WBBSE Class 8 Geography First Unit Test Set-3 | অষ্টম শ্রেণি ভূগোল প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

CLASS 8 GEOGRAPHY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER

Set-3

সিলেবাসঃ / Syllabus—
১. পৃথিবীর অন্দরমহল
২. অস্থিত পৃথিবী
৩. শিলা
৪. ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক।

First Summative Evaluation
Class – VIII Subject – Geography
Time – 30 Mins.         FM-15

১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ১×৩=৩

(ক) উষ্ণ প্রস্রবণের জল গরম হয়— (ভূ-তাপ শক্তির জন্য / সূর্যের আলো থেকে তাপ গ্রহণ করে / সরাসরি লাভার সংস্পর্শে)।

উত্তরঃ ভূ-তাপ শক্তির জন্য।

(খ) পৃথিবীর গভীরে মানুষ সশরীরে যতটা আজ অবধি পৌঁছাতে পেরেছে তা পৃথিবীর মোট গভীরতার— (দশ শতাংশ / এক শতাংশ / এক শতাংশও নয়)।

উত্তরঃ এক শতাংশও নয়।

(গ) ভূত্বক আর গুরুমন্ডলের মাঝে আছে— (কনরাড / মোহোরোভিসিক / গুটেনবার্গ) বিযুক্তি।

উত্তরঃ মোহোরোভিসিক।

২. শুদ্ধ / অশুদ্ধ লিখো: ১×২=২

(ক) পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভারতের দুটি প্রতিবেশী দেশের সীমানা রয়েছে। (শুদ্ধ)

(খ) পাকিস্তানের প্রধান নদীটির একটা অংশ ভারতেও দেখা যায়। (শুদ্ধ)

৩. নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ২×১=২

(ক) SAARC কত সালে গঠিত হয় ? এর সদর দপ্তর কোথায় ? SAARC গঠনের উদ্দেশ্য কী ?

উত্তরঃ SAARC 1985 সালের 8ই ডিসেম্বর ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর সদর দপ্তর নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
• সার্কের উদ্দেশ্য—
উন্নয়নঃ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো।
আত্মনির্ভরতাঃ সার্কের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষা এবং যৌথ আত্মনির্ভরতার শক্তি বৃদ্ধি করা।

(খ) কোন দেশকে ‘দারুচিনির দ্বীপ’ বলা হয় এবং কেন ? শ্রীলঙ্কার প্রধান অর্থকারী ফসলের নাম কী ?

উত্তরঃ শ্রীলঙ্কাকে দারুচিনির দ্বীপ বলা হয়। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে দারুচিনি উৎপাদিত হওয়ায় সারা বিশ্বে তা রপ্তানি করা হয়।
নারকেল হল শ্রীলঙ্কার প্রধান অর্থকরী ফসল।

৪. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩× ১=৩

(ক) অপসারী ও অভিসারী পাত সীমানার মধ্যে পার্থক্য লিখো।

অপসারী অভিসারী
অপসারী পাত সীমানায় দুটি পাত পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়। উদাহরণ—মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা এই ধরনের পাত সীমানায় গড়ে উঠেছে। অভিসারী পাত সীমানায় দুটি পাত পরস্পরের মুখোমুখি এগিয়ে আসে। উদাহরণ—হিমালয় পর্বত এই ধরনের পাত সীমানায় অবস্থিত।
অপসারী পাত সীমানায় দুটি পাত সবসময় পরস্পরের বিপরীত দিকে চলে। অভিসারী পাত সীমানায় দুটি পাত সবসময় পরস্পরের দিকে এগিয়ে যায়।
এই প্রকার পাত সীমানায় মহাদেশগুলি পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়। এই প্রকার পাত সীমানায় মহাদেশগুলি পরস্পরের কাছাকাছি আসে।
সামুদ্রিক শৈলশিরা, গ্রস্ত উপত্যকা ইত্যাদি ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। সমুদ্রের পলিরাশিতে ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়।

(খ) সিমা ও সিয়াল কী ? কোন ভূমিকম্প তরঙ্গ তরল বা অর্ধতরল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না ?

উত্তরঃ ভূত্বকের উপরি অংশে লঘু গ্রানাইট জাতীয় আম্লিক শিলা গঠিত স্তরকে সিয়াল বলে। অন্যদিকে, ভূত্বকের নিচের অংশে ভারী ব্যাসল্ট জাতীয় ক্ষারকীয় শিলা গঠিত স্তরকে সিমা বলে।
ভূমিকম্পের S তরঙ্গ তরল বা অর্ধতরল কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে না।

৫. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫

(ক) পাললিক শিলা কাকে বলে ? এই শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উত্তরঃ পলি সঞ্চিত হয়ে যে শিলা গঠন করে তাই পাললিক শিলা। পলল বা তলানি থেকে গঠিত হয় বলে এরূপ শিলাকে পাললিক শিলা বলে।

পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য—
১. স্তরীভূতঃ পাললিক শিলার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা স্তরীভূত অর্থাৎ খনিজ উপাদানসমূহ স্থল বা সূক্ষ্ম স্তরে স্তরে বিনান্ত থাকে। এই স্তরগুলো সাধারণত আনুভূমিকভাবে সজ্জিত থাকে।

২. জীবাশ্ম বৈশিষ্টঃ পাললিক শিলাস্তরে জীবাশ্মের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যে সকল জীব এই শিলাঞ্চলে বাস করে তাদের মৃতদেহ কালক্রমে পলির নিচে চাপা পড়ে। এর ফলে এদের দেহের কঠিন অংশ জীবাশ্ম প্রস্তরীভূত হয়ে পরিণত হয়।

৩. অকেলাসিতঃ এটি কখনও উত্তপ্ত অবস্থা হতে শীতল হয়ে সৃষ্টি হয় না, বিধায় এই শিলা অকেলাসিত (Non Crystalline) শিলা।

৪. তরঙ্গচিহ্নঃ এটি তরঙ্গ চিহ্নযুক্ত শিলা। জলভাগের তলদেশে এই জাতীয় শিলার সৃষ্টি হয় বলে এর মধ্যে তরঙ্গচিহ্ন (Ripple Marks) বর্তমান থাকে। আবার বায়ু দ্বারা গঠিত পাললিক শিলায়ও বাতাসের দ্বারা তরঙ্গ চিহ্নের সৃষ্টি হয়।

৫. কোমলতাঃ আগ্নেয় শিলার ভগ্নাংশ সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয় বলে এই শিলা অন্য শিলা থেকে অপেক্ষাকৃত কোমল থাকে।

(খ) চিত্রসহ শিলাচক্রের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। ৫

উত্তরঃ

ভূত্বকে আমরা তিন প্রকার শিলা দেখি— আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা এবং রূপান্তরিত শিলা। এই তিন প্রকার শিলার উৎপত্তি বা সৃষ্টি চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে লাভারূপে প্রবাহিত হয় । এবং ভূত্বকের বিভিন্ন অংশে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি করে। এই আগ্নেয় শিলা আবার বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, বিশেষত যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকারের দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ হয় এবং পরে নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গ প্রভৃতির মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে সমুদ্র- তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলা সৃষ্টি করে। এই পাললিক শিলা পুনরায় তাপে ও চাপে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলা সৃষ্টি করে। তবে শুধুই পাললিক শিলা নয়, আগ্নেয় শিলাও তাপে ও চাপে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়। আবার অনেক সময় উত্তপ্ত ম্যাগমার উদবেধের (intrusions) ফলে তার সংস্পর্শে এসে বহু রূপান্তরিত ও পাললিক শিলা গলে যায় এবং আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি করে। এইভাবে দেখা যায়, তিন প্রকার শিলাই পর্যায়ক্রমে এক শিলা থেকে অন্য শিলায় পরিণত হচ্ছে এবং একেই বলে শিলাচক্র।

This Post Has One Comment

Leave a Reply