WBCHSE Class 11 Sanskrit Solved Question Paper 2019 | একাদশ শ্রেণির সংস্কৃত প্রশ্নপত্র ২০১৯ – Prosnodekho

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

WBCHSE CLASS 11 SANSKRIT QUESTION PAPER WITH ANSWER 2019 (একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্নপত্র ২০১৯)

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সংস্কৃত বিষয়ের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র যত্নসহকারে সঠিক এবং নির্ভুল উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বহু বিকল্পধর্মী প্রশ্ন (MCQ) এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের (SAQ) উত্তর বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হলো। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানানো যাচ্ছে তোমরা অবশ্যই তোমাদের সাবজেক্ট শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলিয়ে নেবে।

SANSKRIT(XI)
(New Syllabus)
2019
Time: 3 Hours 15 Minutes
Full Marks: 80

পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে। বর্ণাশুদ্ধি, অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কেটে দেওয়া হবে। উপান্তে প্রশ্নের পূর্ণমান সূচিত আছে।

Special credit will be given for answers which are brief and to the point. Marks will be deducted for spelling mistakes, untidiness and bad handwriting. Figures in the margin indicate full marks for the questions.

1.সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ 1×15=15

গদ্যাংশ

(a)’দশকুমারচরিতম্’ কোন্ শ্রেণীর গদ্যকাব্য ?
(i) কথা (ii) আখ্যায়িকা (iii) রূপক
(iv) ঐতিহাসিক।

উত্তরঃ (ii) আখ্যায়িকা।

(b)পদ্মোদ্ভবের পুত্রের হলেন–
(i) রত্নোদ্ভব (ii) সিতবর্মা (iii) রাজহংস
(iv) ধর্মপাল ।

উত্তরঃ (i) রত্নোদ্ভব।

(c)’পঞ্চতন্ত্রম্’ এর রচয়িতা কে ?
(i)নারায়ণ শর্মা (ii)হরিশর্মা (iii)বিষ্ণুশর্মা
(iv)রাকেশ শর্মা ।

উত্তরঃ (iii)বিষ্ণুশর্মা ।

(d)”গোযুগং তে অপহর্তুমিচ্ছতি ।” কার উক্তি ?
(i) ব্রাহ্মণ (ii) চোর (iii) পিশাচ
(iv) এদের কেউ নয়।

উত্তরঃ (iii) পিশাচ।

পদ্যাংশ

(e)’জীমূত’ শব্দের অর্থ হল –
(i) জীবন (ii) জল (iii) বাতাস (iv) মেঘ।

উত্তরঃ (iv) মেঘ।

(f)’মেঘদূতম্’ কাব্যটি কোন্ ছন্দে রচিত ? (i) মন্দাক্রান্তা (ii) অমিত্রাক্ষর (iii) আর্যা (iv) স্রগ্ধরা ।

উত্তরঃ (i) মন্দাক্রান্তা।

(g) বিষ্ণুর নবম অবতার কে ?
(i) ভৃগুপতি (ii) রাম (iii) বামন (iv) বুদ্ধ ।

উত্তরঃ (iv) বুদ্ধ।

(h)’গীতগোবিন্দম্’ -এর প্রথম সর্গের নাম কী ?
(i) মুগ্ধমধুসূদন (ii) মুগ্ধমুকুন্দ
(iii) সামোদদামোদর (iv) সানন্দগোবিন্দ ।

উত্তরঃ (iii) সামোদদামোদর।

নাট্যাংশ

(i)শ্রীরামকৃষ্ণের প্রভা কিসের সঙ্গে তুলনীয় ?
(i) অগ্নি (ii) বিদ্যুৎ (iii) কোটিসূর্য (iv) চন্দ্র।

উত্তরঃ (iii) কোটিসূর্য।

(j)’ভারতবিবেকম্’ -এ উল্লিখিত বছরটি হল –
(i)1880  (ii)1881  (iii)1882  (iv)1883

উত্তরঃ (ii)1881

(k)শূন্যস্থান পূরণ করোঃ “নৈষ_________ গুরুদেবপরিজ্ঞাতঃ ।”
(i) সুরেন্দ্রো (ii) বিবেকানন্দো (iii) যতীন্দ্রো (iv) নরেন্দ্র ।

উত্তরঃ (iv) নরেন্দ্র।

(l)”কথাটি ত্বং মৃষা ন নির্দিশসি ।”– ‘ত্বম্’ কে ?
(i) সুরেন্দ্র (ii) নরেন্দ্র (iii) শ্রীরামকৃষ্ণ (iv) ভবতারিণী।

উত্তরঃ (iv) ভবতারিণী।

সাহিত্যের ইতিহাস

(m) ঋগ্বেদে কতগুলি মণ্ডল ?
(i) আট (ii) নয় (iii) দশ (iv) এগারো।

উত্তরঃ (iii) দশ।

(n) বৈদিক ছন্দঃ সূত্রের রচয়িতা কে ?
(i) লগধ (ii) সায়ণ (iii) পিঙ্গল (iv) মহীধর

উত্তরঃ (iii) পিঙ্গল।

(o)ঋগ্বেদের ব্রাহ্মণ কোনটি ?
(i) শতপথ (ii) গোসল (iii) ঐতরেয় (iv) তৈত্তিরীয় ।

উত্তরঃ (iii) ঐতরেয়।

2.পূর্ণবাক্যে উত্তর দাওঃ 1×11=11

গদ্যাংশ (যে কোনো তিনটি)

(a) সত্যবর্মা কীরকম ছিলেন ? তিনি কী করেছিলেন ?

উত্তরঃ সত্য বর্মা অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ছিলেন। তিনি সংসার ছেড়ে তীর্থযাত্রার অভিলাষে দেশান্তরে গিয়েছিলেন।

(b) মগধরাজ ও মালবরাজের যুদ্ধে কে পরাজিত হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মালবরাজ পরাস্ত হয়েছিলেন।

(c) সিতবর্মার পুত্রদের নাম কী ?

উত্তরঃ সিত বর্মার পুত্রের নাম সুমিত ও সত্য বৰ্মা।

(d) ক্রূরকর্মার কী ইচ্ছা ছিল ?

উত্তরঃ ক্রূরকর্মার নামক চোরের ইচ্ছা ছিল প্রতিবেশী ব্রাহ্মণের গরু চুরি করা।

(e)’ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা’– পঞ্চতন্ত্রের কোন্ তন্ত্রের অন্তর্গত ?

উত্তরঃ ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পটি পঞ্চতন্ত্রের তৃতীয় তল্লুকাকোলুকীয়ম অংশের অষ্টম সংখ্যক কাহিনী।

পদ্যাংশ (যে কোনো তিনটি)

(f)”স্নপয়সি পয়সিশমিতভবতাপম্ ।” – কোন্ অবতারের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ পরশুরাম অবতার এর উদ্দেশ্যে কথা বলা হয়েছে।

(g) “পদনখনীরজনিতজনপাবন ।” – কোন্ অবতার সম্পর্কে বলা হয় ?

উত্তরঃ বামন অবতার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।

(h) বিষ্ণুর দশম অবতার কে ?

উত্তরঃ বিষ্ণুর দশম অবতার শ্রীকৃষ্ণ।

(i) কোন্ বংশে মেঘের জন্ম ?

উত্তরঃ পৃথিবী বিখ্যাত পুষ্কর ও আবর্তক বংশে মেঘের জন্ম ।

(j) “বপ্রক্রীড়া” শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ বক্রকেলি করে খেলা করছে।

নাট্যাংশ (যে কোনো তিনটি)

(k) “কথময়ং গুরুদেবো মে তস্মৈ ভৃশম্ উৎকণ্ঠ্যতে।”– কে বলেছিলেন ?

উত্তরঃ সুরেন্দ্রনাথ এ কথা বলেছিলেন।

(l)”তস্মৈ চেতো মমোৎণ্ঠ্যতে।”– কার জন্য উৎকণ্ঠা ?

উত্তরঃ শ্রীরামকৃষ্ণের জন্য সুরেন্দ্রনাথ এর উৎকণ্ঠা।

(m) “আনন্দবিহ্বলঃ কিমহং করিষ্যামি।”– কে বলেছিলেন ?

উত্তরঃ শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন।

(n)’ভারতবিবেকম্’ -এর প্রথম দৃশ্যের সময় নির্দেশ করো ?

উত্তরঃ 1887 খ্রিস্টাব্দে রাত্রি সাত ঘটিকা।

সাহিত্যের ইতিহাস (যে কোনো দুটি)

(o) যজুঃ সংহিতার কয়টি ভাগ ও কী কী ?

উত্তরঃ দুইভাগে বিভক্ত – কৃষ্ণ যজুর্বেদ (তৈত্তিরীয় সংহিতা) এবং শুক্ল যজুর্বেদ (বাজসনেয়ী সংহিতা)।

(p) কঠোপনিষদ্ কোন্ বেদের অন্তর্গত ?

উত্তরঃ কঠোপনিষদ কৃষ্ণযজুর্বেদ সংহিতার অন্তর্গত।

(q) ঋগ্বেদের একটি উপনিষদের নাম লেখো ।

উত্তরঃ ঐতরেয়।

3.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5

(a) “শত্রবোহপি হিতায়ৈব বিবদন্তঃ পরস্পরম্।” – শ্লোকাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো । (পাঠ্যাংশ অবলম্বনে)

উত্তরঃ ছাত্রসমাজে কীর্তিলব্ধ পণ্ডিত বিষ্ণু শৰ্মা রচিত “পঞ্চতন্ত্র” নামক গল্পগ্রন্থের তৃতীয় তন্ত্র “কাকোলূকীয়ম্” এর অষ্টম সংখ্যক কাহিনী হল আমাদের পাঠ্য “ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা”।

“শত্রবোহপি হিতায়ৈব বিবদন্তঃ পরস্পরম্।” অর্থাৎ, শত্রুরা যখন পরস্পরের মধ‍্যে বিবাদ করে তখন তা সাধারন মানুষের উপকারই সাধন করে।

ব্রাহ্মণ নিদ্রা গেলে তারা আপন আপন কর্ম সম্পাদন হেতু উপস্থিত হয়। কিন্তু উভয়েই আপন কৰ্ম প্ৰথমে সম্পাদিত করতে বদ্ধপরিকর। চোরের বক্তব্য,তাকে আগে আগে চুরি করতে দেওয়া উচিৎ। তারপর সত্যবচন ব্রাহ্মণকে সানন্দে ভক্ষণ করতে পারবে। আবার ব্রহ্মরাক্ষসের যুক্তি, চুরির সময়, আওয়াজ হলে ব্রাহ্মণের নিদ্রাভঙ্গ হয়ে যাবে। তাহলে সে আর তাকে ভক্ষণ করতে পারবে না৷ ষষ্ঠাকালিক হওয়ায় তাকে দুদিন অন্তর প্রতি তৃতীয় রাত্রে উদরপূর্তি করতে হয়। এই বিবাদ চরমে উঠলে ব্রাহ্মণের নিদ্রাভঙ্গ হয়ে গেল। তখন চোর ব্রহ্মরাক্ষস তার নিকট একে অপরের অভিসন্ধি ব্যক্ত করে দেয়। ব্রাহ্মণ দ্রোণ ইষ্টদেবতার নাম স্মরণ্যপূর্বক ব্রহ্মরাক্ষস থেকে নিজের জীবন বাঁচান আর লাঠির আঘাতের ভয় দেখিয়ে চোর ক্রুরকর্মাকে বিতাড়িত করেন।

পঞ্চতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য অনুসারে কাহিনী শুরুর প্ৰথমে উপদেশমূলক নীতিশ্লোক থাকে। এখানে আছে যার অর্থ হল—
“শত্রুরা পরস্পর বিবাদ করলে তা অন্যের পক্ষে মঙ্গলকর হয়।যেমন এখানে এই গল্পে চোরটি ব্রাহ্মণের জীবন বাঁচালো এবং ব্রহ্মরাক্ষস গোবৎসদ্বয়কে রক্ষা করল।”

(b) পুষ্পপুরীর বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ আচার্য দণ্ডী রচিত দশকুমারচরিতম্ কাব্যের পূর্ব পীঠিকার প্রথম উচ্ছ্বাসে পুষ্পপুরি নগরীর একটি সুন্দর বর্ণনা রয়েছে।কথাশিল্পী দণ্ডী তার বর্ণনা শক্তির অসাধারণ নৈপুণ্যে পুষ্পপুরি নগরীর বর্ণনায় সুন্দর চিত্র অঙ্কন করেছেন।

শক্তিশালী মগধ রাজ্যের রাজধানী পুষ্পপুরী নগরী। কবি প্রথমে পুষ্পপুরী নগরীকে সমস্ত নগরীর মধ্যে আদর্শ স্থানীয় বলে বর্ণনা করেছেন। কবির ভাষায় -“সমস্ত নগরী নিকষায়া মানা’। কবি যেন বিশ্বের সমস্ত নগরগুলোকে কষ্টিপাথরে যাচাই করে পুষ্পপুরী নগরীকে শ্রেষ্ঠত্ব বলে প্রতিপাদন করেছেন।

ধনে জনে পরিপূর্ণ এই নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য ও সুসজ্জিত সমৃদ্ধি দোকান ছিল। সেখানে সাজানো থাকত অগণিত রত্নসমূহ। সেই রত্নসমূহ সমুদ্রের মতো নগরীর প্রকাশ করত।

পুষ্পপুরি নগরী সর্বদাই বীরযোদ্ধা সেনারা রক্ষিত ছিল। চতুরঙ্গ বাহিনী ছিল এই নগরীর গর্বের বিষয়। শত্রুপক্ষ মগধরাজ্যকে আক্রমণ করার সাহস পেত না।

মহানায়ক রাজহংস ছিল পুষ্পপুরী নগরীর রক্ষাকর্তা। মধ্যাহ্ন সূর্যের মতো দীপ্যমান। মন্দার পর্বত এর মতো বাহুবিশিষ্ট রাজার ভয়ে শত্রুপক্ষ ভীত থাকতো। এই নগরীর প্রজারা কোন বিদ্রোহ করতো না। নগরীতে সর্বদা শান্তি বিরাজ করত। আর রাজা ও নগরীর কীর্তি মর্তলোক এর সীমা ছাড়িয়ে স্বৰ্গলোকে পাড়ি দিয়েছিল। স্বর্গের অপ্সরা উদ্যানে ভ্রমণকালে রাজা ও রাজ্যের কীর্তিকাহিনী প্রকাশ করতেন।

পুষ্পপুরী নগরী ছিল ধর্ম-কর্মের আধার, যজ্ঞানুষ্ঠানের কর্মশালা। এখানে প্রচুর যাগযজ্ঞ সম্পন্ন করা হতো। যজ্ঞেরর শেষে বিদ্বান, যশস্বী ব্রাহ্মণদের দক্ষিণা দেওয়া হত। অজস্র ব্রাহ্মণদের যাতায়াত এই নগরীকে পবিত্ৰ দেবভূমিতে পরিণত করেছে। পুষ্পপুরী নগরী পুষ্পের ন্যায় সৌন্দর্যমন্ডিত। স্বর্গের ন্যায় শান্তিপূর্ণ। ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধিতে- এই নগরী সত্যিই যেন দেব ভূমি ।

4.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5

(a) দশাবতারের কাহিনি নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ ‘গীতবােবিন্দম’ নামক গীতিকাব্যের সামােদদামােদর নামক প্রথম সর্গের অন্তর্গত বিয়ুর দশাবতার গুলি হল– (১) মৎস্য, (২) কূর্ম, (৩) বরাহ, (৪) নৃসিংহ, (৫) বামন, (৬) ) পরশুরাম, (৭) রাম, (৮) বলরাম, (৯) বুদ্ধ এবং (১০) কল্কি। কবি এই সকল অবতারের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কার্যকলাপসমূহ বর্ণনা করেছেন এবং সেখানে বিষ্ণুর বিশেষণরূপে কেশব, জগদীশ, হরি ইত্যাদি সম্বােধন ব্যবহার করেছেন।

(১) মৎস্যাবতারে পয়ােধিজলমগ্ন বেদরাশি রক্ষিত হয়েছিল।

(২) কূর্মাবতারে পৃষ্ঠদেশে ধরণী ধৃত হয়েছিল।

(৩)এই অবতারে শ্রীহরি দাঁতের অগ্রভাগে সমগ্র পৃথিবীকে ধারণ করেন।

(৪) নৃসিংহাবতারে হিরণ্যকশিপু নিধনের ফলে ধরিত্রী বিপন্মুক্ত হয়।

(৫) বামনাবতারে বলিকে বধ করায় জগৎ পবিত্র হয়েছিল।

(৬) পরশুরামাবতারে একুশ বার ক্ষত্রিয় নাশ করায় অত্যাচারের হাত থেকে মানবজাতি রক্ষিত হয়েছিল।

(৭) রামাবতারে অত্যাচারী রাবণের বধ সংঘটিত হয়েছিল।

(৮) এই অবতারে শ্রীহরি লাঙল – এর সাহায্যে বাঁধ নির্মাণ করে যমুনার জলপ্লাবন থেকে মথুরাবাসীকে রক্ষা করেন।

(৯) বুদ্ধাবতারে বেদরাশির নিন্দাকরা হয়েছিল।

(১০) কল্কি অবতারে স্মচ্ছবধ সাধিত হবে , এইরূপ ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে।

এই হল বিষ্ণুর দশ অবতারের অতিসংক্ষিপ্ত কার্যাবলি, যা যুগে যুগে দুষ্টের বিনাশসাধন করে এই পৃথিবীকে রক্ষা করেছে।

(b) মেঘকে দূত হিসেবে নির্বাচন করার জন্য যক্ষের আবেদন বর্ণনা করো।

উত্তরঃ

5.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5

(a) ‘ভারতবিবেকম্’ -এ উল্লিখিত গানগুলির বিষয়বস্তু বর্ণনা করো।

(b) সুরেন্দ্রনাথ কে ? তাঁর দৃষ্টিতে শ্রীরামকৃষ্ণের চরিত্র বর্ণনা করো।

উত্তরঃ সুরেন্দ্রনাথ ছিলেন কলকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গৃহস্থ ও শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম ভক্তশিষ্য।

সুরেন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে শ্রীরামকৃষ্ণের চরিত্র—

(১) অলৌকিক পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষমতাঃ সুরেন্দ্রনাথ মনে করেন গুরুদেব শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর গৃহে পদার্পণে সেই গৃহ ধন্য হয়েছে। সেই সন্ধ্যা খুব মনোরম হয়েছে – “মধুরেয়ং সন্ধ্যা।” গুরুদেবের অবর্ণনীয় মহিমায় যে স্থানে উনি অবস্থিত সেই স্থান মুহূর্তেই দেবমন্দির তুল্য হয়ে উঠেছে– “দেবমন্দিরসদৃশম্।”

(২) দেবতুল্য শরীরঃ শ্রীরামকৃষ্ণের শরীর থেকে অনবরত জ্যোতিপ্রভা নির্গত হচ্ছে। তিনি একজন ধর্মীয় মহাপুরুষ বলেই তাঁর শরীর সর্বদা জ্যোতির ধারায় উদ্ভাসিত “শরীরাদস্য – নিরন্তরং প্রসরতি জ্যোতির্ধারা।” তিনি তাঁর চতুর্দিক আলোকিত করে রাখেন।

(৩) কণ্ঠে অমৃতধারাঃ শ্রীরামকৃষ্ণের কণ্ঠের সুমধুর বাক্য থেকে যেন সর্বদা প্রবাহিত হয় সুরধনির প্রবাহের মতো নিরন্তর অমৃতধারা। তাঁর অমৃতবাণী সকলকে স্বর্গসুখ দানে সমর্থ।

(৪) হাসিতে সূর্যের উজ্জ্বল দ্যুতিঃ শ্রীরামকৃষ্মের অম্লান শিশুসুলভ হাসিতে সূর্যের উজ্জ্বল দ্যুতি জগৎকে মোহময় করে রেখেছে। সূর্যকিরণের মতো ঠাকুরের অম্লান হাসি মানুষের মনের কালিমা ও দুঃখরূপ অন্ধকার দূর করে আনন্দজ্যোতি প্রকাশ করে।

(৫) অন্তর্দৃষ্টিঃ শ্রীরামকৃষ্ণের অসাধারণ অন্তর্দৃষ্টি দেখেও ভক্ত সকলেই সুরেন্দ্রনাথ বিস্মিত হলেন। শ্রীরামকৃষ্ণের আদেশে সুরেন্দ্রনাথ তাঁর প্রতিবেশী তরুণ গায়ক নরেন্দ্রনাথকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের সেই প্রথম সাক্ষাৎকার। কিন্তু সেই প্রথম দর্শনেই গুরুদেব নরেন্দ্রনাথকে তাঁর উত্তরসাধকরূপে স্বীকার করে নেন– “এষ এব মম সর্বশুভঙ্কর সদাশিবঃ…. এতে সুরেন্দ্রনাথ বিস্মিত হন। পরে গুরুদেবের পরবর্তী কথায় – “এষ মম জন্মজন্মান্তর পরিচিতো জনঃ।” সুরেন্দ্রনাথ গুরুদেবের ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্বের পরিচয় পান।

6.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5

(a) ভারতীয় সমাজ ও সাহিত্যে মহাভারতের প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তরঃ সমাজ ও সাহিত্যে মহাভারতের প্রভাব—

সূচনাঃ মহর্ষি শ্রী কৃষ্ণ দ্বৈপায়ণ বেদব্যাস প্রণীত কালজয়ী মহাকাব্য মহাভারত।যুগ যুগ ধরে আপামোর ভারতবাসী মহাভারতের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আসছে। ভারতীয় সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা মহাভারত-এর দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। পাশ্চাত্য সমালোচক অ্যানিবেসান্ত বলেছেন— “Mahabharata is the great poem in the whole word”. কথিত হয় জাতীর যথার্থ পরিচয় বহন করে তার সাহিত্য। মহাভারত-এর মধ্যেও ভারতীয় জীবনাদর্শের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।

সমাজ জীবনে মহাভারতের প্রভাব—

ভারতীয় সমাজ জীবনে ও জনচিত্তে “মহাভারত”-এর প্রভাব যুগযুগ ধরে অব্যাহত রয়েছে। “ভীষ্মের স্বার্থত্যাগ”, “কর্ণের দানশীলতা”, “যুধিষ্ঠিরের সত্যনিষ্টা”, “পান্ডবদের ভ্রাতৃভক্তি”, “দ্রৌপদীর তেজস্বীতা” প্রভৃতি বিভিন্ন চরিত্রের বিবিধ গুনাবলী ভারতীয় জনজীবনে সুগভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। “ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা”, “দাতাকর্ণ”, “সত্যবাদী যুধিষ্ঠির, “শকুনিমামা”, “বিদুরের খুদ” প্রভৃতি প্রবাদবচনগুলি ভারতীয় জনজীবনে প্রতিনিয়তই শোনা যায়। “মহাভারত” পাঠ ও মনে চিরন্তন। “মহাভারত”-এর ভীষ্মপর্বে অবস্থিত “শ্রীমদভগবদগীতা” হিন্দুদের শ্রেষ্ট দর্শনশাস্ত্র। হিন্দুদের শ্রাদ্ধ বাড়িতে “মহাভারত”- এর বিরাটপর্ব পাঠ করা হয়।

সাহিত্যে মহাভারতের প্রভাব—

শুধু সমাজ জীবনেই নয়, পরবর্তীকালের কবি ও নাট্যকারদের কাছে “মহাভারত” অত্যন্ত আদরের বস্তু। সংস্কৃত সাহিত্যে “মহাভারত”-এর প্রভাব অপরিসীম। এছাড়াও আধুনিক বাংলাসাহিত্য, সাম্প্রতিক কালের যাত্রাপালাগান, এমনকি চলচ্চিত্র, বেতার ও দূরদর্শনেও “মহাভারত”-এর প্রভাব সুদূর প্রসারী।

“মহাভারত” সম্বন্ধে ব্যাসদেবের প্রত্যাশাই ছিল–
“সর্বেষাং কবিমুখ্যানাম্ উপজীব্য ভবিষ্যতি।
পর্জন্য ইব ভুতানাম্ অক্ষয়ো ভরতর্ষভ:।”

সংস্কৃত সাহিত্যে মহাভারতের প্রভাব—

প্রথিতযশা নাট্যকার ভাসের “দূতবাক্যম্‌”, “কর্ণভারম্”,”পঞ্চরাত্রম্” “ঊরুভঙ্গম্”, “দূতঘটোৎকচম্” এবং “মধ্যমব্যায়োগম্” প্রভৃতি নাটকগুলির কাহিনী মহাভারত থেকে সংগৃহীত। মহাকবি কালিদাসের ” অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ” এবং বিক্রমোর্বশীয়ম্ নাটক, ভারবির কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্য, মাঘের শিশুপালবধ কাব্য, শ্রীহর্ষের “নৈষধচরিত”, ভট্টনারায়ণের “বেনীসংহার” প্রভৃতি গ্রন্থগুলির কাহিনী “মহাভারত” থেকেই সংগৃহীত হয়েছে।

(b) পঞ্চতন্ত্র ও কথাসরিৎসাগরের পরিচয় দাও ।

উত্তরঃ বিষ্ণুশর্মা পঞ্চতন্ত্র—

সূচনাঃ সংস্কৃত সাহিত্যের বিশাল রত্নভাণ্ডারে গল্প সাহিত্যের একটি বিশেষ স্থান আছে। মানুষের গল্প শুনবার সহজাত প্রবৃত্তি হতে গল্প সাহিত্যের উদ্ভব। এই সংস্কৃত সাহিত্যের মধ্যে প্রধান অগ্রগণ্য হলেন পন্ডিত বিষ্ণুশর্মা। তিনি গল্প সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ পঞ্চতন্ত্র রচনা করেন।

বিষ্ণুশর্মার পরিচয়ঃ বিষ্ণুশর্মা জন্ম ও বংশ পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। সমালোচকদের মত অনুযায়ী তিনি কাশ্মীরের ব্রাহ্মণ ছিলেন। পাশ্চাত‍্য পন্ডিত কিথ-এর মতে বিষ্ণুশর্মা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী ছিলেন।

বিষ্ণুশর্মার আবির্ভাবকালঃ বিষ্ণুশর্মার আবির্ভাব কাল সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে পণ্ডিতগণ মনে করেন তিনি খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে বর্তমান ছিলেন।

পঞ্চতন্ত্র রচনার কারণঃ পঞ্চতন্ত্রের কথা মুখসূত্রে জানা যায় দাক্ষিণাত্যের মহিলারোপ‍্য নগরের রাজা অমরশক্তির তিন জড় বুদ্ধিসম্পন্ন পুত্রদের বিদ্যা শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য বিষ্ণুশর্মা গ্রন্থটি রচনা করেন।

পঞ্চতন্ত্রের উৎসঃ সাধারণত গল্প সাহিত্যের উৎস বেদ-পুরাণ উপনিষদ,রামায়ণ –মহাভারত। সুতরাং বিষ্ণুশর্মা পঞ্চতন্ত্র রচনাকালে এগুলির কাছে ঋণী। তবে গ্রন্থটির মূল উৎস বৃহৎকথা।

পঞ্চতন্ত্রের মূল্যায়নঃ পাঁচটি তন্ত্রে রচিত বলে গ্রন্থটির নাম পঞ্চতন্ত্র। পাঁচটি তন্ত্র হল-মিত্রভেদ,মিত্রপ্রাপ্তি,কাকোলূকীয়ম্,লব্ধপ্রণাশ,অপরিক্ষিতকারকম্। প্রতি তন্ত্রে একটি মূল গল্পের সাথে অনেকগুলো ছোট ছোট গল্প সংযুক্ত হয়েছে। গল্পগুলি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সহজ-সরল ভাষায় রচিত।

উপসংহারঃ বিষ্ণুশর্মা শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে গ্রন্থটি রচনা করলেও তিনি একজন মহান শিল্পি। বিষ্ণুশর্মার বড়ো কৃতিত্ব হলো মানুষের মনের ভাব পশুপাখির অন্তরে স্থাপন করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এই গ্রন্থটি বাইবেলের পরে সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনুদিত। সুতরাং পরিশেষে বলা যায়, নীতি শিক্ষার ক্ষেত্রে সহজ ও সরল গ্রন্থ সত্যি দুর্লভ।

কথাসরিৎসাগর—

ভূমিকাঃ সংস্কৃত গল্প সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল পৈশাচী প্রাকৃত ভাষায় রচিত গুনাঢ‍্যের বৃহৎকথা। প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে রামায়ণ ও মহাভারতের পর এর জনপ্রিয়তা। বর্তমানে গ্রন্থটি লুপ্ত হলেও একে অনুকরণ করে সোমদেবভট্ট সংস্কৃত ভাষায় কথাসরিৎসাগর গ্রন্থটি রচনা করেন।

কবি পরিচিতিঃ সোমদেবভট্ট ছিলেন কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ বানভট্টের পুত্র এবং কাশ্মীররাজ অনন্তের সভাকবি।

কথাসরিৎসাগর গ্রন্থরচনার কারনঃ
কাশ্মীর রাজ অনন্তের পত্নী সূর্যমতীর চিত্তবিনোদনের জন্য কবি গ্রন্থটি রচনা করেন।

কথাসরিৎসাগরের নামকরনঃ
সরিৎ শব্দের অর্থ নদী,সাগর। ছোটো ছোটো নদী যেমন সাগর তৈরি করে, তেমনি ছোট ছোট গল্প মিলিত হয়ে গ্রন্থটির নামকরণ কথাসরিৎসাগর যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।

কথাসরিৎসাগরের রচনাকালঃ
কাশ্মীর রাজ অনন্তের শাসনকাল ধরে সম্ভবত ১০৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০৮১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো সময়ে গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল।

গ্রন্থবিন্যাসঃ এই গল্পে লম্বক আছে এবং সেগুলি ১২৮ টি তরঙ্গে বিভক্ত। গ্রন্থটিতে লোকসংখ্যা প্রায় ২২০০। নরমবাহনদত্ত গ্রন্থটির মুখ্য চরিত্র। গ্রন্থটিতে প্রায় ৯০০টি গল্পের সমাবেশ লক্ষ্য করা যায়।

সমাজচিত্রঃ তৎকালীন সমাজ চিত্র এই গ্রন্থে স্পষ্ট। স্থাপত্যবিদ্যার উন্নতি,শিব ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব, সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি দেখা যায় । সুতরাং গ্রন্থটির ঐতিহাসিক মূল্য অনস্বীকার্য।

মূল্যায়নঃ সোমদেব সহজ-সরল ও সাবলীল রচনারীতি দ্বারা সাধারণ মানুষের চিন্তা ধারাকে গল্পের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। M.N.Penger সোমদেবকে গল্প সাহিত্যের জনক এবং কথাসরিৎসাগর কে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ সমূহের অন্যতম বলে শেক্সপিয়ারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

7. ভাবসম্প্রসারণ করোঃ (যে কোনো একটি) 4×1=4

(a) প্রীতঃ প্রীতিপ্রমুখবচনং স্বাগতং ব্যাজহার।

উত্তরঃ অপরের মাধ্যমে নিজের কার্যসিদ্ধি করতে হলে কিছু নীতি প্রয়োগ করতে হয় যেমন তার সাথে প্রথমে মধুর বাক্যে কথা বলতে হয় এবং দ্বিতীয়তঃ তাকে প্রশংসার মাধ্যমে ভরিয়ে তুষ্ট করতে হয়। সমাজে দেখা যায় নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য প্রশংসা বাক্যে ও মিষ্টি মিষ্টি ভাষায় অনুরোধ করেন তাদের কথা অন্যের পক্ষে ফেলে দেওয়া সম্ভব হয় না। সেইরূপ পাঠ্যাংশ দেখি যক্ষ মেঘে দৌত কার্যের জন্য প্রশংসাসূচক বাক্যে অনুরোধ করেছেন।

(b) দলিতহিরণ্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্।

উত্তরঃ

ব্যাকরণ ও অনুবাদ

8. সন্ধি করোঃ (যে কোনো দুটি) 1×2=2

(a) প্রাতঃ + রম্যম্।   উত্তরঃ প্রাতারম্যম্।

(b) মাতৃ + উপদেশঃ।  উত্তরঃ মাত্রুপদেশঃ।

(c) যাচেতে + অর্থম্।  উত্তরঃ যাচতেহর্থম্।

(d) তৎ + মাত্রম্।   উত্তরঃ তন্মাত্রম্।

9.সন্ধিবিচ্ছেদ করোঃ (যে কোনো দুটি) 1×2=2

(a) শয়নম্।   উত্তরঃ শে + অনম্।

(b) তদ্ধিতম্।   উত্তরঃ তৎ + হিতম্।

(c) দশার্ণঃ।   উত্তরঃ দশ + ঋণঃ

(d) গঙ্গোদকম্।   উত্তরঃ গঙ্গা + উদকম্।

10.শব্দরূপ লেখোঃ (যে কোনো তিনটি) 1×3=3

(a) হরি, সম্বোধন একবচনম্।  উত্তরঃ হরে।

(b) বণিজ্, প্রথমা একবচনম্।  উত্তরঃ বণিক্

(c) মাতৃ, দ্বিতীয়া বহুবচনম্।  উত্তরঃ মাতৃঃ

(d) অস্মদ্, পঞ্চমী বহুবচনম্।  উত্তরঃ অস্মৎ

11.ধাতুরূপ লেখোঃ (যে কোনো তিনটি) 1×3=3

(a) √হু + লট্, প্রথম পুরুষ একবচনম্।

উত্তরঃ জুহোতি।

(b) √দৃশ্ + লঙ্, মধ্যম পুরুষ একবচনম্।

উত্তরঃ অপশ্যঃ

(c) √হস্ + বিধিলিঙ্, উত্তম পুরুষ একবচনম্।

উত্তরঃ হসেয়ম্

(d) √ভূ + লিট্, প্রথম পুরুষ একবচনম্।

উত্তরঃ বভূব।

12.পরিনিষ্ঠিতরূপ লেখোঃ (যে কোনো চারটি) 1×4=4

(a) ब्रू + क्तिन्।   উত্তরঃ উক্তি।

(b) उप-स्था + क्त।   উত্তরঃ উপস্থিত।

(c) भू + तव्य।   উত্তরঃ ভবিতব্য।

(d) आस् + शानच्।   উত্তরঃ আসীন।

(e) हन् + शतृ।   উত্তরঃ ঘ্নৎ

(f) प्र-आप् + ल्यप।   উত্তরঃ প্রাপ্য।

13.প্রদত্ত পদ দ্বারা বাক্যরচনা করোঃ (যে কোনো দুটি) 1×2=2

(a) अলम्। (অলম্– নিষেধ)

উত্তরঃ বিবাদেন অলम्।

(b) आरात्। আরাৎ– (কাছে/দূরে)

উত্তরঃ গ্রামাৎ আরাৎ নদী।

(c) अन्तरेण। (অন্তরেণ– ছাড়া)

উত্তরঃ শ্রমম্ অন্তরেণ বিদ্যান ভবতি।

(d) अन्तिके। (অন্তিকে– কাছে)

উত্তরঃ উদ্যানস্য অন্তিকে বনম্ অস্তি।

14.রেখাঙ্কিত পদের কারণসহ কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করোঃ (যে কোনো চারটি) 1×4=4

(a) छात्रेण पुस्तकं पठ्यते (ছাত্রেণ পুস্তকং পঠ্যতে)

উত্তরঃ উক্ত কর্মে প্রথমা বিভক্তি।

(b) गवां कृष्णा बहुक्षीरा (গবাং কৃষ্ণা বহুক্ষীরা)

উত্তরঃ এখানে ‘গবাম্’ পদটিতে নির্ধারণে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়েছে।

(c) भयात् कम्पते मूषिकः (ভয়াৎ কম্পতে মূষিক:)

উত্তরঃ হেতু অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি।

(d) हरि: बैकुन्ठे वसति (হরিঃ বৈকুণ্ঠে বসতি)

উত্তরঃ এখানে ‘বৈকুণ্ঠে’ পদটিতে “আধারোহধিকরণম্” সূত্রানুসারে অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে।

(e) राजा ब्राह्मणाय गां ददाति (রাজা ব্রাহ্মণায় গাং দদাতি)

উত্তরঃ এখানে ‘ব্রাহ্মণায়’ পদটিতে দানার্থক ধাতুর প্রয়োগে সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি হয়েছে ।

15. নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে সংস্কৃত ভাষায় নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

अस्ति दाक्षिणात्ये जनपदे महिलारोप्यं नाम नगरम् । तत्र अमरशक्तिर्नाम राजा वभूव । तस्य त्रयः पुत्राः परमदुर्मेधसो वसुशक्तिरुग्रशक्तिरनेकशक्तिश्चेति नामानो बभूवुः । अथ राजा तान् शास्त्रविमुखान् आलोक्य सचिवान् आहुय प्रोवाच – भोः ज्ञातमेतद् भवद्भिः यन्ममैते पुत्राः शास्त्रविमुखाः विवेकरहिताश्च । तद् एतान् पश्यतो मे महदपि राज्यं न सौख्यम् आवहति ।

(অস্তি দাক্ষিণাত্যে জনপদে মহিলারোপ্যং নাম নগরম্। তত্র অমরশক্তিনাম রাজা বভূব। তস্য ত্রয়ঃ পুত্রাঃ পরমদুর্মেধসো বসুশক্তিরুগ্রশক্তিরনেকশক্তিশ্চেতি নামানো বভূবুঃ। অথ রাজা তান্ শাস্ত্রবিমুখানালোক্য সচিবানায় প্রোবাচ – “ভোঃ! জ্ঞাতমেতদ্ ভবদ্ভিঃ যন্মমৈতে পুত্রাঃ শাস্ত্রবিমুখা বিবেকরহিতাশ্চ। তদেতান্ পশ্যতো মে মহদপি রাজ্যং ন সৌখ্যম্ আবহতি।”)

(a) महिलारोप्यं कुत्रासीत् ? (মহিলারোপ্যং কুত্রাসীৎ ?) 1

উত্তরঃ মহিলারোপ্যং দাক্ষিণাত্যে জনপদে আসিৎ।

(b) राज्ञः अमरशक्तेः के नाम पुत्राः अभवन् ? (রাজ্ঞঃ অমরশক্তেঃ কে নাম পুত্রাঃ অভবন্ ?) 1

উত্তরঃ রাজ্ঞ: অমরশক্তে: বসুমক্তি:, উগ্রশক্তি:, রনেকশক্তি নাম পুত্রাঃ অভবন্।

(c) राजा कथम् सचिवान् आहूतवान् ? (রাজা কথম্ সচিবান্ আহূতবান্ ?) 1

উত্তরঃ শাস্ত্রবিমুখান পুত্রান্ দৃষ্ট্বা চিন্তিত:বান সচিবান্ আহূতবান্।

(d) अमरशक्ति सचिवान् किमूक्तवान ? (অমরশক্তিঃ সচিবান্ কিমূক্তবান্ ?) 2

উত্তরঃ অমরশক্তিঃ সচিবান্ উক্তবান ভবন্ত: জানান্তি তস্য পুত্রা: শাস্ত্র বিমুখ বিবেক রহিতা:। পথ দৃষ্টা তস্য মহাদপি রাজ্যং ন সৌখ্যম্ আবহতি।

16.বাংলা ইংরেজি হিন্দীতে অনুবাদ করোঃ (যে কোনো একটি) 5

(a) गङ्गादत्तः इति भेकानां राजा आसीत्। स आत्मीयैः वञ्चितः दुःखेन राज्यं त्यक्त्वा एके कूप प्रविष्टवान् । एकद्युः स कूपस्य निकटे एकं सर्प दृष्टवान् । सर्पस्य नाम आसीत् प्रियदर्शनः इति। गङ्गादत्तः राज्यप्राप्तये सर्पस्य साहाय्यम् ऐच्छत्।

(গঙ্গাদত্তঃ ইতি ভেকানাং রাজা আসীৎ । স আত্মীয়ৈঃ বঞ্চিতঃ দুঃখেন রাজ্যং ত্যক্ত্বা একং কূপং প্রবিষ্টবান্। একদ্যুঃ স কূপস্য নিকটে একং সৰ্পং দৃষ্টবান্। সৰ্পস্য নাম আসীৎ প্রিয়দর্শনঃ ইতি। গঙ্গাদত্তঃ রাজ্যপ্রাপ্তয়ে সর্পস্য সাহায্যম্ ঐচ্ছৎ।)

উত্তরঃ গঙ্গাদত্ত নামে ব্যাঙেদের রাজা ছিল। সে আত্মীয়দের দ্বারা বঞ্চিত হয়ে দুঃখে রাজ্য ত্যাগ করে একটি কূপে প্রবেশ করেছিল। একদিন সে কূপের কাছে একটা সাপ দেখতে পেল। সাপের নাম ছিল প্রিয়দর্শন। গঙ্গাদত্ত রাজ্য প্রাপ্তির জন্য সাপের সাহায্য চেয়েছিল।

(b) अस्ति भागीरथीतीरे गृध्रकूटनाम्नि पर्वते महान् पर्कटीवृक्षः। तस्य कोटरे देवदुर्विपाकाद् गलितनखनयनो जरद्गवनामा गृधः प्रतिवसति। अथ कृपया तज्जीवनाय तद्वृक्षवासिनः पक्षिणः स्वाहारात् किञ्चित् किञ्चिदुहृत्य ददति। तेनासौ जीवति। शायकानां रक्षणं करोति।

(অস্তি ভাগীরথীতীরে গৃধ্রকূটনাম্নি পর্বতে মহান্ পর্কটীবৃক্ষঃ। তস্য কোটরে দৈবদুর্বিপাকাদ্ গলিত-নখ-নয়নো জরদ্গবনামা গৃধ্রঃ প্রতিবসতি। অথ কৃপয়া তজ্জীবনায় তদ্বৃক্ষ-বাসিনঃ পক্ষিণঃ স্বাহারাৎ কিঞিৎ কিঞিদুদ্ধৃত্য দদতি। তেনাসৌ জীবতি।শাবকানাং রক্ষণং করোতি। অথ কদাচিদ্দীর্ঘকর্ণনামা মার্জারঃ পক্ষিশাবকান্ ভক্ষয়িতুং তত্রাগতঃ। ততস্তমায়ান্তং দৃষ্ট্বা পক্ষিশাবকৈঃ ভয়াৰ্তৈঃ কোলাহলঃ কৃতঃ।)

উত্তরঃ ভাগীরথী তীরে গৃধ্রকূট নামক পর্বতে বিশাল পাকুড়গাছ ছিল। তার কোটরে দৈবদুর্বিপাকবশত গলিত নখ ও নয়নবিশিষ্ট জরদ্গব নামে এক শুকনি বাস করত। তারপর অনুগ্রহহেতু তার জীবনের জন্য সেই বৃক্ষে বসবাসকারী পাখিরা নিজেদের আহার থেকে কিছু কিছু তুলে দিত। তারপর কোনো একদিন দীর্ঘকর্ণ নামে এক বিড়াল পাখির বাচ্চাদের খেতে সেখানে এলো। তারপর তাকে আসতে দেখে ভয়ার্ত পাখির বাচ্চাগুলি কোলাহল করতে লাগল।

This Post Has One Comment

Leave a Reply