WBBSE Class 6 History First Unit Test Question Paper Set-4 | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম ইউনিট টেস্ট সেট-৪

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

CLASS 6 HISTORY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER

Set-4

পাঠ্যসূচী / Syllabus :
2. ভারতীয় উপমহাদেশে আদিম মানুষ 3.ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
বিষয় : ইতিহাস       শ্ৰেণি : ষষ্ঠ
পূর্ণমান : ১৫        সময় : ৩০ মিনিট।

নাম ……………………………………………….

রোল………………. বিভাগ……………

১। ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ: ১×২=২

(ক) শকাব্দ চালু করেন – (প্রথম চন্দ্রগুপ্ত / কণিষ্ক / হর্ষবর্ধন)।

উত্তরঃ কণিষ্ক।

(খ) হুন্সগি উপত্যকা – (কেরল / দিল্লী / কর্ণাটকে) অবস্থিত।

উত্তরঃ কর্ণাটকে।

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১×৩=৩

(ক) হর্ষচরিত গ্রন্থের রচয়িতা কে ?

উত্তরঃ বানভট্ট।

(খ) শূন্যস্থান পূরণ করো: মেহেরগড় সভ্যতা ………… গিরিপথের নিকট অবস্থিত।

উত্তরঃ বোলান।

(গ) ঠিক না ভুল লেখ:- ভীমবেটকা গুহাচিত্র ছিল প্রাচীন ভারতের গুহাচিত্র।

উত্তরঃ ঠিক।

৩. নীচের প্রশ্নের উত্তর দাও : ২

(ক) নদীমাতৃক সভ্যতা বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ মাতৃক’ কথার অর্থ হল মায়ের মতাে। পুরােনাে দিনের অনেক সভ্যতা নদীর ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয়েছিল। সেইসব সভ্যতার কাছে নদী ছিল মায়ের মতাে। কারণ নদনদীগুলি একদিকে যেমন সমতল ভূমিকে উর্বরতা দান করে শস্যশ্যামল করেছে, তেমনি অন্যদিকে নদী উপকূলবর্তী স্থানগুলিতে গড়ে উঠেছে সভ্যতা, বাণিজ্যকেন্দ্র ও জনপদ। স্থানের মধ্যে প্রাচীন ভারতের নদীগুলিই ছিল বিভিন্ন ও বাণিজ্যের মাধ্যম। নদী তীরবর্তী সভ্যতাগুলির নদীর গুরুত্ব বেশি বলে সেইসব সভ্যতাগুলিকে যােগাযােগ কাজকর্মে নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়।

৪. টীকা লেখঃ- ট্যরো ট্যরো। ৩

উত্তরঃ ইউরোপের স্পেন দেশে পাহাড়ি এলাকা আলতামিরায় কয়েকী প্রাচীন গুহার খোঁজ মেলে। এক প্রত্নতাত্ত্বিক তাঁর ছোটো মেয়েকে নিম্নে পুহাগুলি দেখতে যান। গুহার এক দেয়ালে তাঁরা আলো ফেললে এব ষাঁড়ের ছবি দেখতে পান। গুহার ছাদে বিশাল বড়ো এই ষাঁড়ের ছবিটি দেখে মেয়েটি চিৎকার করে ট্যুরো-টারো অর্থাৎ ষাঁড়-খাঁড় বলৈ ওঠে। এই ছবিটি প্রায় ৫০ থেকে ৩০ হাজার বছর আগের গুহাবাসী মানুষের আঁকা।

৫. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির মধ্যে যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১x৫=৫

(ক) হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ হরপ্পা সভ্যতার ধবংসের কারণ—

হঠাৎ করে একটি সভ্যতা শেষ হয়ে যায় না। বেশকিছু ঘটনার যোগফলে হরপ্পা সভ্যতার পতন বা অবনতি শুরু হয়েছিল।

(১) বন্যা : মহেনজোদারো নগরে বিরাট পাঁচিলের গায়ে কাদার চিহ্ন মিলেছে। মনে করা হয় বন্যার ফলেই সম্ভবত এই কাদা জমেছিল। সিন্ধু নদের এই বন্যায় মহেনজোদারোর ক্ষতি হয়েছিল।

(২) বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া এশিয়া মহাদেশের অনেক জায়গাতেই বৃষ্টিপাত কমতে থাকে (খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ অব্দ নাগাদ থেকে), ফলে এই সভ্যতার সমগ্র অঞ্চল জুড়ে শুষ্ক জলবায়ু দেখা যায়। শুষ্ক জলবায়ুর কারণে কৃষিকাজ সমস্যার মুখে পড়ে। তা ছাড়া বাড়ি তৈরির ইট পোড়ানোর জন্য চুল্লির জ্বালানিরূপে কাঠ ব্যবহার করা হত। গাছ কেটেই এই কাঠের জোগান দেওয়া হত। ব্যাপকভাবে গাছ কেটে নেওয়ার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়।

(৩) বাণিজ্যে ভাটা: মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে হরপ্পার বাণিজ্যে ভাটা পড়েছিল (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ অব্দের পর থেকে)। এর ফলে হরপ্পার অর্থনীতি সমস্যায় পড়ে।

(৪) নগর শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা : ধীরে ধীরে হরপ্পার নগর শাসনব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এইসব সমস্যাগুলি থেকে মুক্ত হতে না পারায় হরপ্পা সভ্যতা শেষ পর্যায়ে পৌঁছোয় ও ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।

(খ) আদিম মানুষ সর্বপ্রথম কিভাবে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল ? এর ফলে কি সুবিধা হয়েছিল ?

উত্তরঃ আদিম মানুষ কীভাবে সর্বপ্রথম আগুন জ্বালাতে শিখেছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে অনুমান করা হয় যে, বনজঙ্গলে লাগা দাবানলের আগুন বা অন্য কোনোভাবে জ্বলে ওঠা আগুন দেখে আদিম মানুষ আগুন জ্বালাতে শিখেছিল।

(১) দাবানলের আগুন দেখে : আদিম মানুষ প্রথমদিকে, বনজঙ্গলে কাঠের সঙ্গে কাঠের ঘষা লেগে যে আগুন অর্থাৎ দাবানল জ্বলে উঠত তা দেখেছিল। তা দেখেই হয়তো কাঠের সঙ্গে কাঠ ঘষে আদিম মানুষ সর্বপ্রথম আগুন জ্বালাতে শিখেছিল।

(২) পাথরের ঠোকাঠুকিতে জ্বলে ওঠা আগুন দেখে : আদিম মানুষ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করতে গিয়ে দেখে চকমকি-জাতীয় পাথরের ঠোকাঠুকিতে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। তা দেখে পাথরে পাথর ঠুকে আদিম মানুষ হয়তো আগুন জ্বালাতে শেখে।

আগুন জ্বালাতে শেখার পর আদিম মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছিল। যেমন—

(১) প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে রক্ষা : আদিম মানুষ আগুন জ্বেলে তার তাপ নিয়ে প্রচন্ড শীতের হাত থেকে রক্ষা পেত।

(২) জীবজন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষা : সব প্রাণী আগুনকে ভয় পায়। আদিম মানুষ আগুন জ্বালাতে শেখার পর আগুন দিয়ে অন্য জীবজন্তুর আক্রমণের মোকাবিলা করত।

(৩) আগুনে ঝলসে খাওয়া : আগুন জ্বালাতে শেখার পর আদিম মানুষ কাঁচা মাংস খাওয়ার বদলে আগুনে ঝলসানো মাংস খাওয়া শুরু করল।

👉সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র👈


Leave a Reply