WBBSE Class 6 History Annual Exam Question Paper Set-3 | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সেট-৩

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

THIRD SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 6 (VI) HISTORY (WBBSE)
HISTORY QUESTION PAPER

WBBSE Class 6 History Annual Exam Question Paper Set-3 | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সেট-৩

📌 1. ষষ্ঠ শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের সমস্ত পরীক্ষার প্রশ্ন Click Here

Set-3

তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় : ইতিহাস
পূর্ণমান : ৭০ সময় : ২.৩০ মিনিট

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নাও : ১×১৪=১৪

১.১ উপবেদ বলা হত
(ক) রামায়ণকে
(খ) মহাভারতকে
(গ) চিকিৎসাশাস্ত্রকে
(ঘ) সংগম সাহিত্যকে

উত্তরঃ (গ) চিকিৎসাশাস্ত্রকে

১.২ কোন্ অঞ্চলে শালি ধানের চাষ বেশি হয় ?
(ক) বারাণসী (খ) বঙ্গ (গ) মগধ
(ঘ) তামিলনাড়ু

উত্তরঃ (গ) মগধ

১.৩ একলব্যের গুরু ছিলেন—
(ক) আয়োদধৌম্য (খ) গৌতম (গ) আত্রেয় (ঘ) দ্রোণাচার্য

উত্তরঃ (ঘ) দ্রোণাচার্য

১.৪ তাম্রলিপ্ত বন্দর অবস্থিত
(ক) উত্তরের কোঙ্কন উপকূলে
(খ) মালবার উপকূলে
(গ) কাবেরী বদ্বীপ এলাকায়
(ঘ) পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে

উত্তরঃ (ঘ) পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে

১.৫ ‘মার্গ’ কথার অর্থ—
(ক) পথ (খ) সম্মান (গ) সূত্র (ঘ) নীতি

উত্তরঃ (ক) পথ

১.৬ সেলিউকাসের দূত হয়ে মৌর্য দরবারে এসেছিলেন-
(ক) মেগাস্থিনিস
(খ) ডায়ামাকাস
(গ) ফাসিয়ান
(ঘ) প্রথম অ্যান্টিয়োকস

উত্তরঃ (ক) মেগাস্থিনিস

১.৭ কম্বনের রামায়ণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হলেন—
(ক) রাম (খ) রাবণ (গ) লক্ষ্মণ (ঘ) সীতা

উত্তরঃ (খ) রাবণ

১.৮ ইন-তু হলো—
(ক) ভারতবর্ষ (খ) চিনা দেবতা (গ) মগধ (ঘ) চিনা নদী

উত্তরঃ (ক) ভারতবর্ষ

১.৯ হাতিগুম্ফা শিলালেখ থেকে কার বিষয়ে জানা যায় ?
(ক) অশোক (খ) সমুদ্রগুপ্ত (গ) খারবেল (ঘ) কনিষ্ক

উত্তরঃ (গ) খারবেল

১.১০ ইন্দো-আর্য ভাষার সব থেকে পুরানো সাহিত্য হল—
(ক) ঋগবেদ (খ) ব্রাহ্মণ (গ) মহাভারত (ঘ) বেদান্ত

উত্তরঃ (ক) ঋগবেদ

১.১১ অর্থশাস্ত্রের লেখক হলেন
(ক) বাণভট্ট (খ) কলহন (গ) কৌটিল্য (ঘ) হরিষেণ

উত্তরঃ (গ) কৌটিল্য

১.১২ বজ্জিদের রাজধানী কোথায় ছিল ?
(ক) অবন্তি (খ) পাবা (গ) কোশল (ঘ) বৈশালি

উত্তরঃ (ঘ) বৈশালি

১.১৩ দশ রাজার যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন–
(ক) ভরত (খ) সুদাস (গ) বিক্রমাদিত্য (ঘ) অশোক

উত্তরঃ (খ) সুদাস

১.১৪ দশাবতার মন্দির অবস্থিত–
(ক) দেওঘরে
(খ) মহাবলিপুরমে
(গ) ইলোরায়
(ঘ) চন্দ্রকেতুগড়ে

উত্তরঃ (ক) দেওঘরে

১.১৫ মৌর্য বংশের পতন ঘটে–
(ক) ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে,
(খ) ১৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে,
(গ) ১৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে,
(ঘ) ১৮৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।

উত্তরঃ (গ) ১৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।

১.১৬ ওয়াড়’ কথার অর্থ—
(ক) বাণিজ্য, (খ) শহর, (গ) গঞ্জ, (ঘ) প্রতিবেশী।

উত্তরঃ (খ) শহর।

১.১৭ চন্দ্রকেতুগড় বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কোন্ স্থানে অবস্থিত ?
(ক) মেদিনীপুরে,
(খ) মালদহে,
(গ) উত্তর চব্বিশ পরগনাতে,
(ঘ) নদীয়াতে।

উত্তরঃ (গ) উত্তর চবিবশ পরগনাতে।

২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর চার-পাঁচটি শব্দ বা একটি বাক্যের মধ্যে লেখো : ১×১৪=১৪

২.১ ইন্দো-ইরোপীয় ভাষা কোন ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ?

উত্তরঃ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা সংস্কৃত ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।

২.২ বেদকে কেন শ্রুতি বলা হয় ?

উত্তরঃ বেদ শুনে শুনে মনে রাখা হতো বলে বেদকে শ্রুতি বলা হয়।

২.৩ দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদটির নাম কী ?

উত্তরঃ অস্মক।

২.৪ মেগাস্থিনিসের লেখা বই এর নাম কি?

উত্তরঃ ইন্ডিকা।

২.৫ হর্ষবর্ধনকে নিয়ে লেখা বানভট্টের প্রশস্তি কাব্যটির নাম কী ?

উত্তরঃ হর্ষচরিত।

২.৬ অর্থশাস্ত্র বইটির লেখক কে?

উত্তরঃ কৌটিল্য।

২.৭ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে ভারতে প্রথম কোন ধাতুর মুদ্রা চালু হয় ?

উত্তরঃ রুপোর মুদ্রা।

২.৮ এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেন ?

উত্তরঃ হরিষেণ।

২.৯ মগধ অঞ্চলে কোন প্রজাতির ধানের চাষ বেশি হতো ?

উত্তরঃ শালিপ্রজাতির ধানের চাষ বেশি হত।

২.১০ জীবক, পাণিনি, চাণক্য কোন মহাবিহারের ছাত্র ছিলেন ?

উত্তরঃ তক্ষশিলা মহাবিহারের।

২.১১ গুপ্ত আমলে সোনার মুদ্রাকে কি বলা হত ?

উত্তরঃ দিনার ও সুবর্ণ।

২.১২ প্রাচীনকালের দুটি বিখ্যাত শিক্ষা কেন্দ্রের নাম লেখো।

উত্তরঃ তক্ষশিলা ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

১.১৩ রামায়নে কতগুলি শ্লোক ও কটি কান্ডে বিভক্ত আছে ?

উত্তরঃ রামায়ণে মোট ২৪ হাজার স্লোক রয়েছে। এবং রামায়ণ মোট সাতটি কাণ্ডে বিভক্ত।

১.১৪ বিশাখদত্ত রচিত একটি বিখ্যাত নাটকের নাম লেখো।

উত্তরঃ মুদ্রারাক্ষস ও দেবীচন্দ্রগুপ্তম।

১.১৫ মেঘদূত কাব্যের রচয়িতা কে ?

উত্তরঃ কালিদাস।

১.১৬ কে প্রথম শূন্যের ব্যবহার করেন ?

উত্তরঃ সংখ্যা হিসেবে প্রথম শূন্যের ব্যবহার করেন আর্যভট্ট।

১.১৭ সেন্ট থমাস খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন কার আমলে ?

উত্তরঃ গন্ডোফারনেস।

১.১৮ মেসোপটেমিয়া কথার অর্থ কী ?

উত্তরঃ দুটি নদীর মধ্যবর্তী দেশ।

১.১৯ ইন্দ্র-গ্রিক রাজাদের মধ্যে কে বিখ্যাত ছিলেন ?

উত্তরঃ মিনান্দার

৩। নীচের যে কোন ৬ টি প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো (দু-তিনটি বাক্যের মধ্যে) ২×৬= ১২

৩.১ স্নাতক কী ? অথবা, স্নাতক কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ বৈদিক যুগের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি চূড়ান্ত পর্ব ও উপাধি ছিল স্নাতক।

(১) স্নাতকঃ স্নান করা থেকে ‘স্নাতক’ শব্দটির উৎপত্তি।

(২) উপাধিঃ বারো বছর শিক্ষা শেষে শিষ্য বা ছাত্রদের বিশেষ স্নান করার মাধ্যমে স্নাতক উপাধি দেওয়া হত বৈদিক শিক্ষা ছিল আজকের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মতোই।

৩.২ চিত্রিত ধুসর মাটির পাত্র কী ?

উত্তরঃ ভূমিকাঃ চিত্রিত ধূসর মাটির পাত্র নির্মাণ ছিল আর্য সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

(i) ধূসর মাটির পাত্রঃ গৃহস্থালির কাজে আর্যভাষাভাষীরা যে মাটির পাত্র তৈরি করতো সেগুলি ধূসর রং-এর ছিল।

(ii) ছবি আঁকাঃ পরবর্তী বৈদিক যুগে এই ধূসর রং-এর পাত্রগুলির গায়ে ছবি আঁকা হত।

৩.৩ বৌদ্ধ ধর্মের ‘ত্রিরত্ন’ কী কী ?

উত্তরঃ বৌদ্ধধর্মে ত্রিরত্নের ধারণা আছে। বৌদ্ধধর্মের ত্রিরত্ন হল— 1. বুদ্ধ, 2. ধৰ্ম্ম ও 3. সংঘ।

৩.৪ দিগম্বর’ ও ‘শ্বেতাম্বর’ কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনের শেষ দিকে উত্তর ভারতে এক ভয়াবহ দর্ভিক্ষ হয়। এই সময় জৈন সন্ন্যাসীরা উত্তর-পর্ব ভারত থেকে দাক্ষিণাত্যে চলে যাওয়ার ফলে জৈনরা দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর নামে দু-ভাগে ভাগ হয়ে যায়।

দিগম্বর : জৈন সন্ন্যাসী ভদ্রবাহুর নেতৃত্বে একদল জৈন সন্ন্যাসী দাক্ষিণাত্যে চলে যায়। এঁরা মহাবীরের মতো কোনো পোশাক না পরে কঠোরভাবে ধর্মপালন করতেন। এর জন্য এঁদের দিগম্বর বলা হয়।

শ্বেতাম্বর : জৈন সন্ন্যাসী স্থূলভদ্রের নেতৃত্বে একদল জৈন সন্ন্যাসী উত্তর ভারতে থেকে যায়। এঁরা পার্শ্বনাথের মতো সাদা কাপড় পরে ধর্মপালন করতেন। এর জন্য এঁদের শ্বেতাম্বর (শ্বেত-সাদা, অম্বর-কাপড়) বলা হয়।

৩.৫ অশোকের ‘ধর্ম’ কী ?

উত্তরঃ সম্রাট অশোক ধৰ্ম্ম প্রচার করেছিলেন। অশোকের ত্রয়োদশ লিপিতে ‘ধর্ম’ কথাটির উল্লেখ আছে। ধন্মের মূল কথা হিংসা না করা। ‘ধম্মে’ প্রাণীহত্যা বন্ধ করার কথা বলা হয়। তা ছাড়া পিতা, মাতাসহ সব গুরুজনদের নির্দেশ মেনে চলার কথা বলা হয়। ধনী-দরিদ্র সব মানুষের জন্যই তিনি ধম্মের আদর্শ প্রচার করেন।

৩.৬ ‘সাম্রাজ্য’ কী ?

উত্তরঃ সাম্রাজ্য বলতে বোঝায় কয়েকটি অধীন রাজ্য নিয়ে গঠিত একটি বড়ো শাসন এলাকা। কোনো রাজার অধীন অনেক রাজ্য নিয়ে সাম্রাজ্য গঠিত হয়। কোনো একজন রাজা অন্য রাজ্য দখল করলে তাঁর অধীনে বড়ো এলাকা বা সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে।

৩.৭ মহাজনপদগুলির প্রধান প্রধান কৃষিজ ফসলের নাম লেখো।

উত্তরঃ মহাজনপদের যুগে কৃষিই ছিল মানুষের প্রধান জীবিকা। গাঙ্গেয় উপত্যকার উর্বর মৃত্তিকাতে ধান, গম, যব, আখ, তুলা প্রভৃতি উৎপাদিত হত। কৃষিজ ফসলের মধ্যে ধানই (শালিধান) ছিল প্রধান শস্য।

৩.৮ কার্যার্পণ কী ?

উত্তরঃ মহাজনপদের যুগে মুদ্রা ব্যবস্থার বিকাশ ঘটেছিল। ব্যাবসা বাণিজ্যে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ধাতুর মুদ্রা ব্যবহৃত হত। আর কার্ষাপণ হল ধাতুর তৈরি বহুল প্রচলিত এরকমই এক ধরনের মুদ্রা। যা সেযুগে বিনিময় মাধ্যম ছিল|

৩.৯ ‘ব্রাক্ষ্মী’ এবং ‘খরোষ্ঠী’ লিপি কী ?

উত্তরঃ প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে দু’রকমের লিপি ব্যবহৃত হত। একটি ব্রাহ্মী লিপি এবং অপরটি হল খরোষ্ঠী লিপি। ব্রাহ্মীলিপি বাম দিক থেকে ডান দিকে লেখা হত। খরোষ্ঠী লিপি ডানদিক থেকে বাম দিকে লেখা হত।

৩.১০ সঙ্গম সাহিত্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ দক্ষিণ ভারতের তামিল সাহিত্যকে বলা হয় সঙ্গম সাহিত্য। প্রাচীন সঙ্গম সাহিত্যের অন্যতম উদাহরণ হল একটি কবিতা সংকলন। এই কবিতা সংকলন থেকে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র পাওয়া যায়।

৩.১১ কালিদাস রচিত দুটি বিখ্যাত নাটকের নাম লেখো।

উত্তরঃ গুপ্তযুগের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সভাকবি মহাকবি কালিদাস রচিত দুটি বিখ্যাত নাটকের নাম হল— (১) অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ এবং (২) মালবিকাগ্নিমিত্রম্।

৩.১২ নগররাষ্ট্র’ বা ‘পলিস’ কী ?

উত্তরঃ ভূমিকা : পর্বত সঙ্কল গ্রিসে অনেকগুলি পলিস গড়ে ওঠে।

(i) পলিস : প্রাচীন গ্রিসে পাহাড়ে ঘেরা অনেকগুলি ছোটো ছোটো রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল। এই ছোটো ছোটো রাষ্ট্রকেই বলা হত নগররাষ্ট্র বা পলিস।

(ii) বিখ্যাত পলিস : দুটি বিখ্যাত পলিস হল-এথেন্স এবং স্পার্টা।

প্রাকৃতিক, ধর্মীয় ও শাসনকেন্দ্র হিসেবে পলিস গড়ে ওঠে।

৩.১৩ কে, মিশরকে নীলনদের দান’ বলেছেন ?

উত্তরঃ প্রাচীন সভ্যতা ও পিরামিডের দেশ মিশরকে নীলনদের দান বলা হয়।

গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস মিশরকে নীলনদের দান বলে মন্তব্য করেছেন। নীলনদ মরুপ্রায় মিশরের জীবন রেখার মতো প্রবাহিত। নীলনদ না থাকলে মিশর দেশটিও মরুভূমি হয়ে যেত। এইজন্য হেরোডোটাস মিশরকে নীলনদের দান বলেছেন।

৩.১৪ আর্যভট্ট রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তরঃ গুপ্তযুগের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদ ও গণিতবিদ ছিলেন আর্যভট্ট। আর্যভট্ট রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল— (১) আর্যভট্টীয় এবং (২) সূর্য-সিদ্ধান্ত।

৪। নীচের যে কোন ৫ টি প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো (চার-পাঁচটি বাক্যের মধ্যে) : ৩×৫=১৫

৪.১ চতুরাশ্রম প্রথা কী ?

উত্তরঃ ভূমিকাঃ আর্যদের সমগ্র জীবন ছিল ছকে বাঁধা চারটি পর্যায়ে বিভক্ত। এগুলি হল- ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বাণপ্রস্থ, সন্ন্যাস।

চতুরাশ্রম প্রথা—

(ক) ব্রহ্মচর্য : এই পর্যায়ে শিষ্য বা ছাত্ররা গুরু গৃহে থেকে পড়াশোনা করত।

(খ) গার্হস্থ্যঃ পড়াশোনা শেষে ছাত্ররা নিজবাড়িতে ফিরে এসে বিবাহ করে সংসার পালন করত, যা গার্হস্থ্য নামে পরিচিত।

(গ) বানপ্রস্থঃ এই পর্যায়ে বনবাসী জীবন পালন করতে হত।

(ঘ) সন্ন্যাসঃ বনে কুটির তৈরি করে বাকি জীবন সেখানে ঈশ্বর চিন্তায় কাটাতে হত।

• এই চতুরাশ্রম প্রথা শূদ্র ছাড়া বাকি তিন বর্ণের ক্ষেত্রে চালু ছিল।

৪.২ ‘রুত্নিন’ কাদের বলা হত ? ‘সভা’ ও ‘সমিতি” বলতে কী বোঝায় ?

উত্তরঃ রত্নিন : বৈদিক যুগে রাজাকে শাসনকাজে যারা সাহায্য করতেন তাদের রত্নিন বলা হত। রত্নিন-এর ধারণা থেকেই পরবর্তীকালে মন্ত্রীর ধারণা এসেছে।

সভা ও সমিতি : পরবর্তী বৈদিক যুগে রাজাকে সব বিষয়ে সাহায্য করত সভা ও সমিতি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।

সভা : সভা গঠিত হত অভিজ্ঞ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়ে।

সমিতি : সমিতিতে সকল মানুষ যোগ দিতে পারত। এখানে রাজনীতি বিষয়ে নানারকম আলোচনা হত।

৪.৩ অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী ?

উত্তরঃ গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, মানুষের জীবনে দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আটটি উপায় রয়েছে। এই আটটি উপায়কে একসঙ্গে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলা হয়। মার্গ মানে পথ।

অষ্টাঙ্গিক মার্গ : অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা পথ হল— 1. সৎ বাক্য, 2. সৎ কার্য, 3. সৎ জীবিকা, 4. সৎ চেষ্টা, 5. সৎ চিন্তা, 6. সৎ চেতনা, 7. সৎ সংকল্প ৪. সৎ সমাধি।

এই অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করলে মানুষ দুঃখকষ্টের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে বুদ্ধ মনে করতেন।

৪.৪ মৌয় সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়োগ করতেন ?

উত্তরঃ মৌর্য সম্রাটরাই প্রথম গুপ্তচর নিয়োগ করেছিলেন। গুপ্তচরেরা সন্ন্যাসী, ছাত্র, ব্যবসায়ী, ভিখারিনি প্রভৃতি অনেক ছদ্মবেশ ধরে কাজ করত। গুপ্তচরদের মাধ্যমে সাম্রাজ্যের সব খবর সম্রাটের কাছে চলে আসত।

গুপ্তচর নিয়োগের কারণ—

মৌর্য সম্রাটদের গুপ্তচর নিয়োগের কারণ ছিল (১) সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের খোঁজখবর আনা (২) অচেনা, বিদেশি বা সন্দেহজনক লোকের উপর নজর রাখা। (৩) রাজকর্মচারী ও রাজপুত্রদের উপর নজর রাখা।

৪.৫ এলাহাবাদ প্রশস্তি গুরুত্বপূর্ণ কেন ?

উত্তরঃ এলাহাবাদের কৌশাম্বী গ্রামে গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের একটি লিপি পাওয়া গেছে। এই লিপিতে সমুদ্রগুপ্ত সম্পর্কে শুধু ভালো কথায় লেখা আছে বলে একে এলাহাবাদ প্রশস্তি বলা হয়। এই এলাহাবাদ প্রশস্তিটি রচনা করেছিলেন সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ। এই প্রশস্তি থেকে সমুদ্রগুপ্তের যুদ্ধ, রাজ্যজয় প্রভৃতি সম্বন্ধে জানা যায়।

৪.৬ বেশির ভাগ মহাজনপদগুলি কেন গাঙ্গেয় উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল ?

উত্তরঃ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে বেশির ভাগ মহাজনপদ গাঙ্গেয় উপত্যকা অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল।

» কারণ—

(i) কৃষির সুবিধা : কৃষিকাজ ছিল এই সময়ের মানুষের প্রধান জীবিকা। উর্বর পলিযুক্ত মাটি ও জলসেচের সুবিধার জন্যে এই অঞ্চলে কৃষির উন্নতি ঘটে।

(ii) ব্যাবসাবাণিজ্য : নদী ছিল বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। গঙ্গা, যমুনা, শোন, গণ্ডক প্রভৃতি নদীপথে বাণিজ্য চলত।

এই কারণে গাঙ্গেয় উপত্যকায় বেশিরভাগ মহাজনপদ গড়ে ওঠেছিল।

৪.৭ ‘অগ্রহার’ ব্যবস্থা কী ?

উত্তরঃ গুপ্ত যুগে বিভিন্ন রকমের ভূমিদান ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। এমনই একটি নিষ্কর ভূমিদান ব্যবস্থা হল ‘অগ্রহার’।

(i) বাংলার তাম্রলেখ : বাংলায় পাওয়া গুপ্ত আমলের একটি তাম্রলেখ থেকে গুপ্ত যুগে দানের উদ্দেশ্যে কেনা জমির কথা জানা যায়। ওই জমিগুলি ব্রাক্ষ্মণ বা বৌদ্ধবিহারকে দান করা হত। জমিগুলি নিষ্কর ছিল।

(ii) জমিদান : গুপ্ত ও গুপ্ত-পরবর্তী আমলে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে বৌদ্ধ বিহার বা ব্রাহ্মণকে জমিদান করা হত। এই জমিদানকেই বলা হয় ‘অগ্রহার’ ব্যবস্থা।

(iii) ফলাফল : অগ্রহার ব্যবস্থার ফলে কৃষিকাজ ও কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি।

৪.৯ টীকা লেখো ‘তক্ষশিলা মহাবিহার।

উত্তরঃ গান্ধার মহাজনপদের রাজধানী ছিল তক্ষশিলা। যা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিল।

(i) পরিচালনা ও নিয়মকানুন : দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্ররা তক্ষশিলায় আসত উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য। ছাত্ররা কঠোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলার মধ্যে শিক্ষালাভ করত।

(ii) শিক্ষাদান পদ্ধতি : ষোলো থেকে কুড়ি বছর বয়সের ছাত্ররা তক্ষশিলায় আসত উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য। ছাত্ররা কঠোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলার মধ্যে শিক্ষালাভ করত।

(iii) পাঠ্য বিষয় : এখানে বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র ছাড়াও ব্যাকরণ, ন্যায়শাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয় পড়ানো হত।

(iv) গুরুত্ব : এই মহাবিহারটি শিক্ষাবিস্তারের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।

৪.১০ টীকা লেখো: গান্ধার শিল্প।

উত্তরঃ ভূমিকাঃ কুষাণযুগে গ্রিক, রোমান ও ভারতীয় শিল্পরীতির সমন্বয়ে গান্ধার অঞ্চলে যে শিল্পের উদ্ভব হয়, তাকেই বলা হয় গান্ধার শিল্প।

(i) শিল্পের বিষয়বস্তু : বৌদ্ধধর্মকে ঘিরে গান্ধার শিল্প গড়ে উঠেছিল। গান্ধার শিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল বুদ্ধমূর্তি।

(ii) বুদ্ধমূর্তির বৈশিষ্ট্য : গান্ধারের শিল্পীরা নতুন ধরনের বুদ্ধমূর্তি তৈরি করেন। টিকালো নাক, টানা ভুরু ও আধবোজা চোখ মূর্তিগুলির বৈশিষ্ট্য। মূর্তির পায়ে রোমানদের মতো জুতো ও সোনালি রং-এর ব্যবহার দেখা যায়।

(iii) গুরুত্ব : বুদ্ধের মূর্তির ভঙ্গিমা, পোশাকের ব্যবহার সব মিলিয়ে গান্ধার শিল্পে গ্রিক ও রোমান শিল্পের ছাপ দেখা যায়। ইরানীয় ও মধ্য এশিয়ার শিল্পের ছাপও গান্ধার শিল্পে পড়েছিল।

৫। নীচের যে কোন ৩টি প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো (৮-১০টি বাক্যের মধ্যে) : ৫x৩=১৫

৫.১ টীকা লেখো : গুপ্ত ও পল্লব আমলের শিল্পচর্চা।

৫.২ সম্রাট অশোকের ধন্মনীতি বা ধর্মনীতির বর্ণনা দাও।

৫.৩ মৌর্য যুগের সমাজ ও অর্থনীতির পরিচয় দাও।

৫.৪ স্তূপ, চৈত্র ও বিহার বলতে কী বোঝো ?

৫.৫ গুপ্ত আমলের বাণিজ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

৫.৬ প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও বিজ্ঞানচর্চার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

📌আরও দেখুনঃ

1. ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

Leave a Reply