CLASS 8 GEOGRAPHY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER
Set-2
সিলেবাসঃ / Syllabus—
১. পৃথিবীর অন্দরমহল
২. অস্থিত পৃথিবী
৩. শিলা
৪. ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক।
First Summative Evaluation
Class : VIII Sub : Geography
Time : 30 Min. F.M : 15
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ১×৩=৩
(ক) পৃথিবীর ভৌমজল বলতে বোঝায়— (পৃথিবীর ভেতরের জল / ভূপৃষ্ঠের ওপরের জল / বায়ুমণ্ডলের জল)।
উত্তরঃ পৃথিবীর ভেতরের জল।
(খ) পরিবেশকে প্রধানত (২ / ৩ / ৪)টি ভাগে ভাগ করা যায়।
উত্তরঃ ২টি।
(গ) যে স্থানে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয় সেই অঞ্চলকে বলা হয়— (কেন্দ্র / উপকেন্দ্র / ভূপৃষ্ঠ)।
উত্তরঃ কেন্দ্র।
২। সঠিক উত্তরের পাশে ‘সত্য’ এবং ভুল উত্তরের পাশে ‘মিথ্যা’ লেখো : ১×২=২
(ক) রিখটার স্কেলের আবিষ্কর্তা—JT Wilson
উত্তরঃ ‘মিথ্যা’
(খ) আর্সেনিক রোগ সংঘটিত হয় বায়ুদূষণের ফলে।
উত্তরঃ ‘মিথ্যা’
৩। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো : (যে-কোনো একটি) : ২×১=২
(ক) নেপাল পর্যটন শিল্প (খ) বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক শিল্প
(ক) নেপাল পর্যটন শিল্প—
উত্তরঃ পর্যটন নেপালের বৃহত্তম শিল্প ও বিদেশী মুদ্রা আরোহণের বৃহত্তম উৎস। পৃথিবীর ১০ টা উঁচু পর্বত শৃঙ্গের মধ্যে আটটা নেপালে অবস্থিত। সারা পৃথিবীর পর্বতারোহীরা নেপালে পর্বতারোহন করতে আসেন। পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট নেপালে রয়েছে যা পর্বতারোহীদের বিশেষ আকর্ষণ। কাঠমান্ডু নাগারকোট, পোখরা, লুম্বিনী, অন্নপূর্ণা প্রভৃতি নেপালের দর্শনীয় স্থান।
(খ) বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক শিল্প—
উত্তরঃ বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশে বহু কৃষিজ ও বনজ শিল্প গড়ে উঠেছে। পাট বাংলাদেশের প্রধান শিল্প। প্রায় ৮০ টির কাছাকাছি পাটকল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে গড়ে উঠেছে। চাষ শিল্পে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা নেয়। এছাড়া কাগজ, চিনি, রাসায়নিক সার, সিমেন্ট, জাহাজ মেরামতি প্রভৃতি শিল্প গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ কুটির শিল্পে বেশ উন্নত। খনিজ সম্পদ ও শক্তি সম্পদের অভাবের কারণে বাংলাদেশে খনিজ ভিত্তিক শিল্প গড়ে ওঠেনি।
৪। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও : (যে-কোনো একটি) : ৩×১=৩
(ক) উদাহরণসহ আগ্নেয়গিরির শ্রেণীবিভাগ করো।
উত্তরঃ সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরি তিন ধরনের হয়—
সক্রিয় আগ্নেয়গিরিঃ যে আগ্নেয়গিরিগুলো সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অবিরামভাবে অথবা প্রায়শই অগ্নুৎপাত ঘটিয়ে চলেছে তাদের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলা হয়। যেমন— সিসিলি দ্বীপের এটনা, লিপারি দ্বীপের স্ট্রম্বলী, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া, কিলাওয়া, ভারতের ব্যারেন।
সুপ্ত আগ্নেয়গিরিঃ যে আগ্নেয়গিরিগুলি একবার অগ্নুৎপাতের পর দীর্ঘকাল নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে, তাদের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। যেমন— জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া।
মৃত আগ্নেয়গিরিঃ যে আগ্নেয়গিরিগুলি অতি প্রাচীনকালে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই, তাদের মৃত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। যেমন— মেক্সিকোর পারকুটিন, মায়ানমারের পোপো।
(খ) ভূমিকম্প হলে কী কী করনীয় ?
উত্তরঃ
(i) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি বা স্কুল থেকে বেরিয়ে কোন খোলা জায়গায় যেতে হবে।
(ii) যদি খোলা জায়গায় বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে বাড়ির মধ্যে দ্রুত কোন শক্ত টেবিল তলায় ঢুকে পড়তে হবে।
(iii) ভূমিকম্প চলাকালীন বহুতল বাড়ির ঝুল বারান্দা, সিড়ি, লিফট ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
(iv) বাড়ি থেকে বেরোবার আগে সম্ভব হলে প্রয়োজনের জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে নিতে হবে।
৫। যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫
(ক) শিলা কাকে বলে ? বিভিন্ন প্রকার শিলার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ প্রকৃতিতে প্রাপ্ত একবার একাধিক খনিজের সমসত্ব বা অসমর অসমসত্ব মিশ্রণকে বলা হয় শিলা।
প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের শিলা দেখতে পাওয়া যায়। উৎপত্তি অনুসারে শিলাকে তিনটি পরিবারে ভাগ করা যায়— আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা।
আগ্নেয় শিলাঃ পৃথিবী সৃষ্টির সময় উত্তপ্ত ও তরল অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে ভূত্বকের মধ্যে ও উপরে প্রথম শেষ কঠিন শিলার সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয়শিলা বলে। পৃথিবীতে প্রথম সৃষ্টি হওয়ায় এই শিলার আরেক নাম প্রাথমিক শিলা। উদাহরণ— গ্রানাইট, ব্যাসল্ট প্রভৃতি।
পাললিক শিলাঃ আগ্নেয় শিলা বহুদিন ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক খয়কারী শক্তি যেমন — নদী, হিমবাহ, বায়ু, সমুদ্র তরঙ্গ প্রভৃতির প্রভাবে উৎস স্থান থেকে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত ও পরিবাহিত হয়ে কোন সমুদ্র, হ্রদ বা নদীর তলদেশে জমা হতে থাকে। এভাবে বছরের পর বছর ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ গুলো স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় এবং পরবর্তীকালে পলি জমা বেঁধে যে শিলা সৃষ্টি হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। উদাহরণ— কাদাপাথর, বেলেপাথর, চুনাপাথর প্রভৃতি।
রূপান্তরিত শিলাঃ আগ্নেয় ও পাললিক শিলা ভূ–অভ্যন্তরের প্রচন্ড চাপ, তাপ, নানা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে তার পুরোনো ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট শিলায় পরিণত হয়। একেই রূপান্তরিত শিলা বলে। উদাহরণ— গ্রাফাইট, স্লেট, মার্বেল প্রভৃতি।
(খ) শিলার ব্যবহার ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তরঃ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপে শিলার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আগ্নেয় শিলার ব্যবহারঃ (i) বাড়ি ও তার মেঝে তৈরিতে গ্রানাইট পাথর ব্যবহার করা হয় । (ii) রাস্তাঘাট, রেল লাইন ও ট্রামলাইনে ব্যাসল্ট শিলার ব্যবহার দেখা যায়। (iii) জলাধার ও বাঁধ নির্মাণে আগ্নেয় শিলার ব্যবহার হয়। (iv) সোনা, রূপা, দত্তা ও সিসা প্রভৃতি খনিজ আগ্নেয় শিলা থেকে সংগৃহীত হয়। (v) কৃষিকাজের ক্ষেত্রে ব্যাসল্ট শিলা থেকে সৃষ্টি কালো মাটিতে তুলো ও গম চাষ ভালো হয়।
পাললিক শিলার ব্যবহারঃ (i) প্রাচীনযুগে বিভিন্ন দুর্গ, প্রাসাদ প্রভৃতি নির্মাণ কার্যে বেলেপাথরের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। (ii) সিমেন্ট, লৌহ-ইস্পাত, রাসায়নিক শিল্পে এবং গৃহনির্মাণে চুনাপাথর ও ডলোমাইট ব্যবহৃত হয়। (iii) পাললিক শিলা থেকে সৃষ্ট পলিমাটি কৃষিকাজের অত্যন্ত উপযোগী। (iv) রাসায়নিক তৈরিতে পাললিক শিলা যেমন চিনামাটির ব্যবহার দেখা যায়। (v) পাললিক শিলায় কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।
রূপান্তরিত শিলার ব্যবহারঃ (i) মার্বেল পাথর থেকে নানা নির্মাণকার্য হয়ে থাকে। পাহাড়ি অঞ্চলে প্লেটপাথর থেকে মেঝে ও ছাদ তৈরি হয়। (ii) শিল্পক্ষেত্রে প্রানাইট থেকে পেনসিলের সিস, স্লেটপাথর প্রভৃতি লেখার কাজে ব্যবহার হয়। (iii) রূপান্তরিত শিলা থেকে খনিজ সংগৃহীত হয়।
Pingback: WBBSE Class 8 Unit Test | All Subject Question Papers- Prosnodekho -