WBBSE Class 8 Geography First Unit Test Set-4 | অষ্টম শ্রেণি ভূগোল প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

CLASS 8 GEOGRAPHY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER

Set-4

সিলেবাসঃ / Syllabus—
১. পৃথিবীর অন্দরমহল
২. অস্থিত পৃথিবী
৩. শিলা
৪. ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক।

First Summative Evaluation
Class : VIII Subject : Geography
Time : 30 Mins.         F.M : 15

১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : 1×3=3

(ক) সিয়াল ও সীমা স্তরের মাঝে আছে (মোহো বিযুক্তি / কনরাড বিযুক্তি / গুটেনবার্গ বিযুক্তি)।

উত্তরঃ কনরাড বিযুক্তি।

(খ) ভারতের যে প্রতিবেশী দেশটির কোন সমুদ্রবন্দর নেই, তা হল (বাংলাদেশ / নেপাল / শ্রীলংকা)।

উত্তরঃ নেপাল।

(গ) প্রতি ৩৩ মিটার গভীরতায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় প্রায় (10°C / 1°C / 6.4°C)।

উত্তরঃ 1°C

২. এক কথায় উত্তর দাও : 1×2 = 2

(ক) ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশে ক্যারেজ প্রথায় জলসেচ করা হয় ?

উত্তরঃ পাকিস্তান।

(খ) বাংলাদেশের প্রধান বন্দরের নাম কি ?

উত্তরঃ চট্টগ্রাম।

(গ) গ্রাফাইট উৎপাদনে কোন দেশ পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ?

উত্তরঃ শ্রীলংকা।

৩. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 2×1=2

(ক) ভুটানকে ‘বজ্রপাতের দেশ’ বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ ভুটানের দক্ষিণাংশ হিমালয় পর্বতমালার ঠিক পাদদেশে অবস্থিত। তাই এখানে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সরাসরি এসে আঘাত করে। ফলে এই অঞ্চলে বজ্রপাতসহ প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয় এজন্য ভুটানকে বজ্রপাতের দেশ বলে।

(খ) ভারতের প্রতিবেশী দেশ বলতে কোন্ কোন্ দেশকে বোঝায় ?

উত্তরঃ ভারতের আশেপাশে যে সকল দেশ আছে সেই সকল দেশগুলি কে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বলা হয়। ভারতকে ঘিরে মোট ৯টি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। সেগুলি হল – বাংলাদেশ, নেপাল, চীন, মায়ানমার, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ ৷

৪. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 3×1=3

(ক) অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলে কেন ?

উত্তরঃ কারণ— যে সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তাকে অভিসারী পাত সীমানা বলে। এই পাত সীমানায় ভারী পাতটি নিম্নগামী হয়ে হালকা পাতটির নিচে প্রবেশ করে। এর ফলে ভারী পাতটি গুরুমন্ডলে প্রচন্ড উষ্ণতায় গলে যায় অর্থাৎ পাতের বিনাশ হয়। তাই অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারি পাত সীমানা বলে।

(খ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নি বলয় সম্পর্কে টীকা লেখ।

উত্তরঃ পৃথিবীর অধিকাংশ জীবন্ত আগ্নেয়গিরি প্রশান্ত মহাসাগরকে বলয় এর মতো ঘিরে রেখেছে। এইজন্য প্রশান্ত মহাসাগরের দুদিকে উপকূলীয় ভূমিকম্পপ্রবণ ও আগ্নেয়গিরি অঞ্চলকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয় বলা হয়।

বিস্তারঃ এই বলয়টি দক্ষিণ আমেরিকার থেকে শুরু করে আন্দিজ পর্বত এবং উত্তর আমেরিকার রকি পর্বত হয়ে এশিয়া মহাদেশের শাখালীন দ্বীপপুঞ্জ, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া হয়ে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।

আগ্নেয়গিরিঃ পৃথিবীর 70 শতাংশ ভূমিকম্প এই বলয়ের সংঘঠিত হয়। এই বলয়ের আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে কয়েকটি হল ফুজিয়ামা, আমেরিকা আগ্নেয়গিরি পাত সীমানা পিনাটুবো, পোপোক্যাটিপেটল প্রভৃতি।

৫. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 5×1=5

(ক) চিত্রসহ শিলাচক্র বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ আগ্নেয়, পাললিক ও রূপান্তরিত এই তিন প্রকার শিলার উৎপত্তি পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং শিলা সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া চক্রাকারে আবর্তিত হয়। শিলাচক্রের বিভিন্ন পর্যায়গুলি হল—

১. আগ্নেয়শিলার সৃষ্টিঃ ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূত্বকের বিভিন্ন দুর্বল অংশ দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রূপে প্রবাহিত হয়, অথবা ভূ-অভ্যন্তরেই সঞ্চিত হয় এবং কালক্রমে উভয় স্থানে শীতল ও কঠিন হয়ে আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি হয়।

২. পাললিক শিলার সৃষ্টিঃ এই আগ্নেয়শিলায় ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন— নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতির মাধ্যমে ক্ষয়প্রাপ্ত ও পরিবাহিত হয়। এই ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ সমুদ্র নদী তলদেশে বহু বছর ধরে স্তরে স্তরে পলি রূপে সঞ্চিত হয়ে কঠিন পাললিক শিলায় পরিণত হয়।

৩. রূপান্তরিত শিলার সৃষ্টিঃ আবার আগ্নেয় ও পাললিক এই দুই ধরনের শিলায় তাপ ও চাপ বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সুদীর্ঘ সময় ধরে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।

৪. রূপান্তরিত থেকে পাললিক শিলার সৃষ্টিঃ এই রূপান্তরিত শিলা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে ক্ষয়প্রাপ্ত ও অপসারিত বা পরিবাহিত হয়ে সমুদ্র, নদী বা হ্রদের তলদেশে সঞ্চিত হয় এবং সেখানে জমাট বেঁধে আবার পাললিক শিলায় সৃষ্টি হয়।

৫. পুনরায় আগ্নেয়শিলার সৃষ্টিঃ আবার বহু বছর পর আগ্নেয়, পাললিক ও রূপান্তরিত তিন ধরনের শিলায় ভূ-আলোড়ন ফলে বা পাত সঞ্চালনের মাধ্যমে উত্তপ্ত ভূগর্ভে প্রবেশ করে, গলে ম্যাগমা পরিণত হয় এবং কালক্রমে অগ্ন্যুদগমের মাধ্যমে পুনরায় নির্গত হয়ে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি করে।

এভাবে প্রকৃতিতে শিলার উৎপত্তি ও পর্যায়ক্রমে এক শিলা থেকে অন্য শিলাই রূপান্তর একটি নির্দিষ্ট নিয়মে চক্রাকারে আর্বতিত হয়ে চলেছে। তিন প্রকার শিলার এই অবিরাম চক্রাকারে আবর্তনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হল শিলাচক্র।

(খ) মায়ানমারের খনিজ ও বনজ সম্পদ সম্পর্কে আলোচনা করো।

This Post Has One Comment

Leave a Reply