CLASS 7 HISTORY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER
1. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-১ Click Here
2. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-২ Click Here
3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-৩ Click Here
4. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-৪ Click Here
Set-2
পাঠ্যসূচী / Syllabus—
১. ইতিহাসের ধারণা।
২. ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা : খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক।
৩. ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা : খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক।
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
সপ্তম শ্রেণী বিষয়: ইতিহাস
পূর্ণমান: ১৫ সময়: ৩০ মিনিট
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
(যে-কোনো দুটি) ১ × ২ = ২
(ক) ত্রিশক্তি সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল-(কর্ণসুবর্ণ / কনৌজ / মগধ ) দখল করা।
উত্তরঃ কনৌজ।
(খ) সেন রাজা- (বিজয়সেন / লক্ষনসেন / বল্লালসেন) এর সময়ে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে।
উত্তরঃ লক্ষনসেন।
(গ) হর্ষচরিত গ্রন্থটির লিখেছেন- (বাণভট্ট / হর্ষবর্ধন / তুলসীদাস )।
উত্তরঃ বাণভট্ট।
২. শুন্যস্থান পূরণ করো: (যে-কোনো দুটি) ১ × ২ = ২
(ক) পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা __________।
উত্তরঃ গোপাল।
(খ) তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে ___________
জয়ী হন।
উত্তরঃ পৃথ্বীরাজ চৌহান।
(গ) রাজা লক্ষনসেনের রাজধানী ছিল _______________।
উত্তরঃ বিক্রমপুর।
৩. সত্য না মিথ্যা লিখ:(যে-কোনো দুটি) ১ × ২ = ২
(ক) গজনির সুলতান মাহমুদ সতেরোবার উত্তর ভারত আক্রমণ করেন। (সত্য)
(খ) রামচরিত কাব্য লিখেছেন তুলসীদাস। (মিথ্যা)
(গ) খলিফা শব্দের অর্থ প্রতিনিধি। (মিথ্যা)
৪. এককথায় উত্তর দাও: (যে-কোনো তিনটি) ১×৩=৩
(ক) কৈবর্ত বিদ্রোহের একজন নেতার নাম লেখ।
উত্তরঃ দিব্য / রুদোক / ভীম।
(খ) শশাঙ্কের রাজধানী কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ কর্ণসুবর্ণ।
(গ) গঙ্গাইকোন্ডচোল উপাধি কে নিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ প্রথম রাজেন্দ্র।
(ঘ) কবে থেকে হিজরি সাল গণনা শুরু হয় ?
উত্তরঃ ৬২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে।
৫. যে-কোনো ২ টি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৩ × ২ = ৬
(ক) ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই সংগ্রামের কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ ত্রিশক্তি সংগ্রাম পাল, গুর্জর-প্রতিহার এবং রাষ্ট্রকূট বংশের রাজাদের মধ্যে ত্রিশক্তি সংগ্রাম হয়েছিল।
হর্ষবর্ধনের রাজধানী কনৌজকে কেন্দ্র করে ত্রিশক্তি সংগ্রামের সূত্রপাত ঘটে। তাঁর মৃত্যুর পর কনৌজের যোগ্য উত্তরাধিকারের অভাবে রাষ্ট্রকূট, পাল, গুর্জর-প্রতিহারদের মধ্যে কনৌজ দখলের জন্য সংগ্রাম শুরু হয়।
(খ) মাৎস্যন্যায় কী ?
উত্তরঃ রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে পাল রাজবংশের আসার আগে পর্যন্ত সময়ে বাংলার রাজনীতিতে চরম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থা চলেছিল। বাংলার ইতিহাসে একে মাৎস্যন্যায় বলে।
(গ) সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে
লুঠ করা সম্পদ কিভাবে ব্যবহার
করেছিলেন ?
উত্তরঃ ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারত আক্রমণ করেন। এই বারংবার আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় মন্দির গুলি থেকে ধন-সম্পদ লুঠ করা এবং সেই সম্পদ দিয়ে গজনীর নানা উন্নয়নমূলক কাজ করা।
যেমন-
১.তিনি তার রাজধানী গজনী ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য শহরগুলিকে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলেন।
২.একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং শিক্ষক ও ছাত্রদের বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
৩.অনেক গ্রন্থাগার মসজিদ জলাধার মনোরম প্রাসাদ বাগিচা আলো বাঁধ নির্মাণ করেন।
(ঘ) টিকা লিখ: কৈবর্ত বিদ্রোহ।
উত্তরঃ
কৈবর্ত বিদ্রোহঃ পালরাজা দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে কৈবর্ত নেতা দিব্য বা দিব্বোকের নেতৃত্বে বরেন্দ্রভূমিতে যে বিদ্রোহ হয়েছিল তাকে ‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’ বলা হয়। কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা ছিলেন দিব্য, তাঁর ভাই রুদোক (রুদ্রোক) এবং রুদোকের পুত্র ভীম। কৈবর্তদের বিদ্রোহের কারণ সম্পর্কে পণ্ডিতদের মধ্যে মতবিরোধ আছে।
কৈবর্ত দিব্য ছিলেন উচ্চাকাঙ্খী ব্যক্তি। পাল রাজাদের দুর্বলতা, অভ্যন্তরীণ গোলযোগ এবং রাজপরিবারে অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে দিব্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। বিদ্রোহীদের হাতে পাল রাজা মহীপাল নিহত হন। বিদ্রোহে জয়লাভ করে দিব্য বরেন্দ্রভূমিতে তাঁর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর রূদোক ও ভীম সিংহাসন লাভ করেন। পালরাজা রামপাল কয়েকজন আঞ্চলিক সামন্ত রাজাদের সাহায্য নিয়ে কৈবর্ত শাসক-ভীমকে পরাজিত ও নিহত করেন
এবং বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করেন। রামপাল রামাবতী নগরে তাঁর রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এই বিদ্রোহ পাল সাম্রাজ্যকে
দুর্বল করে দেয়।
Pingback: WBBSE Class 7 Unit Test | All Subject Question Papers- Prosnodekho -