WBBSE Class 8 History 1st Unit Test Model Question Paper | অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন মডেল প্রশ্নপত্র – Prosnodekho

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

CLASS 8 HISTORY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
Jiaganj Surendra Narayan Girls’ High School (H.S.)

First Summative Evaluation-2022
Class – VIII Subject – History
Time 30 Mins. FM-15

বিভাগ – ক

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ : ৩×১=৩

১.১ মুর্শিদকুলি খানকে বাংলার দেওয়ান হিসেবে পাঠিয়েছিলেন— আকবর / বাবর
/ ঔরঙ্গজেব / শাহজাহান।

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব।

১.২ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রবর্তন করেন— লর্ড ডালহৌসি / লর্ড ক্লাইভ / লর্ড রিপন / লর্ড ওয়েলেসলি।

উত্তরঃ লর্ড ওয়েলেসলি।

১.৩ সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি— স্যার এলিজাইম্পে / জন র‍্যাডক্লিফ / লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন / স্যার জন মেকলে।

উত্তরঃ স্যার এলিজাইম্পে।

বিভাগ – খ

২. এককথায় নীচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও : ১×২=২

২.১ চিন কুলিচ খান কার উপাধি ?

উত্তরঃ কামার উদদিন খান সিদ্দিকি।

২.২ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কত খ্রীষ্টাব্দে সরাসরি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করে ?

উত্তরঃ ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দে।

বিভাগ – গ

৩. খুব সংক্ষেপে নীচের যে-কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ২×১=২

৩.১ কর্ণওয়ালিস কোড বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৯৩ সালে ৪৮টি রেগুলেশন বা আইন জারি করেন। এই রেগুলেশনগুলী কর্নওয়ালিস কোড নামে পরিচিত।

৩.২ পলাশির লুণ্ঠন কী ?

উত্তরঃ পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের অর্থ ও সম্পদকে দু-হাত ভরে ভারত থেকে নিজের দেশ ইংল্যান্ডে পাচার করেছিল। এই ঘটনাকে অনেকে পলাশীর লুণ্ঠন বলে উল্লেখ করেছেন ।

বিভাগ – ঘ

৪. সংক্ষেপে নীচের যে-কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩×১=৩

৪.১ স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেন? এই নীতির মূলকথা কী ? ১ + ২

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন ।

স্বত্ববিলোপ নীতি (Doctrine of lapse) : এই নীতির মূলকথা ছিল এই যে, ইংরেজদের আশ্রিত কোনো রাজ্যের উত্তরাধিকারী না থাকলে সেই রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করা হবে এবং দত্তক পুত্রের উত্তরাধিকার স্বীকার করা হবে না ।

৪.২ রেগুলেটিং অ্যাক্ট কী ?

উত্তরঃ রেগুলেটিং অ্যাক্ট (Regulating Act)
১৭৭৩

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ব্রিটিশরাজের হাতে ক্ষমতা্যহস্তান্তরের প্রথম পদক্ষেপ ছিল এই আইন। ভারত ও ইংল্যান্ডে ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ মজবুত করার জন্য ব্রিটিশ সরকার এই আইন পাশ করে।

এই আইনের দুটি ধাপ ছিল– একটি ইংল্যান্ডে কোম্পানির কেন্দ্রীয় সংগঠন সম্পর্কে, আর অন্যটি ভারতে শাসন সম্পর্কে। এই দ্বিতীয়টি ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বিভাগ – ঙ

৫. যে-কোন একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করো : ৫

৫.১ ফারুক শিয়ারের ফরমান সম্পর্কে যা জান লেখ।

উত্তরঃ ফারুকশিয়ারের ফরমান—

১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ফারুকশিয়ার বার্ষিক ৩০০০ টাকার বিনিময়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি জন স্যারম্যানকে ভারতে বিনাশুল্কে অভ্যন্তরীণ ব্যাণিজ্যের ছাড়পত্র বা লাইসেন্স দিয়েছিলেন। এতে তাদের ব্যাবসার প্রয়োজনে দস্তক ব্যবহারের ও মুর্শিদাবাদের টাকশাল ব্যবহারেরও অনুমতি দেওয়া হয়। এটিই ফারুকশিয়ারের ফরমান নামে পরিচিত।

ফারুকশিয়ারের ফরমানের বিভিন্ন দিক:

ফারুকশিয়রের ফরমান অনুযায়ী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলায় কিছু বিশেষ বাণিজ্যিক অধিকার দেওয়া হয় ৷ ফরমানে বলা হয়-

• ব্রিটিশ কোম্পানি বছরে মাত্র ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলায় বাণিজ্য করতে পারবে। কিন্তু এই বাণিজ্যের জন্য কোম্পানিকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না৷

• বাংলার নবাবের মুর্শিদাবাদ টাকশাল প্রয়োজনে কোম্পানি ব্যবহারের অধিকার
পায়।

• কোম্পানির জাহাজের সঙ্গে অনুমতিপত্র থাকলে সেই জাহাজ অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে।

• কোম্পানির পণ্য কেউ চুরি করলে বাংলার নবাব তাকে শাস্তি দেবেন এবং কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণও দেবেন।

৫.২ টীকা লেখ : প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা।

উত্তরঃ ব্রিটিশইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থে ভারতীয় উপমহাদেশে কতকগুলি ঘাঁটি তৈরি করেছিল। ঘাঁটিগুলির মধ্যে প্রধান ছিল মাদ্রাজ। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এখানে একটি বাণিজ্যিক ঘাঁটি তৈরি করেছিল। ব্রিটিশ কোম্পানি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মাদ্রাজপটনম গ্রামে সেন্ট জর্জ দুর্গ বানায়।

বোম্বাই প্রেসিডেন্সিঃ পশ্চিম ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান ঘাঁটি ছিল সুরাটে। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে সুরাট ঘাঁটির অবনতি ঘটে এবং বাোম্বাই ঘাঁটির উত্থান শুরু হয়। প্রথমদিকে বাোম্বাই ঘাঁটি পশ্চিম প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে আরব সাগরের তীরবর্তী এই বাোম্বাই বন্দর-শহর ব্রিটিশ কোম্পানির কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং বোম্বাই প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিতি লাভ করে।

বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিঃ বাংলা বা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি গড়ে উঠেছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে। ব্রিটিশ কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির জয়লাভ, ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ, ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে নিজামতের অধিকার লাভ করে বাংলার উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ফলে কলকাতাকে কেন্দ্র করে বাংলা ভারতে কোম্পানির প্রধান ঘাঁটিতে পরিণত হয়।

এই ঘাঁটিগুলিকে কেন্দ্র করেই তিনটি প্রেসিডেন্সি তৈরি হয়েছিল। প্রেসিডেন্সিগুলি থেকেই ব্রিটিশ কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চলত। ব্রিটিশ কোম্পানির প্রেসিডেন্সিকেন্দ্রিক কার্যকলাপকে প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা বলা হয়।

This Post Has One Comment

Leave a Reply