WBBSE Madhyamik History Online MCQ Mock Test-4 | মাধ্যমিক ইতিহাস অনলাইন MCQ মক্ টেস্ট (বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যা)
MP MCQ Mock Test -3
নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো :
(১) বিবৃতি : ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সরকার ‘তিন আইন’ পাশ করে।
ব্যাখ্যা ১: এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা।
ব্যাখ্যা ২: এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের অর্থনৈতিক-সামাজিক সাংস্কৃতিক উন্নতি সাধন করা।
ব্যাখ্যা ৩: এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহ নিষিদ্ধ করা এবং বিধবা বিবাহ আইন সিদ্ধ করা।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩: এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহ নিষিদ্ধ করা এবং বিধবা বিবাহ আইন সিদ্ধ করা।
(২) বিবৃতি : স্বামী বিবেকানন্দ ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটি রচনা করেন।
ব্যাখ্যা ১: তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক ভারতের ইতিহাস প্রণয়ন করা।
ব্যাখ্যা ২: তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নব্য হিন্দুধর্ম প্রচার করা।
ব্যাখ্যা ৩: তাঁর উদ্দেশ্য ছিল স্বাদেশিকতা প্রচার করা।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২: তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নব্য হিন্দুধর্ম প্রচার করা।
(৩) বিবৃতি : বিপ্লবের অর্থ।
ব্যাখ্যা ১: সমাজের সমস্ত শ্রেণিকে সামাজিক দিক থেকে রক্ষা করা।
ব্যাখ্যা ২: দীর্ঘদিনের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ।
ব্যাখ্যা ৩: মানবিক দিকের বাধা দূর করা।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২: দীর্ঘদিনের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ।
(৪) বিবৃতি : উনিশ শতকে ভারতে অসংখ্য সমিতি গড়ে ওঠে।
ব্যাখ্যা ১: ভারতের জনগণের চাকুরির সুবিধা হয়।
ব্যাখ্যা ২: ব্রিটিশ শাসনের অবসান।
ব্যাখ্যা ৩: রাজনৈতিক দিক থেকে সংগঠিত করা।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩: রাজনৈতিক দিক থেকে সংগঠিত করা।
(৫) বিবৃতি : ইতিহাসে সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির আলোচনা স্থান পেত না।
ব্যাখ্যা ১ : ইতিহাস সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির আলোচনা গুরুত্বহীন।
ব্যাখ্যা ২ : তখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করা হত।
ব্যাখ্যা ৩ : তখন সমাজে অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বলতে কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২ : তখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করা হত।
(৬) বিবৃতি : তিতুমীরের আন্দোলনকে কেউ কেউ ‘ধর্মীয় আন্দোলন’ বলে মনে করেন।
ব্যাখ্যা ১ : তিতুমীর হিন্দুদের আন্দোলনে অংশ নিতে দেননি।
ব্যাখ্যা ২ : তিতুমীর শুধু মুসলিমদের নিয়ে আন্দোলন চালান।
ব্যাখ্যা ৩ : তিতুমীরের আন্দোলনে ইসলামের নীতি আদর্শের প্রাধান্য ছিল।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : তিতুমীরের আন্দোলনে ইসলামের নীতি আদর্শের প্রাধান্য ছিল।
(৭) বিবৃতি : ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়।
ব্যাখ্যা ১ : বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নতির জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : জাতীয় শিক্ষাপ্রদানের জন্য।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : জাতীয় শিক্ষাপ্রদানের জন্য।
(৮) বিবৃতি : রবীন্দ্রনাথ ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা পছন্দ করতেন না।
ব্যাখ্যা ১ : কারণ এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ব্যয় সাপেক্ষ।
ব্যাখ্যা ২ : কারণ এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যম ছিল মাতৃভাষা।
ব্যাখ্যা ৩ : কারণ এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ঘটত না।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : কারণ এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ঘটত না।
(৯) বিবৃতি : আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা আধুনিক ইতিহাসচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
ব্যাখ্যা ১ : এগুলি থেকে লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের কথা জানা যায়।
ব্যাখ্যা ২ : এগুলিতে বর্ণিত তথ্য সম্পূর্ণরূপে সত্য।
ব্যাখ্যা ৩ : এগুলি থেকে সমসাময়িক কালের বহু তথ্য পাওয়া যায়।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : এগুলি থেকে সমসাময়িক কালের বহু তথ্য পাওয়া যায়।
(১০) বিবৃতি : রাজা রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে পত্র প্রেরণ করেছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : ভারতে দেশীয় শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য।
(১১) বিবৃতি : ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় অরণ্য আইন পাশ হয়।
ব্যাখ্যা ১ : অরণ্যে বসবাসকারী উপজাতির মানুষদের অরণ্যের অধিকারের অবলুপ্তি ঘটিয়ে ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।
ব্যাখ্যা ২ : এই আইনের মধ্য দিয়ে বন্যপ্রাণী ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে চেয়েছিল।
ব্যাখ্যা ৩ : এই আইনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশরা অরণ্য ধ্বংস করে কাঠ রপ্তানি শুরু করেছল।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১ : অরণ্যে বসবাসকারী উপজাতির মানুষদের অরণ্যের অধিকারের অবলুপ্তি ঘটিয়ে ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।
(১২) বিবৃতি : ভারতে উনিশ শতকে বিকল্প শিক্ষানীতির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ১ : পাশ্চাত্য শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটাতে।
ব্যাখ্যা ২ : অবহেলিত প্রাচ্য শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে।
ব্যাখ্যা ৩ : ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা-সমিতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা-সমিতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।
(১৩) বিবৃতি : ইতিহাস নিছক অতীত দিনের গল্প নয়।
ব্যাখ্যা ১ : ইতিহাস প্রমাণ উপদানের ওপর প্রতিষ্ঠিত অতীত দিনের বিবরণ।
ব্যাখ্যা ২ : ইতিহাস অতীত কালের লোক কথামাত্র।
ব্যাখ্যা ৩ : ইতিহাস বিভিন্ন কালের চিত্রকলা।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১ : ইতিহাস প্রমাণ উপদানের ওপর প্রতিষ্ঠিত অতীত দিনের বিবরণ।
(১৪) বিবৃতি : ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে বিদ্রোহের কথা লেখা হয়েছে।
ব্যাখ্যা ১ : উপন্যাসটিতে সিপাহি বিদ্রোহের কাহিনী ছাপা হয়েছে।
ব্যাখ্যা ২ : ‘আনন্দমঠ’-এ সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ছায়া অবলম্বনে রচিত।
ব্যাখ্যা ৩ : ‘আনন্দমঠ’ নীল বিদ্রোহের চিত্র পাওয়া যায়।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২ : ‘আনন্দমঠ’-এ সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ছায়া অবলম্বনে রচিত।
(১৫) বিবৃতি : ‘বর্ণপরিচয়’ এক নতুন যুগের সূচনা করে।
ব্যাখ্যা ১ : ‘বর্ণপরিচয়’-এ বাংলা ভাষা নির্দিষ্ট রূপ নেয়।
ব্যাখ্যা ২ : ‘বর্ণপরিচয়’ একটি নীতি বোধমূলক সাহিত্যগ্রন্থ।
ব্যাখ্যা ৩ : ‘বর্ণপরিচয়’ একটি আদর্শ শিশু পাঠ্য।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : ‘বর্ণপরিচয়’ একটি আদর্শ শিশু পাঠ্য।
(১৬) বিবৃতি : বিশ্বভারতী গড়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বের কাছে ভারতের চিন্তা ভাবনা তুলে ধরেন।
ব্যাখ্যা ১ : ভারত ও বিশ্বের জ্ঞানচর্চার আদান প্রদানের প্রতিষ্ঠান ছিল।
ব্যাখ্যা ২ : শিল্পকলা চর্চা প্রধান লক্ষ্য ছিল।
ব্যাখ্যা ৩ : গ্রামোন্নয়নের স্বার্থে গঠিত হয়।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১ : ভারত ও বিশ্বের জ্ঞানচর্চার আদান প্রদানের প্রতিষ্ঠান ছিল।
(১৭) বিবৃতি : সরলাদেবী চৌধুরানী লক্ষ্মীর ভান্ডার স্থাপন করেন—
ব্যাখ্যা ১ : দরিদ্রদের দান করতে।
ব্যাখ্যা ২ : স্বদেশী জিনিসপত্র বিক্রি করতে।
ব্যাখ্যা ৩ : লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করতে।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২ : স্বদেশী জিনিসপত্র বিক্রি করতে।
(১৮) বিবৃতি : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত।
ব্যাখ্যা ১ : তিনি নারীদের শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : তিনি নারীজাতির সর্বাঙ্গীন উন্নতি করতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি বিধবা বিবাহ চালু করেছিলেন।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২ : তিনি নারীজাতির সর্বাঙ্গীন উন্নতি করতে চেয়েছিলেন।
(১৯) বিবৃতি : উনিশ শতকে কোম্পানি ভারতে বনজ সম্পদ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়।
ব্যাখ্যা ১ : ভারতবর্ষের মাটি ছিল উর্বর এবং উন্নত কাঠ উৎপাদনের কেন্দ্র।
ব্যাখ্যা ২ : ভারত থেকে কাঠ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে রেলপথ নির্মাণ ও বিস্তারের কাজে ব্যবহারের জন্য।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে রেলপথ নির্মাণ ও বিস্তারের কাজে ব্যবহারের জন্য।
(২০) বিবৃতি : স্বামী বিবেকানন্দ “বর্তমান ভারত” গ্রন্থটি রচনা করেন।
ব্যাখ্যা ১ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক ভারতের ইতিহাস প্রণয়ন করা।
ব্যাখ্যা ২ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নব্যহিন্দুধর্ম প্রচার করা।
ব্যাখ্যা ৩ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল স্বাদেশিকতা প্রচার করা।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নব্যহিন্দুধর্ম প্রচার করা।