পিঁপড়ে (অমিয় চক্রবর্তী) কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | Pipre Kobitar Question Answer Class 6 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সাহিত্য মেলা
ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা

পিঁপড়ে (অমিয় চক্রবর্তী) কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | Pipre Kobitar Question Answer Class 6 Bengali wbbse

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা (বারো পাঠ) পিঁপড়ে (অমিয় চক্রবর্তী) কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর | Pipre Kobitar Question Answer Class 6 Bengali wbbse

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা (বারো পাঠ) পিঁপড়ে (অমিয় চক্রবর্তী) কবিতার কবিতা পাঠ, কবি পরিচিতি, কবিতার সারাংশ, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | Pipre Kobitar Question Answer Class 6 Bengali wbbse

1. ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

4. ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

5. ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

6. ষষ্ঠ শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা (বারো পাঠ) পিঁপড়ে (অমিয় চক্রবর্তী) কবিতার কবিতা পাঠ, কবি পরিচিতি, কবিতার সারাংশ, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | Pipre Kobitar Question Answer Class 6 Bengali wbbse

পিঁপড়ে
—অমিয় চক্রবর্তী

কবি পরিচিতিঃ

অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৬) : আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। প্রথম জীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। একমুঠো, পারাপার, পালাবদল, পুষ্পিত ইমেজ, ঘরে ফেরার দিন তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যু পলজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৬৩ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান।

সার-সংক্ষেপঃ

কবি অমিয় চক্রবর্তী এক ছোট্ট পিঁপড়ের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেন মানব সমাজের দুঃখ-সুখের ইতিহাস। ছোট্ট পিঁপড়ে খাদ্য সংগ্রহে ভারী ব্যস্ত, মুখে ভাষা না থাকলেও তার চলনে বলনে তার ব্যস্ততা প্রকাশিত। কবি চান আলোয় গন্ধে ছুঁয়ে তার ওই ভুবন ভরে থাকুক। কবি কাউকে দুঃখ দিতে চান না। সবাই সবার পরিচয়ে সুখি থাকুক। আমরা যারা এই মাটির বুকে থাকি, যেন সুখি থাকি, কারুর পরিচয় নিয়ে মাথাব্যথা না ঘটিয়ে দু’দিনের এই অতিথিশালায় সবাই সুখে শান্তিতে থাকি তাই কবি চান।

‘অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর’ পিঁপড়ে কবিতা ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | Pipre Kobitar Question Answer Class 6 Bengali wbbse

১. ‘পিঁপড়ে’ কবিতাটির কবি হলেন—
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর / সুভাষ মুখোপাধ্যায় / জীবনানন্দ দাশ / অমিয় চক্রবর্তী)।

উত্তরঃ অমিয় চক্রবর্তী

২. পিঁপরে যে শ্রেণির অন্তর্গত— (পতঙ্গ / সরীসৃপ / পাখি / কীট)।

উত্তরঃ কীট

৩. পিঁপড়েরা কথা বলে—(সশব্দে / ইঙ্গিতে / ভাষায় / নীরবে)।

উত্তরঃ নীরবে

৪. পিঁপড়ে গায়ে যে রেণু মাখে—(ফুলের / আলোর / সোনার / ধুলোর)।

উত্তরঃ ধুলোর

৫. মাটির বুকে সবাই আছে— (দু-দিনের ঘরে / একদিনের ঘরে / চিরদিনের তরে / বছরের পর বছর)।

উত্তরঃ দু-দিনের ঘরে।

৬. ছোটো পিঁপড়েকে সরিয়ে দিতে কবির—
(মজা লাগে / ভয় করে / কষ্ট হয় / দুঃখ হয়)।

উত্তরঃ ভয় করে।

৭. ছোট পিঁপড়ে ডাকুক সেই— (ওপরে / গভীরে / অতলে / ভিতরে)।

উত্তরঃ অতলে

৮. কবির চেনা চেনা লাগে— (কথা বলা / ব্যস্ত মধুর চলা / থেমে থাকা / ধীর পদে চলা)।

উত্তরঃ ব্যস্ত মধুর চলা

৯. পিঁপড়ে শব্দটির সাধুভাষায় রূপ হল– (পিপিড়া / পিপন্ড / পিপীলিকা / পিঁপড়ে)।

উত্তরঃ পিপীলিকা

১০. আলোর গন্ধে ছুঁয়ে পিঁপড়ে তার— (ভুবন ভরে রাখুক / খাদ্য সঞ্চয় করুক / ঘুরুক দেখুক থাকুক / ধুলোর রেণু মাখুক)।

উত্তরঃ ভুবন ভরে রাখুক।

“হাতেকলমে প্রশ্নোত্তর” পিঁপড়ে কবিতা ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | Pipre Kobitar Question Answer Class 6 Bengali wbbse

১.১ অমিয় চক্রবর্তী কোথায় অধ্যাপনা করতেন ?

উত্তরঃ অমিয় চক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যু পলজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন।

১.২ তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম হল ‘পুষ্পিত ইমেজ’ ও ‘ঘরে ফেরার দিন’।

২. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

২.১ কবির কী দেখে ‘কেমন যেন চেনা লাগে’ মনে হয়েছে ?

উত্তরঃ ক্ষুদ্র জীব পিঁপড়ের আনাগোনা দেখে কবির ‘কেমন যেন চেনা লাগে’ মনে হয়েছে।

২.২ কেমন যেন চেনা লাগে’ কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ কবির মনে হয়েছে পিঁপড়ের গতিবিধি তার পূর্বপরিচিত। তাই তিনি একথা বলেছেন।

২.৩ কবি কাউকে দুঃখ দিতে চাননি কেন ?

উত্তরঃ কবির ইচ্ছা ছোটো পিঁপড়ে ধুলোর রেণু মেখে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখুক। তাই তিনি তাকে স্থানচ্যুত করে দুঃখ দিতে চাননি।

২.৪ ‘কোন অতলে ডাকুক’ – কে কাকে এই ডাক দেয় ?

উত্তরঃ ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় ছোট্ট পিঁপড়ে কবি অমিয় চক্রবর্তীকে এই ডাক দেয়।

২.৫ কবি আজ প্রাণের কোন পরিচয় পেয়েছেন ?

উত্তরঃ ‘পিঁপড়ে’ কবিতাযর কবি অমিয় চক্রবর্তী ছোট্ট পিঁপড়ের প্রাণের ভালোবাসার পরিচয় পেয়েছেন।

২.৬ ‘দু দিনের ঘর’ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ আমাদের মতো মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। তাই কবি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বকে বোঝাতে ‘দু দিনের ঘর’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।

৩. প্রার্থনা, নির্দেশ, অনুরোধ বোঝাতে বাংলায় ক্রিয়ার শেষে উক’ যোগ হয়। (যেমন এই কবিতায় থাক্‌ – উক = থাকুক) কবিতা থেকে এমন আরও পাঁচটি শব্দ খুঁজে বের করো।

উত্তরঃ ঘুরুক, দেখুক, রাখুক, মাখুক, ডাকুক।

৪. নীচের সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থপার্থক্য দেখিয়ে প্রত্যেকটি ব্যবহার করে পৃথক পৃথক বাক্যরচনা করো।

উত্তরঃ

» ভরে (ভরতি করে)— বাড়ির মোয়রা কলশিতে জল ভরে আনে।
» ভোরে(খুব সকালে)— ভোরের বেলা পাখিরা আমাদের ঘুম ভাঙায়।

» ঘরে (বাড়িতে)—ঘরে ঘরে আজ উৎসব চলছে।
» ঘোরে(বেড়ায়)—ঘোরাই তার নেশা।

» ছুঁয়ে(স্পর্শ করে)—বড়োদের চরণ ছুঁয়ে আমরা প্রণাম করি।
» চুঁয়ে(ভেদ)—করে পুরানো বাড়ির ছাদ থেকে বর্ষায় জল ছুঁয়ে পড়ছে।

» আনল(নিয়ে এল)— গ্রীষ্মের বৃষ্টি আমাদের স্বস্তি বয়ে আনল।
» অনল(অগ্নি)— অনল সর্বভুক

» মধুর(মিষ্ট)— তোমার মধুর আচরণের জন্য তুমি আমার প্রিয়।
» মেদুর(মাখানো)— বাবামায়ের মমতামেদুর দৃষ্টি সন্তানকে সাহস দেয়।

৫. পাশের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নীচের ছকটি পূরণ করো :

শব্দঝুড়ি— মাটি, পিপীলিকা, যারা, ধুলা।

» ___________ > পিঁপড়ে  উত্তরঃ পিপীলিকা।

» মৃত্তিকা > __________  উত্তরঃ মাটি

» ধুলো > ____________ উত্তরঃ ধূলা

» যাহারা > ___________ উত্তরঃ যারা

৬. কবিতা থেকে সর্বনামগুলি খুঁজে বের করে আলাদা আলাদা বাক্যে ব্যবহার করো।

উত্তরঃ সর্বনামগুলি হল— তার, ওকে, ও, কাউকে, ওই যারা।

» তার– তার কথা আমার জানা নেই।

» ওকে– ওকে আমার কাছে ধরে আনো।

» ওর– ওর কথায় আমি চলি না।

» কাউকে— একথা কাউকে বলবে না।

» ওই– ওহ যে সামনের মাঠ ওখানেই আমি থাকি।

» যারা— যারা কল এসেছিলে তারা সবাই জানো।

৭. নীচের স্তম্ভদুটি মেলাও :

উত্তরঃ

» বি + স্মরণ = বিস্মরণ।
» প্রতি + দিন= প্রতিদিন।
» অ + চেনা = অচেনা।
» কু + কথা = কুকথা
» সু + মধুর = সুমধুর।

৮. কবিতা থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়াগুলি খুঁজে নীচের খোপে যথাস্থানে বসাও :

উত্তরঃ
» সমাপিকা ক্রিয়া : ঘুরুক, দেখুক, থাকুক, রাখুক, মাখুক, ডাকুক, ঘিরেছে, লাগে, আনল,আছি।

» অসমাপিকা ক্রিয়া : চলায়, ছুঁয়ে, ভরে, করে, দিতে, নিতে, চলে।

৯. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৯.১ পিঁপড়ের ভাষাহীন চলাচলের মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি কেমন ?

উত্তরঃ পিঁপড়ে ভাষাহীনভাবে চলাফেরা করে। সেই চলাফেরার মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি ভালোবাসা এবং ব্যস্ততার পরিচয় পাওয়া যায়।

৯.২ “মাটির বুকে যারাই আছি এই দুদিনের ঘরে”—’এই দু-দিনের ঘরে’ বলতে কী বোঝ ? কে সবাইকে কীভাবে এই দুদিনের ঘরে আদরে ঘিরে রাখে ?

উত্তরঃ আমাদের সকলে জন্মগ্রহণ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের অবসানে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিই অর্থাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হই। এই দুদিনের ঘর’ কথার মাধ্যমে কবি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বকে বুঝিয়েছেন। আমাদের এই দুদিনের ঘরে’ পিঁপড়ে সকলকে ভালোবাসার বাঁধনে আদর করে ঘিরে রাখে।

৯.৩. এই কবিতায় কবির কীরূপ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ এই পৃথিবীতে আমরা বিশ্বপিতার অংশবিশেষ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। যে জীব যত ছোটোই হোক না কেন এই পৃথিবীতে সকলের সমান অধিকার আছে। সকলে মিলে পারস্পরিক ভালোবাসার বাঁধনে আনন্দের মাধ্যমে বেঁচে থাকাই কান্য। তাই কবিতার মূল সুরই হল সকলকে আপন করে নিয়ে সুখে ও শান্তিতে দিন অতিবাহিত করা।

৯.৪ বিভিন্ন রকমের পিঁপড়ে এবং তাদের বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপ্রণালী সম্বন্ধে তোমার পর্যবেক্ষণগুলি একটি খাতায় লেখো। প্রয়োজনে ছবিও আঁকতে পারো।

উত্তরঃ পিঁপড়ে আমাদের পরিচিত প্রাণী। সাধারণত আমরা তিনধরনের পিঁপড়ে দেখতে পাই আমাদের চারপাশে।

১০.৫ একটি লাল পিঁপড়ে ও একটি কালো পিঁপড়ের মধ্যে কাল্পনিক একটি কথোপকথন রচনা করো।

উত্তরঃ লাল ও কালো পিঁপড়ের

কথোপকথন :

• কালো পিঁপড়েঃ ওহে লাল ভাই, চললে কোথায় ?

» লাল পিঁপড়েঃ যাব, আর কোথা, কাবারের সন্ধানে চলেছি। দেখি কোথায় মেলে ?

• কালো পিঁপড়েঃ তোমার তো খাদ্য জোগাড়ের কোনো চিন্তা নেই ভাই। যত জ্বালা আমাদের।

» লাল পিঁপড়েঃ চিন্তা নেই আবার ? তবে একটা বড়ো খাবারের সন্ধান আছে। সেখান থেকে খাবার আনতে পারলে অনেকদিন আমার চলে যাবে। চিন্তা করতে হবে না।

• কালো পিঁপড়েঃ কোথায় কোথায়? বল না ভাই তাহলে আমিও তোমার সঙ্গে যাব।

» লাল পিঁপড়েঃ আরে ওটা কোনো গৃহস্থের বাড়ি নয়। ওটা রেশন দোকান। ওখানে সর্বদা কেউ পাহারা দেয় না বা ওষুধও দেওয়া থাকে না। তাই চুরি করার সমস্যা নেই।

• কালো পিঁপড়েঃ তাহলে কি করে ঢুকবে ভাই সেখানে ?

» লাল পিঁপড়েঃ ঢোকার কোনো সমস্যা নেই। ছাদের নীচে একটা ঘুলঘুলি আছে। সেখান দিয়ে ঢুকে দেয়াল দিয়ে নেমে বস্তার কাছে পৌঁছোলেই হল। আর ভাবনা নেই।

• কালো পিঁপড়েঃ চলো তবে আমরা সবাই মিলে অভিযান শুরু করি। মালিক জানতে পারার আগে আমরা সবাই চিনি সরিয়ে ফেলব।

Leave a Reply