WBBSE Class 9 Bengali 2nd Unit Test Question with Answer Set-2 | নবম শ্রেণী বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 9 (IX) WBBSE
BENGALI QUESTION PAPER

WBBSE Class 9 Bengali Second Unit Test Model Question Paper with Answer Set-2 | নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-২

📌নবম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here

📌 নবম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

Set-2

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
(পূর্ণমান ৪০ + অন্তর্বর্তী প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন ১০)
মূল্যায়নের সময়কাল : আগস্ট

পাঠ্যসূচী/Syllabus—
গদ্য : (১) নব নব সৃষ্টি, (২) রাধারাণী, (৩)চিঠি।
পদ্য : (১)আকাশে সাতটি তারা, (২) আবহমান।
ব্যাকরণ – বাংলা শব্দ-ভাণ্ডার, শব্দ ও পদ এবং বিশেষ্য-বিশেষণ-সর্বনাম বিস্তারিত আলোচনা।
নির্মিতি – ভাবার্থ ও সারাংশ।
সহায়ক পাঠ – এই বইয়ের ‘ব্যোমযাত্রীর
ডায়রি’,‘কর্ভাস’ এবং ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প
তিনটি পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। তিনটি
পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উপরোক্ত ক্রম অনুসারে একটি করে গল্প পড়াতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
নবম শ্রেণি বিষয় : বাংলা
সময় : ১ঘণ্টা ২০ মিনিট পূর্ণমান : ৪০

১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে বাক্যটি লেখ : ১×৮=৮

১.১ পুরুষ মানুষের গলার কন্ঠস্বর শুনিয়া রাধারানীর মনে–
(ক) সাহস আসিল (খ) উৎসাহ জাগিল,
(গ) রোদন বন্ধ হইল (ঘ) বড়ো ভয় করিল

উত্তরঃ (গ) রোদন বন্ধ হইল।

১.২ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত সেটি হল—
(ক) মহাপৃথিবী, (খ) বনলতা সেন,
(গ) ধূসর পান্ডুলিপি, (ঘ) রূপসী বাংলা

উত্তরঃ (ঘ) রূপসী বাংলা

১.৩ ভারতীয় আর্যগন কোন ভাষার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন ?
(ক) ফারসি, (খ) হিন্দি, (গ) উর্দু, (ঘ) আরবি

উত্তরঃ (ক) ফারসি।

১.৪ পাঠ্য চিঠিটি যে তারিখে স্বামীজি লিখেছিলেন—
(ক) ২২জুলাই ১৮৮৭ (খ) ২৬ জুন ১৮৯৭
(গ) ২৯ জুলাই ১৮৯৭ (ঘ) ১২ এপ্রিল ১৮৯৭

উত্তরঃ (গ) ২৯ জুলাই ১৮৯৭

১.৫ পক্ষীবিজ্ঞানীদের সম্মেলনের চেয়ারম্যান ছিলেন –
(ক) গ্রেনফেল,
(খ) কোভারুবিয়াস
(গ) কারেরাস,
(ঘ) তোমাসাকা মোরিমোতো

উত্তরঃ (খ) কোভারুবিয়াস।

১.৬ তৎসম মানে—
(ক) বাংলার সমান, (খ) ইংরেজি সমান।
(গ) তুর্কির সমান (ঘ) সংস্কৃতের সমান

উত্তরঃ (ঘ) সংস্কৃতের সমান।

১.৭ ধ্বনি’র লিখিত রূপ হলো—
(ক) অর্থ (খ) শব্দ (গ) বর্ণ (ঘ) বাক্য

উত্তরঃ (গ) বর্ণ।

১.৮ ‘কবি’ এটি কি ধরনের বিশেষ্য পদ ?
(ক) নামবাচক বিশেষ্য পদ
(খ) জাতিবাচক বিশেষ্য পদ
(গ) ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য পদ
(ঘ) সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ

উত্তরঃ (ঘ) সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ।

২. কমবেশি ১৫ টি শব্দের মধ্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ ১×৮=৮

২.১ রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল ?
উত্তরঃ মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল।

২.২ ‘এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে পড়ে’ – স্নিগ্ধ গন্ধ কোথায় ঝরে পড়ে ?

২.৩ ‘আমেরিকার সংবাদে জানলাম যে’— আমেরিকার সংবাদে স্বামী বিবেকানন্দ কী জানতে পেরেছিলেন ?

২.৪ ‘বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন’— বহু সাহিত্যিক কেন উঠে পড়ে লেগেছেন ?

২.৫ সিনিয়র আর্গাসের সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছাড়া আর কার ওরকম গাড়ি আছে?

২.৬ ধাতু বিভক্তি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

২.৭ সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

২.৮ ‘পৃথিবীর কোনো পথে’ – ‘পৃথিবী’ কোন্ শ্রেণির শব্দ ?

৩. প্রসঙ্গ নির্দেশ সহ কমবেশি সাতটি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও: (যে-কোনো ৩টি) ৩×৩=৯

৩.১ কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রােদন বন্ধ হইল।”-কার কণ্ঠস্বর শুনে রাধারাণীর রােদন বন্ধ হয়েছিল ? কেন ? ১+২

উত্তরঃ রাধারাণী’ গল্পাংশের উল্লিখিত অংশে পথিকের গলার আওয়াজ শুনে রাধারাণীর কান্না বন্ধ হয়েছিল।

» রথের মেলায় বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ার কারণে মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী যখন কাঁদছে, অন্ধকারে কেউ তার ঘাড়ের উপরে এসে পড়ে। ভয়ে রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে। তখন সেই অপরিচিত ব্যক্তি প্রশ্ন করেন—“কে গা তুমি কাদ?” চেনা লােক না হলেও গলার আওয়াজে রাধারাণী দয়ালু মানুষের উপস্থিতিই যেন বুঝতে পেরেছিল। তাই তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।

৩.২ “কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে” —পঙক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ উধৃত পঙক্তিটি কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।এই কবিতায় জীবনানন্দ তার একান্ত নিজস্ব ভঙিতে পল্লিবাংলার সন্ধ্যাকে বর্ণনা করেছেন। গ্রাম বাংলার সন্ধ্যাকে তিনি এক মানবী রূপে কল্পনা করেছেন। সূর্য ডুবে গেলে যখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসে, কবির মনে হয় যেন এক কেশবতী কন্যা এসেছে সন্ধ্যার আকাশে। তার ছড়িয়ে পড়া কালো চুলে ঘনিয়ে আসে রাতের অন্ধকার। কবির চোখে এভাবেই কাব্যিকরূপে ধরা দেয় পল্লিবাংলার সন্ধ্যা।

৩.৩ কোন বিশেষ প্রয়োজনে স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে এই চিঠিটি লিখেছিলেন ?

উত্তরঃ স্বামী বিবেকানন্দের ইংরেজ ভক্ত মিস্টার স্টার্ডির চিঠি পড়ে তিনি জানতে পেরেছেন, মিস নোবেল ভারতে এসে ভারতবাসীর সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আগ্রহী। তাই স্বামীজী এই চিঠির মাধ্যমে তাকে সব দিক বিবেচনা করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। তবে তিনি তার মনের আবেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে তার মতো নারীর খুব প্রয়োজন ভারতবর্ষকে উদ্ধার করার জন্য।তার ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা নিয়েও তিনি আলোচনা করেছেন।

৩.৪ বর্তমান যুগের ইংৱেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়।”—‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন ?

উত্তরঃ প্রাচীন যুগের সংস্কৃত ভাষা তো বটেই, তা ছাড়া হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা প্রভৃতি সব ভাষাই ছিল আত্মনির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়। কারণ, প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ গৃহীত হয়েছে ও হচ্ছে। পাঠান-মোগল শাসন যুগে আইন-আদালত, খাজনাখারিজ ব্যাপারে নতুন নতুন শব্দের জন্য আরবি ও ফারসি ভাষা থেকে শব্দ নিতে হয়েছিল। তার পরবর্তী ইংরেজ শাসন যুগে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে নিতে হয়েছে কিংবা হচ্ছে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ। ইংরেজির মাধ্যমে প্রচুর ইউরোপীয় শব্দ আমাদের বাংলা ভাষায় ঢুকেছে। কাজেই বর্তমান বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়।

৪. কমবেশি ১৫০ শব্দে নীচের যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১=৫

৪.১ মােকদ্দমাটি বিধবা হাইকোর্টে হারিল।”—এই বিধবার পরিচয় দিয়ে পরিণতি কী হল সংক্ষেপে লেখাে।

উত্তরঃ রাধারাণী’ গল্পে রাধারাণীর মা ছিলেন এক অবস্থাপন্ন পরিবারের বউ। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পরে একজন জ্ঞাতির সঙ্গে তার মােকদ্দমা হয়। হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীর মা-কে সর্বস্ব হারাতে হয়। ডিক্রিদার সেই জ্ঞাতি ডিক্রি জারি করে তাকে ভিটে থেকেও উচ্ছেদ করে দেন| প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায় | নগদ যা ছিল তা-ও ব্যয় হয়ে যায় মামলার খরচ জোগাতে | অলংকার ইত্যাদি বিক্রি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করে। এইসব মামলা-মােকদ্দমার কারণে রাধারাণীর মা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তার খাবার জোগারের ব্যবস্থা থাকে না | বিধবা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে কোনাে রকমে শারীরিক পরিশ্রম করে দিন কাটাতে থাকে। দারিদ্র্যের কারণে রাধারাণীর বিয়ে দিতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রথের আগে রাধারাণীর মা ঘােরতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে শারীরিক পরিশ্রম করার ক্ষমতাও হারায়। খাবার জোগাড়ের ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আর রাধারাণীকে ভাবতে হয় কীভাবে, কোথা থেকে মার পথ্যের জোগাড় হবে।

৪.২ ‘আবহমান’ শব্দের অর্থ কী ? কবিতায় ব্যক্ত ভাবের সঙ্গে এই নামকরণ কতদূর সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে তুমি মনে করো ? (১+৪)

উত্তরঃ আবহমান কথাটার আক্ষরিক অর্থ হল যা অনন্ত কাল ধরে বহমান। এখানে চিরকালীন বা চিরন্তন অর্থ বোঝাতে আবহমান শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

বহু বছর আগে মানুষের ঘর বাঁধা শুরু হয়েছে।মানুষ তাঁর কুটির নির্মিত করছে সযত্নে। বেঁচে থাকার জন্য সবজি ফলিয়েছে। বহমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু ‘নিবিড় অনুরাগে’ এই ঘর বাঁধার ইচ্ছা, জন্মভূমির মাটিকে, হাওয়াকে ভালোবাসার অদম্য ইচ্ছার কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রিয় ভিটে, ভিটের সংলগ্ন ছোটো একটি লাউমাচা, যা কবি এখানে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাঁর টান সার্বজনীন। যদি কখনো কাউকে কোনো প্রয়োজনে নিজের
জায়গা ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে হয়, তবুও চেনা ভিটের জন্য সবসময় তার মন অস্থির হয়ে থাকে। পরিচিত ‘ঘাসের গন্ধ’ মাখার জন্য মন ভরে থাকে ‘দূরন্ত পিপাসায়’। সময় এগিয়ে চলে প্রতিদিন সূর্য উঠে, প্রতিদিন অস্ত যায়, সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যার বাতাস নদীর উপর থেকে গ্রামের বুকে ছুটে আসে। অফুরণ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তা চিরকালীন। বারবার, প্রতিদিন, অবিরাম একই ঘটনা ঘটে চলেছে। তবু এর কোনো শেষ নেই। ঠিক তেমনি মানুষের মনে ঘর বাঁধার আখাঙ্খাও চিরকালীন। এই ঘটনাগুলি আবহমান কাল ধরে লক্ষ্য করা যায়৷ তাই কবিতায় ব্যক্ত ভাবের সঙ্গে এই নামকরণ সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করি।

৫.কমবেশি ১৫০ শব্দে নীচের যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১=৫

৫.১ ‘চিঠি’ রচনা অবলম্বনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশভাবনার পরিচয় দাও।

উত্তরঃ মহান সাধক স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন প্রকৃত ভারতপ্রেমী। তিনি আজীবনকাল তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে ভারতের সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতিসাধনের নিরলস প্রচেষ্টা করে গেছেন। আলোচ্য চিঠিটি স্বামীজি তাঁর অন্যতম
শিষ্যা মিস নো-কে লিখেছেন। চিঠিটির মূল
উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও এই চিঠির মাধ্যমে ভারতবাসীর প্রতি তাঁর মনোভাব স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। স্বামীজি বিশেষ করে ভারতের পিছিয়ে পড়া নারীসমাজকে নিয়ে চিন্তিত, তিনি বলেছেন ‘ভারতের নারীসমাজের জন্য, পুরুষের চেয়ে নারীর একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন’। স্বামীজি মনে করেছেন মিস নো-এর শিক্ষা, ঐকান্তিকতা, পবিত্রতা, অসীম ভালোবাসা, দৃঢ়তা ভারতের নারীসমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলতে পারে। আবার, আমরা স্বামীজির কলমে ভারতবাসীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভাবনা, পরাধীন মানসিকতা, জাতি ভাবনা প্রভৃতি সম্পর্কে গভীর ক্ষেদ লক্ষ্য করতে পারি। এভাবে স্বামীজির লেখনী থেকে তাঁর তীব্র দেশপ্রেমের পরিচয় সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায় ৷

৫.২ ‘কভার্স যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম’— প্রোফেসর শঙ্কু কোন্ ঘটনায় এই প্রমাণ পেয়েছিলেন তা লেখো ?

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি ‘অরনিথন’ যন্ত্রের মাধ্যমে দু-সপ্তাহের মধ্যে কর্ভাসের শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। আর তারপর থেকেই সে নিজেকে অন্য সাধারণ কাকেদের থেকে আলাদা মনে করতে শুরু করে। একদিন দুপুরে হঠাৎ খুব বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বিদ্যুৎ ও বজ্রপাত। তিনটে নাগাদ এক কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ হলে প্রোফেসর শঙ্কু জানালার কাছে গিয়ে দেখেন তাঁর বাগানের বাইরের শিমুল গাছটা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থেমে গেলে বাইরে কাকেদের প্রচণ্ড কোলাহল শোনা যায়। সে অঞ্চলের সব কাক ওই মরা গাছটার কাছে এসে কোলাহল করতে শুরু করে। প্রোফেসর তাঁর চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালে, সে ফিরে এসে জানায় যে ওই গাছটার নীচে একটা কাক মরে পড়ে আছে। তাই কাকেরা এত চ্যাঁচাচ্ছে। বোঝা যায় ওই বাজ পড়ার ফলেই কাকটার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল — যেখানে কাকেরা এসে জড়ো হয়েছে, সেখানে কর্ভাস প্রোফেসরের ঘর থেকে বেরোনোর কোনো রকম কোনো আগ্রহ দেখায়নি। সে একমনে তখন পেনসিল দিয়ে ‘প্রাইম নাম্বারস’ অর্থাৎ মৌলিক সংখ্যা লিখছিল। এই ঘটনায় প্রোফেসর শঙ্কু বুঝতে পারেন যে কর্ভাস নিজেকে সাধারণ কাকেদের থেকে আলাদা করে রাখতে চায়।

৬. নিম্নলিখিত যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৫×১=৫

৬.১ ভাবার্থ বা সারাংশ লেখো :
এটা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পৃথিবীতে যেখানে এসে তুমি থামবে, সেখান হতেই তোমার ধ্বংস আরম্ভ হবে। কারণ তুমিই কেবল একলা থামবে, আর কেউ থামবে না। জগৎ প্রবাহের সঙ্গে সমগতিতে যদি না চলতে পার তো প্রবাহের সমস্ত সচল বেগ তোমার উপর এসে আঘাত করবে, একেবারে বিদীর্ণ বিপর্যস্ত হবে কিংবা অল্পে অল্পে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কালস্রোতের তলদেশে অন্তর্হিত হয়ে যাবে। হয় অবিরাম চল এবং জীবনচর্চা কর, নয় বিশ্রাম কর এবং বিলুপ্ত হও, পৃথিবীর এই রকম নিয়ম।

সারাংশ : গতিময়তাই জীবন। গতির নিরন্তর ছন্দে প্রতিনিয়ত চলেছে জীবনপ্রবাহ। এই অবিরাম চলার মধ্যে যে গতি হারায় সেই হয়ে পড়ে নিশ্চল এবং মৃত। তাই জীবনের জন্য প্রয়োজন নিরন্তর চলমানতা। তা না হলে স্থবিরতা ও হতাশা গ্রাস করবে।

৬.২ ভাব সম্প্রসারণ করো :
এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি।রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

ভাবসম্প্রসারণঃ শ্রেণিবিভক্ত সমাজব্যবস্থায় ক্ষমতাভােগী মুষ্টিমেয় মানুষের দ্বারা প্রতিদিন শােষিত হয়ে চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষ। এর ফলে শােষক শ্রেণি আরও বেশি সমৃদ্ধিশালী হয়ে ওঠে। আর সাধারণ মানুষ আরও গরিব হয়। অথচ ধনীরা যে ধনসম্পদের অধিকারী, তা তাদের প্রয়ােজনের তুলনায় অতিরিক্ত। কিন্তু ক্ষমতার মােহ যে প্রলােভনের উন্নতার জন্ম দেয়, সেখানে বঙ্গহীন হয়ে ওঠে শােষণ | ফলে মনুষ্যত্ব লাঞ্ছিত হয়, দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা। এই চাহিদা এবং শােষণের তীব্রতার সামনে প্রায়শই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয় শ্রমজীবী মানুষকে। জীবনানন্দের ভাষায় বলতে হয়—“সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ। ধনীদের দ্বারা গরিবের সম্পদলাভ এবং তাদের নিঃস্ব করে দেওয়ার চেষ্টা তাই মানব ইতিহাসের এক নষ্ট প্রাত্যহিকতা।

আরও পড়ুনঃ

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-১ Click Here

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-২ Click Here

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৩ Click Here

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৪ Click Here

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৫ Click Here

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৬ Click Here

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৭ Click Here

নবম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৮ Click Here

📌আরও পড়ুনঃ

📌নবম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here

📌 নবম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

This Post Has One Comment

Leave a Reply