তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর MCQ, SAQ | Telenapota Abiskar Golper Question Answer [WBCHSE]

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

তেলেনাপোতা আবিষ্কার 

                  —প্রেমেন্দ্র মিত্র
লেখক পরিচয়ঃ ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পটি প্রেমেন্দ্র মিত্রের (১৯০৪- ১৯৮৮) লেখা। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রোত্তর যুগের স্বনামধন্য সাহিত্যিক। তিনি একাধারে কবি, ছোটোগল্পকার এবং ঔপন্যাসিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল ‘প্ৰথমা’, ‘সম্রাট’, ‘ফেরারি ফৌজ’, ‘সাগর থেকে ফেরা’ প্রভৃতি। তিনি একাডেমী পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।
বিষয় সংক্ষেপঃ প্রথমবার গল্পটি পড়লে একটু খটকা লাগতে পারে। খটকা লাগার কারণ, এই গল্পের বিস্তার অন্যান্য গল্পের মতো নয়। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাই যেন ধোঁয়াশায় ঢাকা। আবার, গল্পের মূল চরিত্রের কী নাম সেটাও উল্লেখ নেই। এইজন্য ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে গল্পের নির্যাসটুকু তুলে ধরা হল। তবে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে মূল গল্পটিও পড়ে নেওয়া দরকার ।এবার মূল গল্পে আসা যাক । কলকাতা থেকে তিনজন যুবক তেলেনাপোতা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তিনজনের মধ্যে একজন মনিদা, যার দেশের বাড়ি এই তেলেনাপোতা গ্ৰাম । বহুকাল আগে ম্যালেরিয়া-মহামারীতে এই গ্রামটি শ্মশানে পরিণত হয়েছিল। অনেকেই গ্রাম ছেড়ে শহরে বসবাস শুরু করেছিল। মনিদাও তাদের একজন। বাকি দু’জনের নাম গল্পে উল্লেখ নেই। এদের একজন গল্পের মূল চরিত্র যার নেশা মাছ ধরা এবং মনিদার মুখে তেলেনাপোতার সহজ-সরল মাছের কথা শুনে মাছ ধরার লোভে তার তেলেনাপোতায় আসা। তৃতীয়জন পানরসিক বন্ধু অর্থাৎ নেহাত মদ্যপান করাই তার উদ্দেশ্য।
শহর কলকাতা থেকে তেলেনাপোতা
যাওয়ার যাত্রাপথটি লেখক সুন্দরভাবে বর্ননা দিয়েছেন। ভ্যাপসানি গরম, ঘন অন্ধকার পরিবেশ আর মশার কলরব- সব মিশিয়ে অদ্ভুত এক যাত্রাপথ। রাতের অন্ধকারে একটি গরুর গাড়ি চেপে তারা তেলেনাপোতায় উপস্থিত হয়। রাত্রির অন্ধকারে মৃত নগরীর মতো নিস্তরঙ্গ তেলেনাপোতা গ্রাম। বাকি দুজন ঘুমিয়ে পড়লেও গল্পের প্রধান চরিত্র অর্থাৎ শৌখিন-মাছশিকারী সেই বন্ধুটি ছাদে চলে যায়। সেখান থেকে তার চোখে পড়ে পাশের বাড়ির জানালায় দাঁড়িয়ে একটি নারীমূর্তি। পরদিন সকালে মাছ ধরতে গিয়ে আবার তার দেখা পাওয়া যায়- কোমলে-কঠিনে মেশানো অপুর্ব এক নারী। এদিকে অনেক চেষ্টা করেও যখন সে কোনো মাছ পেলনা তখন হতাশ হয়ে ফিরে আসে এবং জানতে পারে সেই মেয়েটির নাম যামিনী আর তাদের দুপুরের খাওয়া-দাওয়া আজ যামিনীদের বাড়িতেই হবে।
যামিনীদের বাড়িতে গিয়ে এই বন্ধুটি (অর্থাৎ গল্পের প্রধান চরিত্রটি) জানতে পারে যে নিরঞ্জন নামে এক যুবক যামিনীকে বিয়ে করার কথা দিয়ে আর ফিরে আসেনি। যামিনী সেটা মেনে নিয়েছে কিন্তু যামিনীর পঙ্গু মা এখনো এই আশায় দিন গুনে চলেছে যে নিরঞ্জন এসে যামিনীকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে। মনিদার সঙ্গে দুজন যুবক এসেছে শুনে যামিনীর মায়ের ধারণা হয়েছে যে নিরঞ্জন ফিরে এসেছে আর তাই যামিনির মা মনিদার সাথে দেখা করতে যায়। মনিদা বুড়ির এমন আবদার শুনে বিরক্ত হয়। এমন সময় মৎস্য-শিকারি সেই বন্ধুটি আবেগবশত মনিদার সঙ্গে যায় যামিনির মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এবং সেখানে গিয়ে নিজেকে নিরঞ্জন বলে পরিচয় দেয়। যামিনির মাকে সে এই প্রতিশ্রুতিও দেয় যে সে যামিনীকে বিয়ে করবেই।
মাছ-শিকারী সেই বন্ধুটি তেলেনাপোতা থেকে ফেরার সময় নিজের মাছ ধরার সরঞ্জাম রেখে দিয়ে যায়। কদিন পরেই তো সে আবার তেলেনাপোতা এসে যামিনীকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে- এমনটাই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সে কলকাতায় ফিরে ম্যালেরিয়ার কবলে পড়ে। অনেকদিন পর যখন সে সুস্থ হল তখন কোথায় বা যামিনী আর কোথায় বা তেলেনাপোতা! সবই ঝাপসা স্মৃতির মতো আস্তে আস্তে মন থেকে সরে যেতে থাকে। আর যামিনী?? সবটা বুঝতে হলে গল্পটা পড়তেই হবে।
• ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে : প্রশ্নের মান-১
১. তেলেনাপোতায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতের দিনে থার্মোমিটারের পারা দেহের তাপমাত্রা জানাবে—
(ক) একশো দুই ডিগ্রি (খ) একশো চার ডিগ্রি
(গ) একশো তিন ডিগ্রি (ঘ) একশো পাঁচ ডিগ্রি
উত্তরঃ (ঘ) একশো পাঁচ ডিগ্রি।
২. তেলেনাপোতা আবিষ্কার করতে জিনিসে মানুষে ঠাসাঠাসি বাসে ওঠার কতক্ষণ পরে আচমকা নেমে পড়তে হবে ?
(ক) পাঁচ ঘণ্টা (খ) তিন ঘণ্টা (গ) চার ঘণ্টা
(ঘ) দু’ঘণ্টা
উত্তরঃ (ঘ) দু’ঘণ্টা।
৩. গোরুর গাড়ির ক্ষুদ্র সংস্করণটি কোন্ দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে মনে হবে ?
(ক) চাঁদের দেশ থেকে (খ) বামনের দেশ থেকে
(গ) তাসের দেশ থেকে (ঘ) শীতের দেশ থেকে
উত্তরঃ (খ) বামনের দেশ থেকে।
৪. তেলেনাপোতা আবিষ্কারের জন্য তোমার দুই বন্ধুর হওয়া দরকার—
(ক) পানরসিক কুম্ভকর্ণের মতো নিদ্রাবিলাসী
(খ) লেখক (গ) প্রকৃতি প্রেমিক
(ঘ) ভ্রমণবিলাসী
উত্তরঃ (ক) পানরসিক কুম্ভকর্ণের মতো নিদ্রাবিলাসী
৫. যামিনীর মা যার সঙ্গে যামিনীর বিয়ে ঠিক করেছিল–
(ক) নিরঞ্জনের সঙ্গে (খ) কবির সঙ্গে
(গ) মণির সঙ্গে (ঘ) মহিমের সঙ্গে
উত্তরঃ (ক) নিরঞ্জনের সঙ্গে 
৬. কলকাতা ফিরে তেলেনাপোতার স্মৃতিকে মনে হবে—
(ক) অবাস্তব কুয়াশার কল্পনামাত্র (খ) স্বপ্ন
(গ) কলকাতার বাইরের এক জগৎ (ঘ) স্বৰ্গ
উত্তরঃ (ক) অবাস্তব কুয়াশার কল্পনামাত্র।
৭. ‘কে যেন কান্না নিংড়ে নিংড়ে বার .. করছে’— গল্পে ব্যবহৃত শূন্যস্থানের শব্দটি হলো—
(ক) অমানবিক (খ) অমানুষিক
(গ) অতি মানবিক (ঘ) পাশবিক
উত্তরঃ (খ) অমানুষিক।
৮. ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ কোন গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত ?
(ক) বেনামী বন্দর (খ) অফুরন্ত
(গ) মুক্তিকা (ঘ) কুড়িয়ে ছড়িয়ে
উত্তরঃ (ঘ) কুড়িয়ে ছড়িয়ে
৯. প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন গোষ্ঠীর লেখক ?
(ক) বিদ্রোহী (খ) কল্লোল (গ) কালি-কলম
(ঘ) যুগান্তর
উত্তরঃ (খ) কল্লোল।
১০. যামিনীর মা কী পণ করেছেন ?
(ক) তিনি কিছুই খাবেন না
(খ) তিনি কিছুতেই কথা বলবেন না ।
(গ) কখনো হাসবেন না
(ঘ) তিনি কিছুতেই মরবেন না
উত্তরঃ (ঘ) তিনি কিছুতেই মরবেন না।
১১. কার ডাকে আনমনা হয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে ?
(ক) উদাস ঘুঘুর (খ) কোকিলের (গ) ঘুঘুর
(ঘ) কাকের
উত্তরঃ (ক) উদাস ঘুঘুর।
১২. গল্পকথকের তেলেনাপোতায় আগমণের উদ্দেশ্য কী ছিল ?
(ক) মৎস্যশিকার (খ) ভ্ৰমণ
(গ) মনিদার আতিথেয়তা গ্রহণ
(ঘ) উপরের সবকটি
উত্তরঃ (ক) মৎস্যশিকার।
১৩. গোরুর গাড়ির গাড়োয়ান উৎসাহের সঙ্গে কী বাজাচ্ছিল ? (২০১৮)
(ক) মাদল (খ) খোল করতাল (গ) তবলা
(ঘ) ক্যানেস্তারা
উত্তরঃ (ঘ) ক্যানেস্তারা।
১৪. ‘বসে আছেন কেন ? টান দিন।’— উক্তিটির বক্তা (একাদশ বার্ষিক ২০১৮)
(ক) যামিনী (খ) মণি (গ) কথক (ঘ) নিরঞ্জন
উত্তরঃ (ক) যামিনী।
১৫. “আমি তোমায় কথা দিচ্ছি মাসি-মা”— বক্তা কী কথা দিয়েছিল ?
(ক) নিরঞ্জন ফিরে আসবে
(খ) সে যামিনীকে বিয়ে করবে
(গ) সে তেলেনাপোতায় ফিরে আসবে
(ঘ) সে আর পালাবে না
উত্তরঃ (খ) সে যামিনীকে বিয়ে করবে।
১৬. নিরঞ্জন যামিনীর মায়ের কে হয় ?
(ক) নিকট আত্মীয় (খ) দূর সম্পর্কের বোনপো
(গ) দূর সম্পর্কের ভাইপো (ঘ) ছেলে
উত্তরঃ (খ) দূর সম্পর্কের বোনপো।
১৭. যামিনীর মা তেলেনাপোতাকে বলেছে— (বার্ষিক পরীক্ষা ২০১৭)
(ক) মৃত্যুপুরী (খ) পাতালপুরী (গ) প্রেতপুরী (ঘ) স্বর্গপুরী
উত্তরঃ (গ) প্রেতপুরী।
১৮ “…প্রায় ঘরজোড়া একটি ভাঙা তক্তপোশে ছিন্ন-কন্থা জড়িত একটি শীর্ণ কঙ্কালসার মূর্তি শুয়ে আছে।”-‘ছিন্ন-কন্থা’র অর্থ হলো— (বার্ষিক পরীক্ষা ২০১৪)
(ক) ছেঁড়া কম্বল (খ) ছেঁড়া কাঁথা
(গ) ছেঁড়া লেপ (ঘ) এদের কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) ছেঁড়া কাঁথা।
১৯. কলকাতায় ফিরে যাবার সময় তেলেনাপোতায় লেখকের কী রয়ে গিয়েছিল ?
(ক) ছাতা (খ) ঘড়ি (গ) মাছ ধরার সরঞ্জাম
(ঘ) টাকা
উত্তরঃ (গ) মাছ ধরার সরঞ্জাম।
২০. মাছ ধরতে গেলে লেখককে উপহাস করেছিল—
(ক) ফড়িং (খ) ঘুঘুৎ(গ) যামিনী (ঘ) মাছ রাঙা
উত্তরঃ (ঘ) মাছ রাঙা।
২১. তেলেনাপোতা আবিষ্কার কতদিন ছুটি পেলে হবে ? (২০১৯)
(ক) চার দিন (খ) তিন দিন (গ) দুই দিন
(ঘ) এক দিন
উত্তরঃ (গ) দুইদিন।
২২. যামিনী হল মণিদার—
(ক) জ্ঞাতিস্থানীয় বোন (খ) নিজের বোন
(গ) মাসতুতো বোন (ঘ) খুড়তুতো বোন
উত্তরঃ (ক) জ্ঞাতিস্থানীয় বোন।
২৩. কথকের মতে তেলেনাপোতা আবিষ্কার করার জন্য কতজন বন্ধু ও সঙ্গী থাকা উচিত ?
(ক) দু-জন (খ) তিন জন (গ) চার জন
(ঘ) পাঁচ জন
উত্তরঃ (ক) দুজন।
২৪. মহানগরী থেকে তেলেনাপোতার সম্ভাব্য দূরত্ব— (একাদশ বার্ষিক পরীক্ষা ২০১৫)
(ক) কুড়ি মাইল (খ) বাইশ মাইল
(গ) পঁচিশ মাইল (ঘ) ত্রিশ মাইল
উত্তরঃ (ঘ) ত্রিশ মাইল।
২৫. তেলেনাপোতা আবিষ্কারের জন্য যোগাযোগ চাই—
(ক) সোম ও মঙ্গলের (খ) মঙ্গল ও বৃহস্পতির
(গ) শনি ও বৃহস্পতির (ঘ) শনি ও মঙ্গলের
 
উত্তরঃ (ঘ) শনি ও মঙ্গলের।
 
২৬. তেলেনাপোতা আবিষ্কারের জন্য তিনজন রওনা হয়েছিল —
(ক) বিকেলের পড়ন্ত বেলায়
(খ) ভোরবেলার মিষ্টি রোদ্দুরে
(গ) দুপুরের ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে
(ঘ) সকাল নটা নাগাদ
 
উত্তরঃ (ক) বিকেলের পড়ন্ত বেলায়
 
২৭. তেলেনাপোতা আবিষ্কারের জন্য গল্পে কোন মাসের কথা বলা হয়েছে ?
(ক) বৈশাখ (খ) ভাদ্র (গ) আষাঢ় (ঘ) আশ্বিন
 
উত্তরঃ (খ) ভাদ্র।
 
২৮. বড়ো রাস্তা থেকে নেমে গিয়ে দাঁড়াতে হবে—
(ক) রাস্তার পাশে (খ) জলার কাছে
(গ) সাঁকোর কাছে (ঘ) মাঠে
 
উত্তরঃ (খ) জলার কাছে।
 
২৯. “বড়ো রাস্তা থেকে নেমে সেই ভিজে জলার কাছেই গিয়ে পাঁড়াতে হবে আপনাকে।” – কারণ—
(ক) সে-রকম নির্দেশিত আপনাকে দেওয়া হয়েছিল কাদাজলের নালা কে যেন কেটে রেখেছে
(খ) সেদিক দিয়েই তেলেনাপোতা যাওয়ার পথ
(গ) সামনের ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মানে একটা
(ঘ) এর বেশিপুর আর বাসে করে যাওয়া সম্ভব নয় ।
 
উত্তরঃ (খ) সেদিক দিয়েই তেলেনাপোতা যাওয়ার পথ।
 
৩০. ঘনায়মান অন্ধকারে ভালো করে দেখা যাবে না—
(ক) চলন্ত বাস (খ) বাড়িঘর (গ) পরস্পরের মুখ (ঘ) দূরের সাঁকো
 
উত্তরঃ (গ) পরস্পরের মুখ।
 
৩১. তেলেনাপোতা আবিষ্কারের জন্য বাস থেকে নেমে ঐকতান শোনা যাচ্ছিল—
(ক) যাত্রাপার্টির (খ) মশাদের
(গ) চামচিকেদের (ঘ) অর্কেস্ট্রা দলের
 
(খ) মশাদের।
 
৩২. ‘সেখান থেকে অপরূপ একটি আওয়াজ পাবেন।’—
(ক) সুরেলা (খ) শ্রুতিবিস্ময়কর
(গ) পিলে চমকানো (ঘ) কর্কশ
 
উত্তরঃ (খ) শ্রুতিবিস্ময়কর।
 
৩৩. “সে-শব্দে আপনারা কিন্তু প্রতীক্ষায় চঞ্চল হয়ে উঠাবেন।” কারণ—
(ক) আপনাদের নিতে একটি গোরুর গাড়ি আসছে
(খ) ফেরার বাস আসছে
(গ) সে শব্দ বন্ধুর পরিচিত মানুষের কণ্ঠস্বর
(ঘ) গ্রামের লোকের পদশব্দ
 
উত্তরঃ (ক) আপনাদের নিতে একটি গোরুর গাড়ি আসছে।
 
৩৪. গোরুর গাড়ির সংক্ষিপ্ত সংস্করণটি যেন বেরিয়ে এল –
(ক) চাঁদের দেশ থেকে (খ) তাসের দেশ থেকে
(গ) বামনের দেশ থেকে (ঘ) কুয়াশার দেশ থেকে
 
উত্তরঃ (গ) বামনের দেশ থেকে।
 
৩৫. গোরুর গাড়ির গাড়োয়ান উৎসাহের সঙ্গে কী বাজাচ্ছিল ?
(ক) মানল (খ) খোল-করতাল (গ) তবলা
(ঘ) ক্যানেস্তারা
 
উত্তরঃ (ঘ) ক্যানেস্তারা।
 
৩৬. “ক্যানেস্তারা-নিনাদই তাকে তফাত রাখবার পক্ষে যথেষ্ট।”— ‘তাকে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
(ক) চিতাবাঘকে (খ) শিয়ালকে (গ) হাতিকে
(ঘ) বন্য মহিষকে
 
উত্তরঃ (ক) চিতাবাঘকে।
 
৩৭. ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পে গোরুর গাড়িতে যাওয়ার সময় গল্পকথক আকাশে যে চাঁদকে দেখাবেন, তা—
(ক) শুক্লপক্ষের পূর্ণ চাঁদ
(খ) কৃষ্ণপক্ষের পূর্ণ চাদ
(গ) শুক্লপক্ষের ক্ষয়িত চাঁদ
(ঘ) কৃষ্ণপক্ষের ক্ষয়িত চাঁদ
 
উত্তরঃ (ঘ) কৃষ্ণপক্ষের ক্ষয়িত চাঁদ।
 
৩৮. ধ্বংসাবশেষের একটি বাসযোগ্য ঘরে থাকবার ব্যবস্থা হলে গাড়োয়ান দিয়ে গেল-
(ক) খাট-বিছানা
(খ) লেপ-তোষক
(গ) ভাঙা লণ্ঠন ও এক কলসি জল
(ঘ) জলের কুঁজো ও মোমবাতি
 
উত্তরঃ (গ) ভাঙা লণ্ঠন ও এক কলসি জল
 
৩৯. ঘরের অধিকার নিয়ে আপনাদের সঙ্গে সমস্ত রাত বিবাদ করবে—
(ক) দু-তিনটি চামচিকা
(খ) ঘরের মধ্যে অশরীরী আত্মা
(গ) মাকড়শা (খ) মশা
উত্তরঃ (ক) দু-তিনটি চামচিকা।
৪০. তেলেনাপোতার মধ্য আগন্তুকের মতো কেমন সম্বন্ধ স্থাপন করবে ?
(ক) শোণিত সম্বন্ধ (খ) বন্ধুত্বের সম্বন্ধ
(গ) স্নেহের সম্বন্ধ (ঘ) আত্মীয়তার সম্বন্ধ
উত্তরঃ (ক) শোণিত সম্বন্ধ৷
৪১. ম্যালেরিয়া দেবীর অদ্বিতীয় বাহন —
(ক) ইডিক্স (খ) মানসোনিয়া (খ) কিউলেক্স
(ঘ) অ্যানোফিলিস।
উত্তরঃ (ঘ) অ্যানোফিলিস।
 
 
• অনধিক কুড়িটি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : প্রশ্নের মান ১
১. “গাড়ির গাড়োয়ান থেকে থেকে একটি ক্যানেস্তারা বাজাচ্ছে”– গাড়ির গাড়োয়ান ক্যানেস্তারা কেন বানাচ্ছিল ?
উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পে প্রেমেন্দ্র মিত্র লেখেন গাড়ির গাড়োয়ান থেকে থেকে একটি ক্যানেস্তারা বাজাচ্ছে। এর কারণ গাড়োয়ান চিতাবাঘ তাড়াতে চেয়েছিলেন।
২. যামিনীর মা কার সঙ্গে জামিনের বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করেছিলেন ?
উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পের নায়িকা যামিনীর বিয়ে ঠিক করেছিলেন তার মা দুরসম্পর্কের বোনপো নিরঞ্জনের সঙ্গে।
৩. “যেমন গাড়িটি তেমনি গরুগুলি”- গরুর গাড়ি দেখে গল্পকথকের কী মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পের কথক তেলেনাপোতায় যাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে যে গরুর গাড়িটিকে দেখেছিলেন, তা দেখে তার মনে হয়েছিলো পাতালের কোনো বামন দেশ থেকে গরুর গাড়ির এই ক্ষুদ্র সংস্করণ বেরিয়ে এসেছে।
৪. “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পের নিরঞ্জন বৃদ্ধাকে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ?
উত্তরঃ সে বিদেশ থেকে ফিরে এসে যামিনীকে বিয়ে করবে। সেই আশায় বৃদ্ধা নিজের কঙ্কালসার শরীরে প্রাণ ধরে রেখেছে।
৫. “যামিনীকে নিয়ে তুই সুখী হবি বাবা”– কে কাকে একথা বলেছিলেন ?
 উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”– গল্পের যামিনীর মা গল্পকথক কে একথা বলেছেন। এ বক্তব্যের মধ্যে জামিনির মায়ের গভীর আত্মবিশ্বাস ছিল।
৬. “ছাদে গিয়ে দেখবেন”– ছাদে কী দেখা যাবে ?
 উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পের কথক ছাদে দেখেন অধিকাংশ জায়গাতে আলিশা ভেঙে ধুলিস্যাৎ হয়েছে। ফাটলে ফাটলে অরণ্যের শিকড়। ধ্বংসের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ।
৭. তেলেনাপোতায় গল্পকথক আর ফিরে যাননি কেন ?
উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পের গল্পকথক শেষপর্যন্ত ফিরে যাননি। কারণ তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যামিনী তার কাছে অবাস্তব কুয়াশার কল্পনামাত্র হয়ে ওঠে।
৮. জামিনির মা কেন অস্থির হয়ে উঠেছিলেন ?
উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পের যামিনীর মা মণির আসার কথা শুনে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল এবার বুঝি নিরঞ্জন তার সঙ্গে এসেছে।
৯. “ফিরে আসবো ফিরে আসব”- এই অনুভূতি কার মনে জেগেছিল ?
উত্তরঃ “তেলেনাপোতা আবিষ্কার”- গল্পে উদ্ধৃত অনুভূতিটি গল্পকথকের মনে জেগেছিল। যখন তিনি গাড়িতে করে কলকাতায় ফিরে যান।
১০. গল্পকথকের মাছ ধরার সময় কোন ঘটনা ঘটেছিল ?
উত্তরঃ কথকের মাছ ধরার সময় মাছরাঙ্গা পাখি মাছ শিকার করার জন্য জলে ঝাঁপ দিয়ে ছিল। একটি সাপ সাঁতরে অন্য পাড়ে গিয়ে উঠেছিল। দুটি ফড়িং পাল্লা দিয়ে ফাতনার উপর বসেছিল।
১১. ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পের কথকের দুজন বন্ধুর স্বভাব কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পে কথকের সঙ্গী দুজনের স্বভাব ছিল একজন পারসিক আর একজন কুম্ভকর্ণের ন্যায় নিদ্রা বিলাসী।
১২.’তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ করতে গেলে কখন বেরােতে হবে ?
উত্তরঃ ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ করতে গেলে বিকেলের পড়ন্ত রােদে বেরােতে হবে।
১৩.’তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পে তেলেনাপােতায় যেতে গেলে কোন্ ধরনের বাসে উঠতে হবে ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতায় যেতে গেলে জিনিসে মানুষে-ঠাসাঠাসি বাসে উঠতে হবে।
১৪.’তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পে জঙ্গলের ভিতর থেকে ভেসে আসা শুতিবিস্ময়কর আওয়াজটি কেমন ছিল ?
উত্তরঃ জঙ্গলের ভিতর থেকে ভেসে আসা শ্রুতিবিস্ময়কর আওয়াজটি ছিল নিংড়ে নিংড়ে বের করা অমানুষিক এক কান্নার মতাে।
১৫.’তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পে গােরুর গাড়িটিকে দেখে তা কোথা থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মনে হবে ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়িটিকে দেখে মনে হবে তা পাতালের কোনাে বামনের দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে।
১৬.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপােতার ভৌগােলিক অবস্থান কোথায় ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতা মহানগরী থেকে মাত্র তিরিশ মাইল দূরে।
১৭.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে অট্টালিকায় কথকরা যে কটু গন্থ পেয়েছিলেন তা কীসের ছিল ?
উত্তরঃ অট্টালিকায় কথকরা যে কটু গন্ধ পেয়েছিলেন তা ছিল পুকুরের পানা পচার গন্ধ।
১৮.ঘরের অধিকার নিয়ে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কথকের সঙ্গে কাদের ঝামেলা হতে পারে ?
উত্তরঃ ঘরের অধিকার নিয়ে গল্পের কথকের সঙ্গে দু-তিনটে চামচিকের ঝামেলা হতে পারে।
১৯.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে যামিনীকে নিরঞ্জন কেন বিয়ে করে উদ্ধার করেনি বলে মণিবাবুর অভিমত ?
উত্তরঃ যামিনী ঘুঁটে কুড়নির মেয়ে বলে নিরঞ্জন তাকে বিয়ে করে উদ্ধার করবে না বলে মণিবাবুর অভিমত।
২০.’তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পে তেলেনাপােতায় সকালে জেগে উঠে কথক কী দেখার কথা বলেছেন ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতায় সকালে জেগে উঠে কথক পাখির কলরবে চারিদিক ভরে ওঠার কথা বলেছেন।
২১.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপােতায় পুকুরঘাটে মেয়েটি কী করতে এসেছিল ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতায় পুকুরঘাটে মেয়েটি ঝকঝকে ঘড়ায় জল ভরতে এসেছিল।
২২.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপাতায় বন্ধুদের কী কর্ণগােচর হয়েছিল ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতায় বন্ধুদের কর্ণগােচর হয়েছিল গল্পকথকের নিষ্ফল মৎস্য শিকারের বৃত্তান্ত।
২৩.“কেন তুই আমার কাছে লুকোচ্ছিস?”- কী লুকোনাের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ যামিনীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিল যে নিরঞ্জন তার কাল্পনিক আগমনের কথা বলা হয়েছে।
২৪.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে নিরঞ্জন যামিনীর মাকে কী বলেছিল ?
উত্তরঃ নিরঞ্জন যামিনীর মাকে বলেছিল বিদেশের চাকরি থেকে ফিরে এসে সে যামিনীকে বিয়ে করবে।
২৫.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে যামিনীর মা নিরঞ্জন ভেবে কথকের কাছে কী ‘শেষকথা’ দাবি করেছিলেন ?
উত্তরঃ যামিনীর মা নিরঞ্জন ভেবে কথকের কাছে শেষ কথা হিসেবে দাবি করেন যেন তিনি যামিনীকে গ্রহণ করেন।
২৫.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে যামিনীকে উদ্দেশ করে কথকের শেষ মন্তব্য কী ছিল ?
উত্তরঃ যামিনীকে উদ্দেশ করে কথকের শেষ মন্তব্য ছিল তেলেনাপােতার মাছ তাকে বারবার ফাঁকি দিতে পারবে না।
২৬.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কখন বন্ধুদের সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে অনিচ্ছাকৃত সংঘর্ষ বাধবে গল্পকথকের ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়িতে করে তেলেনাপােতায় যাবার পথে বন্ধুদের সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে অনিচ্ছাকৃত সংঘর্ষ বাধবে গল্পকথকের।
২৭.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে তেলেনাপােতা যাওয়ার সময় কথকরা কখন বাসে উঠেছিলেন ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতা যাওয়ার সময় কথকরা বিকেলের পড়ন্ত রােদে বাসে উঠেছিলেন।
২৮.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে গল্পকথকদের নামিয়ে দেওয়ার পর বাসটি কীভাবে চলে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ গল্পকথকদের নামিয়ে দেওয়ার পর বাসটি সেতুর উপর দিয়ে ঘর্ঘর শব্দে চলে গিয়েছিল।
২৯.বাসস্ট্যান্ডে নালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কথকরা কোথা থেকে একটি শ্রুতিবিস্ময়কর আওয়াজ পাবেন ?
উত্তরঃ বাসস্ট্যান্ডে নালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কথকরা কাদাজলের নালা যেখানে জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকে একটি শ্রুতিবিস্ময়কর আওয়াজ শুনতে পাবেন।
৩০.জঙ্গলের ভিতর থেকে আসা ‘অপরূপ শ্রুতিবিস্ময়কর আওয়াজ শুনে ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পে কথকের কী মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ জঙ্গলের ভিতর থেকে আসা অপরূপ শ্রুতি বিস্ময়কর আওয়াজ শুনে কথকের মনে হয়েছিল- জঙ্গল থেকে কে যেন একটা আধুনিক কান্না নিংড়ে নিংড়ে বার করছে।
তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে ৩১.তেলেনাপােতায় নিয়ে যাবার জন্য আসা গােরুর গাড়িটি এবং তার গােরু দুটি দেখে কথকের কী মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ কথকদের তেলেনাপােতায় নিয়ে যাবার জন্য আসা গােরুর গাড়িটি ও তার গােরু দুটি দেখে কথকের মনে হয়েছিল পাতালের কোনাে বামনের দেশ থেকে যেন তারা উঠে এসেছে।
৩২.চলমান গােরুর গাড়ির দু-পাশে ভাঙা মন্দির এবং পুরােনাে অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ দেখে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কথকের কী মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ চলমান গােরুর গাড়ির দু-পাশে ভাঙা মন্দির এবং পুরােনাে অট্টালিকরা ধ্বংসাবশেষ দেখে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কথকের মনে হয়েছিল বিশাল মৌন সব প্রহরী যেন গাড়ির দু-পাশ থেকে ধীরে সরে যাচ্ছে।
৩৩.”আপনাকে নিরস্ত করবার চেষ্টা করবে।”— কোন্ ব্যাপারে নিরস্ত করবার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ভাঙা সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠার ব্যাপারে নিরস্ত করবার কথা বলা হয়েছে।
৩৪.“তার ক্ষীণ, দীর্ঘ, অপুষ্ট শরীর দেখলে মনে হবে ..”— কী মনে হবে কথকের ?
উত্তরঃ তার বলতে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে যামিনীর কথা বলা হয়েছে। কৈশাের অতিক্রম করে যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়া তার যেন স্থগিত হয়ে গেছে।
৩৫.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কত বছর আগে নিরঞ্জন যামিনীকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছিল ?
উত্তরঃ চার বছর আগে নিরঞ্জন যামিনীর মাকে বলেছিল বিদেশের চাকরি থেকে দেশে ফিরে এসেই সে যামিনীকে বিয়ে করবে।
৩৬.”কিন্তু সে কথা ওঁকে বলে কে ?”— সে কথা বলতে কোন্ কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে ‘সে কথা’ বলতে বিদেশে না গিয়ে নিরঞ্জনের ইতিমধ্যে অন্যত্র বিয়ে করার কথা বলা হয়েছে।
৩৭.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে যে ঘরে যামিনীর মা শায়িত ছিলেন, সেই ঘরটি দেখে গল্পকথকের কী মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে যে ঘরে যামিনীর মা শায়িত ছিলেন, সেই ঘরটি দেখে গল্পকথকের মনে হয়েছিল মাটির তলাকার সুড়ঙ্গেই যেন তিনি প্রবেশ করেছেন।
৩৮.তেলেনাপােতা যাবার পূর্বে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কথকের কী ধরনের মাছ ধরার অভিজ্ঞতা ছিল?
উত্তরঃ তেলেনাপােতা যাবার পূর্বে কথকের পুঁটিমাছ বা যে-কোনাে ছােটোমাছ ধরার অভিজ্ঞতা ছিল।
৩৯.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে বাসটি কোথায় অদৃশ্য হয়ে যাবে ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতা যাবার পথে একধারে পথের বাঁকে বাসটি অদৃশ্য হয়ে যাবে।
৪০.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে জলা থেকে কী উঠছে বলে মনে হবে ?
উত্তরঃ জলা থেকে উঠছে একটু ক্রুর কুণ্ডলিত জলীয় বাষ্প।
৪১.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে নালাটি কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ নালাটি দুধারে বাঁশঝাড় ও বড়াে বড়াে ঝাঁকড়া গাছের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল।
৪২.“সে-শব্দে আপনারা কিন্তু প্রতীক্ষায় চঞ্চল হয়ে উঠবেন ?”— কোন শব্দে ?
উত্তরঃ বােবা জঙ্গল থেকে এক অমানুষিক কান্নার শব্দে কথকরা প্রতীক্ষায় চঞ্চল হয়ে উঠবেন।
৪৩.”প্রথমে একটি ক্ষীণ আলাে দুলতে দেখা যাবে”— ক্ষীণ আলােটি কীসের ?
উত্তরঃ ক্ষীণ আলােটি ছিল গােরুর গাড়িতে ঝুলতে থাকা হ্যারিকেনের আলাে।
৪৪.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে গােরুর গাড়িতে কী সমস্যা হয়েছিল ?
উত্তরঃ ছােটো ছইটির নীচে কীভাবে তিনজনের হাত, পা, মাথা থাকবে সেই সমস্যা গােরুর গাড়িতে দেখা দিয়েছিল।
৪৫.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে গােরুর গাড়িতে চেপে বিস্মিত হয়ে কী দেখবেন কথক ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়িতে চেপে কথক বিস্মিত হয়ে দেখবেন, ঘন অন্ধকার অরণ্য যেন সংকীর্ণ একটু সুড়ঙ্গের মতাে পথ সামনে একটু একটু করে খুলবে।
৪৬.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে ছইয়ের ভিতর দিয়ে কী দেখা যাবে ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়ির ছইয়ের ভিতর দিয়ে আকাশের তারা দেখা যাবে।
৪৭.’তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ গল্পে গাড়ির গাড়ে়ায়ান যাত্রীদের আশ্বস্ত করবার জন্য কী বলেছিল ?
উত্তরঃ গাড়ির গাড়ােয়ান যাত্রীদের আশ্বস্ত করবার জন্য বলে যে, নিতান্ত ক্ষুধার্ত চিতাবাঘ না হলে সেই আওয়াজই তাকে দূরে রাখবার পক্ষে যথেষ্ট।
৪৮.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে যামিনীর মায়ের অস্থির হয়ে ওঠার কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ কথকদের আগমনে তিনি ভেবেছেন কথা দিয়ে যাওয়া নিরঞ্জন এসেছে, যে তার মেয়েকে এই প্রেতপুরী থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে।
৪৯.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পটির লেখক কে ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পটির লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র।
৫০.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পটি কোন্ গ্রন্থ থেকে সংকলিত ?
উত্তরঃ কুড়িয়ে ছড়িয়ে (১৯৪৬) গ্রন্থ থেকে সংকলিত।
৫১.কী বারে যােগাযােগ ঘটলে তেলেনাপােতা আবিষ্কার করা যায় ?
উত্তরঃ শনি ও মঙ্গলবার, সম্ভবত মঙ্গলবারই।
৫২.”আর যদি কেউ এসে ফুসলানি দেয়।”— গল্পকথককে কী ফুসলানি দেওয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতার দিঘিতে ইতিপূর্বে কেউ কখনও বড়শি দিয়ে মাছ ধরে নি বলে সেখানকার মৎস্যকুল বড়শিবিদ্ধ হওয়ার জন্য ব্যগ্র হয়ে রয়েছে।
৫৩.গল্পকথক ইতিপূর্বে কোন্ মাছ ধরেছিলেন?
উত্তরঃ গল্পকথক কয়েকটা পুঁটি মাছ।
৫৪.গল্পকথকদের কতক্ষণ বাসে কাটাতে হয়েছিল ?
উত্তরঃ গল্পকথকদের ঘণ্টা দুয়েক বাসে কাটাতে হয়েছিল।
৫৫.“একটা বাসে গিয়ে আপনাকে উঠতে হবে।” তেলেনাপােতা যাওয়ার বাসযাত্রা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ গল্পকথক দু-ঘণ্টার বাসযাত্রায় গরমের মধ্যে প্রচণ্ড ভিড়ে মানুষের গুঁতাে খেয়ে, ঘেমে নেয়ে উঠেছিলেন।
৫৬.“একটা বাসে গিয়ে আপনাকে উঠতে হবে।”- গল্পকথকদের নামিয়ে দিয়ে বাসটি কীভাবে অন্তর্হিত হয় ?
উত্তরঃ গল্পকথকদের নামিয়ে দেওয়ার পর জলাজমির ওপরের একটি সাঁকোর ওপর দিয়ে বিচিত্র ঘর্ঘর শব্দে চলে গিয়ে পথের ওধারে অন্তর্হিত হয়।
৫৭.“একটা বাসে গিয়ে আপনাকে উঠতে হবে।” — বাস থেকে নামার পর গল্পকথকরা কীরকম আবহাওয়া টের পেলেন ?
উত্তরঃ একটা স্যাঁতসেঁতে ভিজে ভ্যাপসা আবহাওয়া।
৫৮.বাস থেকে নামার পর তেলেনাপােতা আবিষ্কার-এর গল্পকথকদের কোথায় দাঁড়াতে হয়েছিল ?
উত্তরঃ বাসরাস্তা থেকে নেমে পাশের জলার কাছে।
৫৯.বাস থেকে নেমে জায়গাটার স্যাতসেঁতে ভিজে ভ্যাপসা আবহাওয়া দেখে তেলেনাপােতা আবিষ্কার-এর গল্পকথকের কী মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ গল্পকথকের মনে হয়েছিল সেতুর নীচের জলা থেকে কুণ্ডলী পাকানাে একটা ক্রুর, জলীয় অভিশাপ যেন ধীরে ধীরে একটা অদৃশ্য ফণা তুলে উঠে আসছে।
৬০.তেলেনাপােতা আবিষ্কার-এর অভিযানে গল্পকথকের কজন সঙ্গী ছিল ?
উত্তরঃ গল্পকথকের দুজন সঙ্গী ছিল।
৬১.“সে-শব্দে আপনারা কিন্তু প্রতীক্ষায় চঞ্চল হয়ে উঠবেন।” – আপনারা বলতে লেখক কাদের বুঝিয়েছেন ?
উত্তরঃ আপনারা বলতে লেখক তেলেনাপােতা আবিষ্কারে আগ্রহী পাঠক এবং তার দুই বন্ধুকে বুঝিয়েছেন।
৬২.“প্রতীক্ষাও আপনাদের ব্যর্থ হবে না”— কীসের জন্য প্রতীক্ষা ?
উত্তরঃ বাসস্ট্যান্ড থেকে তেলেনাপােতার নির্দিষ্ট বাড়িতে নিতে যাবার যানবাহনের জন্য প্রতীক্ষা।
৬৩.”.. সে সমস্যার মীমাংসা করবেন।”- কোন্ সমস্যার ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়িটির অত্যল্প জায়গায় গল্পকথকদের তিনজনের তিনটি মাথা এবং তিনজোড়া করে হাত এবং পা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন, সেই সমস্যারই মীমাংসা করবেন তারা।
৬৪.তেলেনাপােতা আবিষ্কার-এর গল্পকথকদের গােরুর গাড়িটি কীভাবে এগিয়ে চলছিল ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়িটি পায়ে পায়ে পথ করে নিয়ে সেই ঘনান্ধকার পথে ধীর স্থির গতিতে অবিচলিতভাবে এগিয়ে চলেছিল।
৬৫.”বন্ধুদের সঙ্গে ক্ষীণ ক্ষণে অনিচ্ছাকৃত সংঘর্ষ বাধবে।”— কোথায় ?
উত্তরঃ বাসস্ট্যান্ড থেকে তেলেনাপােতা যাওয়ার পথে গােরুর গাড়িতে।
৬৬.”হঠাৎ এক সময় উৎকট এক বাদ্য-ঝঞ্জনায় জেগে উঠে দেখবেন,”- কী দেখবেন ?
উত্তরঃ ছই -এর মধ্যে বসে থাকা-অবস্থাতেই আকাশের তারা দেখা যাচ্ছে এবং গােরুর গাড়ির চালক মাঝে মাঝেই উদ্দীপিত হয়ে ক্যানেস্তারা বাজাচ্ছে।
৬৭.“গাড়ির গাড়ােয়ান থেকে থেকে সােৎসাহে একটি ক্যানেস্তারা বাজাচ্ছে।”- গাড়ির গাড়ােয়ান ক্যানেস্তারা বাজায় কেন ?
উত্তরঃ গাড়ির গাড়ােয়ান চিতাবাঘ তাড়াতেই ক্যানেস্তারা বাজার।
৬৮.‘কৃষ্ণপক্ষের বিলম্বিত, ক্ষয়িত চাদ’-এর ‘স্তিমিত আলােয়’ কী দেখেছিলেন ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’-এর গল্পকথক ?
উত্তরঃ চলমান গােরুর গাড়ির দু-পাশে পুরােনাে মন্দির এবং প্রাসাদের বিভিন্ন ভগ্নাংশ— যেমন স্তম্ভ, দেউরির খিলান ইত্যাদি মহাকালের সাক্ষী হবার বৃথা আশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
৬৯.”একটা কটু গন্ধ অনেক্ষণ ধরেই আপনাদের অভ্যর্থনা করছে।”- কটু গন্ধের কারণ কী ?
উত্তরঃ পাশের পুকুরের পচা কচুরিপানাই সেই কটু গন্ধের কারণ।
৭০.’তেলেনাপােতা আবিষ্কার-এর গল্পকথকরা, যে জীর্ণ অট্টালিকায় উঠেছিলেন তার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ পানাপুকুরের পাশে থাকা সেই প্রসাদটি তার ভাঙা ছাদ, ভেঙে-পড়া দেওয়াল এবং দৃষ্টিহীনের অক্ষিকোটরের মতাে কপাটহীন জানলা নিয়ে চাদের আলােকে প্রতিহত করে চলেছে দুর্গের পাঁচিলের মতাে।
গােরুর গাড়ি থেকে নামার পর ৭১.তেলেনাপোতা আবিষ্কার- এর গল্পকথকরা কেমন গন্ধ পেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ পুকুরের কচুরিপানা-পচার কটু গন্ধ।
৭২.জীর্ণ অট্টালিকার যে ঘরে লেখকরা রাত্রিবাস করবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেই ঘরটিতে থাকার ব্যাপারে কে কীভাবে তেলেনাপােতা আবিষ্কার-এর গল্পকথকদের সাহায্য করেছিলেন ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়ির গাড়ােয়ান একটি ভাঙা লণ্ঠন জ্বালিয়ে নিয়ে এসে ঘরে এনে বসিয়ে দেয় এবং আরও আনে এক কলশি জল।
৭৩.“ঘরের অধিষ্ঠাত্রী আত্মা যে তাতে ক্ষুদ্ধ”— কোন্ ঘরের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ গল্পকথকরা তেলেনাপােতায় এসে জীর্ণ এক অট্টালিকার অপেক্ষাকৃত বাসযােগ্য যে ঘরটিতে বাস করা স্থির করেছিলেন, সেই ঘরের কথা বলা হয়েছে।
৭৪.“ঘরের অধিষ্ঠাত্রী আত্মা যে তাতে ক্ষুন্ধ”— ক্ষুদ্ধ হওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ গল্পকথকরা ঘরটিতে প্রবেশ করার আগে ঘরটির ঝুলকালি, ধুলাে এবং আবর্জনা ইতিপূর্বে কেউ পরিষ্কার করার ব্যর্থ চেষ্টা করে গেছে বলে।
৭৫.“ঘরের অধিষ্ঠাত্রী আত্মা যে তাতে ক্ষুদ্ধ”— এই ক্ষোভ কীভাবে প্রমাণিত হয়েছে ?
উত্তরঃ একটা অপরিস্ফুট, ভ্যাপসা গন্ধের দ্বারাই তা প্রমাণিত হয়েছে যে সে ঘরের অধিষ্ঠাত্রী আত্মা ক্ষুধ হয়েছেন।
৭৬.”একটা অস্পষ্ট ভ্যাপসা গন্ধে তার প্রমাণ পাবেন।”- কীসের প্রমাণ ?
উত্তরঃ গল্পকথকরা ঘরটিতে প্রবেশ করার আগে ঘরটির ঝুলকালি, ধুলাে এবং আবর্জনা ইতিপূর্বে কেউ পরিষ্কার করার ব্যর্থ চেষ্টা করে গেছিল বলে সে-ঘরের অধিষ্ঠাত্রী আত্মা যে তাতে ক্ষুধ হয়েছেন, সেই ক্ষোভের প্রমাণের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
৭৭.তেলেনাপােতা আবিষ্কার-এর গল্পকথকদের বাস করা ঘরটির রুষ্ট আত্মার অভিশাপ কীভাবে বর্ষিত হয়েছিল বসবাসকারীদের ওপর ?
উত্তরঃ একটু-আধটু হাঁটাচলা করলেই সেই ঘরটির ছাদ ও দেওয়াল থেকে ভাঙা প্লাস্টার গল্পকথকদের দেহের ওপর বর্ষিত হচ্ছিল।
৭৮.“ঘরের অধিকার নিয়ে আপনাদের সঙ্গে সমস্ত রাত বিবাদ করবে।”—কে ?
উত্তরঃ দু-তিনটি চামচিকা।
৭৯.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথকের ‘নিদ্রাবিলাসী’ বন্ধুটি ঘরে প্রবেশ করে কী করলেন ?
উত্তরঃ ঘরে শতরঞ্চি পাতার পরই ‘নিদ্রাবিলাসী’ বন্ধুটি সেখানে নিজেকে সঁপে দিয়ে নাক ডাকতে শুরু করে দেন।
৮০.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথকের পান-রসিক বন্ধুটি ঘরে প্রবেশ করে কী করলেন?
উত্তরঃ ঘরে শতরঞ্জি পাতার পরই পান রসিক বন্ধুটি সেখানে পানপাত্রে নিজেকে সম্পূর্ণ নিয়ােজিত করে দেন।
৮১.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের রাত্রে কখন মশার দল গল্পকথককে ছেঁকে ধরে ?
উত্তরঃ বেশি রাতে ভাঙা লণ্ঠনের চিমনি ক্রমে ক্রমে কালাে কালিতে ভরে গিয়ে একসময় যখন লণ্ঠনটি নিভে যায়, তখনই মশার দল গল্পকথককে ছেঁকে ধরে।
৮২.অ্যানােফিলিস মশাকে কীভাবে শনাক্ত করেছিলেন তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক ?
উত্তরঃ দেওয়ালে বা গায়ে মশার বসার বিশিষ্ট ভঙ্গি দেখে।
৮৩.“আপনার দুই বন্ধু তখন দুই কারণে অচেতন।”- দুই কারণ কী কী ?
উত্তরঃ এক বন্ধু তার নিদ্রাকাতর স্বভাবের জন্য এবং অন্য বন্ধু মদ্যপানের কারণে ঘুমে অচেতন ছিল।
৮৪.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক রাত্রে টর্চ হাতে ছাদে উঠেছিলেন কী থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ?
উত্তরঃ মশার কামড় এবং গুমােট গরম থেকে।
৮৫.যামিনীর মা কার সঙ্গে যামিনীর বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করেছিলেন ?
উত্তরঃ যামিনীর মা নিরঞ্জনের সঙ্গে যামিনীর বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করেছিলেন।
৮৬.”..আপনাকে নিরস্ত করবার চেষ্টা করবে।”— কে নিরস্ত করার চেষ্ঠা করবে ?
উত্তরঃ প্রতি মুহূর্তে ইট বা টালি গায়ের ওপর খসে পড়ে ধরাশায়ী হওয়ার বিপদ।
৮৭.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক মাঝরাত্রে ছাদে গিয়ে তার কী ভগ্নদশা প্রত্যক্ষ করলেন ?
উত্তরঃ গল্পকথক দেখেন ছাদের আলিসা অনেক জায়গাতেই ভাঙা এবং সেই আলিসা ও ছাদের মাঝখানের ফাটলগুলিতে এমনভাবে সব গাছ গজিয়েছে যে, তাদের চক্রান্তমূলক শিকড় ভেতরে ভেতরে জীর্ণ প্রাসাদটিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে চলেছে।
৮৮.“তা যেন আপনি টের পাবেন।”- কী টের পাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ জীর্ণ প্রাসাদের ভাঙা ছাদে নিশীথে একাকী দাঁড়িয়ে গল্পকথক যেন টের পাবেন যে, মরণ-নিদ্রায়-আবিল সেই ছলনাপুরীর কোনাে গােপন কক্ষে যেন কবরারুদ্ধা রাজকুমারী সােনার কাঠি ও রুপাের কাঠি পাশে নিয়ে যুগ-যুগান্তরের গভীর নিদ্রাচ্ছন্নতায় অচৈতন্য হয়ে আছেন।
৮৯.“… একটি আলাের ক্ষীণ রেখা আপনি হয়তাে দেখতে পাবেন।”— কোথায় ?
উত্তরঃ গল্পকথকদের বাস করা জীর্ণ প্রাসাদেরই পাশের সরু রাস্তার ওপারের যে প্রাসাদটিকে ছাদ থেকে দেখে ইতিপূর্বে তাঁর ভগ্নস্তূপ বলে মনে হয়েছিল, তারই একটি জানলায় ক্ষীণ আলােক-রেখা দেখতে পাওয়া যায়।
৯০.“খানিক বাদে মনে হবে সবই বুঝি আপনার চোখের ভ্ৰম।”- কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ গল্পকথক জীর্ণ প্রাসাদের ছাদে দাঁড়িয়ে পার্শ্ববর্তী ভগ্নপ্রাসাদে একটি ক্ষীণ আলােকরেখা দেখেছিলেন এবং তারার সেই আলােকরেখা আড়াল করে একটি রহস্যময় অশরীরী মূর্তিকে সেখানে দাঁড়াতেও দেখেছিলেন— এই সম্মিলিত দৃশ্যের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
৯১.”যখন জেগে উঠবেন তখন অবাক হয়ে দেখবেন…”—কী দেখবেন ?
উত্তরঃ সেই রাত্রিপুরীতেও সকাল হয় এবং পাখির কলকাকলিতে চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে।
৯২.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক যখন মাছ ধরছিলেন তখন মাছরাঙা পাখি কী করছিল ?
উত্তরঃ পুকুরটির অন্য পাড়ে নুয়ে-পড়া একটি বাঁশের আগায় বসে থাকা মাছরাঙাটি তার রঙিন দেহ নিয়ে মাঝে মাঝেই পুকুরের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল এবং ঠোঁটে মাছ নিয়ে সার্থকতার আনন্দে আবার বাঁশের মাথায় ফিরে যাচ্ছিল।
৯৩.”আপনার আসল উদ্দেশ্য আপনি নিশ্চয় বিস্মৃত হবেন না।”—উদ্দেশ্যটা কী ?
উত্তরঃ মাছ ধরা ছিল গল্পকথকের আসল উদ্দেশ্য।
৯৪.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক যখন মাছ ধরছিলেন, তখন সাপটা কী করছিল ?
উত্তরঃ একটি মােটা, লম্বা সাপ গল্পকথককে চমকে দিয়ে ভাঙা ঘাটের কোনাে ফাটল থেকে বেরিয়ে ধীর-স্থির ভাবে সাঁতরে পুকুরের ওপারে গিয়ে উঠেছিল।
৯৫.মাছ ধরার সময় কে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথককে কীভাবে বিদ্রুপ করছিল ?
উত্তরঃ পুকুরঘাটে বসে গল্পকথক যখন বড়শিতে মাছ ধরছিলেন তখন অন্যপাড়ে নুয়ে পড়া একটি বাঁশের আগায় বসে থাকা একটি মাছরাঙা পাখি তার রঙিন দেহ নিয়ে মাঝে মাঝেই পুকুরের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল এবং সার্থকতার আনন্দে আবার বাঁশের আগায় ফিরে গিয়ে যেন দুর্বোধ্য ভাষায় তাঁকে বিদ্রুপ করছিল।
৯৬.মাছ ধরার সময় কে তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথককে কীভাবে সন্ত্রস্ত করেছিল ?
উত্তরঃ একটা মােটা, লম্বা সাপ গল্পকথককে সন্ত্রস্ত করে দিয়ে ভাঙা ঘাটের কোনাে এক ফাটল থেকে বের হয়ে ধীর-স্থির ভাবে সাঁতরে পুকুরের ওপারে গিয়ে উঠেছিল।
৯৭.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক যখন মাছ ধরছিলেন, তখন দুটো ফড়িং কী করছিল ?
উত্তরঃ দুটো ফড়িং যেন প্রতিযােগিতা করে তাদের পাতলা কাচের মতাে পাখা নেড়ে গল্পকথকের বড়শির ফাতনার ওপর বসার চেষ্টা করছিল।
৯৮.বড়শিতে মাছ ধরতে বসে মাঝে মাঝেই তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথক আনমনা হচ্ছিলেন কেন ?
উত্তরঃ থেকে থেকে ঘুঘুপাখির বিষন্ন ডাক শুনে।
৯৯.“তারপর হঠাৎ জলের শব্দে আপনার চমক ভাঙবে।”— চমক ভেঙে কী দেখবেন ?
উত্তরঃ চমক ভেঙে গল্পকথক দেখলেন যে, স্থির জল কেঁপে উঠেছে এবং তার বড়শির ফাতনা তার ফলে ধীরে ধীরে দুলছে।
১০০.“ঘাড় ফিরিয়ে দেখবেন…”— কী দেখবেন ?
উত্তরঃ ঘাটে দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে পুকুরের পানা সরিয়ে পিতলের একটি চকচকে কলশিতে জল ভরছে।
১০১.কলশিতে জল নিয়ে ফিরে যাবার সময় তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের যামিনী গল্পকথককে কী বলেছিল ?
উত্তরঃ মেয়েটি গল্পকথককে হাত গুটিয়ে বসে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করে এবং তাঁকে বড়শিতে টান দিতে বলে।
১০২.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথকের মাছ-ধরার ব্যর্থতার কাহিনি তার দুই বন্ধু কার কাছ থেকে শুনেছিলেন ?
উত্তরঃ প্রত্যক্ষদর্শী যামিনীর কাছ থেকে।
১০৩.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের গল্পকথকের পান-রসিক বন্ধুর নাম কী ছিল?
উত্তরঃ পান-রসিক বন্ধুর নাম মণি।
১০৪.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের যামিনী লেখকের পান-রসিক বন্ধু মণিদার কে হন ?
উত্তরঃ মণিদার জ্ঞাতিবােন।
১০৫.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের যামিনীদের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর গল্পকথকরা কী করছিলেন?
উত্তরঃ গল্পকথকরা বিশ্রাম করছিলেন।
১০৬.”সে নিশ্চয় এসেছে।” -সে বলতে বক্তা কাকে নির্দেশ করেছে?
উত্তরঃ নিরঞ্জনকে নির্দেশ করেছেন যামিনীর মা।
১০৭.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের যামিনীর মা অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেমন হয়ে গেছিলেন ?
উত্তরঃ তিনি এমন ধৈর্যহীন হয়ে গেছিলেন যে, কোনাে কথা বুঝতে চাইতেন না, মাঝে মাঝেই রেগে গিয়ে মাথা খুঁড়ে এমন কাণ্ড বাঁধাতেন যে, তখন তার প্রাণ বাঁচানাে মুশকিল হয়ে পড়ত।
১০৮.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পের নিরঞ্জন কে ছিল ?
উত্তরঃ যামিনীর মায়ের দূর-সম্পর্কের এক বােনপাে ছিল নিরঞ্জন, যার সঙ্গে যামিনীর বিয়ের সম্বন্ধ করছিলেন যামিনীর মা।
১০৯.তেলেনাপােতা আবিষ্কার গল্পে কতদিন আগে শেষবার যামিনীদের বাড়ি এসেছিল নিরঞ্জন ?
উত্তরঃ চার বছর আগে নিরঞ্জন যামিনীদের বাড়ি এসেছিল।
১১০.”বছর চারেক আগেও সে-ছােকরা এসে ওঁকে বলে গেছল…।”—সে-ছােকরা কে? কাকে বলেছিল ?
উত্তরঃ সে ছােকরা হল নিরঞ্জন। যামিনীর মাকে বলেছিল।
১১১.”বছর চারেক আগেও সে-ছােকরা এসে ওঁকে বলে গেছল…।”— কী বলে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ চার বছর আগে এসে নিরঞ্জন যামিনীর মাকে বলে গিয়েছিল যে, বিদেশের চাকরি থেকে ফিরে এসে তার মেয়ে যামিনীকে সে বিয়ে করবে।
১১২.“সেই থেকে বুড়ি এই অজগর পুরীর ভেতর বসে সেই আশায় দিন গুনছে।”- বুড়ি কে ?
উত্তরঃ বুড়ি হলেন যামিনীর মা।
১১৩.”সেই থেকে….দিন গুনছে।”- কবে থেকে ?
উত্তরঃ চার বছর আগে যেদিন নিরঞ্জন যামিনীদের বাড়ি এসে তার মাকে বলে গিয়েছিল যে, বিদেশের চাকরি থেকে ফিরে এসে যামিনীকে সে বিয়ে করবে, সেই দিন থেকেই বৃদ্ধা আশায় দিন গুনছিলেন।
১১৪.”কিন্তু সে-কথা ওঁকে বলে কে ?”— সে কথা কেউ বলে না কেন ?
উত্তরঃ যামিনী যার বাগদত্তা, সেই নিরঞ্জনের বিয়ে-থা করার কথা তার মাকে বললে, তিনি বিশ্বাসই করবেন না। আর যদি বিশ্বাস করেন, তবে শােকে-দুঃখে তখনই দম আটকে মারা যাবেন তিনি। তাই কথাটা কেউ তাকে বলে না।
১১৫.দোতলায় যে ঘরটিতে যামিনীর মা শায়িত ছিলেন, সেই ঘরটি দেখে গল্পকথকের কী মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ মনে হয়েছিল যে, ঘরটি ওপরের নয়, মাটির তলার সুড়ঙ্গেই বুঝি তার অবস্থান।
১১৬.”আমি জানতাম তুই না এসে পারবি না বাবা।”— কে কাকে বলেছে ?
উত্তরঃ নিরঞ্জন মনে করে গল্পকথককে এ কথা বলেছেন যামিনীর মা।
১১৭.তেলেনাপােতা থেকে ফেরার দিন গােরুর গাড়িতে উঠে বসা গল্পকথককে যামিনী কী বলেছিল ?
উত্তরঃ গল্পকথকের ছিপটিপ সব যে পড়ে রইল— সে কথাই বলেছিল।
১১৮.”সে-সব কথা ভালাে-করে আপনার কানে যাবে না।”– কোন্ সব কথা ?
উত্তরঃ একশাে বা দেড়শাে বছর আগে ম্যালেরিয়ার মড়কই তেলেনাপােতাকে যে গতিশীল ও জীবন্ত জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপে পরিণত করেছিল, সেইসব কথাই গল্পকথকের দুই বন্ধু ফেরার সময় গােরুর গাড়িতে বসে আলােচনা করছিলেন। তার কথাই বলা হয়েছে।
১১৯.”আপনি শুধু নিজের হৃৎস্পন্দনে একটি কথাই বার বার ধ্বনিত হচ্ছে শুনবেন,”—কী কথা ?
উত্তরঃ ‘ফিরে আসব, ফিরে আসব।’- এই কথা।
১২০.কলকাতা মহানগরের আলােকোজ্জ্বল রাজপথে এসে পৌছানাের পর তেলেনাপােতার স্মৃতি গল্পকথকের কাছে কেমন ছিল ?
উত্তরঃ দূরবর্তী অথচ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একটি তারার মতাে।
১২১.“মনের আকাশে একটু করে কুয়াশা জমছে কিনা আপনি টের পাবেন না। মনের আকাশে কার ওপর কুয়াশা জমার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতার স্মৃতির ওপর।
১২২.যেদিন গল্পকথক তেলেনাপােতায় ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন, সেদিনই কী হল ?
উত্তরঃ মাথার যন্ত্রণা এবং শীতের কাঁপুনি উপসর্গ নিয়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে গল্পকথক লেপ-তােষক মুড়ি দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়তে বাধ্য হলেন।
১২৩.বহুদিন পর অসুখ থেকে সেরে ওঠা গল্পকথক অত্যন্ত দুর্বল দেহ নিয়ে কাঁপা পায়ে বাড়ির বাইরের আলাে বাতাসে যখন এসে বসলেন, তখন তিনি কী বুঝতে পারলেন ?
উত্তরঃ বুঝতে পারলেন যে, ইতিমধ্যেই তার দেহ ও মনে নিজের অজান্তেই অনেক ধােয়া-মােছা হয়ে গেছে।
১২৪.থার্মোমিটারে পারা কত ডিগ্রি জ্বর জানান দিয়েছিল ?
উত্তরঃ একশাে পাঁচ ডিগ্রি।
১২৫.“ধরা গলায় আপনি তখন শুধু বলতে পারবেন”— কাকে কী বলতে পারবেন ?
উত্তরঃ ধরা গলায় গল্পের কথক নায়ক চরিত্র যামিনীর মা-কে উদ্দেশ্য করে বলবেন যে, যামিনীকে গ্রহণের বিষয়ে তিনি কথা দিচ্ছেন।
১২৬.“যামিনীকে নিয়ে তুই সুখী হবি বাবা।”- বক্তার এই মন্তব্যের কারণ কী ?
উত্তরঃ যামিনীর অসাধারণ সহ্যক্ষমতা, পুরুষহীন গ্রামে দায়িত্ব নিয়ে সব সামলানাে ইত্যাদি কারণেই তার মা কথককে যামিনীকে নিয়ে সুখী হবার কথা বলেছে।
১২৭.”যামিনী মুখ ফিরিয়ে নেবে না।”- কেন ?
উত্তরঃ যামিনী গল্পের নায়ক কথকের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবে না তার কারণ কথকের তেলেনাপােতায়। ফিরে আসার কথায় সে আকৃষ্ট হয়।
১২৮.’শ্মশানের দেশ’ বলতে কোন্ জায়গাকে কেন বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘শ্মশানের দেশ’ হল যামিনীর গ্রাম তেলেনাপােতা যেখানে দশটা বাড়ি খুঁজলে একটা পুরুষ পাওয়া যায় না।
১২৯.”বিস্মিত হয়ে দেখবেন”- বিস্মিত হয়ে কী দেখার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ বিস্মিত হয়ে দেখা যাবে যে, ঘন অন্ধকার অরণ্য যেন সংকীর্ণ সুড়ঙ্গের মতাে পথ সামনে উন্মােচন করে দিচ্ছে।
১৩০.”আপনি বিচক্ষণ হলে…”- বিচক্ষণ হলে কী বােঝা যাবে ?
উত্তরঃ বিচক্ষণ হলে বােঝা যাবে যে, তেলেনাপােতার ভগ্ন অট্টালিকার দেয়ালে বিশিষ্ট ভঙ্গিতে বসে থাকা মশাগুলি অ্যানােফিলিস।
১৩১.”কোনো দিকে চেয়ে জনমানব দেখতে পাবেন না।”- কোন্ জায়গার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ শহরজীবন থেকে দুঘণ্টা বাসযাত্রা শেষে তেলেনাপােতা যাওয়ার পথে কথকেরা যেখানে নেমেছিলেন সেখানকার কথা বলা হয়েছে।
১৩২.”..সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে এ ওর মুখের দিকে চাইবেন।”—এই তাকানাের কারণ কী ?
উত্তরঃ তেলেনাপােতা যাওয়ার পথে কথক ও তার দুই বন্ধু বাস থেকে নেমে তাদের নেওয়ার জন্য গােরুর গাড়ি কখন আসবে তা বুঝতেই পরস্পরের মুখের দিকে তাকায়।
১৩৩.”যেমন গাড়িটি তেমনি গােরুগুলি।”–গাড়িটি দেখে কথকের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া লেখাে।
উত্তরঃ কথকের মনে হয়েছিল কোনাে বামনের দেশ থেকে গােরুর গাড়ির ক্ষুদ্র সংস্করণটি যেন বেরিয়ে এসেছিল।
১৩৪.”সময় সেখানে স্তদ্ধ স্রোতহীন।”— কোথাকার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ গােরুর গাড়িতে করে তেলেনাপােতা যাওয়ার সময় চারপাশে কুয়াশাময় যে ঘন অন্ধকারের পটভূমি কথক দেখেছিলেন সেখানকার কথা বলা হয়েছে।
১৩৫.“গাড়ােয়ান অত্যন্ত নির্বিকারভাবে আপনাকে জানাবে…” -কী জানাবে ?
উত্তরঃ গাড়ােয়ান নির্বিকারভাবে জানাবে যে, ক্যানেস্তারা বাজানাে হচ্ছে বাঘ তাড়ানাের জন্য।
১৩৬.”কম্পিত কণ্ঠে এ প্রশ্ন আপনি উত্থাপন করার আগেই…”—কোন্ প্রশ্ন ?
উত্তরঃ ক্যানেস্তারা বাজিয়ে বাঘ তাড়ানাে সম্ভব কি না কথকের মনের মধ্যে উচ্চারিত এই প্রশ্নের কথা বলা হয়েছে।
১৩৭.”এই ধ্বংসাবশেষেরই একটি অপেক্ষাকৃত বাসযােগ্য ঘরে আপনাদের থাকার ব্যবস্থা করে নিতে হবে।”- এই থাকার জন্য গাড়ােয়ান কী করেছিল ?
উত্তরঃ গাড়ােয়ান একটা ভাঙা লণ্ঠন এবং এক কলসি জল কথকদের দিয়ে গিয়েছিল।
১৩৮.”অপরজন পানপাত্রে নিজেকে নিমজ্জিত করে দেবেন।”- অন্য বন্ধু তখন কী করছিল ?
উত্তরঃ এক বন্ধু পানপাত্রে যখন নিমজ্জিত তখন অন্য বন্ধু শতরঞ্চির উপরে নিদ্রা যায়।
১৩৯. “…দুর্বোধ ভাষায় আপনাকে বিদ্রুপ করবে।”- এই বিদ্রুপের কারণ কী ?
উত্তরঃ মাছরাঙা পাখি পুকুরের জল থেকে শিকার ধরে বাঁশের ডগায় ফিরে গিয়ে আওয়াজ করলে তা দীর্ঘ সময় মাছ ধরতে ব্যর্থ লেখকের কাছে বিদ্রুপের মতাে শােনায়।
১৪০.”… আপনার মােটেই অস্বাভাবিক ঠেকবে না।”—কীসের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ যামিনীর শান্ত মধুর অথচ গম্ভীর কণ্ঠ যা অপরিচয়ের দূরত্ব রাখে না—তার কথা বলা হয়েছে।
১৪১.“খানিক আগের ঘটনাটা আপনার কাছে অবাস্তব বলে মনে হবে।”—কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ পুকুরঘাটে অপরিচিত মেয়ের আগমন, তার কথাবার্তা ইত্যাদিকে অবাস্তব বলে মনে হয়।
১৪২.“ওঃ, সেই খেয়াল এখনাে।”—কীসের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ যামিনীর মা-এর যামিনীকে বাক্দত্ত নিরঞ্জনের সন্ধান করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১৪৩.“না আপত্তি কিসের!”—কোন্ আপত্তির কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ কথক বন্ধু মণির সঙ্গে যামিনীর মার কাছে গেলে সে বিষয়ে আপত্তি আছে কি না জানতে চেয়েছিলেন।

This Post Has One Comment

Leave a Reply