উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর
বাংলা ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ MCQ, SAQ, বড় প্রশ্ন (Essay Type) উত্তর | WBCHSE HS Bengali Solved Question Answer
বাংলাভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা থেকে বহুবিকল্পীয়, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) আগামী পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer
বহুবিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (MCQ) | বাংলাভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer
১. বাগযন্ত্রের সাহায্যে কীভাবে ধ্বনিগুলি উচ্চারিত হয়-তা আলােচিত হয় কোন বিষয়ে ?
(ক) ধ্বনিবিজ্ঞানে (খ) ধ্বনিতত্ত্বে
(গ) ধ্বনিপরিবর্তনে (ঘ) রূপতত্ত্বে
উত্তরঃ (ক) ধ্বনিবিজ্ঞানে
২. ভারতের অভিধান রচনার সূত্রপাত –
(ক) স্যার থমাস এলিয়টের লাতিন-ইংরেজি অভিধান থেকে
(খ) যাস্কের ‘নিরুক্ত’ থেকে
(গ) অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান থেকে
(ঘ) গারল্যান্ডের অভিধান থেকে
উত্তরঃ (খ) যাস্কের ‘নিরুক্ত’ থেকে
৩. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিল –
(ক) অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে
(খ) ঊনবিংশ শতাব্দীতে
(গ) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে
(ঘ) সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে
উত্তরঃ (গ) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে
৪. বিশেষ থেকে সাধারণের দিকে ভাষাবিজ্ঞানের যে গতি তার পদ্ধতিটি হলো–
(ক) বিশ্লেষণ (খ) নথিভুক্তকরণ
(গ) অবরোহমূলক (ঘ) আরোহমূলক
উত্তরঃ (ঘ) আরোহমূলক
৫. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাষা সম্পর্কে আলোচনার প্রথম ধাপ হলো–
(ক) যাচাই (খ) তথ্য সংগ্রহ (গ) বিচার-বিশ্লেষ
(ঘ) অনুমান
উত্তরঃ (খ) তথ্য সংগ্রহ
৬. ‘পারোল’-এর প্রবক্তা হলেন –
(ক) পর্টার (খ) নোয়াম চমস্কি (গ) সোস্যুর
(ঘ) ব্লুমফিল্ড
উত্তরঃ (গ) সোস্যুর
৭. ‘শৈলী’ শব্দের অপর নাম –
(ক) অভিনবত্ব (খ) রীতি (গ) নির্মাণ
(ঘ) রূপভেদ
উত্তরঃ (খ) রীতি
৮. ভাষাবিজ্ঞানের বহুল প্রচলিত শাখার সংখ্যা–
(ক) তিন (খ) চার (গ) পাঁচ (ঘ) ছয়
উত্তরঃ (ক) তিন
৯. স্যার উইলিয়াম জোন্স তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন–
(ক) ১৭৬৮ খ্রি. (খ) ১৭৭৬ খ্রি.
(গ) ১৭৮৬ খ্রি. (ঘ) ১৮৭৬ খ্রি.
উত্তরঃ (গ) ১৭৮৬ খ্রি.
১০. ভাষার বিভিন্ন পারস্পরিক উপাদান ও উপাদানগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের জাল বিস্তারের নাম –
(ক) বহুরূপতা (খ) লাঙ্ (গ) পারোল
(ঘ) প্রমুখন
উত্তরঃ (খ) লাঙ্
১১. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের মতে কোনো ভাষার আলোচনার প্রধান বিষয়–
(ক) তিনটি (খ) চারটি (গ) ছয়টি (ঘ) সাতটি
উত্তরঃ (খ) চারটি
১২. ‘মস্তিষ্ক হল ভাষা শেখার ব্যবস্থা’ – মতটির প্রবক্তা –
(ক) উয়িলিয়াম জোন্স
(খ) নোয়াম চমস্কি
(গ) উয়িলিয়াম কেরি
(ঘ) ক্যামু’র ওয়েসলি
উত্তরঃ (খ) নোয়াম চমস্কি
১৩. LAD – এর সম্পূর্ণ রূপটি কী? –
(ক) Aanguage Alert Device
(খ) Language Addition Device
(গ) Language Acquisition Device
(ঘ) Language Aquant Device
উত্তরঃ (গ) Language Acquisition Device
১৪. লাঙ্(Langue)- এর নামকরণ করেন –
(ক) ফেদিনাঁ দ্য সোস্যুর
(খ) উইলিয়াম কেরি
(গ) নোয়াম চমস্কি
(ঘ) যাক্স
উত্তরঃ (ক) ফেদিনাঁ দ্য সোস্যুর
১৫. প্রমুখন, বহুস্বরতা – প্রভৃতি প্রকরণগুলি যে ভাষাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়, তা হলো –
(ক) মনোভাষাবিজ্ঞান
(খ) স্নায়ু ভাষাবিজ্ঞান
(গ) শৈলীবিজ্ঞান
(ঘ) সমাজভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (গ) শৈলীবিজ্ঞান
১৬. পাণিনির পূর্ববর্তী কোন্ ব্যক্তি বৈদিক শব্দাবলীর অভিধান রচনা করেন? –
(ক) অমর সিংহ (খ) যাস্ক (গ) পতঞ্জলি
(ঘ) ভর্তৃহরি
উত্তরঃ (খ) যাস্ক
১৭. ‘শিশুরা ভাষাশিক্ষার জন্য – Pre-programmed থাকে।’ – এই মতটির প্রবক্তা কে ?
(ক) ব্রাউন (খ) ফিশার (গ) চমস্কি
(ঘ) ডেলব্রুক
উত্তরঃ (গ) চমস্কি
১৮. ‘Style is the man himself’ – উক্তিটি করেছেন–
(ক) চমস্কি
(খ) ব্লুমফিল্ড
(গ) সোস্যুর
(ঘ) বুঁফো
উত্তরঃ (ঘ) বুঁফো
১৯. কোড-বদল ভাষাবিজ্ঞানের কোন্ শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়–
(ক) অভিধান বিজ্ঞান
(খ) মনোভাষাবিজ্ঞান
(গ) শৈলীবিজ্ঞান
(ঘ) নৃভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (গ) শৈলীবিজ্ঞান
২০. ভারতের অভিধান রচনার সূত্রপাত হয় যার মাধ্যমে তিনি হলেন–
(ক) যাস্ক
(খ) পাণিনি
(গ) পতঞ্জলি
(ঘ) উইলিয়াম জোন্স
উত্তরঃ (ক) যাস্ক
২১. ভাষা বিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয়–
(ক) লিখিত ভাষা
(খ) মুখের ভাষা
(গ) ধ্বনি
(ঘ) সাহিত্য
উত্তরঃ (খ) মুখের ভাষা
২২. আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত হয় কোন্ ভাষাবিজ্ঞান চর্চার দ্বারা ?
(ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
(খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(ঘ) নৃভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
২৩. নির্দিষ্ট একটি ভাষার ধারাবাহিক কালগত বিবর্তন থাকে –
(ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে
(খ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে
(গ) গঠনমূলক ভাষাবিজ্ঞানে
(ঘ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানে
উত্তরঃ (ঘ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানে
২৪. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা যেভাবে পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ, অবহট্ট ইত্যাদি বিভিন্ন স্তরের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার জন্ম দিয়েছে তা যে ভাষাবিজ্ঞানের আলােচ্য বিষয় তা হল–
(ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
(খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(ঘ) সমাজভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
২৫. ত্রয়ােদশ শতাব্দীতে ‘অভিধান’ বােঝাতে ‘Dictionarius’ শব্দটি ব্যবহার করেন–
(ক) স্যামুয়েল ওয়েসলি
(খ) মিখাইল বাখতিন
(গ) জন গারল্যান্ড
(ঘ) মিলিচ
উত্তরঃ (গ) জন গারল্যান্ড
২৬. সমকালীন ভাষার গঠনরীতি বিচারবিশ্লেষণ করে কোন্ ভাষাবিজ্ঞান ?
(ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
(খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(ঘ) নৃভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
২৭. যেসব ভাষার অতীত নিদর্শন নেই অথবা যেসব ভাষার লিপি নেই, সেইসব ভাষার আলােচনার জন্য সর্বাপেক্ষা বেশি কার্যকর কোন্ ভাষাবিজ্ঞান ?
(ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
(খ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(গ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(ঘ) সমাজভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
২৮. বিংশ শতাব্দীর গােড়ার দিকে প্রধানত ইউরােপে এবং পরবর্তীকালে মার্কিন দেশে সূত্রপাত হয় কোন্ ভাষাবিজ্ঞানের ?
(ক) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
(খ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(ঘ) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
২৯. ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব এবং শব্দার্থতত্ত্ব – এই চারটিই মূল আলােচ্য বিষয় কোন্ ভাষাবিজ্ঞানের ?
(ক) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(খ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান
(গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
(ঘ) মনােভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (গ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান
৩০. এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয় যে অভিধানে তাকে বলা হয়–
(ক) ইতিহাসভিত্তিক অভিধান
(খ) একভাষিক অভিধান
(গ) দ্বিভাষিক অভিধান
(ঘ) বিষয় অভিধান
উত্তরঃ (গ) দ্বিভাষিক অভিধান
৩১. সমাজভাষাবিজ্ঞানের মূল ভাগ কয়টি ?
(ক) দুটি (খ) তিনটি (গ) চারটি (ঘ) পাঁচটি
উত্তরঃ (খ) তিনটি
৩২. মানবমনের প্রকৃতি ও গতিপ্রকৃতির সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক আলােচিত হয়–
(ক) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানে
(খ) মনােভাষাবিজ্ঞানে
(গ) নৃভাষাবিজ্ঞানে
(ঘ) শৈলীবিজ্ঞানে
উত্তরঃ (খ) মনােভাষাবিজ্ঞানে
৩৩. মানব মস্তিষ্কের অত্যন্ত জটিল গঠন করে ও তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে মানবভাষার সম্পর্ক আলােচিত হয়–
(ক) মনােভাষাবিজ্ঞানে
(খ) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানে
(গ) নৃভাষাবিজ্ঞানে
(ঘ) শৈলীবিজ্ঞানে
উত্তরঃ (খ) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানে
৩৪. পৃথিবীর আদিম জনজাতির কথ্যভাষার বিচারবিশ্লেষণ ও তথ্যসংগ্রহ করে–
(ক) সমাজভাষাবিজ্ঞান
(খ) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান
(গ) শৈলীবিজ্ঞান
(ঘ) নৃভাষাবিজ্ঞান
উত্তরঃ (ঘ) নৃভাষাবিজ্ঞান
৩৫. এক ভাষার শব্দকে সেই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করা হয় যে অভিধানে সেটি হল–
(ক) ইতিহাসভিত্তিক অভিধান
(খ) একভাষিক অভিধান
(গ) দ্বিভাষিক অভিধান
(ঘ) বিষয় অভিধান
উত্তরঃ (খ) একভাষিক
৩৬. তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন–
(ক) স্যার উইলিয়াম জোন্স
(খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(গ) উইলিয়াম কেরি
(ঘ) সুকুমার রায়
উত্তরঃ (ক) স্যার উইলিয়াম জোন্স
৩৭. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান আলােচনা করে–
(ক) ভাষার অতীত নিয়ে
(খ) সমকালীন ভাষার গঠনরীতি নিয়ে
(গ) বিভিন্ন ভাষার ঐক্য-অনৈক্য নিয়ে
(ঘ) ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে
উত্তরঃ (খ) সমকালীন ভাষার গঠনরীতি নিয়ে
৩৮. কোনাে একটি বিশেষ ভাষাগােষ্ঠীর মানুষ অন্য ভাষাগােষ্ঠীর মানুষের সংস্পর্শে এলে যদি দুটি ভাষাই সমান্তরালভাবে থেকে যায়, তবে তাকে বলে-
(ক) সমান্তরালতা
(খ) দ্বিভাষিকতা
(গ) পিজিন
(ঘ) ক্রেওল।
উত্তরঃ (খ) দ্বিভাষিকতা
৩৯. ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি ‘Dictionary’ শব্দটি পাওয়া যায় যে লাতিন-ইংরেজি অভিধানে, তার সংকলক হলেন–
(ক) থমাস এলিয়েট
(খ) স্যামুয়েল ওয়েসলি
(গ) মিখাইল বাখতিন
(ঘ) জন গারল্যান্ড
উত্তরঃ (ক) থমাস এলিয়েট
৪০. ভাষাবিজ্ঞানের দিক থেকে আদর্শ অভিধানে entry বা শব্দের স্তর থাকবে–
(ক) দুটি (খ) তিনটি(গ) চারটি (ঘ) পাঁচটি
উত্তরঃ (খ) তিনটি
৪১. উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষার বা উপভাষার যে বদল হয়, তাকে সমাজ-ভাষাবিজ্ঞানীরা বলেন–
(ক) রেজিস্টার (খ) কোড (গ) বহুস্বর
(ঘ) সমান্তরালতা
উত্তরঃ (ক) রেজিস্টার
৪২. কোনাে ব্যক্তি ভাষা বা উপভাষার যে বিশেষ রীতি ব্যবহার করেন, সমাজ ভাষাবিজ্ঞানে তাকে বলে–
(ক) রেজিস্টার (খ) কোড (গ) বহুস্বর
(ঘ) সমান্তরালতা
উত্তরঃ (খ) কোড
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) | বাংলাভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer
১. Linguistics-কে বাংলায় ‘ভাষাবিজ্ঞান’ বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ Linguistics শব্দটির অর্থ হল Science of Language বা ভাষার বিজ্ঞান। এখানে ভাষা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আলােচনা করা হয় বলে একে ‘ভাষাবিজ্ঞান’ বলে।
২. তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত কে করেছিলেন ?
উত্তরঃ স্যার উইলিয়াম জোনস্ ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন।
৩. ‘থিসরাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘থিসরাস’ এই ইংরেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক thesaurus শব্দ (অর্থ ‘ভাণ্ডার’) থেকে। ‘থিসরাস’ শব্দের অর্থ ‘সমার্থ শব্দকোশ’, অর্থাৎ তা প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দের কোশগ্রন্থ।
৪. ‘থিসরাস’ কী ?
উত্তরঃ থিসরাস হল ‘সমার্থ শব্দকোশ’, অর্থাৎ তা সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দের কোশগ্রন্থ।
৫. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাষা সম্পর্কে আলােচনার ধাপগুলি কী কী ?
উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাষাচর্চার প্রথম ধাপ হল তথ্যসংগ্রহ ও নথিভুক্তকরণ। তারপর সেই প্রাপ্ত তথ্যকে বিশ্লেষণ করে তার যথাযথ বর্ণনা করা হয়।
৬. ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের মূল কাজ কী ?
উত্তরঃ ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান পদ্ধতিতে ভাষাবিশেষের উৎস, ইতিহাস, ক্রমবিবর্তনের রূপরেখা আলােচনা বা বিশ্লেষণ করা হয়।
৭. LAD-এর সম্পূর্ণ রূপটি কী ?
উত্তরঃ LAD-এর সম্পূর্ণ রূপটি হল– Language Acquisition Device.
৮. LAS-এর সম্পূর্ণ রূপটি কী ?
উত্তরঃ LAS-এর সম্পূর্ণ রূপটি হল Language Acquisition System.
৯. ‘আধার’ ও ‘আধেয়’ কী ?
উত্তরঃ ‘আধার’ হল ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ, যার সাহায্যে ভাষা আত্মপ্রকাশ করে। অন্যদিকে ‘আধেয়’ হল অর্থ, যার দ্বারা শ্রোতা বক্তার মনোভাব বুঝতে পারে।
১০. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্যবিষয় কী কী ?
উত্তরঃ বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের মতে ভাষার প্রধান আলোচ্য বিষয় হল চারটি – ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব এবং শব্দার্থতত্ত্ব।
১১. Semantics -এর অর্থ কী ?
উত্তরঃ Semantics -এর অর্থ হল শব্দার্থতত্ত্ব।
১২. কোড কী ?
উত্তরঃ কোন ব্যক্তি বিশেষ উপভাষার যে বিশেষ রীতি ব্যবহার করে, তাকে কোড বলা হয়।
১৩. Dictionary শব্দটি কবে, কোথায় পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে Dictionary শব্দটি স্যার থমাস এলিয়টের ল্যাটিন-ইংরেজি অভিধানে পাওয়া যায়।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (Essay Type) | বাংলাভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer
১. ভাষাবিজ্ঞানের শাখা হিসাবে মনোভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। ৫
উত্তরঃ ভাষা হল মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। সুতরাং ভাষার সঙ্গে মনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় মানুষের মন এবং তার ভাষা-ব্যবহার সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা করে তাকেই মনোভাষাবিজ্ঞান (Psycholinguistic) বলা যেতে পারে।
এক সময় মনে করা হত যে মানুষ পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে অনুকরণের মাধ্যমে ভাষাশিক্ষা লাভ করে। কিন্তু পরবর্তীকালে নোয়াম চমস্কি বললেন মানবমস্তিষ্কে সহজাতভাবেই থাকে ভাষা শিক্ষার সামর্থ্য। মানবমস্তিষ্কে প্রি-প্রোগ্রামড অবস্থায় রয়েছে একটি সার্বজনীন ব্যাকরণ, যার সাহায্যে শিশু অনুকরণের মাধ্যমে যেকোনো ভাষা আয়ত্ত করতে পারে।
বিষয় হিসেবে এটি অনেকগুলি ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। যেমন— মনোবিদ্যা, ভাষাবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা প্রভৃতি। তবে, মনোভাষাবিজ্ঞান সাধারণত এই প্রশ্নগুলির উত্তর নির্ধারণের চেষ্টা করে—
(১) শিশুরা কীভাবে ভাষা আয়ত্ত করে ? (বিষয়- ভাষা অর্জন বা Language acquisition);
(২) মানুষ কীভাবে ভাষা উপলব্ধি করে ? (বিষয়- ভাষার বোঝাপড়া বা language comprehension);
(৩) মানুষ কীভাবে ভাষা তৈরি করে ? (বিষয়- ভাষা উৎপাদন বা language production);
(৪) যারা ইতিমধ্যে একটি ভাষা জানে তারা কীভাবে অন্য ভাষা অর্জন করতে পারে ? (বিষয়- দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষা বা Second language comprehension)।
২. ভাষাবিজ্ঞানের ফলিত শাখা হিসেবে অভিধানবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ৫
উত্তরঃ ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের একটি অন্যতম বিভাগ হল অভিধানবিজ্ঞান বা Lexicography. ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখাটি অভিধান রচনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। সাধারণভাবে অভিধান বলতে বোঝায় শব্দার্থকোষ, আর অভিধান বিজ্ঞান হল অভিধান প্রণয়ন সংক্রান্ত বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা। অভিধান হল ভাষাবিজ্ঞানের একটি সংযোগমূলক বিভাগ (Liaison divission) কারণ, অভিধানে ভাষার ধ্বনি ও অর্থের মধ্যে সংযোগ ব্যাখ্যা করা হয়।
অভিধান রচনার ধারাটি বেশ প্রাচীন। ত্রয়োদশ শতকে অভিধান বোঝাতে জন গারল্যান্ড প্রথম Dictionarius শব্দটি ব্যবহার করেন। Dictionary শব্দটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে স্যার টমাস এলিয়েটের লাতিন-ইংরেজি অভিধানে। যাস্কের লেখা ‘নিরুক্ত’ গ্রন্থটি ভারতের প্রথম অভিধানের মর্যাদা পায়।
আদর্শ অভিধানের গঠন: একটি আদর্শ অভিধানে শব্দের তিনটি স্তর থাকে— (১) শব্দের গঠনগত স্তর, (২) অন্বয়গত স্তর এবং (৩) বাগার্থগত স্তর। তৃতীয় স্তরে অর্থাৎ বাগার্থগত স্তরে প্রতিটি শব্দের বিভিন্ন সমার্থক শব্দ দেওয়া থাকে।
অভিধান অনেক রকমের হতে পারে। একভাষিক ও দ্বিভাষিক অভিধান বেশি ব্যবহৃত হয়। একভাষিক অভিধানে একটি ভাষার শব্দকে সেই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করা হয় এবং সেই শব্দের একাধিক সমার্থক শব্দের উল্লেখ থাকে। দ্বিভাষিক অভিধানে একটি ভাষার শব্দকে অন্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয় এবং উক্ত ভাষায় সেই শব্দের সমার্থক শব্দ দেওয়া থাকে।
৩. ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে আলোচনা করো। ৫
উত্তরঃ মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হল ভাষা। আর, ভাষা সম্পর্কিত বিজ্ঞানসম্মত আলোচনাকে ভাষাবিজ্ঞান বলা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের পরিধি যেমন ব্যাপক সেইরকম এর আলোচনা পদ্ধতিও অনেকগুলি। প্রধানত তিনটি শাখায় ভাষাবিজ্ঞানের চর্চা হয়। যথা—
তুলনামুলক ভাষাবিজ্ঞানঃ স্যার উইলিয়াম জোনস প্রথম তুলনামুলক পদ্ধতিতে ভাষাবিজ্ঞান চর্চার সুত্রপাত করেন (১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে)। বহু ভাষাবিদ স্যার জোন্স লক্ষ্য করেন যে গ্রিক, ল্যাতিন, সংস্কৃত, ফরাসি প্রভৃতি ভাষা গুলির মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। এর থেকে তিনি সিধান্তে আসেন যে, এই সব কটি ভাষার উৎস একই ভাষা। বস্তুতপক্ষে, তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের প্রধান কাজ হল সমগোত্রীয় ভাষাগুলির মধ্যে সাদৃশ্য নিরূপণ করা।
ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানঃ একটি নির্দিষ্ট ভাষার বিবর্তনের নানা স্তর নিয়ে আলোচনা করে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান। ভাষার বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়ে একটি ভাষার বিভিন্ন রূপভেদ নিয়ে ব্যাখা দেয় ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান। যেমন— বৈদিকভাষা থেকে সংস্কৃত, সংস্কৃত থেকে প্রাকৃত, অপভ্রংশ, অবহট্টঠ স্তর পেরিয়ে কীভাবে বাংলা ভাষার জন্ম হল এবং প্রতিটি স্তরের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য কী কী- এসবেই ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনার বিষয়।
বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানঃ ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার নবীনতম শাখা হল বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান। একটি ভাষার বর্তমান রূপকে নিয়ে বিভিন্ন দিক আলোচনা করাই হল বর্ণনা মূলক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। এর অনেক গুলি শাখা রয়েছে, যথা- ধ্বনি বিজ্ঞান, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব, শব্দার্থতত্ত্ব, প্রভৃতি। আধুনিক কালের বর্ণনা মূলক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনা পৃথিবীর সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪. শৈলীবিজ্ঞান বলতে কী বোঝ। ৫
উত্তরঃ শৈলী কথাটি এসেছে ইংরেজি STYLE শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে । Style বা শৈলীর অর্থ হল কোন রচনা বা রচনাকারের স্বকীয়তা। শৈলী বিজ্ঞান সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগমূলক বিজ্ঞান। শৈলী বিজ্ঞানের সংজ্ঞা সম্পর্কে বলা হয়েছে – Stylistics is the study and interpretation of texts in regard to their linguistic and tonal style অর্থাৎ কোনো লেখক বা সাহিত্যিকের পাঠ্যবস্তুর ভাষারীতি এবং বাচনভঙ্গি শৈলীবিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয়বস্তু।
যেকোনো লেখার ভিত্তি হল ভাষারীতি। স্যামুয়েল ওয়েসলি ভাষারীতি কে বলেছেন ‘চিন্তার পোশাক’ (Dress of thought)। এর অর্থ একজন লেখক তার চিন্তাভাবনাকে যেভাবে সাজিয়ে ভাষার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে তাই হল ভাষারীতি।
শৈলী নির্ধারণের মাপকাঠি বিভিন্ন রকম হলেও শৈলীকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা–
(১) মূল্যায়ন ভিত্তিক
(২) বর্ণনা মূলক।
মূল্যায়ন ভিত্তিক শৈলী হল কোন লেখার শৈলী বা Style-র বৈশিষ্ট্যগুলির উপর আলোকপাত করা। আর বর্ণনামূলক শৈলী হল কোনো লেখকের লেখনশৈলীর বিবরণ দেওয়া। প্রথমটি থেকে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে শরৎচন্দ্রের লেখনশৈলীর পার্থক্য নিরূপণ করা যায়। আবার, রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ এবং শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাস দুটির লেখনশৈলীর পার্থক্য নির্ণয় করা যাবে বর্ণনামুলক শৈলীর মাপকাঠিতে। ইদানিং কালে শৈলীবিজ্ঞান আলোচনার পরিধি ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে।
৫. স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান বলতে কী বোঝ। ৫
উত্তরঃ ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা হল স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান। ভাষাশিক্ষা এবং ভাষার ব্যাবহারে মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভাষার সঙ্গে মানবমস্তিষ্কের সম্পর্ক এবং ভাষার ব্যবহারগত সমস্যা- এই দুটি হল স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্য বিষয়। মস্তিষ্কের বাম গোলার্ধ বলা, লেখা, পড়া, গণনা, বিশ্লেষণ এবং চিত্রণের কাজ করে থাকে। মস্তিষ্কের ডান গোলার্ধ সামগ্রিক বিকাশ, অভাষা-প্রস্তুতি, রোমন্থন প্রভৃতি কাজ করে থাকে। কার্যগত দিক থেকে মস্তিষ্কের সমগ্র অংশ ভাষা ব্যবহারে ভূমিকা গ্রহণ করে।
মস্তিষ্কে আঘাত পেলে মানুষের ভাষা দক্ষতা অনেকখানি হ্রাস পায়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ভাষা ব্যবহারের সমস্যা এবং স্নায়বিক বিক্ষোভের চর্চায় স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানে গবেষণা অনেক নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এই বিষয়টির প্রয়োগ ক্রমশ বৃধি পাচ্ছে। Functional Magnetic Resonance Imaging (FMRI) যন্ত্রের ব্যবহারে মানুষের মস্তিষ্কের ব্যবহারিক চিত্র পওয়া যায়।
সাধারণ ভাবে বলতে গেলে স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান হল বৌদ্ধিক স্নায়ুবিজ্ঞানের একটি শাখা যা মানবশরীরের ভাষার প্রকৃতি ও গঠনগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করে। শুধুমাত্র ভাষা নিয়েই চর্চা না করে তার সঙ্গে ভাষার ব্যবস্থাগত চলন, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং কোষীয় শাখার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। মস্তিস্কে ভাষার Encoding-Decoding নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয়। সেই নিয়মে মানুষ ভাষা ব্যবহার করে এবং বুঝতে পারে। স্নায়ু ভাষা বিজ্ঞান এই দিকটির উপরও আলোকপাত করে।
৬. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বলতে কী বোঝ ? এর যেকোনো দুটি শাখা নিয়ে আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। যথা– (১) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (২) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান এবং (৩) বর্ণনামূলক বা সমকালীন ভাষাবিজ্ঞান। এদের মধ্যে বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের পরিধি সবচেয়ে ব্যাপক এবং বিস্তৃত।
বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানঃ কোনো একটি ভাষার বর্তমান রূপ নিয়ে আলোচনা করাই হলো বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। এর ৫ টি শাখা রয়েছে। সেগুলি হল যথাক্রমে-
(১) ধ্বনিবিজ্ঞান
(২) ধ্বনিতত্ত্ব
(৩) রূপতত্ত্ব
(৪) বাক্যতত্ত্ব এবং
(৫) শব্দার্থতত্ত্ব
এই পাঁচটি বিষয়কে ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান শাখা হিসেবে গণ্য করা হয়। নীচে দুটি শাখা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করলাম।
ধ্বনিতত্ত্বঃ ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থহীন একক হল ধ্বনি। প্রকৃতিগত বিচারে ধ্বনি দু’রকমের হতে পারে- এক) ধ্বনিমূল, দুই) সহধ্বনি। ধ্বনিতত্ত্বের কাজ হল কোন একটি ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি নির্ধারণ করা।
রূপতত্ত্বঃ ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একক হল রূপ। রূপতত্ত্ব একটি নির্দিষ্ট ভাষার রূপমূল এবং সহরূপ নিয়ে আলোচনা করে। প্রচলিত ব্যাকরণের পদগঠন সংক্রান্ত আলোচনাটি রূপতত্ত্বের অন্তর্গত।
৭. সমাজভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখাটি ভাষার উপর সমাজের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে তাকে সমাজভাষাবিজ্ঞান (বা, Socio Linguistics) বলে। অন্যভাবে বললে, ভাষা এবং সমাজের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখাটি আলোচনা করে তাকে সমাজভাষাবিজ্ঞান বলা হয়।
সমাজভাষাবিজ্ঞানকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল—
(১) বর্ণনামূলক সমাজভাষাবিজ্ঞান (Descriptive Socio-linguistics):- বক্তা, শ্রোতা এবং কথা বলার উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষা ব্যবহারের যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় সেটিই বর্ণনামূলক সমাজভাষাবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্য বিষয়।
(২) পরিবর্তমান সমাজভাষাবিজ্ঞান (Dynamic Socio-linguistics):- ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখাটির কাজ হল কোন একটি বিশেষ সমাজে ভাষার উদ্ভব, বিবর্তন, প্রসারণ ও সংকোচনের উপর আলোকপাত করা। দ্বিভাষিকতা, ভাষার সংরক্ষণ, পিজিন, ক্রেওল প্রভৃতি বিষয় এর আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।
(৩) প্রয়োগমূলক সমাজভাষাবিজ্ঞান (Applied Socio-linguistics):- ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখাটির কাজ হল মূলতঃ ভাষা শেখানোর পদ্ধতি উদ্ভাবন করা এবং ভাষানীতি রূপায়ণ করা।
আরও পড়ুনঃ
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন্ ২০২৪