WBBSE Class 8 History First Unit Test Set-4 | অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

CLASS 8 HISTORY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER

Set-4

সিলেবাস—
১. আঞ্চলিক শক্তির উত্থান
২. ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা

First Summative Evaluation
Class – VIII Subject – History
Time 30 Mins. FM-15

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো। ( যে কোনো তিনটি) ১×৩=৩

(ক) মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন—
(i) ওয়াজেদ আলি (ii) সিরাজ-উদদৌলা
(iii) আলিবর্দি খান (iv) মুর্শিদকুলি খান

উত্তরঃ (iv) মুর্শিদকুলি খান।

(খ) পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল—
(i) 1756 খ্রিস্টাব্দে (ii)1757 খ্রিস্টাব্দে
(iii) 1759 খ্রিস্টাব্দে (iv) 1760 খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (ii)1757 খ্রিস্টাব্দে।

(গ) অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি প্রয়োগ করেন—
(i) লর্ড ওয়েলেসলি (ii)লর্ড কর্নওয়ালিশ
(iii) লর্ড ডালহৌসি (iv) লর্ড মিন্টো

উত্তরঃ (i) লর্ড ওয়েলেসলি।

(ঘ) ঔপনিবেশিক শাসনের শুরুর দিকে তিনটি প্রেসিডেন্সি পরিচালিত হত-

(i) ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দ্বারা
(ii) রেগুলেটিং অ্যাক্ট দ্বারা
(iii) ফৌজদার দ্বারা
(iv) কাউন্সিল অব ডিরেক্টর দ্বারা

উত্তরঃ (iv) কাউন্সিল অব ডিরেক্টর দ্বারা।

(ঙ)1764 খ্রিস্টাব্দে বাংলার নদীপথগুলি জরিপ করেন—
(i) ফ্র্যাংকল্যান্ড (ii) ক্যামেরন
(iii) জেমস রেনেল (iv) জন মেকলে

উত্তরঃ (iii) জেমস রেনেল।

(চ) ভারতের মহাকাব্যগুলি অনুবাদ করেন—
(i) উইলিয়াম কেরি
(ii) মেকলে
(iii) মাইকেল স্যাডলার
(iv) উইলিয়াম হান্টার

উত্তরঃ (i) উইলিয়াম কেরি।

২. এককথায় উত্তর দাও। (যে কোনো দুইটি) ১×২=২

(ক) মুরশিদকুলির আমলে সুবা বাংলার অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কার হাতে ছিল ?
উত্তরঃ মুরশিদকুলির আমলে সুবা বাংলার কোশাগার ও টাকশালের নিয়ন্ত্রণ পরোক্ষভাবে জগৎ শেঠের হাতেই ছিল।

(খ) দেওয়ান পদে মুরশিদকুলি খানের নিয়োগ পাকাপাকি করে দেন কোন্ সম্রাট ?

উত্তরঃ দেওয়ান পদে মুরশিদকুলি খানের নিয়োগ পাকাপাকি করে দেন সম্রাট ফারুকশিয়ার।

(গ) বাংলায় কে ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন ?

উত্তরঃ ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলায় ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন।

(ঘ) শ্রীরামপুরের মিশনারিদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কে ?

উত্তরঃ শ্রীরামপুরের মিশনারিদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিলেন উইলিয়াম কেরি।

৩. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। (দু-তিনটি বাক্যে) ২×১=২

(ক) চিন কুলিচ খান কে ছিলেন ?

উত্তরঃ মুঘল দরবারে এক শক্তিশালী অভিজাত, তথা হায়দরাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মির কামার উদ্দিন সিদ্দিকি। সম্রাট ঔরঙ্গজেব তাকে চিন কুলিচ খান উপাধি দেন।

(খ) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষকে কেন ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয় ?
উত্তরঃ ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে ঘটা বাংলার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের বঙ্গাব্দের হিসাবে সময়কাল ছিল ১১৭৬ বঙ্গাব্দ। তাই এই দুর্ভিক্ষকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়।

(গ) উডের প্রতিবেদন কী ?

উত্তরঃ বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উডের নেতৃত্বে শিক্ষাসংক্রান্ত যে প্রতিবেদন পেশ করা হয়, তাকে উডের প্রতিবেদন বলা হয়।

(ঘ) কে, কেন এশিয়াটিক সোসাইটি স্থাপন করেন ?

উত্তরঃ সংস্কৃত“ভাষায় লেখা প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যগুলি ইংরেজিতে অনুবাদ ও ভারতীয় সংস্কৃতিচর্চার জন্য উইলিয়াম জোনস কলকাতায় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি স্থাপন করেন।

৪. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। (চার / পাঁচটি বাক্যে) ৩×১=৩

(ক) দ্বৈত শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে লেখো।

উত্তরঃ ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের থেকে বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর কোম্পানির গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ এক নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থা চালু করেন। আপাতদৃষ্টিতে এই ব্যবস্থায় একজন শাসক থাকলেও প্রকৃতপক্ষে দুইজন শাসক তৈরি হয়। একদিকে বাংলার নবাব পেলেন রাজনৈতিক ও নিজামতের দায়িত্ব, অন্যদিকে ব্রিটিশ কোম্পানি পেল অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব। অর্থাৎ নবাব হলেন অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন, রাজনৈতিক দায়িত্ববান শাসক এবং কোম্পানি হল দায়িত্বহীন, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবান শাসক। এই ব্যবস্থারই নাম হল দ্বৈতশাসন।

(খ) পিটের আইনে কী বলা হয়েছিল?

উত্তরঃ পিটের ভারত শাসন আইনে একথা ঘোষণা করা হল যে, রাজ্য জয় ও সাম্রাজ্য বিস্তার নীতি ইংল্যান্ডের জাতীয় মর্যাদা ও নীতির পরিপন্থী। পিটের ভারত শাসন আইন ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বহাল ছিল। এই আইনের মাধ্যমে ভারতীয় সাম্রাজ্য সম্পর্কে কোম্পানির সার্বভৌম ক্ষমতা বিলুপ্ত করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে প্রদত্ত করা হয়।

(গ) History of British India’ কে, কবে লিখেছিলেন ? বইটি লেখার উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তরঃ ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে History of British India নামে ভারতের ইতিহাস লেখেন জেমস মিল। বইটা লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের অতীত কথাকে এক জায়গায় জড়ো করা। যাতে সেটা পড়ে ভারত বর্ষ বিষয়ে সাধারণ ধারণা পেতে পারে ব্রিটিশ প্রশাসনে যুক্ত বিদেশীরা। কারণ, যে দেশ ও দেশের মানুষকে শাসন করতে হবে, সেই দেশের ইতিহাসটা জানা প্রয়োজন।

(ঘ) উডের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখো।

উত্তরঃ ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড শিক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করেন যা উডস ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত। এই ডেসপ্যাচের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সরকারকে প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয়স্তর পর্যন্ত একটি সুগঠিত শিক্ষাকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনের সুপারিশে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে।

৫. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। (আট / দশটি বাক্যে) ৫×১=৫

(ক) কোম্পানি দেওয়ানি অধিকার পাওয়ার ফলে কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ দেওয়ানির অধিকার পাওয়ার ফলে দ্রুতই ভারতবর্ষে আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানির ক্ষমতা বিস্তৃত হয়েছিল। মির কাশিমের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে কোম্পানির অনেক টাকা খরচ হয়েছিল। দেওয়ানির অধিকার থেকে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল কোম্পানি। তাছাড়া সুবা বাংলার রাজস্ব আদায় করার আইনি অধিকার ব্রিটিশ কোম্পানিকে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী করে তুলেছিল। কোম্পানির দেওয়ানি লাভের ফলে বাংলায় এক নতুন ধরনের রাজনৈতিক শাসনতন্ত্র কাযেম হয়।

বাস্তবে বাংলায় দুজন শাসক তৈরি হয়। একদিকে রাজনৈতিক ও নিজামতের দায়িত্ব ছিল বাংলার নবাবের হাতে। যাবতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রয়ে গিয়েছিল নবাব নজম উদ দৌলার উপর। অন্যদিকে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার পেয়েছিল ব্রিটিশ কোম্পানি। ফলে নবাবের হাতে ছিল অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন রাজনৈতিক দায়িত্ব। ব্রিটিশ কোম্পানি পেযেছিল দায়িত্বহীন অর্থনৈতিক ক্ষমতা।

(খ) ব্রিটিশ কোম্পানির প্রশাসন ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা কী ছিল ? কীভাবে আমলারা একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ?

উত্তরঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসনের ইস্পাত কাঠামো ছিল আমলাতন্ত্র বা সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থা।

(a) প্রতিষ্ঠা: লর্ড কর্নওয়ালিসই প্রথম সিভিল সার্ভিস চালু করেন বা অসামরিক প্রশাসনে আমলাতন্ত্রকে সংগঠিত করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দুর্নীতিমুক্ত ব্রিটিশ প্রশাসন গড়ে তোলা ।

(b) বিশেষত্ব: ব্রিটিশ প্রবর্তিত আমলাতন্ত্রে যে বিষয়গুলি গুরুত্ব পেত তা হল-

(i) আমলাদের নির্দিষ্ট মেয়াদের চাকরিতে নিয়োগ করা হত।

(ii) যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আমলাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হত।

(ii) প্রশাসনে কর্মরত আমলারা ব্যক্তিগত ব্যাবসা ও ঘুষ-উপঢৌকন নিতে পারত না।

(iv) নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে আমলাদের বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হত।

(v) সিভিল সার্ভিসে ভারতীয়দের নিয়োগ করা হত না।

(vi) সিভিল সারভেন্ট বা আমলাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এবং তাদের ভারতীয় ভাষা-সংস্কৃতি-রীতি- নীতি বিষয়ে অবগত করার জন্য প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থাও করা হত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লর্ড ওয়েলেসলি প্রথম ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে আমলাদের এই প্রশিক্ষণদানের জন্য কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ গড়ে তোলেন। কিন্তু কোম্পানির বোর্ড অব কন্ট্রোল এতে অনুমোদন না দিয়ে লন্ডনের হেইলবেরিতে একই উদ্দেশ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কলেজ স্থাপন করেছিল।

প্রকৃতপক্ষে, হৈইলবেরি কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোম্পানি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ইউরোপীয় প্রার্থীদের এই কলেজে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা চালু করে। একই কলেজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে আমলাদের মধ্যে ঐক্যবোধ তৈরি হয়। তাঁরা নিজেদের একটি আলাদা গোষ্ঠীরূপে ভাবতে শুরু করে। ফলে ভারতীয় সমাজের মূলধারার সঙ্গে এই আমলাতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমলাদের কাজ ছিল সরকারের গৃহীত নীতিগুলির বাস্তবায়ন করা। তবে সরকারি নীতি নির্ধারণে আমলারা স্বাধীনতা ভোগ করত না।

(গ) সিরাজের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরোধের কারণ কী ?

উত্তরঃ নবাব আলিবর্দি খানের মৃত্যুর পর বাংলার নবনিযুক্ত নবাব সিরাজ সিরাজ উদ- দৌলার সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধের ফলশ্রুতি হল ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধ। এই বিরোধের পিছনে ছিল।

নানা কারণ—
(a) কোম্পানির ষড়যন্ত্র: সিরাজ বিরোধী ঘসেটি বেগম এবং সৌকত জঙের সঙ্গে কোম্পানি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ক্ষুব্ধ নবাব সিরাজ কোম্পানিকে উচিত শিক্ষা দিতে সচেষ্ট হন।

(b) রীতির অবমাননা: নবাবপদে সিরাজের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ইংরেজ কোম্পানি গরহাজির ছিল, উপরন্তু চিরাচরিত রীতি মেনে নবাবকে কোনো উপটৌকনও না পাঠানোয় সিরাজ রুষ্ট হন।

(c) অবৈধ দুর্গ নির্মাণ: ইংরেজ ও ফরাসি কোম্পানি বাংলায় দুর্গ নির্মাণ শুরু করলে সিরাজ তা বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু ইংরেজ কোম্পানি এই নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে সিরাজ ও কোম্পানির সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

(d) দস্তকের অপব্যবহার: কোম্পানির কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত বাণিজ্যে অবৈধভাবে দস্তকের অপব্যবহার করতে শুরু করলে সিরাজ ইংরেজদের ওপর ক্ষুব্ধ হন।

(e) কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান: নবাবি তহবিল তছরুপের অভিযোগে ঢাকার দেওয়ান রাজবল্লভকে সিরাজ মুর্শিদাবাদে তলব করেন। এর ফলে তিনি তাঁর পুত্র কৃষ্ণদাসকে প্রচুর ধনরত্ন-সহ কলকাতায় কোম্পানির কুঠিতে পাঠিয়ে দেন। নবাবের বারংবার নির্দেশ সত্ত্বেও কোম্পানি কৃষ্ণদাসকে ফেরত না পাঠানোয় সিরাজ প্রচন্ড রুষ্ট হন।

(f) আলিনগরের সন্ধিভঙ্গ: সিরাজ কলকাতা দখল করে এর নাম রাখেন আলিনগর। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই রবার্ট ক্লাইভ ও ওয়াটসনের নেতৃত্বে কোম্পানি কলকাতা পুনর্দখল করে নেয়। ফলস্বরূপ কোম্পানি ও সিরাজের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হলেও শেষপর্যন্ত ফরাসিদের আশ্রয়দানের অভিযোগে নবাবকে সন্ধির শর্তভঙ্গের জন্য দায়ী করা হয়।

এই ঘটনাপ্রবাহের পরিণতিতে সিরাজ-বিরোধী জগৎ শেঠ, মির জাফর প্রমুখের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে রবার্ট ক্লাইভ নবাব সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করতে সচেষ্ট হন। এরই ফল হল পলাশির যুদ্ধ।

(ঘ) ‘পলাশির লুণ্ঠন’ বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ 1757 খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার নবাব হন মীরজাফর। নতুন নবাব ইংরেজ কোম্পানিকে—

(i) বাংলায় বিনাশুল্কে ব্যবসা করার অধিকার দেন।

(ii) 24 পরগনা জেলার জমিদারি লাভ করে ইংরেজরা।

(iii) সিরাজের কলকাতা আক্রমণের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ কোম্পানি 1 কোটি 77 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ লাভ করে।

(iv) কোম্পানির বড় মাঝারি ও ছোট কর্মচারীরা প্রত্যেকেই কম-বেশি পারিতোষিক লাভ করে।

(v) সব মিলিয়ে প্রায় ও কোটি টাকার সম্পদ নবাবের কাছ থেকে ইংরেজরা লাভ করে। 3 এইভাবে নানা অজুহাতে ইংরেজরা নবাবের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে রাজকোষ শূন্য করে দেয়।

মূল্যায়ন – একেই পলাশীর লুণ্ঠন বলা হয়।

This Post Has One Comment

Leave a Reply