আমি দেখি (কবিতা) শক্তি চট্টোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা MCQ, SAQ, বড় প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE HS Bengali Ami Dekhi MCQ, SAQ, Essay Type Solved Question Answer

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর

আমি দেখি (কবিতা) শক্তি চট্টোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা MCQ, SAQ, বড় প্রশ্ন (Essay Type) উত্তর | WBCHSE HS Bengali Solved Question Answer

কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত আমি দেখি কবিতা থেকে বহুবিকল্পীয়, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) আগামী পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

আমি দেখি (কবিতা) শক্তি চট্টোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

বহুবিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (MCQ) | আমি দেখি (কবিতা) শক্তি চট্টোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

১. “আমি দেখি” কবিতাটির স্তবক সংখ্যা হল—
(ক) একটি (খ) দুটি (গ) তিনটি (ঘ) চারটি

উত্তরঃ (খ) দুটি

২. ‘আমি দেখি’ কবিতার কবি হলেন—
(ক) জীবনানন্দ দাশ (খ) শক্তি চট্টোপাধ্যায় (গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ঘ) মৃদুল দাশগুপ্ত

উত্তরঃ (খ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়।

৩. ‘সবুজের অনটন ঘটে’— কী কারণে সবুজের অনটন ঘটে ?
(ক) অনাবৃষ্টির ফলে
(খ) শহরের অসুখ সবুজ খায় বলে
(গ) ঝড়ে গাছ পড়ে যায় বলে
(ঘ) অভিজ্ঞ মালী নেই বলে।

উত্তরঃ (খ) শহরের অসুখ সবুজ খায় বলে।

৪. ‘___________ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়’ (শূন্যস্থান পূরণ)।
(ক) মানুষের অসুখ (খ) পশুর অসুখ
(গ) শহরের অসুখ (ঘ) শরীরের অসুখ

উত্তরঃ (c) শহরের অসুখ।

৫. ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির যা দরকার তা হলো—
(ক) জঙ্গলে যাওয়া (খ) বেড়াতে যাওয়া
(গ) গাছ দেখা (ঘ) গাছ লাগানো

উত্তরঃ (গ) গাছ দেখা।

৬. ‘আমার দরকার শুধু’- কবির শুধু দরকার হলো—
(ক) গাছ দেখে যাওয়া
(খ) সবুজ দেখে যাওয়া
(গ) জঙ্গল দেখে যাওয়া
(ঘ) আরোগ্য লাভ করা

উত্তরঃ (ক) গাছ দেখে যাওয়া।

৭. ‘গাছ তুলে আনো / বাগানে বসাও আমি দেখি’- কবির একথা বলার কারণ—
(ক) অনেকদিন জঙ্গলে যাওয়া হয়নি
(খ) শহরের বাইরে যাওয়া হয়নি
(গ) সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে
(ঘ) চোখ তো সবুজ চায়

উত্তরঃ (ঘ) চোখ তো সবুজ চায়।

৮.“আমি দেখি” কবিতাটির মূল কাব্যগ্রন্থের নাম হল–
(ক) ছবি আঁকে ছিঁড়ে ফ্যালে
(খ) হে প্রেম হে নৈঃশব্দ্য
(গ) অনন্ত নক্ষত্রবীথি তুমি অন্ধকারে
(ঘ) অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল

উত্তরঃ (ঘ) অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল।

৯. ‘বহুদিন …. কাটেনি দিন’— কবির কোথায় কাটেনি দিন ?
(ক) বিদেশে (খ) গ্রামে (গ) শহরে
(ঘ) জঙ্গলে

উত্তরঃ (ঘ) জঙ্গলে।

১০. ‘শহরের অসুখ’ কথাটির তাৎপর্য হলো—
(ক) দূষণ জনিত রোগ
(খ) শহুরে মানুষের বিকৃতি
(গ) মানুষের আধুনিক রোগ
(ঘ) সর্বগ্রাসী নগরায়ন

উত্তরঃ (ঘ) সর্বগ্রাসী নগরায়ন।

১১. ‘গাছ তুলে আনো’- গাছ তুলে আনার পর সেগুলিকে কবি কী করতে বলেছেন ? (ক) টবে বসাতে (খ) বাগানে বসাতে
(গ) ফেলে দিতে (ঘ) ছিঁড়ে ফেলতে

উত্তরঃ (খ) বাগানে বসাতে।

১২. ‘সবুজের অনটন’ কথাটির অর্থ হলো— (ক) তারুণ্যের অভাব
(খ) ন্যাড়া পত্রহীন গাছের আধিক্য
(গ) সবুজ রঙের অভাব
(ঘ) বৃক্ষের স্বল্পতা

উত্তরঃ (ঘ) বৃক্ষের স্বল্পতা।

১৩. ‘আমি দেখি’ কবিতা অনুসারে দেহ চায়— (ক) সবুজ জঙ্গল (খ) সবুজ প্রান্তর
(গ) সবুজ বাগান (ঘ) ঘাসের বিছানা

উত্তরঃ (গ) সবুজ বাগান।

১৪. ‘গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার’— (ক) আরোগ্যের জন্যে (খ) শক্তি বৃদ্ধির জন্যে (গ) পথ হাঁটার জন্যে (ঘ) বুদ্ধিবৃত্তির জন্যে

উত্তরঃ (ক) আরোগ্যের জন্যে।

১৫. কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বহুদিন কোথায় আছেন ? (ক) গ্রামেই আছেন (খ) জঙ্গলেই আছেন (গ) পাহাড়েই আছেন (ঘ) শহরেই আছেন

উত্তরঃ (ঘ) শহরেই আছেন।

১৬. ‘তাই বলি।’— বক্তা কি বলতে চান ? (ক) ‘বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন’
(খ) ‘বহুদিন জঙ্গলে যাইনি’
(গ) ‘গাছ তুলে আনো বাগানে বসাও’
(ঘ) ‘বহুদিন শহরেই আছি’

উত্তরঃ (গ) ‘গাছ তুলে আনো বাগানে বসাও’।

১৭. ‘চোখ তো সবুজ চায়! / দেহ চায়’— (ক) সবুজ পাতা (খ) সবুজ ঘাস (গ) সবুজ বাগান (ঘ) সবুজ উঠান

উত্তরঃ (গ) সবুজ বাগান।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (MCQ) | আমি দেখি (কবিতা) শক্তি চট্টোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

১. ‘গাছগুলাে তুলে আনাে…’—গাছগুলাে তুলে আনার কথা বলা হয়েছে কেন ?
উত্তরঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছগুলাে তুলে আনতে বলেছেন কারণ, সবুজ গাছ দেখা আর তার স্পর্শ কবির শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়ােজন।

২. “…বাগানে বসাও”— কে বাগানে কী বা কাকে বসাতে বলেছেন ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছগুলােকে বাগানে বসাতে বলেছেন।

৩.”…গাছ তুলে আনাে, / বাগানে বসাও…”— কেন বাগানে গাছ বসাতে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় গাছগুলোকে বাগানে বসাতে বলা হয়েছে, কারণ কবির চোখ সবুজ দেখতে চায় আর তার দেহ চায় সবুজ বাগানের সান্নিধ্য।

৪.’আমি দেখি’ কবিতায় কবি গাছগুলাে তুলে এনে কোথায় বসাতে বলেছেন ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় গাছগুলো তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন।

৫.”আমার দরকার শুধু…”— ‘আমার’ শুধু কী দরকার ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় আমার অর্থাৎ কবির শুধুই গাছ দেখা দরকার।

৬.”আমার দরকার শুধু গাছ দেখা…”-কবির গাছ দেখা দরকার কেন ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির শরীরের জন্য গাছের সবুজ প্রয়ােজন বলে তার গাছ দেখা দরকার।

৭.’আমি দেখি’— কবি কী দেখতে চান ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শুধু সবুজ গাছ দেখতে চান।

৮.“গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার”-বলা হয়েছে কেন ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় বলেছেন যে, শারীরিক ও মানসিক আরােগ্যের জন্য গাছের সবুজটুকু শরীরে অত্যন্ত দরকার।

৯.’আমি দেখি’ কবিতায় গাছের প্রতি কবির আকর্ষণের কারণ কী ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় মানসিক সতেজতা ও শারীরিক সুস্থতা অর্থাৎ আরােগ্যলাভের লক্ষ্যে কবি গাছের প্রতি আকর্ষণ বােধ করেছেন।

১০.”…ওই সবুজের ভীষণ দরকার” -এ কথার অর্থ কী ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় ‘ওই সবুজের ভীষণ দরকার’ কথাটির অর্থ হল- কবির জীবনে গাছেদের উপস্থিতি খুব প্রয়ােজন।

১১.জঙ্গল নিয়ে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘আমি দেখি’ কবিতায় কী আক্ষেপ জানিয়েছেন ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘আমি দেখি’ কবিতায় বহুদিন জঙ্গলে যাওয়া বা জঙ্গলে দিন কাটানাে হয়নি— এই আক্ষেপ জানিয়েছেন।

১২.“বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন”—এ কথার অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন”-এ কথাটির মাধ্যমে কবি সবুজের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘকালীন বিচ্ছেদের কথা বুঝিয়েছেন।

১৩.”বহুদিন জঙ্গলে যায়নি”— জঙ্গলে না যাওয়ার ফলে কী হয়েছে ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় বহুদিন জঙ্গলে না যাওয়ার ফল হিসেবে কবি নাগরিক আগ্রাসন ও সবুজের হত্যালীলা দেখেছেন।

১৪.’আমি দেখি’ কবিতায় কোন জীবনের প্রতি কবির অনাস্থা প্রকাশ পেয়েছে ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় নগরজীবনের প্রতি কবির অনাস্থা প্রকাশ পেয়েছে।

১৫.’আমি দেখি’ কবিতায় কবির যে বিশেষ মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে তা এককথায় লেখাে।
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতাটিতে নগরজীবনের প্রতি কবির বিতৃষ্ণা এবং তার প্রকৃতির সান্নিধ্যলাভের আকাঙ্ক্ষাই প্রকাশিত হয়েছে।

১৬.”শহরের অসুখ হাঁ করে…”—শহরের অসুখ কী খায় ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় বর্ণিত ‘শহরের অসুখ’ হাঁ করে’ শুধু সবুজ খায় অর্থাৎ বাইরে সবুজ প্রকৃতিকে গ্রাস করে।

১৭.’শহরের অসুখ হাঁ করে..’— শহরের অসুখের কারণে কী ঘটে ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় শহরের অসুখের কারণে সবুজের অনটন অর্থাৎ বৃক্ষনিধন ঘটে।

১৮.’…কেবল সবুজ খায়’—এ কথা বলার কারণ কী ?
উত্তরঃ নগর সভ্যতার বিকাশে শহরজীবন থেকে গাছ অর্থাৎ সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে বলে কবি আলােচ্য কথাটি বলেছেন।

১৯.’সবুজের অনটন ঘটে …’— কোথায়, কী কারণে সবুজের অনটন ঘটে ?
উত্তরঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতায় শহরের অসুখ-এর কারণে অর্থাৎ নগরায়ণের জন্যই শহরে সবুজের অনটন ঘটে।

২০.’তাই বলি….’—আমি দেখি কবিতায় কবি কী বলেছেন ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন।

২১.’…গাছ তুলে আনাে।’— কে, কাকে এ কথা বলেছেন ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় পাঠক বা সাধারণ মানুষের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন।

২২.’আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ ও দেহ কী কামনা করে ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ সবুজ কামনা করে এবং কবির দেহ কামনা করে সবুজ বাগানের সান্নিধ্য।

২৩.”চোখ তাে সবুজ চায়!”—চোখ সবুজ চায় কেন ?
উত্তরঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘আমি দেখি’ কবিতায় চোখ সবুজ চায় কারণ, আরােগ্যের জন্য সবুজের অত্যন্ত দরকার।

২৪.’…আমি দেখি’— বক্তা কেন দেখতে চাইছেন ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বাগানে গাছ দেখতে চাইছেন কারণ তার চোখ এবং দেহ সবুজের আকাঙ্ক্ষা করছে।

২৫.”বহুদিন শহরেই আছি” -শহরে বহুদিন থাকার ফলে কী দেখেছেন কবি ?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতার কবি বহুদিন শহরে বাস করে দেখেছেন যে, শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ আত্মসাৎ করে।

২৬.”বহুদিন শহরেই আছি” -কবি বহুদিন শহরে আছেন কেন ?
উত্তরঃ জীবন ও জীবিকার তাগিদে কবি বহুদিন যাবৎ শহরেই আছেন।

২৭.’শহরের অসুখ’ বলতে কী বুঝিয়েছেন কবি ?
উত্তরঃ’শহরের অসুখ’ বলতে নগরায়ণ অর্থাৎ শহুরে অঞ্চলে জনসংখ্যার স্থানান্তর কংক্রিটের বাড়ি-ঘর নির্মাণের কথাই বুঝিয়েছেন কবি।

২৮.”সবুজের অনটন ঘটে…”- কীভাবে ?
উত্তরঃ কংক্রিটের বাড়ি-ঘর নির্মাণ তথা নগরায়ণের ফলেই শহরে নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন হয় বলে সেখানে সবুজের অনটন ঘটে।

২৯.”বহুদিন শহরেই আছি” -শহরে থেকে বক্তা কী উপলব্ধি করেছেন ?
উত্তরঃ শহরে থেকে বক্তা শক্তি চট্টোপাধ্যায় উপলদ্ধি করেছেন যে, শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়, তাই সবুজের অনটন ঘটে।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (MCQ) | আমি দেখি (কবিতা) শক্তি চট্টোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

রচনাধর্মী বড়ো প্রশ্নোত্তর [মান ৫]

১.”..ঐ সবুজের ভীষণ দরকার”–‘ঐ সবুজ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তার দরকার কেন ?

উত্তরঃ সবুজ প্রকৃতি মানুষের রোগমুক্ত জীবনযাপনের প্রধান সহায়ক। গাছের সবুজ অংশে সঞ্চিত ক্লোরোফিলের সহায়তায় উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে যে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে, মানুষ তথা সমগ্র প্রাণীকুল তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গ্রহণ করে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। আবার, সবুজ উদ্ভিদ মানুষকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের উপযোগী অক্সিজেন সরবরাহ করে। শহরের কলুষিত পরিবেশে দূষণ জনিত কারণে যে রোগ-ভোগের প্রসার ঘটে চলেছে তা থেকে মুক্তিলাভের জন্য গাছের ওই সবুজ অংশই দরকার। ‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি তাই নিঃসন্দেহে গাছের সবুজ অংশকেই চিহ্নিত করেছেন।

মানবজীবনে সুস্থতার জন্য, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে অরণ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই ভূমিকা বহুবিধ—

প্রথমত, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে অক্সিজেনের জোগান দেয় গাছ, বায়ুমণ্ডল হয়ে ওঠে মানুষের শ্বাসগ্রহণের উপযোগী। দ্বিতীয়ত, গাছ তার শিকড় দিয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে রেখে ভূমিক্ষয় প্রতিহত করে ও বন্যার করাল গ্রাস থেকে মানুষকে বাঁচায়। তৃতীয়ত, জীবজগতের খাদ্যের প্রধান জোগান দাতা হল গাছ। চতুর্থত, গাছের অন্তর্নিহিত সঞ্চিত শক্তি যেমন—কাঠ, কয়লা, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের চাহিদা মেটায়। পঞ্চমত, আরোগ্যের জন্য মানব জীবনের সমস্ত ওষুধ প্রাচীনকাল থেকে গাছই সরবরাহ করে আসছে। ভেষজ অর্থাৎ কবিরাজি চিকিৎসা পদ্ধতি পুরোপুরি অরণ্যকেন্দ্রিক। ষষ্ঠত, অরণ্য ধ্বংসের ফলে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের (O₃) ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় সূর্য থেকে অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের গায়ে সরাসরি এসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বহুবিধ চর্মরোগ ছাড়াও ক্যানসারের মতো মারণব্যাধি দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে প্রকৃতির বুকে সবুজের আবরণ তথা আভরণ গড়ে তুলতে হবে। কবি সেই প্রত্যয়ভূমি থেকে মানুষের মঙ্গলের জন্য সবুজকে আহ্বান করেছেন—
“গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার
আরোগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার”
২.“শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে…”–‘শহরের অসুখ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? সবুজের অনটন কীভাবে ঘটে ?

উত্তরঃ নগরসভ্যতার পত্তনের অর্থই সবুজকে ধ্বংস করা। সর্বোপরি, আধুনিক নগরজীবন যন্ত্রযুগের উদগ্র লালসায় সবুজ ধ্বংসের হোলি খেলায় মত্ত। ফলে একদিন যেখানে পৃথিবীর মোট ভূভাগের পঞ্চাশ শতাংশ অরণ্য ছিল বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র পঁয়ত্রিশ শতাংশে। দৈনন্দিন কাজকর্মে, কারখানার শ্রীবৃদ্ধিতেও অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। উন্নততর সভ্যতা বিকশিত হয় নগরকে কেন্দ্র করে, বর্তমান আণবিক যুগের প্রভাবও সেখানে বিদ্যমান। নতুন নতুন অট্টালিকা, রাস্তাঘাট, শপিংমল প্রভৃতি তৈরি করার জন্য কার্যত সবুজ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা পরিবেশে অক্সিজেনের মাত্রাকে কমিয়ে দিচ্ছে, এমনকি প্রতিদিন বাড়ছে গ্রিনহাউস দূষণ। তা ছাড়া জলদূষণ, বায়ুদূষণ, আলোদূষণ, মৃত্তিকা দূষণ, সর্বোপরি অস্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিও সবুজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ রূপে দেখা দিচ্ছে। শহরজীবনের গতিকে ত্বরান্বিত করতে অরণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে নির্বিচারে। কবির দৃষ্টিতে নগরায়ণ হল একটা অসুখের মতো যা কেবলমাত্র অরণ্যকে ধ্বংস করে সবুজকে গিলে ফেলতে চায়।

ভারতের মতো দেশে বৃহৎ বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১/৬ শতাংশ। অথচ মোট রাজস্বের প্রায় ৬০০ কোটি আসে বনজ সম্পদ থেকে। এ দেশের জ্বালানির ৬০ শতাংশ বনজসম্পদ কেন্দ্রিক, অথচ তাকেই নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। অন্যদিকে পরোক্ষে এ দেশে যত না বনসৃজন ঘটে তার চেয়ে অনেক বেশি বন নষ্ট করা হয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অরণ্য যে মানুষের পরম বন্ধু এ ভাবনা বিনষ্ট হয়ে পড়ছে। শহরের জন্য যুগোপযোগী পরিবেশ রচনা করার তাগিদেই সবুজের অভাব ঘটতেই থাকবে যা আধুনিক সভ্যতাকে বেপথু করে তুলবে।

৩. “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়” – কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলোচনা করো।
উত্তরঃ প্রকৃতি বাদী কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার ‘আমি দেখি’ কবিতাটিতে প্রকৃতির প্রতি এক গভীর আকর্ষণকে তুলে ধরেছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে আমরা ধীরে ধীরে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছি, আর এই চেষ্টার পিছনে কীভাবে সবুজ বনানী ধ্বংস হচ্ছে তাকে দৃষ্টিপাত করে কবি এই কবিতাটি রচনা করেছেন।

সেই কারণে স্বাভাবিকভাবেই আমি দেখি কবিতাটিতে আমরা প্রকৃতির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রকাশ দেখতে পেয়েছি। নগর বা যান্ত্রিক সভ্যতা তার আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে সদাসর্বদা প্রকৃতির সবুজকে ধ্বংস করতে উদ্যত। কবির মনে হয়েছে শহরের এই সবুজ বিরোধী স্বভাব যেন শহরের অসুখ। সেই কারণে বারবার শহর সবুজকে গ্রাস করতে কখনও দ্বিধাবোধ করেনি।

কবি শহরকেন্দ্রিক জীবন যাপনে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, তাই আবেদন করেছেন যে গাছ তুলে আনো কারণ মানুষের প্রয়োজন গাছের সবটুকু। শহরের অসুখের ফলে আজ গাছের অনটন ঘটেছে। এই কারণে কবি বাগানে গাছ বসাতে বলেছেন কারণ চোখ শুধু সবুজ চাই আর দেহ চাই সবুজ বাগান।

মানব সভ্যতার আধুনিকতায় যতগুলি বড় বড় শহর গড়ে উঠেছে তাদের ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায় তারা সবাই কোন না কোন ভাবে প্রকৃতিকে হত্যা করেই গড়ে উঠেছে। এই কারণে কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন যে শহর শুধু হাঁ করে সবুজ খেতে জানে।

৪.‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষ ও প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক সম্বন্ধে যে আলোচনা করেছেন তা লিপিবদ্ধ করো।

উত্তরঃ প্রকৃতি নিরন্তর যাদের হৃদয়ে দোলা লাগিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। কেউ প্রেমিক হৃদয় নিয়ে প্রকৃতির রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধে অবগাহন করেছেন, আবার কেউ-বা বৈজ্ঞানিক চেতনা যোগে প্রকৃতি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেছেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে এই দুই শ্রেণিরই বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। ‘আমি দেখি’ কবিতায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে কবি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির প্রাণের সম্পর্ক রচনা করতে চেয়েছেন। কবি তাঁর জীবনের এক দীর্ঘ সময় প্রকৃতির কোল থেকে দূরে শহরের ইঁট-কাঠ-পাথরের রুক্ষ-কঠোর পরিবেশের মাঝে অবস্থান করেছেন বলে অনুভব করেছেন সুস্থ জীবন লাভের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সবুজের সমারোহ। তাই কবি শহরের প্রান্তদেশে কিংবা পথপ্রান্তে পড়ে থাকা অবহেলিত গাছগুলোকে পরম যত্নে তুলে আনতে বলেছেন
“গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও আমার দরকার শুধু গাছ দেখা”

কবি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন গাছের সবুজ অংশ মানবশরীরে আরোগ্যের জন্য প্রভূত মাত্রায় প্রয়োজন। কারণ, অরণ্য জননীই পারে শহরের বুক থেকে দূষণের কলঙ্ক গ্রাস করে নিয়ে সুস্থ-বিশুদ্ধ পরিবেশ সৃজন করতে। অর্থাৎ, মানবজীবন বহুলাংশেই সবুজ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। এই কারণেই কবি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন—
“বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন বহুদিন জঙ্গলে যাইনি”

নগর পত্তনের জন্য সবুজ ধ্বংস করায় প্রকৃতিতে সবুজের অনটন ঘটছে। তাই সভ্যতার সংকট দূর করার জন্য কবি আহ্বান জানিয়েছেন—
“গাছ আনো, বাগানে বসাও।”

কবির ক্লান্ত দেহমন শুধু সবুজ রং আর সবুজ প্রকৃতি চায়। সবুজ ব্যতীত কবির জীবন বিবর্ণ। তাই কবি সর্বান্তকরণে প্রার্থনা করেছেন, সবুজের সমারোহে চতুঃপ্রান্ত ভরে উঠুক।

৫.“আমার দরকার শুধু গাছ দেখা / গাছ দেখে যাওয়া” –কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘শুধু’ শব্দটি কেন ব্যবহার করেছেন ? কবি অনন্তকাল ধরে কেবল গাছই দেখে যেতে চান কেন ?

উত্তরঃ আধুনিকতার প্রলেপ সারা গায়ে মেখেও কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর হৃদয় থেকে প্রকৃতির প্রতি অমোঘ প্রেমকে বিতাড়িত করতে পারেননি। তাই প্রকৃতির প্রতি প্রগাঢ় প্রেমের বশবর্তী হয়ে শহরের কবি শহরের ক্লেদাক্ত পরিবেশে সবুজের অভিযানের আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষমান। শহরের যাবতীয় সুখস্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করা সত্ত্বেও তিনি মানবজীবনে সবুজ প্রকৃতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে হতজ্ঞান হননি। দূষণমুক্ত, পরিশ্রুত জল-বায়ুর কামনায় কবি তাঁর পরিপার্শ্বে সবুজের সুনিবিড় স্পর্শ কামনা করেছেন। আর সবুজের স্পর্শ লাভের কবির এই সুতীব্র আর্তি প্রকাশের জন্যই ‘শুধু’ শব্দটির অবতারণা করা হয়েছে।

মানবসভ্যতা আজ উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হলেও নগরজীবনের মেকি ঔজ্জ্বল্য কবিমনে প্রতিনিয়ত শূন্যতা সৃষ্টি করে চলেছে। তা ছাড়া কবি প্রত্যক্ষ করেছেন আধুনিক জীবনের চাহিদা মেটাতে এবং ব্যাবসায়িক স্বার্থে নির্বিচারে অরণ্য নিধন যজ্ঞ কার্যকরী রয়েছে। আর তাই—
“শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে।”

অরণ্যপ্রেমী কবি তাই সমগ্র শহরবাসীর পক্ষ থেকেই শহরের এই ভীষণ অসুখের আরোগ্য লাভের কামনা করেন। কবি যখন বলেন ‘আমার দরকার’ তখন তা অচিরেই ব্যষ্টি থেকে সমষ্টির মনোবাসনায় পরিণত হয়। কবি জানেন কবিসহ সমগ্র শহরবাসীর শরীর-মনের যাবতীয় ব্যাধিমুক্তির একমাত্র পথ হল বৃক্ষরোপণ। সবুজের অভাবজনিত রোগ থেকে মুক্তির জন্যই কবি একটানা গাছ দেখে যাওয়ার কথা বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, কবির এই অনন্তকাল যাবৎ গাছ দেখে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করার অর্থই হল গাছ লাগানোর যাচঞা প্রকাশ— “গাছ আনো, বাগানে বসাও”—যা কবিতার অন্তিম চরণ পর্যন্ত ধ্বনিত হয়েছে।

৬.’আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পরিবেশ সচেতনতা কতখানি ধরা পড়েছে তা কবিতাটি অবলম্বনে লেখো।
অথবা,
“গাছ আনো, বাগানে বসাও,/আমি দেখি।” গাছের প্রতি কবির এই আগ্ৰহ কী নিতান্ত শৌখিন নাকি কবির এই বক্তব্য তার পরিবেশ সচেতন মনেরই প্রতিফলন তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কোটি কোটি বছর আগে যে সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল তার প্রধান ভিত্তি ছিল বৃক্ষ। ক্রমে মানবজাতির আগমন এবং তার যতই উন্নতি হয়েছে ততই বৃক্ষ পদদলিত হয়েছে, বিনষ্ট হয়েছে। আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতে নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত মানুষ আপন স্বার্থে প্রকৃতির সঙ্গে নিজের সবুজ সম্পর্ককে ছিন্ন করেছে। কবি নিজে সেই শহুরে জীবনের প্রতিভূ হিসেবে অনুভব করেছেন দীর্ঘদিন তিনি সবুজের থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন—
“বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন বহুদিন জঙ্গলে যাইনি”

তাই ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’-কে কবি মানবজীবনের মূলমন্ত্র রূপে স্বীকার করে নিয়েই ‘আমি দেখি’ কবিতায় বৃক্ষরোপণের সুপরামর্শ দিয়েছেন।

বিংশ শতাব্দীর আধুনিক মনস্ক কবি হলেও তিনি জানেন অরণ্য ছাড়া মানবজীবন বৃথা। বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান কালাবধি মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের প্রাথমিক চাহিদা থেকে শুরু করে মানুষের প্রাণধারণের উপযোগী শ্বাসবায়ু—সবই বৃক্ষের দান। কর্মব্যস্ত শহুরে জীবনে ঘটে যাওয়া ‘সবুজের অনটন’কে তাই অবিলম্বে রুখতে হবে, নতুবা মানবজীবনে শুদ্ধতার আশ্বাস ফিরে আসা সম্ভব নয়। তাই কবি স্পষ্টতই জানিয়েছেন—
“গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার আরোগ্যের জন্যে ঐ সবুজের ভীষণ দরকার”

আরও পড়ুনঃ

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন্ ২০২৪

Leave a Reply