পঞ্চম শ্রেণি বাংলা তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৪ | WBBSE Class 5 Bengali 3rd Unit Test Model Question Paper with Answer Set-4

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

THIRD SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 5 (V) BENGALI (WBBSE)
MODEL QUESTION PAPER

পঞ্চম শ্রেণি বাংলা তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৪ | WBBSE Class 5 Bengali 3rd Unit Test Model Question Paper with Answer Set-4

📌 1. পঞ্চম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের সমস্ত পরীক্ষার প্রশ্ন Click Here

Set-4

তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
পঞ্চম শ্রেণি
বিষয় : বাংলা
পূর্ণমান : ৫০ সময় : ১.৩০ মিনিট

১। সঠিক উত্তরের মাথায় টিক (✓) চিহ্ন দাও: ১x৬=৬

১.১ চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে
ভারতে, (খ) বাংলাদেশে, (গ) নেপালে, (ঘ) পাকিস্তানে।

উত্তরঃ (খ) বাংলাদেশে

১.২ সূর্য সেন (ক) মা চন্ডী, (খ) মা তারা,
(গ) উমাতারা, (ঘ) দুর্গাতারা হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন

উত্তরঃ (গ) উমাতারা

১.৩ বুকের (ক) কাঁপকাঠি, (খ) ঝাঁপকাঠি, (গ) সুতো, (ঘ) ল্যাজ ছিটকে গেলে সে তখন একটা কাগজের টুকরো।

উত্তরঃ (ক) কাঁপকাঠি

১.৪ ‘একলা’ কবিতায় মস্ত ঝরতে থাকে- আশীর্বাদের মতো মাথার উপর
(ক) ধুলো, (খ) ফুল, (গ) গাছের পাতা, (ঘ) বরফ।

উত্তরঃ (গ) গাছের পাতা

১.৫ ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ কবিতায় মন্ত্রী
(ক) তবলা, (খ) ঘটি, (গ) কলসি, (ঘ) বাঁশি বাজায়।

উত্তরঃ (গ) কলসি

১.৬ প্রেমেন্দ্র মিত্র সৃষ্টি করেছেন (ক) ফেলুদা, (খ) ঘনাদা, (গ) টেনিদা, (ঘ) ব্যোমকেশ।

উত্তরঃ (খ) ঘনাদা

২। একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১×৩=৩

২.১ ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে কোন্ পতাকা
উড়ত ?

উত্তরঃ ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ান জ্যাক উড়ত।

২.২ আউশ ধান কোন্ ঋতুতে পাকে ?

উত্তরঃ শরৎ ঋতুতে।

২.৩ সমার্থক শব্দ লেখো (একটি) : নদী।

উত্তরঃ তটিনী।

৩। সংক্ষেপে উত্তর দাও : ২×২=৪

৩.১ ইংরেজ আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা কেমন আচরণ করত ?

উত্তরঃ ইংরেজ আমলে ভারতীদের প্রতি ইংরেজরা অসহনীয় অত্যাচার করত। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের সাদা চামড়ার লোক ছাড়া অন্য কারো ঢোকার অনুমতি ছিল না। রেস্তোরাঁয় গায়ে নোটিশ ঝুলত – কালো চামড়ার লোক এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ। এইসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই এদেশের মানুষের কপালে জুটত অত্যাচার।

৩.২ বর্ষাকালে অন্ধকারে চলাফেরা ভালো নয় কেন ?

উত্তরঃ বর্ষাকালে রাস্তায় খানাখন্দ জলে ভরে থাকে, যা অন্ধকারে দেখা যায় না। তাছাড়া সাপের ভয়ও থাকে। এইসব কারণে বর্ষাকালে অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয়।

৪. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :

৪.১ মাস্টারদার প্রিয় কবি কে ছিলেন ?
তাঁর প্রিয় কবি সম্বদ্ধে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ মাস্টারদার প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

সাহিত্যের সব সব শাখায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অনন্য হলেও কাব্যসাহিত্যে তিনি ‘কবিসম্রাট’ বা ‘রাজাধিরাজ’। তাঁর প্রতিভার প্রকাশ শিক্ষা ও কাব্যসাহিত্যে আলো বিতরণ করেছে। ঠাকুর পরিবারের সৃষ্টিশীল পরিমণ্ডলে তাঁর কাব্যচর্চার শুরু। নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবী সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে প্রেরণা জোগাতেন তাঁকে। তেরো বছর বয়সে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তেরো থেকে আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত কবিতা-সম্ভার নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘শৈশব সংগীত’। ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ‘ছবি ও গান’, ‘শৈশব সংগীত’ ও বৈষ্ণব পদাবলির অনুপ্রেরণায় লেখা ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি’।

‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থের ‘শিক্ষারম্ভ’ অধ্যায়ে রবীন্দ্রনাথ বলেন– আদিকবির প্রথম কবিতা – ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’। অপরূপকে দেখার সেই স্বকীয় প্রতিভা থেকেই পরবর্তীকালে লেখেন – ‘মানসী’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘চৈতালী’ ইত্যাদি কাব্য। ১৯১৫ সালে সংঘটিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে তাঁর দৃষ্টি ফেরে মর্ত্যলোকের দিকে। তিনি লেখেন – ‘বলাকা’, ‘পলাতকা’, ‘পূরবী’ ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ। তাঁর আধ্যাত্মিক চেতনার প্রতিফলন ঘটে- ‘গীতাঞ্জলি’ ‘নৈবেদ্য’, ‘খেয়া’, কাব্যে। এই তিন কাব্যের সংকলিত কিছু কবিতার অনুবাদ ‘Song Offerings’ প্রকাশিত হওয়ার পর সুইশ একাডেমি তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করেন। বিশ্বের দরবারে তিনি আদৃত হন ‘বিশ্বকবি’ নামে।

৫. একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩

৫.১ মিষ্টি কবিতাটি আর কোন গল্পে
আখের প্রসঙ্গ রয়েছে ?

উত্তরঃ মিষ্টি কবিতাটি ছাড়া ‘বোকা কুমিরের কথা’ গল্পে আখের প্রসঙ্গ রয়েছে।

৫.২ পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় শালবন রয়েছে ?

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলি জেলায় শালবন রয়েছে।

৫.৩ ‘একলা’ কবিতায় কবি কোন বিষয়কে সমস্ত আশীর্বাদ বলেছেন ?

উত্তরঃ ‘একলা’ কবিতায় কবি শঙ্খ ঘোষ তার উপর মাথার গাছের মস্ত আশীর্বাদ’ বলেছেন।

৬. সংক্ষেপে ডত্তর দাও : ২×২=৪

৬.১ কবি যখন একলা থাকেন তখন সঙ্গে কারা থাকেন ?

উত্তরঃ কবি যখন একলা থাকেন তখন কবির সঙ্গে সবুজ গাছপালা আর তার ভিতর দিয়ে চলে যাওয়ার পথ থাকে। এছাড়াও কাঠবেড়ালি, গাছের গাছের ঝরাপাতা এমনকি শাল বা তাল সুপারির বনও কবির সঙ্গে থাকে।

৬.২ “বোম্বাগড়ের রাজা’ কবিতায় সর্দি হলে লোকে কী করে ?

উত্তরঃ বোম্বাগড়ের রাজা কবিতায় আজব রাজ্য বোম্বাগড়ের প্রজারা সর্দি হলে সর্দির প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে ডিগবাজি খায়।

৭. নিজের ভাষায় উত্তর দাও : ৫

৭.১ ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ কবি নিয়মকানুন লেখো।

উত্তরঃ কবি সুকুমার রায়ের লেখা বোম্বাগড়ের রাজা কবিতাটি একটি উদ্ভট হাস্য রসের কবিতা। কবিতায় আমরা একটি মজার দেশের কথা পাই যার নাম বোম্বাগড়। সেই দেশের রাজা তথা সাধারণ মানুষ সবাই খুব অদ্ভুত ধরনের। সেখানকার রাজা ছবির ফ্রেমে আমসত্ত্ব ভাজা বাঁধিয়ে রাখেন। রানী দিনরাত মাথায় বালিশ বেঁধে রাখেন। রানীর দাদা পাউরুটিতে পেরেক ঠোকেন। সেখানে সর্দি হলে সবাই ডিগবাজি খায়। তারা জ্যোৎস্নারাতে পায়ের বদলে চোখে আলতা মাখে। পন্ডিতেরা ডাকটিকিটকে তাদের টাকে আটকায়। রাজার মন্ত্রী সেখানে রাজার কোলে বসে কলসি বাজায় আর সিংহাসনে ভাঙ্গা শিশিবোতল ঝোলে। রাজার পিসি কুমড়ো নিয়ে ক্রিকেট খেলেন এবং খুড়ো হুঁকোর মালা পড়ে নাচেন। সেখানে এসবই মজাদার কাণ্ডকারখানা এবং অদ্ভুত মজাদার নিয়মকানুন দেখা যায়।

৮. বিপরীত শব্দ লেখো : বন্ধুর, পাঞ্জল, দোষী।

উত্তরঃ বন্ধুর— মসৃণ, প্রাঞ্জল— কঠিন, দোষী— নির্দোষ

৯. পুরুষ অনুযায়ী শূন্যস্থানে ক্রিয়া বসাও :

৯.১ আমরা এখন খুব ব্যস্ত ________।

উত্তরঃ আছি

৯.২ সে কি আমার কথা শুনতে _______।

উত্তরঃ পাচ্ছে

১০. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

‘ক’ স্তম্ভ ‘খ’ স্তম্ভ
তুমি যাচ্ছিল
তিনি যাচ্ছে
সে যাচ্ছি
আমি যাচ্ছেন
তারা যাচ্ছো

উত্তরঃ তুমি— যাচ্ছো
তিনি— যাচ্ছেন
সে— যাচ্ছে
আমি— যাচ্ছি
তারা— যাচ্ছিল

১১. চড়ুইভাতির অভিজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি লেখো।

রানাঘাট, নদীয়া
২৭/০১/২০২৪

প্রিয় তৃষা,
বহুদিন তোর কোনো চিঠি পাইনি। ভালো আছিস তো তোরা ? শুনেছি তোদের ওখানে বড্ড শীত। এখানেও কিছু কম নয়। আর, এই শীতের আমেজে চারিদিকে উৎসবের ধূম লেগেছে। আমি গতকাল আমাদের পাড়ার কয়েকজন মিলে চড়ুইভাতির আয়োজন করেছিলাম।

গতকাল ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের ছুটি ছিল। সকালবেলাতেই আমরা, কাকুরা ও মাসিমণিরা মিলে মোট পনেরো জন মুকুটমণিপুর গিয়েছিলাম। পৌঁছেই জলখাবার খেয়ে আশেপাশে এক চক্কর ঘুরে এলাম। আমরা তিন বন্ধু মিলে খুব মজা করলাম। সেখানে টয়ট্রেনে চড়লাম, স্লিপার চড়লাম, দোলনায় দোল খেলাম, বোটিংও করলাম কিছুক্ষণ। কত রং-বেরঙের ফুলের দেশে হারিয়ে গেলাম আমরা। বাবা, কাকা ও মেসোমশাইরা তাস খেললেন। মায়েরা গান গাইলেন। কাকু একটি সুন্দর আবৃত্তি শোনালেন। আমিও একটি গান গেয়েছিলাম। বেশ কেটেছিল সময়। দুপুরের মেনুতে ছিল খাসির মাংস চাটনি পাঁপড় আর মিষ্টি। একটু বেশিই যেন খেয়েছিলাম। তবে তোর অভাবটাও অনুভব করেছি। অনেক ছবি তুলেছি আমরা। তুই এলে দেখতে পাবি। আজ আর নয়। আশা করি ভালো আছিস। কাকু ও কাকিমাকে আমার প্রণাম জানাস।

ইতি
তোর প্রিয় বন্ধু সোনালি

তৃষা মালী ডাকটিকিট
প্রযত্নে, চন্দন মালী
১০, কাশীনাথ রোড,
মালদহ, ৭০০৪১২

Leave a Reply