FIRST SUMMATIVE EVALUATION
GEOGRAPHY QUESTION PAPER
CLASS 7 (VII) WBBSE
(প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বেশিরভাগ বইতে প্রতিটি পর্বের পাঠ্যসূচি ও কিছু কিছু বইতে প্রশ্নের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন দেওয়া আছে, প্রশ্নপত্র তৈরীর ক্ষেত্রে প্রায় সমস্ত বিদ্যালয় পাঠ্যসূচি ও প্রশ্নের কাঠামো অনুসরণ করে থাকে, তবে কখনো কখনো ব্যতিক্রমও ঘটে। কোন কারণে পাঠ্যসূচী সময়মতো শেষ না হলে বিদ্যালয় নিজেদের মতো করে প্রশ্ন করে থাকে। সেক্ষেত্রে প্রশ্নের কাঠামো অনুসরণ করা হয় না। তাই এই সাইটে প্রদত্ত কোন কোন প্রশ্নপত্র প্রশ্নের কাঠামোর সঙ্গে মিল নেই।)
Set-3
পাঠ্যসূচী / Syllabus
১. প্রথম অধ্যায় : পৃথিবীর গতি (১)
২. দ্বিতীয় অধ্যায় : ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (১৯)
৩. তৃতীয় অধ্যায় : বায়ুর চাপ (২৯)
৪. নবম অধ্যায় : এশিয়া মহাদেশে (৮৩)
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন 2023
সপ্তম শ্রেণি বিষয় : ভূগােল
সময় : ৩০ মিনিট পূর্ণমান : ১৫
১। ঠিক উত্তরটি বেছে নাও (যে-কোনো তিনটি) : ১×৩=৩
১.১ অধিবর্ষের বছরটি হল – (2018 / 2022 / 2024 / 2026 সালে)।
উত্তরঃ 2024 সালে
১.২ ‘রয়াল অ্যাস্ট্রোনোমিকাল অবজারভেটরি’ অবস্থিত – (আমেরিকায় / ভারতে / ফ্রান্সে / লন্ডনে)।
উত্তরঃ লন্ডনে।
১.৩ পীত নদী বলা হয় – (হোয়াংহো / গঙ্গা / ইয়াংসি কিয়াং / গোদাবরী) নদীকে।
উত্তরঃ হোয়াংহো।
২। নীচের প্রশ্নগুলির দু-এককথায় উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ১×২=২
২.১ পৃথিবীর বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির বেগ কত ?
উত্তরঃ পৃথিবীর বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির বেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 30 কিলোমিটার।
২.২ ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমানার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত ?
উত্তরঃ প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
২.৩ কোন শহরকে ‘চীনের ম্যাঞ্চেস্টার’ বলা হয় ?
উত্তরঃ সাংহাই শহরকে চীনের ম্যাঞ্চেস্টার বলা হয়।
৩। অনধিক ৩০টি শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ২×১=২
৩.১ ‘চান্দ্রমাস’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীতে প্রায় ২৮ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। এই সময়কে ‘চান্দ্রমাস’ বলে।
৩.৩ অক্ষরেখা কাকে বলে ?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখার সমান্তরালে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী আড়াআড়ি কাল্পনিক রেখাবৃত্তগুলিকে অক্ষরেখা বলে ।
৩.৪ মুক্তিবেগ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে গতিতে গেলে কোনো বস্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছাড়িয়ে যেতে পারে তাকে মুক্তিবেগ বলে । এই মুক্তিবেগের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১১.২ KM.
৪। অনধিক ৬০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩×১=৩
৪.১ এশিয়াকে ‘চরম বৈশিষ্ট্যের মহাদেশ’ বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ কারণ— আয়তনের দিক থেকে এশিয়া মহাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ। এই মহাদেশের ভূপ্রকৃতি, নদনদী, জলবায়ু, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, জীবজন্তু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদান এবং অধিবাসীদের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি প্রভৃতি বিপরীতধর্মী বৈচিত্র্যে ভরা। এছাড়াও সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি, বিরাট মালভূমি, বিস্তীর্ণ সমভূমি আর উর্বর নদী উপত্যকার মহাদেশ এশিয়ায় এমন কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে, যা অন্য কোনো মহাদেশে নেই। তাই এশিয়াকে ‘চরম বৈশিষ্ট্যের মহাদেশ’ বলা হয়।
৪.২ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার চারটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।
অথবা, অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ অক্ষরেখার চারটি বৈশিষ্ট্য হলো— (i) অক্ষরেখা পরস্পর সমান্তরাল। (ii) অক্ষরেখাগুলো পূর্ণবৃত্ত। (iii) অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ মেরুর দিকে কমে যায় । (iv) অক্ষরেখা ডিগ্রিতে (°) পরিমাপ করা হয়। (v) অক্ষরেখার মান মেরুর দিকে বেড়ে যায়।
দ্রাঘিমারেখার চারটি বৈশিষ্ট্য হলো— (i) দ্রাঘিমারেখা পরস্পর সমান্তরাল নয়। (ii) দ্রাঘিমারেখাগুলো অর্ধবৃত্ত। (iii) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান। (iv) দুটি দ্রাঘিমারেখার মধ্যে দূরত্ব নিরক্ষরেখার কাছে সবচেয়ে বেশি। নিরক্ষরেখার থেকে মেরুর দিকে ক্রমশ দূরত্ব কমে যায়।
৫। অনধিক ১২০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখ: ৫×১=৫
৫.১ বায়ু চাপের তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা করো। / বায়ুর চাপের পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে ভূপৃষ্ঠে বায়ুচাপ সর্বত্র সমান নয়। বিভিন্ন ঋতুতে দিনের বিভিন্ন সময় একই জায়গায় বায়ুর বিভিন্ন চাপ লক্ষ করা যায়। বায়ুর চাপের এই বিভিন্নতার তিনটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল—
(i) বায়ুর উয়তাঃ বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে বায়ু আয়তনে প্রসারিত হয়, ফলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় এবং বায়ুর চাপ হ্রাস পায়। পক্ষান্তরে, বায়ুর উষ্ণতা হ্রাস পেলে বায়ু শীতল ও ভারি হওয়ায় বায়ুর চাপ বৃদ্ধি পায়।
(ii) পৃথিবীর আবর্তনঃ পৃথিবীর আবর্তন গতির কারণে উদ্ভূত কোরিওলিস বলের প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী বায়ু উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ছিটকে যায়। ফলে সেই স্থানে বায়ুর ঘাটতি থাকে, ঘনত্ব কমে এবং চাপও কমে ।
(iii) বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিঃ বিশুদ্ধ বায়ু অপেক্ষা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু হালকা তাই জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা হালকা। সেই কারণে এই বায়ুচাপও কম দেয়। অন্যদিকে, শুষ্ক বায়ু বেশি ভারি, তাই চাপও বেশি।
৫.২ ঋতু পরিবর্তনের কারণগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ঋতু পরিবর্তনের কারণঃ বিভিন্ন কারণে উষ্ণতার তারতম্যের ফলে ভূপৃষ্ঠে ঋতু পরিবর্তন হয়। এই কারণ গুলি হল–
(i) পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতিঃ পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির জন্য সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠে কোথাও লম্বভাবে পরে, কোথাও বা তীর্যকভাবে পরে। তির্যক ও লম্বভাবে পতিত সূর্য রশ্মির মধ্যে উত্তাপ এর তারতম্য থাকায় কোথাও শীত কোথাও গ্রীষ্ম ঋতু দেখা যায়।
(ii) পৃথিবীর আবর্তন গতিঃ পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য দিনরাত্রি সংঘটিত হয় এর ফলে উষ্ণতার তারতম্য ঘটে ও ঋতু পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর আবর্তন গতি না থাকলে অর্ধেক পৃথিবীতে চির গ্রীষ্ম ও অর্ধেক পৃথিবীতে চির শীত বিরাজ করতো।
(iii) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতিঃ পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট উপ বৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে, যা পরিক্রমণ গতি নামে পরিচিত। এই পরিক্রমন গতির জন্য ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্য রশ্মি প্রাপ্তির তারতম্য দেখা যায়। যার দরুন ঋতু পরিবর্তন সংঘটিত হয়।
(iv) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথঃ পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে জন্য সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সারা বছর সমান থাকে না। এর ফলে উষ্ণতার পার্থক্য সৃষ্টি হয়।
(v) পৃথিবীর মেরু রেখার একই দিকে অবস্থানঃ পৃথিবীর কক্ষতলের ওপর তার মেরু রেখার সাড়ে 66 ডিগ্রী কোণে সর্বদা একই দিকে অবস্থানের ফলে দিন ও রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। এর ফলে শীত ও গ্রীষ্মের তারতম্য দেখা যায়।
Pingback: WBBSE Class 7 Unit Test | All Subject Question Papers- Prosnodekho -