ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর
পশুপাখির ভাষা
সুবিনয় রায়চৌধুরী
‘পশুপাখির কি ভাষা আছে ? তারা কি মনের ভাবগুলি বিশেষ বিশেষ শব্দ দিয়ে প্রকাশ করে ? পরস্পরকে বুঝাবার জন্য তারা কি কোনো ভাষা ব্যবহার করে ?’ — এইসব প্রশ্ন মানুষের মনে বহুকাল থেকেই জেগেছে এবং এই বিষয়ে নানারকমের পরীক্ষা বহুকাল থেকে হয়ে আসছে।
পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে। বুদ্ধিমান জীব – যেমন কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া প্রভৃতি — তাদের মানুষে-দেওয়া নাম শুনলেই কান খাড়া করে; – নাম ধরে ডাক দিলে কাছে আসে। মুরগিরা ‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে, হাঁস ‘সোই-সোই’ ডাক শুনে আসে, ছাগল ‘অ-র্-র্’ ডাক শুনে আসে। হাতি তো মাহুতের কথা শুনেই চলে। মাহুতের ভাষায় (পূর্ববঙ্গের) ‘বৈঠ’ হচ্ছে ‘বস’, ‘তেরে’ মানে কাত হও, ‘ভোরি’ মানে ‘পিছনে যাও’, ‘মাইল’ মানে সাবধান ইত্যাদি। কুকুরেরাও কথা শুনে হুকুম পালন করতে ওস্তাদ; – অবিশ্যি, সে-সব কথার অর্থ তাদের শেখাতে হয়।
পশুরা মানুষের ভাষা কিছুকিছু বোঝে বটে; কিন্তু, সে ভাষা তো তারা বলতে পারে না; পরস্পরকেও সে ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়ার কোনো উপায় জানে না তারা। তাদের মুখের কয়েকটি বিশেষ শব্দ যে তাদের মনের ভাবকে প্রকাশ করে, সেবিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। বেড়াল বা কুকুর ঝগড়া করার সময় যে শব্দ করে, কান্নার সময় সে শব্দ করে না। দূর থেকে শুনেই বোঝা যায় ঝগড়া করছে কী কাঁদছে। কুকুরের ঝগড়া আর রাগের শব্দে ‘ঘেউ’ আছে; ভয় বা কান্নার শব্দে ‘কেঁউ’ আছে। জাতভেদে শব্দের টানে আর গাম্ভীর্যে যা একটু তফাত। বেড়ালেরও তেমনি সাধারণ আওয়াজে ‘ম্যাও’, ‘মিউ’ ইত্যাদি আছে; রাগ বা ঝগড়ায় ‘ওয়াও’ আছে। দূর থেকে শব্দ শুনেই বোঝা যায় ঝগড়া করছে কী কাঁদছে। কী শুধু আওয়াজ করছে– অর্থাৎ, তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছে। অনেক পশুই এই ধরনের শব্দ করে থাকে। পাখিরাও ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করবার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে। বিপদের সময় পরস্পরকে জানাবার উপায়ও পশুপাখিরা বেশ জানে।
রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সঙ্গে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি পশুর ভাষা বেশ বুঝি। কতবার আমি জংলি হাতির সামনে পড়েছি, বাঘের গরম নিশ্বাস অনুভব করেছি, প্রকাণ্ড ভাল্লুকের থাবা মুখের সামনে দেখেছি, গরিলা প্রায় জড়িয়ে ধরে ফেলেছে আমাকে। কিন্তু একটি জিনিস প্রত্যেকবারই আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে, সেটি হচ্ছে, পশুদের ভাষার জ্ঞান। আমি পশুদের ভাষা কিছুকিছু জানি বলেই এতবার সাক্ষাৎ যমকে এড়িয়ে যেতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিংহকে যদি তারই ভাষায় বলতে পারো, তুমি তার বন্ধু, তাহলে অনেকটা নিরাপদ হবে। তারপর যদি তাদের জাতের আদবকায়দা অনুসারে তার কাছে যেতে পারো, তাহলে ভয়ের বিশেষ কোনো কারণ থাকবে না।’
ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন। খাঁচার এবং জঙ্গলের, — অর্থাৎ পোষা এবং বুনো এই দুই অবস্থার জন্তুদের সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয়ের নানা সুযোগ ঘটেছে। তাঁর বন্ধুদের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে শিম্পাঞ্জি, গরিলা, সিংহ, গ্রিজ্লি ভাল্লুক আর শ্বেত ভাল্লুক।
তিনি বলেন, ‘এইসব পশুর গলার শব্দের অবিকল নকল করার ক্ষমতা থাকায় শুধু যে বহুবার আমার প্রাণ বেঁচেছে, তা নয়; এদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাবারও অনেক সুবিধা হয়েছে। পশুরা শুধু শব্দের সাহায্যে কথা বলে না, নানারকম ইশারায়ও বলে। কুকুরের লেজনাড়া আর কান নাড়ার মধ্যে কত অর্থ আছে, তা অনেকেই আমরা জানি। একেও ভাষা বলতে হবে।’
পোষা জন্তুরা নাকি জঙ্গলের জন্তুদের থেকে অনেক বেশি চেঁচামেচি করে। পোষা কুকুর আর ঘোড়া কত চেঁচায়। কিন্তু জংলি কুকুর বা ঘোড়ার শব্দ বড়ো একটা শোনা যায় না। জঙ্গলের পশুকে সর্বদাই প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হয়, তাই তারা স্বভাবতই নীরব।
পশুর মধ্যে শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং জাতীয় বনমানুষের ভাষা বিশেষ কিছু নাই। বানরের মধ্যে কয়েক জাতীয় বড়ো বানর ছাড়া অন্য সকলের ভাষার শব্দ অতি সামান্যই। ক্যাস্টাং সাহেব এইসব ভাষা নিয়ে বহু বৎসর গবেষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ভালো করে লক্ষ করলে পশুদের মনের বিভিন্ন অবস্থার আওয়াজগুলি বেশ স্পষ্টভাবে ধরা যায়। এইসব আওয়াজের অবিকল নকল করতে শিখলে পশুদের সঙ্গে ভাব পাতাবারও সুবিধা হয়।
ক্যাস্টাং সাহেব বলেন, হাতি, সিংহ, বাঘ আর শ্বেত ভাল্লুকের কয়েকটির গায়ে হাত দেওয়ার আগে বিশেষ করে লক্ষ করতে হবে, তোমার আওয়াজের জবাব সে দিচ্ছে কিনা। তারপর, খুব সাবধানে, অত্যন্ত ধীরে এগিয়ে, মেজাজ বুঝে, তার গায়ে হাত দিতে হবে। বাঘের চেয়ে চিতা ঢের সহজে ভাব পাতায় আর পোষও মানে। তার মুখটি দেখলেই অনেকটা বেড়াল-বেড়াল ভাব মনে আসে।
ভাল্লুক নিরামিষাশী আর লোভী; তাকে খাবার দিলেই সে সহজে ভাব পাতায়। আমিষাশী জন্তু কিন্তু কখনও খাবারের লোভে ভাব করে না। খাবার সময় তার কারো সঙ্গে ভাব নাই; — তখন সকলকেই অবিশ্বাস।
শিম্পাঞ্জি, ওরাং এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি। এরা তো মানুষেরই জাতভাই; কিন্তু ভাষা এদের বড়ো একটা নাই। ভালোবাসা, সহানুভূতি প্রভৃতি এরা খুব বোঝে; ভাবও পাতায় সহজেই। এদের মনের ভাবই মুখে বেশি প্রকাশ পায়। গরিলাও এদের জাতভাই; সেও অনেকটা এদের মতো; তবে একটু কম চালাক।
শব্দার্থ:
• সাক্ষাৎ– প্রত্যক্ষ করা/দেখা হওয়া।
• আদবকায়দা– ভদ্রতার রীতিনীতি।
• নিরামিষাশী– নিরামিষ খাদ্য আহার করে যে।
• মাংসাশী– আমিষ খাদ্য আহার করে যে।
• সহানুভূতি– সমবেদনা।
• অবিশ্যি– অবশ্য
• শ্বেত– সাদা
লেখক পরিচিতিঃ
সুবিনয় রায়চৌধুরী (১৮৯০–১৯৪৫) : প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র। তিনি হারমোনিয়াম, এসরাজ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র দক্ষতার সঙ্গে বাজাতে পারতেন। সংগীতে তাঁর জ্ঞান ছিল সুবিদিত। তিনি একান্তভাবে ছোটোদের জন্যই লিখেছেন। একদিকে সহজ-সরল ভাষায় মজাদার গল্প-কবিতা যেমন লিখেছেন অজস্র, ঠিক তেমনই শিশু-কিশোর মনের জিজ্ঞাসা মেটাতে প্রাঞ্জল ভাষায় তথ্যনিষ্ঠ প্রবন্ধও রচনা করেছেন। সন্দেশ পত্রিকায় তাঁর বিপুল অবদান আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে আছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য বই সুবিনয় রায়চৌধুরীর রচনা সংগ্রহ।
বিষয় সংক্ষেপঃ আলোচ্য গদ্যাংশে লেখক পশুপাখির ভাষা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। লেখকের মতে, মানুষের মতো পশুপাখিরও নিজস্ব ভাষা আছে, তারাও আমাদের মতো বিভিন্ন অনুভূতি বা মনের ভাব প্রকাশ করতে সক্ষম। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিলে তারাও যে মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের দ্বারা বন্ধুত্ব করতে পারে। ‘পশুপাখির ভাষা’ গদ্যাংশে তাই লেখক বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, যেমন- মুরগিরা ‘তি-তি ডাক শুনে আসে, হাঁস ‘সোই-সোই’ ডাক শুনে আসে, ছাগল ‘অ-র্-র্’ ডাক শুনে আসে ইত্যাদি। আবার পশুদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের ডাক শোনা যায় তাদের অনুভূতির পার্থক্য অনুযায়ী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কুকুরের ঝগড়া আর রাগের শব্দে ‘ঘেউ’ এবং ভয় বা কান্নার শব্দে ‘কেঁউ’ শোনা যায়। একইরকমভাবে পাখিরাও ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ ব্যবহার করে থাকে। এই প্রসঙ্গে লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরী রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন প্রাণীবিদের কথা উল্লেখ করেছেন, যিনি প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বিভিন্ন পশু যথা গরিলা, শিম্পাঞ্জি, জংলি কুকুর, গ্রিজলি ভালুক, শ্বেত ভালুক প্রভৃতির ভাষা নিয়ে গবেষণা করেছেন। ক্যাস্টাং সাহেব তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছেন পশুদের ভাষা সম্পর্কে মানুষের যদি সাধারণ জ্ঞান বা ধারণা যথেষ্ট পরিষ্কার থাকে তাহলে সিংহের মতো হিংস্র পশুও মানুষের খুব ভালো বন্ধু হতে পারে। তাঁর এই বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ক্যাস্টাং সাহেব তাঁর জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। পরিশেষে লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরী ওরাংওটাং, গরিলা, শিম্পাঞ্জি প্রভৃতি জন্তুর সঙ্গে মনুষ্য জগতের মিল ও অমিল নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন।
নামকরণঃ নামকরণ হল যে-কোনো সাহিত্যসৃষ্টির একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। নামকরণের মধ্য দিয়ে রচনাটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা পাওয়া যায়। ‘পশুপাখির ভাষা’ এই নামটি থেকে সহজেই বোঝা যায় যে, প্রবন্ধটিতে পশুপাখিদের ভাব বিনিময়ের মাধ্যম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন পশুপাখিদের অবশ্যই নিজস্ব ভাষা আছে। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া প্রভৃতি জন্তুদের মানুষ যে নাম দেয়, সেই নামে ডাকলেই তারা কান খাড়া করে। মুরগি ‘তি-তি, হাঁস ‘সোই-সোই, ছাগল ‘অর্-র্’ মাহুতের কথা হাতি বুঝতে পারে। তবে এ কথাও ঠিক ভাব বিনিময়ের জন্য ওদের কোনো সহজবোধ্য ভাষা মাধ্যম নেই। অল্প কিছু শব্দ ছাড়া ওরা আকার-ইঙ্গিতেই ভাববিনিময় করে। এই প্রসঙ্গে এসেছে রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেবের কথা। তিনি পশুদের সঙ্গে মিশেছেন, তাদের নিয়ে নানান গবেষণা করেছেন। তিনি পশুদের স্বভাব বুঝতেন ও তাদের ভাষা আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন বলেই অনেক বিপদের হাত থেকে রক্ষাও পেয়েছেন। তিনি নানাধরনের জন্তুদের সঙ্গে ভাব জমাতে পেরেছিলেন। এই প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন, পশুদের ভালোবাসলে ও সহানুভূতি দেখালে তারা সরাসরি না হলেও নানান হাবভাবে মনের কথা প্রকাশ করে। তাই প্রবন্ধটির এই নামকরণ যথাযোগ্য ও সার্থক বলা যেতে পারে।
(‘হাতে কলমে’ প্রশ্নের উত্তর)
১.১ সুবিনয় রায়চৌধুরী কী কী বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায়চৌধুরী হারমোনিয়াম, এসরাজ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন।
১.২ সুবিনয় রায়চৌধুরী কোন্ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায়চৌধুরী ‘সন্দেশ পত্রিকা’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২. কোনটি কার ডাক মিলিয়ে লেখো:
পশুপাখি | ডাক |
ব্যাঙের ডাক | কাকলি |
হাতির ডাক | হ্রেষা |
পাখির ডাক | বৃংহণ |
কোকিলের ডাক | মকমকি |
ঘোড়ার বাক | কেকা |
ময়ুরের বাক | কুহু |
উত্তরঃ
পশুপাখি | ডাক |
ব্যাঙের ডাক | মকমকি |
হাতির ডাক | বৃংহন |
পাখির ডাক | কাকলি |
কোকিলের ডাক | কুহু |
ঘোড়ার বাক | হ্রেষা |
ময়ুরের বাক | কেকা |
৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
পশু, মুখ, মন, পরীক্ষা, চালাক, অর্থ, লোভ, জন্তু, মেজাজ।
উত্তরঃ
পশু (বিশেষ্য)— পাশব (বিশেষণ)
মুখ (বিশেষ্য)— মৌখিক (বিশেষণ)
মন (বিশেষ্য)— মানসিক (বিশেষণ)
পরীক্ষা (বিশেষ্য)— পরীক্ষিত (বিশেষণ)
চালাক (বিশেষণ)— চালাকি (বিশেষ্য)।
অর্থ (বিশেষ্য)— আর্থিক (বিশেষণ)
লোভ (বিশেষ্য)— লোভী (বিশেষণ)
জন্তু (বিশেষ্য)— জান্তব (বিশেষণ)
মেজাজ (বিশেষ্য)— মেজাজি (বিশেষণ)
৪. বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় আলাদা করে দেখাও :
৪.১ মুরগিরা তিতি ডাক শুনে আসে।
৪.২ পাখিরাও ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ
করার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে।
৪.৩ ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন।
৪.৪ শিম্পাঞ্জি, ওরাং এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি।
উত্তরঃ
উদ্দেশ্য | বিধেয় |
৪.১ মুরগিরা | তিতি ডাক শুনে আসে। |
৪.২ পাখিরাও | ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে। |
৪.৩ ক্যাস্টাং সাহেব | প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন। |
৪.৪ শিম্পাঞ্জি, ওরাং | এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি। |
৫. প্রতিশব্দ লেখো: পাখি, পুকুর, হাতি, সিংহ, বাঘ।
উত্তরঃ
পাখি– বিহগ, খেচর, কুজন, পক্ষী, বিহঙ্গ।
পুকুর– পরিখা, সরোবর, দিঘি, জলাধার, পুষ্করিণী।
হাতি– গজ, ঐরাবত, হস্তি, মাতঙ্গ, করী, দন্তী, মাকনা।
সিংহ– পশুরাজ, কেশরী, মৃগেন্দ্র, হরি, হর্ষক্ষ।
বাঘ– ব্যাঘ্র, শার্দুল, শের।
৬. নীচের যে শব্দগুলিতে এক বা বহু বোঝাচ্ছে, তা চিহ্নিত করে লেখো :
৬.১ কুকুরেরাও কথা শুনে হুকুম পালন করতে ওস্তাদ।
উত্তরঃ কুকুরেরা— বহুবচন।
৬.২ তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।
উত্তরঃ তোমার— একবচন।
৬.৩ বিপদের সময় পরস্পরকে জানাবার উপায়ও পশুপাখিরা বেশ জানে।
উত্তরঃ পরস্পরকে— বহুবচন, পশুপাখিরা— বহুবচন।
৬.৪ রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সঙ্গে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন।
উত্তরঃ একজন, সাহেব— একবচন। পশুদের— বহুবচন।
৬.৫ একেও ভাষা বলতে হবে।
উত্তরঃ একেও, ভাষা— একবচন।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১ ভাষার প্রয়োজন হয় কেন ?
উত্তরঃ মনের ভাব প্রকাশ করবার জন্য এবং একে অপরকে বোঝাবার জন্য ভাষার প্রয়োজন হয়।
৭.২ ‘পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে।’ — একথার সমর্থনে রচনাটিতে কোন প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে ? তুমি এর সঙ্গে আরো কী কী যোগ করতে চাইবে ?
উত্তরঃ পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে। কিছু বুদ্ধিমান জীব যেমন কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া প্রভৃতি তাদের মানুষে দেওয়া নাম শুনলেই কান খাড়া করে। নাম ধরে ডাক দিলে কাছে আসে। মুরগিরা তিতি ডাক শুনে আসে। হাঁস সােই সােই ডাক শুনে আসে। ছাগল অ-র-র ডাক শুনে আসে। হাতি তো মাহুতের কথা শুনেই চলে। কুকুররাও কথা শুনে হুকুম পালন করতে ওস্তাদ-অবশ্য কথার অর্থ তাদের শেখাতে হয়।
গোরু তার মনিবের গলার ডাক শুনে চলে। পোষা বিড়াল তার মনিবের কথা বুঝতে পারে। পাখিরা নানাভাবে মানুষের ডাকে সাড়া দেয়।
৭.৩ রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতার কথা কীভাবে পাঠ্যাংশে স্থান পেয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সাথে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন। তিনি বলেন ‘আমি পশুর ভাষা বেশ বুঝি।’ তিনি অনেকবার জংলি হাতির সামনে পড়েছেন। বাঘের গরম নিঃশ্বাস অনুভব করেছেন। প্রকাণ্ড ভাল্লুকের থাবা মুখের সামনে দেখেছেন। গরিলা তাকে জড়িয়ে ধরেছে। কিন্তু পশুদের ভাষার জ্ঞান থাকার জন্য তিনি বিপদ থেকে ফিরে এসেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, পশুদের ভাষা অবিকল নকল করতে পারলে পশুদের সঙ্গে ভাব জমানো বেশ সহজ। আর পশুদের আদব-কায়দা অনুসারে যদি তাদের কাছে যাওয়া যায়, তাহলে ভয়ের বিশেষ কারণ থাকে না। তাঁর মতে, সিংহ, বাঘ, হাতি, শ্বেত ভাল্লুক প্রভৃতির গায়ে হাত দেওয়ার আগে লক্ষ করতে হবে তারা আমাদের আওয়াজের জবাব দিচ্ছে কিনা, তারপর খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে তাদের মেজাজ বুঝে গায়ে হাত দেওয়া যেতে পারে। ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর জন্তুদের সঙ্গে থেকে বিশেষ অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। এই প্রসঙ্গে ক্যাস্টাং সাহেবের নাম এসেছে।
৭.৪ ‘একেও ভাষা বলতে হবে’ — কাকে ‘ভাষা’র মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন ? তুমি কি এই বক্ত্যব্যের সঙ্গে সহমত ? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ পশুরা শুধু শব্দের সাহায্যে কথা
বলে না, নানা রকম ইশারায়ও কথা বলে। কুকুরের লেজ নাড়া আর, কান নাড়ার মধ্যে কত অর্থ আছে তা আমরা সকলেই বুঝি না। লেখক একেই ভাষার মর্যাদা দিতে বলেছেন।
আমি অবশ্যই একমত, কারণ অনেক সময় ইশারা ভাষার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পশুরা চোখের ভাষা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে। চোখের ইশারার সাহায্যে অনেক কথা বুঝিয়ে পশুদের দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করিয়ে নেওয়া হয়। ইশারাতেও মনের ভাব প্রকাশ করা যায়।
৭.৫ “তাই তারা স্বভাবতই নীরব” — কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের এই স্বভাবগত নীরবতার কারণ কী ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায়চৌধুরী রচিত ‘পশুপাখির ভাষা’ রচনায় বন্য প্রাণীদের কথা বলা হয়েছে।
জঙ্গলের পশুকে সর্বদাই প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হয়। আত্মরক্ষার জন্য তারা স্বভাবতই নীরব। পোষা জন্তুদের মতো তারা নিরাপদ নয়।
৭.৬ “এরা তো মানুষেরই জাতভাই” — কাদের ‘মানুষের জাতভাই’ বলা হয়েছে ? তা সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে তাদের কোন্ পার্থক্যের কথা পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে তা লেখো।
উত্তরঃ শিম্পাঞ্জি, ওরাং, গরিলা এদের মানুষের জাতভাই বলা হয়েছ। এমন বলার কারণ-এদের গঠন, জীবনধারণ পদ্ধতি অনেকটাই মানুষের সাথে মেলে। ভালোবাসা সহানুভূতি প্রভৃতি অনুভূতিগুলি এরা বুঝতে পারে।
কিন্তু মানুষের সাথে বড়ো পার্থক্য হল– মানুষের মতো এরা মনের ভাব প্রকাশ করতে ভাষা ব্যবহার করতে পারে না। এদের ভাষা জ্ঞান নেই। তবে এরা ইশারা বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
৭.৭ তোমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুর ডাক নিয়ে অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ আমার পরিবেশে গোরু, ছাগল,
পাখি, বেড়াল, কুকুর এদের দেখা পাই। গোরু হাম্বা হাম্বা ডাক ছাড়ে। তাদের বাচ্চারা ওই ডাক শুনে ছুটে আসে। বিপদে পড়লে তারা ওই ভাষায় চিৎকার করে মনিবকে ডাকে। ছাগল অ-র-র ডাক শুনলেই ছুটে আসে। মুরগি তি-তি ডাক শুনে আসে। বিড়ালও ম্যাও ম্যাও ডাক ছেড়ে বাচ্চাদের ডাকে, কুকুর তার মনিবদের ডাক শুনে ছুটে আসে।
৭.৮ এমন একটি গল্প লেখো যেখানে পশুপাখিরা মানুষের সঙ্গে মানুষেরই মতো কথাবার্তা বলছে আর তাদের মধ্যে অপরূপ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
উত্তরঃ সেদিন স্বপ্ন দেখছিলাম। আমার
পোষা পাখি, হাঁস-মুরগি, গোরু সবাই মিলে মিটিং করছে। আমার প্রিয় পাখি ময়না সুন্দর গান ধরেছে। হাঁস আর মুরগি খোপ থেকে বেরিয়েছিল মাঠে যাবার জন্য। বলল, আহা ময়না তুমি কি গান ধরেছো, মন একেবারে জুড়িয়ে গেল। হাঁস বলল, গান শুনে মনটা ভালো হয়ে গেল। আজ পুকুরে নেমে প্রচুর গুগলি ধরবো। মুরগি বলল, ভাই ময়না তোমার গলায় এতো সুর তুমিতো মানুষের সমাজে থাকলে বিরাট গায়ক হয়ে যেতে, দিকে দিকে তোমার নাম ছড়িয়ে পড়তো।
আমি বললাম হ্যাঁরে তোরা খাবার খুঁজতে না গিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন ? হাঁস রেগে গিয়ে উত্তর দিল, তুমি মানুষ হতে পারো কিন্তু একেবারে বেরসিক। ময়নার এতো সুন্দর গানের কোনো মর্যাদা দিলে না। সকালে কেমন সবার মন ভালো হয়ে গেল গান শুনে তা কোথায় বাবু প্রশংসা করবে তা না বকতে এলেন।
গোরু গুটি গুটি পায়ে আসছিল; বলল, মালিক আহা ময়নাকে তোমার শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কারটা দেওয়া উচিত। সব পশু একসাথে বলে উঠল, হ্যাঁ-হ্যাঁ। আমি বললাম, ঠিক আছে ময়না তুমি চিন্তা করো না, সামনের মাসে তোমাকে আমি আকাশবাণীতে নিয়ে যাবো, গানের অডিশনের জন্য। ময়না মৃদু হাসি হেসে বলল, ঠিক বলছো তো ? তবে মানুষেরা বেশিরভাগ সময় কথা দিয়ে কথা রাখে না, দেখো সেরকম না হয়। হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে গেল।
৮. পাশের ছবিটি দেখে নিজের ভাষায় পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ এধরনের প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই বাদ দেওয়া হল।
(অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান- ১
১. মুরগিরা যে ডাক শুনে আসে, তা হল-
(ক) সোই সোই (খ) তি-তি (গ) চুই চুই
(ঘ) কুই কুই
উত্তরঃ (খ) তি-তি
২।. মাহুতের ভাষায়’তেরে,মানে হল-
(ক) কাত হও (খ) পিছিয়ে যাও
(গ) সামনে এসো (ঘ)এগিয়ে এসো
উত্তরঃ (ক) কাত হও
৩. মাহুতের ভাষায় ‘ভোরি’ কথাটির অর্থ হল-
(ক) পিছনে যাও (খ) কাত হও
(গ) সাবধান হও (ঘ) উপরে যাও
উত্তরঃ (ক) পিছনে যাও
৪. মাহুতের ভাষায়’বৈঠ,হচ্ছে—
(ক) কাত হও (খ) পিছনে যাও
(গ) বোসো (ঘ) ঘুমাও
উত্তরঃ (গ) বোসো
৫. কুকুরের ঝগড়া আর রাগের শব্দ—
(ক) কেঁউ (খ) ঘেউ (গ) কেঁই (ঘ) মিউ
উত্তরঃ (খ) ঘেউ
৬. রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব ছিলেন-
(ক) খেলোয়াড় (খ) পশুপ্রেমী
(গ) নায়ক (ঘ) গায়ক
উত্তরঃ (খ) পশুপ্রেমী
৭. ক্যাস্টাং সাহেব বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন-
(ক) ত্রিশ বছর (খ) চল্লিশ বছর
(গ) পঞ্চাশ বছর (ঘ) ষাট বছর
উত্তরঃ (খ) চল্লিশ বছর
৮. শ্বেত ভালুক’দেখতে পাওয়া যায়-
(ক) মরুদেশে (খ) মেরুপ্রদেশে
(গ) ভারতবর্ষে (ঘ) জাপানে
উত্তরঃ (খ) মেরুপ্রদেশ
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ)একটি-দুটি বাক্যের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-২
১.‘পশুপাখির ভাষা’ প্রবন্ধে যে বিদেশি সাহেবের কথা বলা হয়েছে,নাম কী ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায়চৌধুরীর রচিত‘পশুপাখির,ভাষা প্রবন্ধে যে বিদেশি সাহেবের কথা বলা হয়েছে,তাঁর নাম রিউবেন ক্যাস্টাং|
২.’আমি পশুর ভাষা বেশ বুঝি।’— এ কথা কে বলেছেন ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায়চৌধুরী রচিত ‘পশুপাখির ভাষা, প্রবন্ধে কথাটি বলেছেন, পশুভাষাবিদ রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব।
৩.রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব মৃত্যুর হাত থেকে কী করে বাঁচতেন ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায় চৌধুরী রচিত ‘পশুপাখির ভাষা প্রবন্ধে রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব পশুদের ভাষা বুঝতেন বলে হিংস্র পশুদের সামনে পড়লেও মৃত্যুর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারতেন।
৪. ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় কত বছর ধরে বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায় চৌধুরী রচিত পশু পাখির ভাষা প্রবন্ধে ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন।
৫. ক্যাস্টাং সাহেবের দুটি বন্ধুর নাম লেখো।
উত্তরঃ ক্যাস্টাং সাহেবের দুটি বন্ধুর নাম হল- শিম্পাঞ্জি ও সিংহ।
৬. কাদের ‘মানুষের জাতভাই’ বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ সুবিনয় রায়চৌধুরীর‘পশুপাখির ভাষা প্রবন্ধে শিম্পাঞ্জি ও ওরাংওটাং-কে ‘মানুষের জাতভাই’ বলা হয়েছে।
৭. ভালুকরা কী করলে সহজে ভাব পাতায় ?
উত্তরঃ ভালুকদের খাবার দিলে তারা সহজেই ভাব পাতায়।
৮.শিম্পাঞ্জি ও ওরাংওটাং কীভাবে মানুষের সঙ্গে ভাব পাতায় ?
উত্তরঃ ভাষার ব্যবহার না করেও ভালোবাসা ও সহানুভূতি দেখালে শিম্পাঞ্জি ও ওরাংওটাং মানুষের সঙ্গে ভাব পাতায়।
৯.গরিলাদের জাতভায়ের নাম কী ?
উত্তরঃ গরিলাদের জাত ভায়ের নাম হল মানুষ।
১০. ‘কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া প্রভৃতি মানুষের দেওয়া নাম শুনলেই কান খাড়া করে।’– এ থেকে কী বোঝা যায় ?
উত্তরঃ বোঝা যায়, এরা বুদ্ধিমান প্রাণী- মানুষের অনেক কথার অর্থ বোঝে।
১১. হাতির প্রতি ব্যবহৃত মাহুতের কিছু কথা ও তার অর্থ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ‘বৈঠ’ অর্থাৎ বসো, ‘তেরে’ অর্থাৎ কাত হও, ‘ভোরি’ অর্থাৎ পিছনে যাও, ‘মাইল’ অর্থাৎ সাবধান।
১২. বেড়ালের সাধারণ আওয়াজ কোনটা আর কোনটা ঝগড়ার আওয়াজ ?
উত্তরঃ বেড়ালের সাধারণ আওয়াজ- ম্যাও বা মিউ। আর রাগ বা ঝগড়ার আওয়াজ- ওয়াও।
১৩. রিউবেন ক্যাস্টং সাহেব কী জন্য স্মরণীয় ?
উত্তরঃ রিউবেন ক্যাস্টং সাহেব পশুদের আওয়াজ আয়ত্ত্ব করেছিলেন আর তাদের সঙ্গে ভাব জমিয়েছিলেন।
১৪. ‘একটি জিনিস প্রত্যেকবারই আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে’— কাকে কোন জিনিসটি মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে ?
উত্তরঃ পশুদের ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান ক্যাস্ট্যাং সাহেবকে বহুবার মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে।
১৫. পোষা না বন্য, কোন ধরনের জন্তুরা বেশি চেঁচামেচি করে ?
উত্তরঃ বন্য জন্তুদের তুলনায় পোষা জন্তুরা বেশি চেঁচামেচি করে।
১৬. পশুদের আওয়াজ নকল করতে পারার সুবিধা কী ?
উত্তরঃ পশুদের আওয়াজ নকল করতে পারার সুবিধা হল– সহজে তাদের সঙ্গে ভাব জমানো যায়।
১৭. ভালুক কেমন স্বভাবের প্রাণী ?
উত্তরঃ ভালুক নিরামিষাশী আর লোভী। তাকে খাবার দিলে সে সহজে ভাব পাতায়।
১৮. কারা কখনও খাবারের লোভে ভাব জমায় না ?
উত্তরঃ আমিষাশী জন্তু কখনও খাবারের লোভে ভাব জমায় না।
১৯. কারা মানুষের জাতভাই ?
উত্তরঃ শিম্পাঞ্জি, ওরাং, গরিলা মানুষের জাতভাই।
👉পরবর্তী পাঠঃ ঘাসফড়িং