তাদের বাসা বানায়। আফ্রিকার ফ্লামিঙ্গোর বাসা কাদার তৈরি। একটা ঢিপির মতো কাদা
সাজিয়ে তার মাঝে একটা গর্ত করে ফ্লামিঙ্গো ডিম পাড়ে। আরো অনেক জাতের পাখিও কাদার বাসা বানায়; তাদের তাধিকাংশই আফ্রিকার।
তোমরা অনেকেই বোধহয় কাঠ ঠোকরা দেখেছ। এরা ঠোঁট দিয়ে ঠোকর মেরে গাছের গায়ে গর্ত করে তার ভিতর বাসা বানায়। দুষ্টু ছেলেরা ছানা চুরি করার লোভে কাঠ ঠোকরার বাসার গর্তে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে অনেক সময় সাপের কামড় খায়,
কারণ সাপেরা কাঠ-ঠোকরার বাসা ডাকাতি করে অধিকার করতে বড় পটু।
নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।
1.ছোটো ছোটো পাখিরা দোলনার মত বাসা তৈরি করে
A) আরাম পাওয়ার জন্য
B) বাচ্চাদের সুবিধার জন্য
C) সরু ডালে বাসা তৈরির কারণে
D) হিংস্র জন্তুদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
2. মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে ডিম পাড়ে যে পাখিরা তাদের অন্যতম
A) টুনটুনি
B) গাঙচিল
C) তিতির
D) শালিক
3. তালচোঁচ পাখির বৈশিষ্ট্য
A) তারা ভাঙা কাচ পাথর দিয়ে বাসা তৈরি করে
B) তারা থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে
C) তারা তালপাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে
D) তারা কোনো বাসা তৈরি করে না।
4.কাদা দিয়ে বাসা বানায় যে পাখিরা তাদের তাধিকাংশই
(A) আফ্রিকার
(B) লাতিন আমেরিকার
C) অস্ট্রেলিয়ার
D) হিমালয় অঞ্চলের
5. ‘পাখি’ শব্দটি একটি
(A) তৎসম শব্দ
B) তদ্ভব শব্দ
C) দেশি শব্দ
D) বিদেশি শব্দ
ভাগ ২-নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো
হুগলিতে অ্যানড্রজ সাহেবের ছাপাখানা বাংলাদেশে প্রথম মুদ্রণ-যন্ত্র। সচল হরফে প্রথম ছাপা এই যন্ত্রটি সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। বং তারপরে কলকাতায় বেশ কয়েকটি ছাপাখানা বসল এমনকী তেমনি এক ছাপাখানা থেকে জেমস তাগাস্টাইন হিকির সাপ্তাহিক সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেটও বেরিয়েছিল ১৭৮০-র ২০ জানুয়ারি। এটি ছিল এদেশে ছাপা প্রথম সংবাদপত্র। তারপরে আরও কিছু সংবাদপত্র বেরুল, বইপত্রও কিছু প্রকাশিত হল কলকাতার নানা মুদ্রণ যন্ত্র থেকে। তবু গুণেমানে বৈচিত্র্যে সকলকে ছাপিয়ে গেল শ্রীরামপুর। ছাপাখানার সবটুকু আলো গিয়ে পড়ল শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট চার্চ মিশন প্রেসের মুখে। মূলত উইলিয়ম কেরির সৌজন্যে। এই ছাপাখানা গড়া ও তার ব্যাপক সম্প্রসারণ ছাড়াও বাংলা গদ্য-সাহিত্য নির্মাণের গোড়ার যুগে তাঁর অবদান তা বাঙালি কোনোদিনই ভুলতে পারবে না।
ইংরেজ শাসন যখন এদেশে শুরু হল তখন যেমন প্রশাসনের জন্যে লোক এল বিলেত থেকে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য করতে বা নেহাত কপাল ফেরাতেও তানেকে এদেশে এসেছিল। আর এসেছিল মিশনারির দল খ্রিস্টধর্ম প্রচার করতে। তেমনি এক মিশনারি ডইলিয়ম কেরি ১৭৯৩তে এ দেশে এসেছিলেন সেকথা আগের অধ্যায়ে লেখা হয়েছে। কেরি সাহেব জীবিকার জন্যে এক সময়ে মালদহের মদনাবাটির নীলকুঠিতে কাজ করতেন। তাঁর মনিব জর্জ উডনি ছিলেন কেরি সাহেবের গুণগ্রাহী। কেরি সাহেব তখন বাইবেলের বাংলা অনুবাদ করছেন। সেই বাইবেল ছাপার জন্যে উডনি একবার কলকাতার নিলাম থেকে একটি কাঠের ছাপাখানা কিনে উপহার দিলেন কেরিকে। কেরি দ্বিগুণ উৎসাহে বাইবেলের বাংলা করার কাজ করে যেতে লাগলেন। এদিকে ভাগ্য বিপর্যয়ে উডনি একসময়ে মদনাবাটির নীলকুঠি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন। কেরিসাহেব ওরই কাছাকাছি খিদিরপুর গাঁয়ে একটি ছোটো নীলকুঠি কিনে সেখানে ছাপাখানা বসালেন। এই সময়ে কেরি সাহেবের বিলেতের মিশনের চারজন মিশনারি এদেশে এলেন। ইয়োরোপে তখন ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল। গুপ্তচর সন্দেহ করে কলকাতার ইংরেজ প্রশাসকেরা তাদের কলকাতায় নামতে দিল না। তাঁরা দিনেমারদের অধীন শীরামপুরে চলে এলেন ১৭৯৯-এর ১৩ অক্টোবর। কেরি সাহেবের কাছে খবর গেল। তিনি তাঁর সকল সম্পত্তি বেচে নৌকোয় চাপলেন, সঙ্গে রইল তার সাধের ছাপাখানাটি। ১৮০০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি পৌঁছলেন শ্রীরামপুরে। ওই দিনই মিশন প্রেসের প্রতিষ্ঠা হল।
নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।
6.এদেশে ছাপা প্রথম সংবাদপত্র ছিল
A) বেঙ্গল গেজেট
B) সমাচার দর্পণ
C) তামৃতবাজার
D) দিগ্বদর্শন
7. কেরিসাহেব কাজ করতেন
A) সেরেস্তায়
B) নীলকুঠিতে
C) মহাফেজখানায়
D) সেনাবাহিনীতে
৪. উইলিয়ার কেরি তাঁর নিজস্ব নীলকুঠি কিনে দিলেন
A) খড়দহে
B) দমদমে
C) খিদিরপুরে
D) বনগ্রামে
9. কেরি সাহেব তখন বাইবেলের বাংলা অনুবাদ করেছেন, – রেখাঙ্কিত পদটি হলো
A) কর্মকারক
B) সম্বন্ধে পদ
C) তাধিকরণ কারক
D) নিমিত্ত কারক
10. ‘সংবাদপত্র’ শব্দটি যে সমাসের উদাহরণ
A) উপমান কর্মধারয়
B) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
C) দ্বন্দ্ব
D) মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
ভাগ ৩ নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো
পুতুলের কারিগর আর তাদের খেলা দেখান যাঁরা তাঁদের পুতুল-নাচিয়ে বলা হয়। এঁদের কাহিনী প্রণয়নে তার পুতুলদের দিয়ে খেলা দেখানোয় বিশেষ নিপুণ হওয়া দরকার। একজন পুতুল নাচিয়ে বহু রকমের খেলা দেখাতে পারেন।
পুতুল নাচিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের মনের কথা তার অন্তরের ভাব বুঝবার চেষ্টা করবেন। পুতুল নাচের খেলা দেখানো থেকে কেবলমাত্র পুতুল-নাচিয়েই শেখেন তা নয়, দর্শকরাও এ থেকে কত কি যে শিক্ষা লাভ করেন তার ইয়ত্তা নেই।
দেখা আর শোনার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক শিক্ষা লাভ করেন, তাই এ কথা বলা খুবই সঠিক হবে যে পুতুল-নাচ শিক্ষাদানের একটি খুব উপযোগী দৃশ্য-শ্ৰব্য (Audio-Visual) সাধনও বটে।
কোভিড ১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
যুগ যুগ ধরে ধর্মপ্রচারকেরা পুতুল নাচের ভিতর দিয়ে ধর্ম কথা আর উপদেশ মানুষের মনে পৌঁছে দিয়েছেন। পুতুলের অভিনয় আর গল্পের ভিতর দিয়ে আজ একজন নিরক্ষর ধর্মগ্রন্থের মর্ম শিখতে পারেন। তার উপর আজকের যুগ বিজ্ঞানের যুগ। পুতুল নাচের সাহায্যে আজকাল বিজ্ঞানের কথাগুলি অনেক সহজে মানুষকে বলা সম্ভব হচ্ছে।
পুতুল নাচের রঙ্গমঞ স্বাস্থ্য, কৃষি, সাক্ষরতা, আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিক্ষাদানে আশ্চর্যজনক সাফল্য আনতে
পারে। এমন কোনো বিষয়ই নেই যা কিনা এই ক্ষুদে ক্ষুদে পুতুলদের দিয়ে না শেখানো যায়। এই পুতুলেরা নাচে, গায়, আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে আবার রাগে ঠিকরে পড়ে— কিন্তু তার সকল অভিব্যক্তিই সমাজের কল্যাণ আর তার ভিতর থেকে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে থাকে। যে মুহূর্তে পুতুলগুলির রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব হয়, আর তারা নাচতে, অভিনয় করতে শুরু করে, তামনি বহুদিনের সংকীর্ণতা
আর অন্ধ ধারণার আবন্ধ কবাটগুলি একে একে ভেঙে পড়ে। নরনারীর হৃদয় তাকে স্বাগত করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।
11. পুতুল নাচিয়েকে পুতুলের খেলা দেখানোর সঙ্গে আর যা শিখতে হয়
A) ভোজবাজি
B) গল্প রচনা
C) আলোর মায়াজাল
D) অভিনয়
12. পুতুল নাচের মাধ্যমে
B) লোকশিক্ষা দেওয়া হয়
C) জটিল বিষয়কে সহজভাবে বলা হয়
D) মানুষকে বিনোদন দেওয়া হয়
13. পুতুল নাচ এ নাচের সঙ্গে থাকে
A) গান
B) অভিনয়
C) গান ও অভিনয়
D) নানা শারীরিক কৌশলের প্রদর্শন
14. পুতুল নাচের মূল লক্ষ
(A) মানুষকে লোকসংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন করা
B) গ্রামীণ কৃষিজীবনের প্রচার
C) কৃষ্ণ কথার প্রচার
D) সমাজ কল্যাণ ঘটানো
15. ‘স্বাগত’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ হল
A) সু + আগত
B) + আগত
C) স্ব গত
D) গ +
কোভিড ১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
আম আঁটির ভেঁপু ৪ ও ৫

Leave a Reply