WBBSE Class 9 Bengali First Unit Test Question with Answer | নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম ইউনিট টেস্টের প্রশ্নপত্র

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

FIRST SUMMATIVE EVALUATION
BENGALI QUESTION PAPER CLASS 9 WBBSE

Set-4

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
নবম শ্রেণি      বিষয় বাংলা
পূর্ণমান : ৪০      সময় : ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

পাঠ্যসূচি—
পদ্য – কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি, নোঙর
গদ্য – ইলিয়াস, দাম
নাটক – ধীবর-বৃত্তান্ত
ব্যাকরণ – ধ্বনি ও ধ্বনি পরিবর্তন, শব্দ গঠন- উপসর্গ, অনুসর্গ। ধাতু ও প্রত্যয় নির্মিতি – ভাবসম্প্রসারণ

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১x৬=৬

১.১ “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা ‘দিল রড়”-এখানে ‘রড়’ শব্দের অর্থ—
(ক) হাঁটা (খ) চলা (গ) বসা (ঘ) দৌড়ানো

উত্তরঃ (ঘ) দৌড়ানো

১.২ দরজার পাশ দিয়ে যে বুড়ো মানুষটি চলে গিয়েছিলেন তিনি ছিলেন—
(ক) মোল্লা (খ) ইলিয়াস (গ) ইলিয়াসের বড়ো ছেলে (ঘ) গৃহস্বামী

উত্তরঃ (খ) ইলিয়াস

১.৩ “প্রিন্সিপ্যাল বললেন, বেশ তো, ডেকে আনো এখানে।”– ডেকে আনতে বলা হয়েছিল—
(ক) সুকুমারকে (খ) মাস্টারমশাইকে
(গ) কথককে (ঘ) আর্দালিকে

উত্তরঃ (খ) মাস্টারমশাইকে

১.৪ পার্শ্বিক ধ্বনির উদাহরণ হল-
(ক) য্ (খ) র্ (গ) ল্ (ঘ) ড্

উত্তরঃ (গ) ল্

১.৫ কবি ‘দাঁড়’ টানেন—
(ক) বিরামহীন (খ) সারাদিন (গ) সকাল-সন্ধ্যা
(ঘ) জোয়ার-ভাঁটায়

উত্তরঃ (ক) বিরামহীন

১.৬ বিধুশেখর গান গাওয়ার চেষ্টা করত—
(ক) দিগেন্দ্রনাথ রায়ের (খ) দিনু ঠাকুরের
(গ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের (ঘ) দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়ের

উত্তরঃ (গ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর কমবেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে দাও : ১×৯=৯

২.১ কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি কতদিন ধরে চলেছিল ?

উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত কলিঙ্গদেশে সাতদিন ধরে বৃষ্টি চলেছিল।

২.২ “সেই ভয়টার কঙ্কাল লুকিয়েছিল মনের চোরা- কুঠুরিতে।”- কোন্ ভয়ের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ছেলেবেলায় অঙ্ক না পারলে মাস্টারমশাইয়ে কাছে শাস্তি পাওয়ার ভয় লুকিয়ে ছিল কথক সুকুমারের ‘মনের চোরা কুঠুরিতে’।

২.৩ উনান > উনন— এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন রীতি অনুসৃত হয়েছে ?

উত্তরঃ উনান > উনুন—এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের স্বরসংগতি রীতিটি অনুসৃত হয়েছে।

২.৪ “সেও তো পাপ”— কোন কাজকে বক্তা পাপ বলেছেন ?

উত্তরঃ বিপুল ধনসম্পদ থাকার সময় ইলিয়াস দম্পতি অনেক মজ মজুরদের মনিব ছিল। নিজেদের স্বার্থেরই তারা মজুরদের ওপর কড়া নজর রাখত। জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করার পর এই কাজটিকে শাম-শেমাগির পাপ বলে মনে হয়েছে।

২.৫ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ কার লেখা, কোন্ মূল গ্রন্থ থেকে নেওয়া ?

উত্তরঃ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশটি কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক থেকে নেওয়া।

২.৬ “তারপর ভাঁটার শোষণ” – ‘ভাঁটার শোষণ’ বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ ভাঁটার শোষণ’ স্রোতের প্রবল প্রাণ আহরণ করে অর্থাৎ জলপ্রবাহের তীব্রগতিকে স্তিমিত করে—এই ‘ভাঁটার শোষণ” কথাটি ব্যবহার করেছেন।

২.৭ মঙ্গলের লাল নদীর জলের স্বাদ কেমন ছিল ?

উত্তরঃ মঙ্গলের লাল নদীর জলের স্বাদ ছিল অমৃতর মতো।

২.৮ নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কাকে বলে ?

উত্তরঃ তে সমস্ত সন্ধি সংস্কৃত সন্ধির কোনো সূত্রের আওতায় পড়ে না কিংবা যে সমস্ত পদ সংস্কৃত সন্ধির নিয়ম না মেনেও ব্যাকরণগতভাবে সন্ধিবদ্ধ হয় এবং বিশেষরূপ লাভ করে, নিয়ম বহির্ভুত সেইসব সন্ধিকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
যেমন—গো + অক্ষ = গবাক্ষ।

২.৯ শঙ্কু শরৎকালে রাত্রে খাবার পরে ঘণ্টা তিনেক বাইরে থাকেন কেন ?

উত্তরঃ মৃদুমৃদু বাতাস উপভোগ করার জন্য শঙ্কু শরৎকালে রাত্রে খাবার পরে ঘণ্টা তিনেক বাইরে থাকতেন।

৩. কমবেশি ৬০টি শব্দে ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩×২= ৬

৩.১ “নিস্তব্ধ মুহূর্তগুলি সাগর গর্জনে ওঠে কেঁপে।”— কথাটির মর্মার্থ বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ ‘নোঙর’ একটি রূপকধর্মী কবিতা। কবি মানুষের জীবনকে এক নৌকার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর মানবজীবন পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ। কিন্তু সংসারের এই বেড়াজালকে ছিন্ন করে কবি স্বপ্নের জগতে পাড়ি দিতে চান। অথচ সংসারের মোহজালের নোঙর তাঁর জীবনের নৌকাকে সংসারের তটে ধরে রাখে। অসহায় ক্লান্ত কবির মনে হয় প্রতিবার দাঁড়ের ছোঁড়ায় স্রোতের ব্যঙ্গবিদ্রুপ ভেসে আসে। অর্থাৎ বাঁধন ভাঙার ব্যর্থ চেষ্টাকে চলমান সময়ের স্রোতধারা যেন পরিহাস করে যায়।

৩.২ “তাদের বার্ষিক উৎসব— বক্তৃতা দিতে হবে” – কাদের বার্ষিক উৎসব ? সেখানে কী বিষয়ে, কেমন বক্তৃতা দিলেন ?

উত্তরঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ ছোটোগল্পে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের কলেজের বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠানে সুকুমার আবেগময় বক্তৃতা দিয়েছিলেন।
উক্ত কলেজের বার্ষিক উৎসবে সুকুমার তাঁর বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের বারোটি উদ্ধৃতি এবং ভুল করে বার্নার্ড শ-র নামে অন্য লেখকের ইংরেজি কোটেশন চালিয়ে দিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। সবশেষে অত্যন্ত আবেগমথিতভাবে দেশের তরুণদের জেগে উঠতে বলে টেবিলে এমন কিল মারেন যে ফুলদানিটা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। সুকুমারের এই আবেগময় ভাষণ শুনে উচ্ছ্বসিত শ্রোতারা হল ফাটানো হাততালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানায়।

৩.৩ ” কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি।” – জৈমিনি কে ? সকল লোক তাকে কেন স্মরণ করে ?

উত্তরঃ জৈমিনি হলেন মীমাংসা দর্শনের রচয়িতা। বেদের কর্মকান্ডের সূত্রগুলিকে সুসংবদ্ধ ও সংশোধন করা এঁর প্রধান প্রধান কৃতিত্ব।

কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘের সমাবেশ ঘটে। আকাশ ভাঙা মেঘে বৃষ্টি নামে মুষলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তান্ডবে ভীত কলিঙ্গবাসী এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় জৈমিনি ঋষিকে স্মরণ করতে থাকে। কেন-না বাসিদ্ধ ঋষি জৈমিনির নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়—এই বিশ্বাসে তাঁর নামকীর্তন করা হয়।

৪. কমবেশি ১৫০টি শব্দে ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×২=১০

৪.১ ‘নোঙর’ কবিতায় যে জীবনসত্য ধরা পড়েছে, তা তোমার নিজ উপলব্ধি অনুযায়ী লেখো।

উত্তরঃ অজিত দত্ত ‘শাদা মেঘ কালো পাহাড়’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘নোঙর’ কবিতায় কবিজীবনের অতৃপ্তির কথা বলেছেন। কবির সৃষ্টিশীল মন পাড়ি দিতে চেয়েছে সুদূর কোনো দেশে। কিন্তু তটভূমির কাছে তাঁর নৌকার নোঙর তাঁর অজান্তেই পড়ে গেছে। কবির জীবনের নানা স্বপ্ন-ইচ্ছে-কল্পনার প্রতীক স্বরূপ জোয়ারের ঢেউগুলি তাঁর নৌকায় আঘাত করে সমুদ্রের দিকে ছুটে চলে যায়। ভাটার টানে খানিক বাদেই সেই প্রবলস্রোত দুর্বল হয়ে পড়ে। বাস্তবরূপী তটের কাছে এই জীবনটাও যেন জোয়ারভাটায় বাঁধা। কখনও আশার জোয়ার, কখনও নিরাশার ভাটা। কবি তবু বৃথা জেনেও সারারাত অবিরত দাঁড় টেনে চলেন।

কবির উদাসী মন এক জায়গায় বাঁধা পড়ে থাকতে চায় না। কিন্তু কবি সাংসারিক মানুষ। জীবন-জীবিকার শর্তে তাঁকে গণ্ডিবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। নানা ধরনের সম্পর্কের বন্ধন, দায়দায়িত্বের বেড়াজাল কবির জীবননৌকাকে নোঙরের কাছিতে বেঁধে রেখেছে। তবু সুদূরের হাতছানি তাঁকে উতলা করে, বৃথা চেষ্টার ব্যর্থতা তাঁকে হতাশ করে। এভাবেই ‘নোঙর’ কবিতায় এই চরম জীবনসত্য ধরা পড়েছে।

৪.২ “আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে।” – বক্তা কে ? কীভাবে বক্তাকে ছাত্র অমর করেছে বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটির বক্তা হলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ ছোটোগল্পের কথক সুকুমারের, অঙ্কের মাস্টারমশাই।

অঙ্কে অসাধারণ দক্ষ মাস্টারমশাই ভাবতেই পারতেন না যে তাঁর ছাত্ররা অঙ্ক পারবে না। মেরে-বকেও তিনি ছাত্রদের অঙ্ক শেখাতে চাইতেন। ফলে ছাত্রদের কাছে তিনি ছিলেন বিভীষিকা। তাঁর এক ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালে মাস্টারমশাইকে নিয়ে তাঁর বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা একটি অনামি পত্রিকায় লিখেছিলেন। সেটি পড়েই সরল মনের মাস্টারমশাইয়ের মনে হয়েছিল ছাপার অক্ষরে তাঁর কথা লিখে তাঁর ছাত্র তাঁকে অমর করে দিয়েছে।

৪.৩ “কিন্তু এখন কিসে এখন কিসে তোমাদের সুখ হচ্ছে ?”— কাদের এই প্রশ্ন করেছেন ? প্রত্যুত্তরে শ্রোতা কী জবাব দিয়েছিল ?

উত্তরঃ ‘ইলিয়াস’ গল্পে উল্লিখিত অতিথিদের শাম-শেমাগি উক্ত প্রশ্নটি করেছেন।

উক্ত প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে শ্রোতা শাম-শেমাগি বলেছিলেন, যখন তারা ধনী ছিলেন তখন তাঁদের এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি ছিল না। কথা বলার সময়ও তাদের হাতে ছিল না। মনের কথা ভাবার সময়, অথবা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার সময়ও ইলিয়াস দম্পতির ছিল না। কেন-না অতিথিরা এলে তাদের আতিথেয়তা নিয়ে চিন্তিত থাকতেন লোকনিন্দার ভয়ে। এ ছাড়াও নিজেদের স্বার্থেই তারা মজুরদের ওপর কড়া নজর রাখত। জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধির পর এই কাজটিকে শাম-শেমাগির পাপ বলে মনে হয়েছে। ধনী অবস্থায় ইলিয়াস দম্পতির ঘুমোবারও জো ছিল না। কেন-না চোরের দৌরাত্ম্যে কিংবা নেকড়ের আক্রমণে তাদের পোষ্যদের কিংবা তাঁদের শাবকদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। ইলিয়াস দম্পতির কাজেই এক দুশ্চিন্তা থেকে আর-এক দুশ্চিন্তায়, এক পাপ থেকে আর-এক পাপেই দিন কাটত, সুখী জীবন কাকে বলে ইলিয়াস সম্পতি কোনো দিন বোঝেননি।

৫. কমবেশি ১৫০টি শব্দে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫

৫.১ “ঘটনাটা ঘটল প্রথম দিনেই”- কোন্ ঘটনার কথা হয়েছে ? ঘটনাটি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ মঙ্গলগ্রহে পৌঁছোনোর পরে প্রথম দিনেই এক বিভীষিকা ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় প্রোফেসর শঙ্কু ও তার সঙ্গীদের। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শঙ্কু ভাবছিলেন যে, টিলার উপরে উঠে জায়গাটা দেখবেন। এরকম সময় আঁশটে গন্ধ আর একটা অদ্ভুত শব্দ তিনি শুনতে পেলেন।

শঙ্কু ওই আওয়াজের উৎস খুঁজতে শুরু করলে এক বিকট চিৎকার শোনেন এবং দেখেন যে, হাতের মুঠোয় নিউটনকে ধরে প্রহ্লাদ ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলেছে রকেটের দিকে। তার পিছু নিয়েছে এক অদ্ভুত জীব। যেটি মানুষ, জন্তু এবং মাছ তিনটির কোনোটিই নয়, কিন্তু তিনেরই মিশেল। প্রহ্লাদকে বাঁচানোর জন্য শঙ্কু অস্ত্র হাতে জন্তুটাকে অনুসরণ করেন। প্রহ্লাদ অবশ্য নিরাপদে রকেটে উঠে যায়। কিন্তু বিধুশেখর রকেট থেকে নেমে জন্তুটার মুখোমুখি দাঁড়ায়। এদিকে আরও দু-তিনশো জন্তু তাদের দিকে আসতে থাকে। বিধুশেখরের হাতের এক আঘাতে অনুসরণ করে আসা জন্তুটি মাটিতে পড়ে যায়। শঙ্কু তাকে আটকাতে চেষ্টা করেন। শেষপর্যন্ত শঙ্কু বোতাম টিপে বিধুশেখরকে অচল করেন। তারপর তাকে দু-ভাগ করে রকেটের দরজার কাছে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে প্রায় হাজার মঙ্গলীয় সৈন্য জড়ো হয়েছে। প্রহ্লাদের সাহায্যে বিধুশেখরকে কেবিনে তুলে দরজা বন্ধ করে দেন। তারপরেই দেখেন রকেট উড়ে চলেছে।

৫.২ “প্রোফেসর শঙ্কুর” ডায়েরিটির বিশেষত্ব কী ছিল ? ডাইরিটির লেখাকে ‘গোল্ড মাইন’ কেন বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ বিজ্ঞানী প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়ারিটা প্রথমবার লেখকের কাছে যখন পৌঁছোয় তখন তিনি দেখেছিলেন ডায়ারিতে ব্যবহৃত কালির রং ছিল সবুজ। কিন্তু পুজোর পর খাতাটি আলমারি থেকে বের করার পরই লেখকের খটকা লাগে কারণ তিনি দেখেন কালির রং লাল। মনের ভুল ভেবে খাতাটি পকেটে রাখেন। বাড়ি ফিরে আবার খাতাটা খুলতেই লেখকের বুক ধড়াস করে ওঠে। কারণ কালির রং তখন ছিল নীল। তারপর এক আশ্চর্য অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে। লেখকের চোখের সামনেই ডায়ারির কালি নীল থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। ডায়ারির কালির রঙের পরিবর্তন ডায়ারিটিকে বিচিত্র এক রহস্যের জালে ঘিরে ফেলে। এমনকি ডায়ারিটি লেখকের হাত থেকে পড়ে যাওয়ার পর লেখকের কুকুর ভুলো তাতে দাঁত বসালেও ওই খাতার কাগজ কামড়ে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। লেখক বিস্মিত হয়ে নিজে কাগজটা টেনে দেখলেন, তা ছেঁড়া তো অসম্ভব বটেই, এমনকি টানলে রাবারের মতো বাড়তে থাকে সেটা। দেশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়েও এবং পাঁচ ঘণ্টা উনুনের মধ্যে ডায়ারিটা ফেলে রাখলেও কালির রং বদলেই চলে কিন্তু ডায়ারি পোড়ে না। আশ্চর্যের কথা, যে ডায়ারিকে লেখকের একসময় অক্ষয়, অবিনশ্বর মনে হয়েছিল, তা শেষপর্যন্ত, ডেয়োপিঁপড়ের পেটে যায়। বিস্ময়ে হতভম্ব লেখক এই আশ্চর্য ডায়ারির কাহিনির সত্যমিথ্যা বিচারের ভার পাঠকদের হাতেই ছেড়ে দেন।

‘গোল্ড মাইন’ শব্দটির অর্থ ‘সোনার খনি’। এখানে এক বিশেষ ডায়ারিকে গোল্ড মাইন বলা হয়েছে। কেন-না ডায়ারি ছেপে পাঠককে আনন্দ দেওয়া যাবে এবং পত্রিকার বিক্রি বাড়ানো যাবে। এই লেখা বেশি অর্থ উপার্জনে সাহায্য করবে বলেই। ডায়ারিটিকে সোনার খনির সঙ্গে তুলনীয়।

৬. ভাবসম্প্রসারণ করো :

“সবার উপরে অনুষ সত্য তাহার উপরে নাই।”

উত্তরঃ সম্প্রসারিত রূপ: পৃথিবীতে অন্য সমস্ত জীবের তুলনায় মানুষ হল শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষ তার বুদ্ধি, প্রজ্ঞা ও হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ব প্রকৃতির নিয়মকে কাজে লাগিয়ে ব্রতী হয়েছে তাকে নবরূপে, নবসাজে সাজাতে। কিন্তু এরই বিপরীতে মানুষ কুসংস্কারের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলেছে বিভেদ- বৈষম্যের প্রাচীর। জীর্ণ সংস্কারের তাড়নায় এক শ্রেণির মানুষ কিছু মানুষকে নীচু চোখে দেখে, অবহেলা করে। কিন্তু এই পৃথিবীর সকল মানুষই মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদার অধিকারী। ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-দেশ-কালের সীমার ঊর্ধ্বে থাকা মনুষ্যত্বই মানুষের শ্রেষ্ঠ পরিচয়। এমনকি বিশ্ব দেবতার থাকা বা না-থাকাটাও নির্ভর করে মানুষের অস্তিত্বের ওপর। কেন-না এ পৃথিবীতে একজন মানুষ শেষপর্যন্ত বিবেচিত হয় তার মনুষ্যত্বের দ্বারাই। এই পৃথিবীতে মানুষ এবং একমাত্র সত্য এবং শাশ্বত।

👉নবম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র👈


Leave a Reply