CLASS 8 HISTORY 2ND UNIT TEST
WBBSE Class 8 History Second Unit Test Question Paper With Answer Set-4 | অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৪
📌 অষ্টম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Class 8 All Subject Question Paper
Set-4
সিলেবাস/Syllabus—
(১) ৪র্থ অধ্যায় : ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র।
(২) ৫ম অধ্যায় : ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া।
(৩) ৬ষ্ঠ অধ্যায় : জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ।
দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
অষ্টম শ্রেণি
বিষয় : ইতিহাস
পূর্ণমান : 25 সময় : 50 মিনিট
১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে পূর্ণ বাক্যে উত্তর দাও : ১x৫=৫
(ক) সুরাট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়- (1905 খ্রি. / 1906 খ্রি. / 1907 খ্রি. /1885 খ্রি.)।
উত্তরঃ 1907 খ্রি।
(খ) দাদন বলতে বোঝায়- (অগ্রিম অর্থ/ আবওয়াব/ বেগারশ্রম/ স্বেচ্ছাশ্রম)।
উত্তরঃ অগ্রিম অর্থ
(গ) প্রথম পাটের কল স্থাপিত হয়েছিল- (হুগলি / হাওড়া / মেদিনীপুর / কাকদ্বীপ)।
উত্তরঃ হুগলি।
(ঘ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল-(1784 খ্রিস্টাব্দে / 1793 খ্রিস্টাব্দে / 1770 খ্রিস্টাব্দে / 1772 খ্রিস্টাব্দে)।
উত্তরঃ 1793 খ্রিস্টাব্দে।
(ঙ) আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা হলেন- (দয়ানন্দ সরস্বতী / কেশবচন্দ্র সেন / দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর / রামমোহন রায়)।
উত্তরঃ দয়ানন্দ সরস্বতী।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৫=৫
(ক) বাংলায় কে ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন?
উত্তরঃ লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলায় ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন।
(খ) শূন্যস্থান পূরণ করো : জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন ______।
উত্তরঃ উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
(গ) বেঙ্গল গেজেট সাপ্তাহিক পত্রিকাটি কে প্রকাশ করেন ?
উত্তরঃ উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গল গেজেট সাপ্তাহিক পত্রিকাটি প্রকাশ করেন।
(ঘ) সত্যশোধক সমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন জ্যোতিরাও ফুলে।
(ঙ) কে হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ নবগোপাল মিত্র হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠা করেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) ২x২=৪
(ক) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দুটি ত্রুটি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (১) সরকারের লোকসান: সরকারের রাজস্ব নির্ধারণ সুনির্দিষ্ট হওয়ার ফলে ভবিষ্যতে রাজস্ব থেকে সরকারের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যায়।
(২) কৃষকদের দুরবস্থা : জমিদাররা কৃষকদের ওপর প্রবল অত্যাচার চালিয়ে নির্ধারিত রাজস্ব-এর চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করার ফলে কৃষকদের অবস্থা খুবই করুণ হয়ে ওঠে।
(খ) অবশিল্পায়ন বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ উনবিংশ শতাব্দীতে একদিকে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব, কোম্পানির অসম শুল্ক নীতি ও অত্যাচার এবং অন্যদিকে দেশীয় অভিজাত শ্রেণির অবক্ষয়ের ফলে বাংলার তাঁত বস্ত্রশিল্পসহ অন্য শিল্পের কারিগররা ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল, একেই- অবশিল্পায়ন বলা হয়।
(গ) হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র বলতে বোঝায় যে, হিউম ও ডাফরিনের ষড়যন্ত্রেই না কি জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। হিউমের জীবনীকার ওয়েডারবানের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার এই তত্ত্ব হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নামে পরিচিত।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর লেখো ৩x২=৬
(ক) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব বাংলার কৃষক সমাজের উপর কিরূপ ছিল ?
উত্তরঃ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে জমিদারকে জমির মালিকানা দেওয়া হলেও জমিতে কৃষকের কোনো অধিকার ছিল না। ফলে জমিদার বেশি রাজস্ব পাওয়ার আশায় চাষীকে ঘনঘন জমি থেকে উৎখাত করতো। চাষির রাজস্ব বাকি পড়লে জমিদার সেই চাষের জিনিসপত্র নিলাম করত। জমিদাররা কৃষকদের ওপর প্রবল অত্যাচার চালিয়ে নির্ধারিত রাজস্ব এর চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করার ফলে কৃষকদের অবস্থা খুবই করুণ হয়ে ওঠে।
(খ) বাংলার শিক্ষা সংস্কারের ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল ?
উত্তরঃ (১) ইংরেজি শিক্ষা- সংস্কৃত কলেজের শিক্ষক হিসেবে সংস্কৃত পঠন-পাঠনের পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষাকে অবসম্ভাবী করে তোলেন। সেইসঙ্গে কলেজে ভর্তি বিষয়ক নিয়ম-কানুনকে সর্বজনীন করে তোলেন।
(২) জনশিক্ষা- জনশিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি রচনা করেন বর্ণমালা, কথামালা ও বোধোদয় প্রভৃতি গ্রন্থ। তাঁর ‘বর্ণপরিচয় ‘বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক অবলম্বন হিসেবে স্বীকৃত হয়।
(৩) নারী শিক্ষা- বিদ্যাসাগর উপলব্ধি করেছিলেন যে অশিক্ষা ভারতীয় নারী জাতির দুর্দশার মূল কারণ। তাই তিনি বুঝেছিলেন ভারতীয় সমাজের জীবনে উন্নতির জন্য নারী শিক্ষা অপরিহার্য। এই উদ্দেশ্যে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৫টি নারী বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
(গ) মুসলমান সমাজের সংস্কারের জন্য স্যার সৈয়দ আহমেদ খান কী করেছিলেন ?
উত্তরঃ রাজা রামমোহনের মতোই স্যার সৈয়দ আহমদ খাঁন সমস্ত রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন। তিনি মুসলমান সমাজকে অজ্ঞতা, কুসংস্কার এবং গোঁড়ামির হাত থেকে মুক্ত করার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম চালাতে থাকেন।
কোরানকেই তিনি একমাত্র প্রামান্য গ্রন্থ বলে মনে করতেন।
তিনি আধুনিক চিন্তা ও যুক্তির আলোকে কোরানের ব্যাখ্যা দেন। তিনি মুসলমান সমাজের পীর ও মুরাদি প্রথার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি মুসলমান নারী সমাজের প্রগতির ওপর জোর দেন। তিনি মুসলমান বিবাহ নীতি ও তালাক প্রথার তীব্র নিন্দা করেন।
৫. নীচের প্রশ্নটি আট-দশটি বাক্যে উত্তর লেখো। ৫×১=৫
(ক) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল ও কুফল কি ছিল ?
উত্তরঃ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল—
1. বার্ষিক আয় নিশ্চিতকরণ : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হওয়ার ফলে সরকারের বার্ষিক আয় নিশ্চিত হয়।
2. কৃষির উন্নতি : এই বন্দোবস্তের ফলে কৃষিতে উন্নতি ঘটে ফলে কৃষি যৌগ্য জমির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কুফল—
1. পুরনো জমিদারদের উচ্ছেদ : এই ব্যবস্থায় সূর্যাস্ত আইন অনুসারে নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের মধ্যে সরকারি কোশাগারে রাজস্ব জমা দিতে। না পেরে পুরনো বহু জমিদার তাদের জমিদারি হারায়।
2. কৃষকদের দুরাবস্থা : জমিদাররা কৃষকদের উপর প্রবল অত্যাচার চালিয়ে নির্ধারিত রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করার ফলে কৃষকদের অবস্থা খুবই করুণা হয়ে ওঠে।
(খ) স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদান কি ছিল ?
উত্তরঃ নারী শিক্ষার প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান—
উনিশ শতকের সূচনা পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক বিধিনিষেধের ফলে বাংলায় নারীশিক্ষার বিশেষ প্রসার ঘটেনি। তবে কিছুকাল পর থেকেই এই বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ শুরু হয়। নারীশিক্ষার প্রসারে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিদ্যাসাগরের উপলব্ধি : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উপলব্ধি করেন যে, নারীজাতির উন্নতি না ঘটলে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়। সমাজের উন্নতির জন্য নারীদের মধ্যে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটানো দরকার।
প্রাথমিক উদ্যোগ মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠায় বিদ্যাসাগরের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল ড্রিংকওয়াটার বিটনের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতায় ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়। (বর্তমান বেথুন স্কুল) প্রতিষ্ঠা। বিদ্যাসাগর ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলায় মেয়েদের জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
স্ত্রীশিক্ষা বিধায়িনী সম্মিলনী প্রতিষ্ঠা: গ্রামাঞ্চলে নারীদের মধ্যে। শিক্ষার প্রসারেও বিদ্যাসাগর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই উদ্দেশ্যেতিনি বাংলার বিভিন্ন জেলায় স্ত্রীশিক্ষা বিধায়িনী সম্মিলনী প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্নজেলায় বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা: তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ।
বিভিন্ন জেলায় বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নদিয়া, বর্ধমান, হুগলি ও মেদিনীপুর জেলায় ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলিতে ১৩ হাজার ছাত্রী পড়াশোনা করত। তাঁর ব্যক্তিগত ব্যয়ে বিদ্যালয়গুলি চলত।
ভগবতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : বিদ্যাসাগর পরবর্তীকালে বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মা ভগবতী দেবীর স্মৃতিতে বিদ্যাসাগর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে নিজ গ্রাম বীরসিংহে ভগবতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার : নারীশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে তাদের শৃঙ্খলমোচনই হয়ে উঠেছিল বিদ্যাসাগরের জীবনের ব্রত। তাই দেখা যায় যে, জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছেও তিনি নারীশিক্ষার প্রয়াস থেকে সরে আসেননি।
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল সেট চার
আজকেই দেবো।