সুভা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Subha Golper Question Answer Class 8 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সাহিত্য মেলা
অষ্টম শ্রেণি বাংলা

সুভা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Subha Golper Question Answer Class 8 Bengali wbbse

সুভা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Subha Golper Question Answer Class 8 Bengali wbbse

সুভা গল্পের লেখক পরিচিতি, বিষয়সংক্ষেপ, শব্দার্থ ও টীকা, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Subha Golper Question Answer Class 8 Bengali wbbse

1. অষ্টম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. অষ্টম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

সুভা গল্পের লেখক পরিচিতি , বিষয়সংক্ষেপ, শব্দার্থ ও টীকা, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Subha Golper Question Answer Class 8 Bengali wbbse

সুভা
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লেখক পরিচিতিঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) : জন্ম কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ভারতী ও বালক পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। কথাকাহিনী, সহজপাঠ, রাজর্ষি, ছেলেবেলা, শিশু, শিশু ভোলানাথ, হাস্যকৌতুক, ডাকঘর প্রভৃতি রচনা শিশু ও কিশোর মনকে আলোড়িত করে। দীর্ঘ জীবনে অজস্র কবিতা, গান, ছোটোগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন। ১৯১৩ সালে Song Offerings (গীতাঞ্জলি)-এর জন্য এশিয়ার মধ্যে তিনিই প্রথম নোবেল পুরস্কার পান। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তাঁর রচনা।

সারসংক্ষেপঃ মেয়েটি জন্মাবার সময় বড়ো দুই বোনের সঙ্গে নাম মিলিয়ে তার নাম রাখা হয়েছিল সুভাষিণী। কিন্তু সকলে তাকে আদর করে ডাকত সুভা বলে। যতদিন যায় মেয়েটির কথা না বলে অনুভব করা দেখে সকলে চিন্তায় পড়ে গেল এবং ক্রমশ বোঝা গেল যে মেয়েটি বোবা হয়েই জন্মেছে। তার মা তাকে নিজের ত্রুটি স্বরূপ দেখলেও পিতা বাণীকণ্ঠ কিন্তু মেয়েকে খুবই ভালোবাসত। সুভার কথা ছিল না। সে সকল কিছু অনুভব করত আর তার ঠোঁট নবীন কিশলয়ের মতো কেঁপে উঠত। সুভার সকল অভাব পূরণ করে দিত চণ্ডীপুর গ্রামের প্রকৃতি। সেই গ্রামের নদীর কলধ্বনি, মাঝির গান, পাখির কোলাহলে সে আত্মীয়তা অনুভব করত। তার বন্ধু ছিল তাদের গোয়ালের দুটি গাভী সর্বশী এবং পাঙ্গুলি। সুভার ব্যথা-বেদনা সবই তারা অনুভব করত। একসময় সুভার সাথে গোঁসাইদের ছেলে প্রতাপের পরিচয় হয়। সে তাকে ‘সু’ বলে ডাকত। তার ছিপে মাছ ধরার নিত্যসঙ্গী ছিল এই সুভা। ক্রমশ সুভার বয়স বেড়ে উঠলে কলিকাতায় তার জন্য পাত্র দেখা হয়। অবশেষে পত্রিকা মিলিয়ে শুভলগ্নে সুভার বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই সকলে বুঝতে পারে নববধূ বোবা। ফলস্বরূপ তার জীবনে নেমে আসে ভাগ্যের কুঠারাঘাত। যা অন্তর্যামী ছাড়া সকলের কাছেই অজ্ঞাত থেকে যায়। আর তার স্বামী পরীক্ষা করে ভাষাবিশিষ্ট এক কন্যাকে দেখেশুনে বিবাহ করে আনে।

নামকরণঃ মেয়েটি জন্মাবার সময় তার বড়ো বোনেদের সঙ্গে নাম মিলিয়ে সুভাষিণী রাখা হলো ও তার ডাক নাম সুভা। ক্রমে দেখা গেল যে মেয়েটি বোবা। তার মা তাকে নিজের ত্রুটি স্বরূপ মনে করে অবহেলা করত। কিন্তু তার বাবা তাকে ভালোবাসত। সুভার চোখে ছিল অতল গভীরতা, তাই কেউ তার সাথে খেলত না। কিন্তু তার দুটি বন্ধু ছিল গোয়ালের দুটি গাভী সর্বশী ও পাঙ্গুলি। এরাও ছিল তারই মতো মুক। এছাড়াও গোঁসাইদের কাজকর্মহীন নিতান্ত অকর্মণ্য ছেলে প্রতাপ তাকে ভালোবাসত। কারণ প্রতাপ যে-কোনো কাজে সঙ্গী খুঁজত। আর তাই ছিপ দিয়ে মাছ ধরার মতো কাজে সুভার মতো নির্বাক সঙ্গীই তার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু একদিন প্রতাপের মুখে সুভা জানতে পারল তার কলিকাতায় বিবাহ ঠিক হয়েছে । তাকে এখানের দুই প্রিয় বন্ধুকে ফেলে কলিকাতা যেতে হবে । তার দুঃখের সীমা রইল না। কলিকাতা গিয়ে তার বিবাহ হলো কিন্তু বিবাহের কিছুদিনের মধ্যেই তার স্বামী জানতে পারল যে সুভা বাক্শক্তিহীনা। ফলে সে আবার দেখেশুনে একটা বিয়ে করল। আর এভাবেই দেখা গেল যে গল্পটি শুরু থেকে শেষপর্যন্ত সুভাকে নিয়েই আবর্তিত। সুভার আশা-আকাঙ্খা, বেদনা নিয়ে গল্পটি এক করুণ পরিণতির দিকে এগিয়েছে। তাই এক্ষেত্রে গল্পের চরিত্র অনুসারে নামকরণ সার্থক এবং সুপ্রযুক্ত হয়েছে।

∆ শব্দার্থ ও টীকা

• বোবা— যে কথা বলতে পারে না
• অনুসন্ধান— খোঁজ
• অর্থব্যয়ে— টাকা খরচ করে
• পিতৃগৃহে— বাবার ঘরে
• জাগরুক— সজাগ
• সুদীর্ঘপল্লববিশিষ্ট— বড়ো বড়ো চোখের পাতা আছে যার
• ওষ্ঠাধর— ঠোঁট
• অতলস্পর্শ— যার তল স্পর্শ করতে পারা যায় না
• উদয়াস্ত— সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
• ছায়ালোক— আলোর ছায়া
• নিস্তব্ধ— চুপচাপ
• রঙ্গভূমি— অভিনয় স্থান বলেছেন।
• বিজন— নির্জন
• দ্বিপ্রহর— দুপুরবেলা
• নিরলসা— অলস নয় যে স্ত্রী
• তন্ত্রী— সরু অঙ্গ যার
• আত্মবিস্মৃত— ভুলে যাওয়া
• দ্রুতপদক্ষেপে— তাড়াতাড়ি পা ফেলে
• প্রফুল্লহৃদয়ে— খুশি মনে
• তরুচ্ছায়াঘন— গাছের ছায়াঘন
• মর্মর— শুকনো পাতার খসখস শব্দ
• ঝিল্লিরবপূর্ণ— ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে মুখরিত
• গ্রীবা— গলা
• মধ্যাহ্নে— দুপুর বেলায়
• গন্ডদেশ— গাল
• মূক— যে কথা বলতে পারে না, বোবা
• নিদ্রাকর্ষণের— ঘুম আসার
• অভিপ্রায়— ইচ্ছা
• অকর্মণ্য— যাকে দিয়ে কোনো কাজ হয় না
• অপরাহ্নে— বিকালবেলায়
• অনতিদূরে— কাছে
• মন্ত্রবলে— মন্ত্রের শক্তিতে
• পাতালপুরীর— পাতালে অবস্থিত পুরীর
• অনির্বচনীয়— যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না
• অন্তরাত্মা— হৃদয়, মন
• সুপ্ত: ঘুমন্ত
• একঘরে— একটা সামাজিক প্রথা, ধোপা, নাপিত বন্ধ করে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখা
• মর্মবিদ্ধ— হৃদয় পর্যন্ত বিদ্ধ, হৃদয়কে বিঁধছে যা
• কপোলে— গালে
• শষ্পশয্যায়— ঘাসের বিছানায়
• নেত্রপল্লব— চোখের পাতা
• অব্যক্ত— যা প্রকাশিত নয়
• শুক্তি— ঝিনুক
• পঞ্জিকা— পাঁজি
• নববধূ— নতুন বউ
• কর্ণেন্দ্রিয়ের— কানের

‘হাতে কলমে’ প্রশ্নোত্তর : সুভা গল্প অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Hate Kolome Question Answer Subha Class 8 Bengali wbbse

১.১ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন্ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত লিখতেন ?

উত্তরঃ ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত লিখতেন।

১.২ ভারতের কোন্ প্রতিবেশী দেশে তাঁর লেখা গান ‘জাতীয় সংগীত’ হিসাবে গাওয়া হয় ?

উত্তরঃ ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে তাঁর লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসাবে গাওয়া হয়।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১ সুভার প্রকৃত নাম কী ?

উত্তরঃ সুভার প্রকৃত নাম সুভাষিণী ।

২.২ সুভার বাবা কে ?

উত্তরঃ সুভার বাবা হলেন বাণীকণ্ঠ।

২.৩ সুভা কোন্ গ্রামে বাস করত ?

উত্তরঃ সুভা চণ্ডীপুর গ্রামে বাস করত।

২.৪ গল্পে সুভার কোন্ কোন্ বন্ধুর কথা রয়েছে ?

উত্তরঃ গল্পে সুভার বাড়ির গোয়ালের দুটি গাভী সর্বশী ও পাঙ্গুলি নামে বন্ধুর কথা রয়েছে। এছাড়া গোঁসাইদের ছোটো ছেলে প্রতাপের সঙ্গেও সুভার বন্ধুত্ব ছিল।

২.৫ কে সুভাকে ‘সু’ বলে ডাকত ?

উত্তরঃ গোঁসাইদের ছোটো ছেলে প্রতাপ সুভাকে ‘সু’ বলে ডাকত ।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

৩.১ ‘সে নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন’— সূভা সম্পর্কে এরকম উপমা লেখক ব্যবহার করেছেন কেন ?

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘সুভা’ গল্পের মূল চরিত্র সুভা কথা বলতে পারে না। সকল অভিব্যক্তিতেই তার ঠোঁট নবীন কিশলয়ের মতো কেঁপে উঠত। তার মুখের মধ্যে ছেয়ে থাকত অসীম উদারতা ও গভীরতার অতল স্পর্শ। তাই বালক- বালিকারা একপ্রকার ভয়ে তার সাথে খেলা করত না । দ্বিপ্রহর অর্থাৎ দুপুরবেলায় যেমন পথঘাট নির্জন এবং শব্দহীন হয় সেভাবেই সুভার ভাষা ব্যবহারের অক্ষমতাকে লেখক ‘সে নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন’ এই উপমা ব্যবহার করেছেন ।

৩.২ চণ্ডীপুর গ্রামের বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ চন্ডীপুর গ্রামটি এক তন্বী নদী দিয়ে ঘেরা। নদীটি বাংলাদেশের একটি ছোটো নদী। গৃহস্থ ঘরের মেয়েটির মতো, বহুদূর পর্যন্ত তার প্রসার নয়। গ্রামের দু-ধারের সকলের সঙ্গেই তার একটা না একটা সম্পর্ক আছে। দু-ধারে লোকালয় এবং তরুছায়াঘন উচ্চতট, নিম্নতল দিয়ে গ্রামলক্ষ্মী স্রোতস্বিনী আত্মবিস্মৃত দ্রুত পদক্ষেপে প্রফুল্ল হৃদয়ে আপনার অসংখ্য কল্যাণকর্ম করে চলেছে। সুভার বাবা কালীপ্রসন্ন চণ্ডীপুর গ্রামেই বাস করতেন।

৩.৩ সুভার সঙ্গে সর্বশী ও পাঙ্গুলির সম্পর্ক কী রকম ছিল ?

উত্তরঃ ছােটোগল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপূর্ব সৃষ্টি ‘সুভা’ গল্পে মূক মেয়ে সুভার নিজস্ব পৃথিবী একেবারে নিস্তব্ধ ছিল না। তার অত্যন্ত কাছের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল গােয়ালের দুটি গাভি-সর্বশী ও পাঙ্গলি। এই নাম তারা বালিকার মুখে না-শুনলেও চেতনা দিয়ে অনুভব করত। বালিকার পদশব্দ, তার স্নেহ, আদর, শাসন, তার হৃদয়ের ভাব-ভাষা সাধারণ মানুষের। থেকেও তারা ভালাে বুঝত। সুভা প্রতিদিন তাদের কাছে দুই-তিন বার আসত। মা যেমন সন্তানকে স্নেহ করে, তার কঠিন সময়ে তাকে সান্ত্বনা দেয়, তেমনই এই মূক প্রাণীদুটিও সুভার মনখারাপের দিনে তার মর্মবেদনা বুঝে তার কাছে এসে সুভা বাহুতে শিং ঘষতে ঘষতে সুভাকে নির্বাক ব্যাকুলতার সঙ্গে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করত।

৩.৪ ‘এইজন্য প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝিত’— প্রতাপের কাছে সুভা কীভাবে মর্যাদা পেত, তা গল্প অবলম্বনে লেখো।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’ গল্পের উদ্ধৃতাংশে গোঁসাইদের ছােটো ছেলে প্রতাপ পিতামাতার কাছে, সাংসারিক কাজে নিতান্ত অকর্মণ্য বলে গণ্য হত। তার প্রধান শখ ছিল, ছিপ ফেলে মাছ ধরা। এই কাজে অনেকটা সময় সে সহজে ব্যয় করত এবং তাকে প্রায়ই নদীতীরে ছিপ হাতে দেখা যেত। যে-কোনাে কাজে একটি সঙ্গী পেলে প্রতাপ-এর ভালাে লাগত। মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপ্রেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ ছাড়াও, সুভা প্রায়ই নদীতীরে এসে প্রতাপের জন্য একটি করে পান নিজে হাতে তৈরি করে দিত এবং তার মাছ ধরার সঙ্গী হত। সেইজন্য প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত।

৩.৫ ‘তাহাদের জাতি ও পরকাল রক্ষা হইল’– কাদের সম্পর্কে এ কথা লেখক বলেছেন ? তাঁর এরূপ মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ ছােটোগল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সুভা’ গল্পের প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে সুভাষিণী বা সুভার পিতা ও মাতা সম্পর্কে লেখক আলােচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

ভারতবর্ষের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। নারীরা সেখানে উপেক্ষিত, বঞ্চিত। বহু যুগ আগে থেকে এই সমাজ নানাবিধ কুসংস্কার দ্বারা আচ্ছন্ন। অল্পবয়সে কন্যাকে পাত্রস্থ করার রীতি এখানে প্রচলিত। কোনাে কারণে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা যদি তার কন্যাকে পাত্রস্থ করে দায়িত্বমুক্ত হতে না পারত, তাহলে তার সমাজচ্যুত হওয়ার ভয় থাকত। আলােচ্য গল্পে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা বাণীকণ্ঠ তাঁর মূক মেয়ে সুভাকে যৌবনপ্রাপ্ত অবস্থায়ও বিবাহ দিতে না-পারায় একঘরে হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে কলকাতায় গিয়ে তাকে বিবাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। নিজেদের জাতিগত ঐতিহ্য, সমাজকে রক্ষা করতে ও পরকাল সুনিশ্চিত করতে কন্যার অক্ষমতার কথা না-জানিয়ে তাকে এক পাত্রের সঙ্গে তাঁরা বিবাহ দিলেন। কন্যা যে বােবা, তা জানালে হয়তাে সারাজীবন তার বিবাহ দেওয়া সম্ভব হবে না, সেইজন্য তাঁরা সুভার অক্ষমতার কথা পাত্রকে জানালেন না। ফলে বিবাহের কিছুদিন পরে সে চিরতরের জন্য স্বামী ও সংসারসুখ থেকে বঞ্চিত হল। সমাজের এই নির্মম প্রথার যূপকাষ্ঠে হৃদয়হীন পিতা বাণীকণ্ঠ ও তার স্ত্রী তাদের কন্যাসন্তানটিকে বলি দিলেন। বিনিময়ে তাদের সামাজিক মর্যাদা ও পরকাল রক্ষা পেল।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৪.১ ‘প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পুরণ করিয়া দেয়’— মানুষের ভাষার অভাব কীভাবে প্রকৃতি পূরণ করতে পারে তা আলোচনা করো।

উত্তরঃ যেকোনো মানুষই প্রকৃতির অনুশাসন দ্বারা পরিচালিত। আর সুভা একটি বোবা মেয়ে। তার সঙ্গে প্রকৃতির যে একটি বিশেষ সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে সে তার সমস্ত ব্যথা-বেদনা প্রকৃতির সঙ্গে ভাগ করে নেয়। কারণ প্রকৃতি নিজে কথা বলে না। বোবা হওয়ার কারণে প্রকৃতির ইঙ্গিত, ভঙ্গি ভাষার সাথেই সুভা একাত্মতা স্থাপিত হয়। আর এভাবেই মানুষের ভাষার অভাব প্রকৃতি পূরণ করে দেয়।

পাঁচ নম্বরের প্রশ্ন থাকলে নিচের উত্তরটি লিখবে—

শব্দের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে প্রকাশ করতে উন্মুখ। নিজেকে ব্যক্ত করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই ভাষার উৎপত্তি। কিন্তু প্রতিটি ভাষারই একটি সীমাবদ্ধতা আছে। হৃদয়ের অনুভূতিকে সে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু প্রকৃতির বহুবিধ রূপ। তাই, যারা বাকযন্ত্রের দুর্বলতার কারণে মূক, প্রকৃতি যেন তাদের হয়ে কথা বলে। আলােচ্য গল্পে সুভার হৃদয়ের আনন্দ, বেদনা, দুঃখ সব কিছুকে প্রকৃতি বিচিত্র সুরে প্রকাশ করে। নদীর কলধ্বনি, মাঝির গান, পাখির ডাক, তরুর মর্মর সমস্ত মিশে চারিদিকের চলাফেরা, আন্দোলন, কম্পনের সঙ্গে এক হয়ে সমুদ্রের তরঙ্গরাশির মতাে বালিকার চিরনিস্তব্ধ হৃদয়তটের কাছে এসে ভেঙে পড়ে। বড়াে বড়াে চক্ষুপল্লববিশিষ্ট সুভার চোখের ভাষা, মুখের ভাব, প্রকৃতির এই বিবিধ শব্দ এবং বিচিত্র গতির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ঝিল্লিরবপূর্ণ পুণ্যভূমি থেকে শব্দাতীত নক্ষত্রলােক পর্যন্ত কেবল ইঙ্গিত, ভঙ্গি, সংগীত, ক্রন্দন এবং দীর্ঘনিশ্বাস আসলে সুভার প্রকৃতিকেই স্মরণ করায়। প্রকৃতি এভাবেই সুভার ভাষার অভাব পূরণ করতে পারে।

৪.২ সুভার সঙ্গে মনুষ্যেতর প্রাণীর বন্ধুত্ব কেমন ছিল তা লেখো।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সুভা’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুভা আজন্ম বােবা, কথা বলতে অক্ষম। আলােচ্য গল্পে দেখা যায়, সুভার সঙ্গে তাদের গােয়ালের দুটি গাভি-সর্বশী ও পাঙ্গুলির একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সুভার পায়ের শব্দ এই মনুষ্যেতর প্রাণীদুটির অত্যন্ত পরিচিত। সুভার অন্তর্বেদনা তারা ভাষার থেকে ভালাে বুঝত। সুভা কখন তাদের আদর। করছে, ভর্ৎসনা করছে, তা তারা মানুষের চেয়ে বেশি। বুঝত। সে দিনের মধ্যে নিয়মিত তিনবার গােয়ালঘরে যেত, এ ছাড়া তার অনিয়মিত যাতায়াতও ছিল। সুভা গােয়ালে ঢুকে দুই বাহু দিয়ে সর্বশীর গলা জড়িয়ে ধরে নিজের গাল তার কানের কাছে ঘষত এবং পাঙ্গুলি স্নিগ্ধদৃষ্টিতে তার প্রতি নিরীক্ষণ করে তার গা চাটত। সুভা যেদিন বাড়িতে কঠিন কথা শুনত, সেদিন সে অসময়ে তার এই মূক বন্ধু দুটির কাছে আসত। সুভার সহিষ্ণুতা পরিপূর্ণ শান্ত দৃষ্টিপাত থেকে তারা এই বালিকার মর্মবেদনা উপলদ্ধি করে তার বাহুতে শিং ঘষে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করত। কলকাতা যাওয়ার পূর্ব দিনে সে তার এই দুটি বাল্যসখীদের কাছ থেকে বিদায় নিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিল।

এরা ছাড়াও ছাগল এবং বিড়ালশাবকের সঙ্গেও সুভার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা সুভার প্রতি যথেষ্ট আনুগত্য প্রকাশ করত। বিড়ালশিশুটি দিন ও রাত্রে যখন তখন সুভার গরম কোলে এসে ঘুমােত এবং সুভা তার ঘাড় ও পিঠে নরম আঙুল বুলিয়ে তার সুখনিদ্রায় সাহায্য করত।

৪.৩ শুক্লা দ্বাদশীর রাত্রিতে সুভার মনের অবস্থা কেমন ছিল ? তার মনের অবস্থা এরকম হওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ গল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সুভা’ গল্পের উদ্ধৃত প্রশ্নাংশে শুক্লাপক্ষের দ্বাদশ রাত্রিতে সুভা অত্যন্ত বিষন্ন ছিল।

কারণ, সুভা জানত বিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। তার প্রিয় গ্রাম, অতি প্রিয় মূক পশুদ্বয় এবং প্রতাপকে ছেড়ে সে অন্য প্রকৃতি ও অপরিচিত মানুষদের মধ্যে থাকতে পারবে । শুক্লা দ্বাদশীর রাত্রিতে চিরদিনের জন্য গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার শঙ্কায়, বিরহব্যথাতুর সুভা শয়নগৃহ থেকে বেরিয়ে তার চিরপরিচিত নদীতটে ঘাসের বিছানায় লুটিয়ে পড়েছিল। যেন সে এই ধরণিকে দু-বাহু দিয়ে তাকে ধরে রাখার জন্য কাতর মিনতি জানাচ্ছে। আসলে এখানে সে দুঃখকষ্ট পেলেও তার পিতার স্নেহ, দুই মূক গাভির অন্তরঙ্গ বন্ধুর ন্যায় আচরণ, প্রতাপের সান্নিধ্য তার সমস্ত দুঃখকে প্রশমিত করে দেয়। কিন্তু এই ভাষাহীন বােবা মেয়েটিকে বাইরের কেউ বুঝবে না বা বুঝতে চাইবে না। তার আবাল্যপরিচিত নদী, নদীতটের সেই তেঁতুলতলা এবং প্রিয় মানুষদের ছেড়ে চলে যাওয়ার দুঃখে সে তাই ব্যথিত ও তার হৃদয় ভারাক্রান্ত ছিল ছিল।

৪.৪ গল্পের একেবারে শেষ বাক্যটি গল্পের ক্ষেত্রে কতখানি প্রয়োজন আলোচনা করো।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সুভা’ গল্পের একেবারে শেষ বাক্যাটি হলো ‘এবার তাহার স্বামী চক্ষু এবং কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা পরীক্ষা করিয়া এক ভাষা বিশিষ্ট কন্যা বিবাহ করিয়া আনিল।’ ‘সুভা’ গল্পে বোবা মেয়ে সুভার জীবনের অনিশ্চয়তার কথা না ভেবে নিজেদের জাতি ও পরকাল রক্ষার জন্য পাত্রপক্ষকে লুকিয়ে সুভার বাবা বাণীকণ্ঠ তার বিয়ে দেন। তাঁরা বোঝার চেষ্টাই করলেন না যে কথা বলতে না পারার অক্ষমতার কথা না জানালে সুভার জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে। আসলে লেখক শেষের এই বাক্যটির মাধ্যমে আমাদের সমাজকে ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপ করেছেন। কারণ আমাদের সমাজ অনুশাসন অনুযায়ী পাত্র মেয়ে তথা পাত্রীকে চক্ষু কর্ণের দ্বারা পরীক্ষা করেই তবে বিবাহ করেন। কিন্তু সুভা কথা বলতে না পারায় তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় দেওয়া হয়। তাই সমাজের অবস্থা বোঝাতে বাক্যটির প্রয়োজন অনিবার্য ছিল। শেষ বাক্যটির মধ্যে দিয়ে লেখক সুভার স্বামীর মানসিকতাকে কটাক্ষ করেছেন এবং এতে পাঠকের কাছে সুভার জীবনের করুণ পরিণতির এক ভবিষ্যত চিত্রও তুলে ধরেছেন। এই কারণেই গল্পের শেষ বাক্যটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে এনেছে।

৪.৫ মানুষ ও মনুষ্যেতর প্রাণীর বন্ধুত্ব নিয়ে আরো দু-একটি গল্পের নাম লেখো এবং ‘সুভা’ গল্পটির সঙ্গে তুলনা করো।

উত্তরঃ মানুষ ও মনুষ্যতর প্রাণীর বন্ধুত্ব নিয়ে আরো দুটি গল্প হলো শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘মহেশ’ এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘আদরিনী’।

মহেশ ও আদরিণী গল্পে মনুষ্যেতর প্রাণীর বন্ধুত্ব, ও ভালোবাসার কাহিনি বর্ণিত হলেও সুভা গল্পের প্রধান চরিত্র সুভা ছিল মানুষ। এই গল্পে সুভা মনুষ্যেতর প্রাণীদের ভালোবেসে তার বেদনার প্রকাশ ও ভাব বিনিময় করেছে। মনুষ্যেতর প্রাণীগুলির চরিত্র গল্পে প্রাধান্য পায়নি।

**বেশি নম্বরের প্রশ্ন থাকলে নিচের উত্তরটি লিখবে—

মানুষ ও মনুষ্যেতর প্রাণীর বন্ধুত্ব নিয়ে লিখিত দুটি গল্প হল কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘মহেশ’ ও প্রভাতকুমার মুখােপাধ্যায় রচিত ‘আদরিণী।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহেশ’ এক অনন্য সৃষ্টি। ‘মহেশ’ গল্পে গফুর এক দরিদ্র মুসলমান কৃষক। সে তার পােষ্য মহেশের খাদ্যসংগ্রহের জন্য নিজের ঘরের থালাবাসন পর্যন্ত দোকানে জমা রাখে । তার গৃহে চালের খড় খসে পড়লেও মহেশের খাদ্যের খড় সংগ্রহ করতে না-পারলে খড়ের ঘরের চালের পুরােনাে শুকনাে খড় তাকে খেতে দেয়। আবার গফুর মহেশের জন্য খাদ্যসংগ্রহের ব্যর্থতা নিয়ে যখন তাকে আদর করে বা সমস্ত কিছু জানায়, তখন মহেশ তার শিং নাড়িয়ে, চোখ বুজিয়ে গফুরের সমব্যথী হয়। অনুরূপভাবে, আলােচ্য ‘সুভা’ গল্পেও সুভা তার মূক বন্ধু সর্বশী ও পাঙ্গুলিকে প্রতিনিয়ত তিনবার করে দেখে বা পরিচর্যা করে আসত।
সে গােয়ালে ঢুকে সর্বশীর গ্রীবা বেষ্টন করে তার কানের কাছে নিজের গাল ঘর্ষণ করত। সুভার পদশব্দ, তার আদর বা ভৎসনা সবটাই তাদের পরিচিত ছিল। যেদিন সুভা তার বাড়িতে কঠিন কথা শুনত, সেদিন অসময়ে সে এই মূক বন্ধু দুটির কাছে আসত। তারা সুভার বাহুতে শিং ঘষে নির্বাক ব্যাকুলতার সঙ্গে তার মর্মবেদনা, তার দুঃখের সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করত। সুতরাং, ‘মহেশ’ গল্পে মহেশের সঙ্গে গফুরের যে হৃদ্যতার সম্পর্ক, সেইরকম সম্পর্কই আলােচ্য গল্পে সুভার সঙ্গে সর্বশী ও পাগুলির মধ্যে দৃষ্ট হয়।

৫. নীচের বাক্যগুলিতে কর্তা-খণ্ড ও ক্রিয়া- খণ্ডে ভাগ করে দেখাও :

৫.১ সে নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন ও এবং সঙ্গহীন।

উত্তরঃ

কর্তা-খণ্ড— সে।

ক্রিয়া-খণ্ড— নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন ও এবং সঙ্গীহীন।

৫.২ সে যে কাজকর্ম করিয়া সংসারের উন্নতি করিতে যত্ন করিবে, বহু চেষ্টার পর বাপ-মা সে আশা ত্যাগ করিয়াছেন ।

উত্তরঃ

কর্তা-খণ্ড— সে।

ক্রিয়া-খণ্ড— বাপ-মা যে কাজকর্ম করিয়া সংসারের উন্নতি করিতে যত্ন করিবে। বহু চেষ্টার পর সে আশা ত্যাগ করিয়াছিল।

৫.৩ এই বাক্যহীন মনুষ্যের মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতো একটা বিজন মহত্ত্ব আছে ।

উত্তরঃ

কর্তা-খণ্ড— এই বাক্যহীন মনুষ্যের।

ক্রিয়া-খণ্ড— মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতো একটা বিজন মহত্ব আছে।

৬. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করোঃ

৬.১ সুভা তেঁতুলতলায় বসিয়া থাকিত এবং প্রতাপ অনতিদূরে মাটিতে ছিপ ফেলিয়া জলের দিকে চাহিয়া থাকিত। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যখন সুভা তেঁতুলতলায় বসিয়া থাকিত তখন প্রতাপ অনতিদূরে মাটিতে ছিপ ফেলিয়া জলের দিকে চাহিয়া থাকিত।

৬.২ বাণীকণ্ঠ নিদ্রা হইতে উঠিয়া শরনগৃহে তামাক খাইতেছিল। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদিও বাণীকণ্ঠ নিদ্রা হইতে উঠিয়াছিল তবুও শয়নগৃহে তামাক খাইতেছিল।

৬.৩ বাণীকন্ঠের ঘর একেবারে নদীর উপরেই। তাহার বাখারির বেড়া, আটচালা, গোয়ালঘর, ঢেঁকিশালা, খড়ের স্তূপ, তেঁতুলতলা, আম, কাঁঠাল এবং কলার বাগান নৌকোবাহী মাত্রেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। (একটি জটিল বাক্যে পরিণত করো)

উত্তরঃ যদিও বাণীকন্ঠের ঘর একেবারে নদীর উপরেই তবুও তাহার বাখারির বেড়া, আটচালা, গোয়ালঘর, ঢেঁকিশালা, খড়ের স্তূপ, তেঁতুলতলা, আম, কাঁঠাল এবং কলার বাগান নৌকোবাহী মাত্রেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

৬.৪ প্রকৃতি যেন তাহার ভাষা অভাব পূরণ করিয়া দেয়। যেন তাহার হইয়া কথা কয়। (একটি সরল বাক্যে পরিণত করো )

উত্তরঃ প্রকৃতি তার হয়ে কথা বলে তার ভাষার অভাব পূরণ করে দেয়।

৭. শূন্যস্থান পূরণ করো :

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : সুভা গল্প অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Extra Question Answer Subha Class 8 Bengali wbbse

• ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

১. সুভার প্রকৃত নাম ছিল- (সুকেশিনী / সুহাসিনী / সুভাষিণী / সুনয়নী)।

উত্তরঃ সুভাষিণী।

২. সুভার বড়ো বোন ছিল- (একজন / দুজন / তিনজন / চারজন)।

উত্তরঃ দুজন।

৩. সুভার বাবার নাম- (বাণী বসু / বাণীকণ্ঠ
/ বাণীব্রত / দেবব্রত)।

উত্তরঃ বাণীকণ্ঠ

৪. সুভাকে বেশি ভালোবাসতেন- (বাণীকণ্ঠ / সুভার মা / দুই বোন / শাশুড়ি)।

উত্তরঃ বাণীকণ্ঠ।

৫. সুভার গ্রামের নাম- (বনগাঁ / সুতানুটি
/ তেহট্ট / চণ্ডীপুর)।

উত্তরঃ চণ্ডীপুর।

৬. সুভার অন্তরঙ্গ বন্ধু- (সর্বশী / পাঙ্গুলি / সর্বশ্রী ও পাঙ্গুলি / সর্বশী ও পাঙ্গুলি)।

উত্তরঃ সর্বশ্রী ও পাঙ্গুলি

৭. ছিপ ফেলে মাছ ধরার শখ ছিল— (হরি মশায়ের / প্রতাপের / বাণী কণ্ঠের / সুভার)।

উত্তরঃ প্রতাপের

৮. গোসাইদের ছোট ছেলের নাম— (কমল / সমর / প্রতাপ / বিমল)।

উত্তরঃ প্রতাপ।

৯. বিয়ে দেওয়ার জন্য সুভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল— (কলকাতা / বর্ধমান / নবদ্বীপ / শিলিগুড়ি)।

উত্তরঃ কলকাতা।

১০. নববধূ বোবা তা জানাজানি হয়েছিল— (একদিন / এক সপ্তাহ / এক মাস /এক বছর)।

উত্তরঃ এক সপ্তাহ

১১. প্রতাপ সুভাকে ডাকত– (সু / সুভা / সুভাষিনী / সুনয়নী) বলে।

উত্তরঃ সু

Leave a Reply