বিভাব (নাটক) শম্ভু মিত্র – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা MCQ, SAQ, বড় প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE HS Bengali Bibhab Natok MCQ, SAQ, Essay Type Solved Question Answer

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর

বিভাব (নাটক) শম্ভু মিত্র – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা MCQ, SAQ, বড় প্রশ্ন (Essay Type) উত্তর | WBCHSE HS Bengali Solved Question Answer

নাট্যকার শম্ভু মিত্র রচিত বিভাব নাটক থেকে বহুবিকল্পীয়, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) আগামী পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

বিভাব (নাটক) শম্ভু মিত্র – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

বহুবিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (MCQ) | বিভাব (নাটক) শম্ভু মিত্র – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

১. সংস্কৃত পরীক্ষায় অমর কত পেয়েছিলেন ?
(ক) তেরো (খ) সতেরো (গ) তেইশ (ঘ) নয়

উত্তরঃ (ক) তেরো।

২. শম্ভু মিত্র, অমর গাঙ্গুলী কোন নাট্য দলের সদস্য ছিলেন ?
(ক) নান্দিকার (খ) নান্দিমুখ
(গ) পঞ্চম বৈদিক (ঘ) বহুরূপী

উত্তরঃ (ঘ) বহুরূপী।

৩. ‘বিভাব’ নাটকের যথার্থ নাম হওয়া উচিত বলে নাট্যকার মনে করেছেন তা হলো—
(ক) হাসির সন্ধানে তিনটি চরিত্র
(খ) অভাব নাটক (গ) তামাশা নাটক
(ঘ) অভাবিত নাটক

উত্তরঃ (খ) অভাব নাটক।

৪. সরকারের পেয়াদা কীসের লক্ষে নাট্যদলের কাছে আসে—
(ক) নিমন্ত্রনপত্র নিতে
(খ) অনুমতি পত্র নিতে
(গ) খাজনা আদায় করতে
(ঘ) সংবর্ধনা জানাতে

উত্তরঃ (গ) খাজনা আদায় করতে।

৫. “তাই ভেবে চিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি ।” – এই প্যাঁচ হলো—
(ক) জনমত গঠন (খ) নিজস্ব নাট্যমঞ্চ তেরি
(গ) ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি প্রয়োগ
(ঘ) নাটক অভিনয় বন্ধ রাখা

উত্তরঃ (গ) ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি প্রয়োগ

৬. “এমনি সময় হঠাৎ এক সাহেবের লেখা পড়লাম” – এই সাহেব ছিলেন—
(ক) আইনস্টাইন (খ) আইজেনস্টাইন
(গ) শেক্সপিয়ার (ঘ) বানাড’ শ

উত্তরঃ (খ) আইজেনস্টাইন

৭. শম্ভু মিত্র ‘বিভাব’ নাটকে যে তামাশা দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তা ছিল—
(ক) উড়িয়া তামাশা (খ) অসমীয়া তামাশা           (গ) রাজস্থানি তামাশা (ঘ) মারাঠি তামাশা

উত্তরঃ (ঘ) মারাঠি তামাশা।

৮. ‘এক জাপানি থিয়েটার মস্কোতে গিয়েছিল।’ -এই জাপানি থিয়েটার ছিল— (ক) নোবুকি (খ) কিয়োগেন (গ) কাবুকি
(ঘ) বানরাকু

উত্তরঃ (গ) কাবুকি।

৯. “আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত” -একথা কে বলে গিয়েছেন—
(ক) রবীন্দ্রনাথ (খ) দ্বিজেন্দ্রলাল
(গ) বল্লভ ভাই (ঘ) জহরলাল নেহরু

উত্তরঃ (গ) বল্লভ ভাই

১০. “বিভাব” নাটকে ‘বৌদি’ হলেন—
(ক) শোভা সেন (খ) তৃপ্তি মিত্র (গ) চিত্রা সেন (ঘ) শাঁওলী মিত্র

উত্তরঃ (খ) তৃপ্তি মিত্র।

১১. “পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে ।” – ‘বৌদি ‘ তৃপ্তি মিত্র যাকে সবচেয়ে পপুলার জিনিস বলেছেন, সেটি হল—
(ক) সিনেমা (খ) আড্ডা (গ) খেলা ধুলা
(ঘ) প্রেম

উত্তরঃ প্রেম।

১২. “বিভাব” নাটকে অমর গাঙ্গুলী কোথায় ‘লভ সিন’ দেখার কথা বলেছেন ?
(ক) বায়োস্কোপ (খ) বাস্তব জীবনে
(গ) থিয়েটার (ঘ) লোক কোথায়

উত্তরঃ (ক) বায়োস্কোপ।

১৩. “বিভাব” নাটকে তৈরি হওয়া প্রেমের দৃশ্যে নায়িকা ফিরছিল—
(ক) অফিস থেকে
(খ) গ্রাম থেকে
(গ) বন্ধুর বাড়ি থেকে
(ঘ) কলেজ থেকে

উত্তরঃ (ঘ) কলেজ থেকে।

১৪. “বিভাব” নাটকে প্রেমের দৃশ্য নেপথ্যে কী বেজেছিল—
(ক) পিয়ানো (খ) বেহালা
(গ) হারমোনিয়াম (ঘ) বাঁশি

উত্তরঃ (গ) হারমোনিয়াম।

১৫. ‘বিভাব’ নাটকে প্রেমের দৃশ্যে যে গানটি গাওয়া হয়েছিল, সেটি হল—
(ক) সখি ভালোবাসা কারে কয়
(খ) আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
(গ) তুমি কোন কাননের ফুল
(ঘ) মালতি লতা দোলে

উত্তরঃ (ঘ) মালতি লতা দোলে।

১৬. “মালতি লতা দোলে ” গানটি গাওয়া হয়েছিল যেভাবে—
(ক) ফিল্মি কায়দায় (খ) শাস্ত্রীয় ভঙ্গিতে
(গ) কীর্তন আঙ্গিকে (ঘ) ঠুংরি ধরনের

উত্তরঃ (ক) ফিল্মি কায়দায়।

১৭. রবীন্দ্রনাথের গানের অনুমোদন যারা দেয় বলে ‘বিভাব’ নাটকে উল্লেখ আছে—
(ক) রাজ্য সরকার (খ) বিশ্বভারতী
(গ) সাহিত্য অ্যাকাডেমি
(ঘ) সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি

উত্তরঃ (খ) বিশ্বভারতী।

১৮. শম্ভু মিত্রের মতে, কত ইঞ্চি বুক হলেই পুলিশ হওয়া যায়—
(ক) ৩২ ইঞ্চি (খ) ৩৩ ইঞ্চি (গ) ৪২ ইঞ্চি
(ঘ) ৪৮ ইঞ্চি

উত্তরঃ (ক) ৩২ ইঞ্চি।

১৯. ‘পথিক’ নাটকটি কার লেখা ?
(ক) বিজন ভট্টাচার্য (খ) উৎপল দত্ত
(গ) শম্ভু মিত্র (ঘ) তুলসী লাহিড়ী

উত্তরঃ (ঘ) তুলসী লাহিড়ী।

২০. ‘সামনের কয়েক জন হাতটা উঁচু করে থাকে।’– হাতে কী ছিল—
(ক) ভাতের থালা
(খ) পতাকা ও ফেস্টুন
(গ) প্রচার পত্র (ঘ) ফুল

উত্তরঃ (খ) পতাকা ও ফেস্টুন।

২১. শোভা যাত্রার লোকেরা যার জন্য দাবি জানিয়েছিল—
(ক) চাল ও কাপড় (খ) সঠিক মজুরী
(গ) শিক্ষার সুযোগ
(ঘ) আইন শৃঙ্খলার উন্নতি

উত্তরঃ (ক) চাল ও কাপড়।

২২. ‘The night is calling me’ – সংলাপটি কার লেখা ?
(ক) বানার্ড’ শ (খ) শেক্সপিয়ার
(গ) শেলি (ঘ) বায়রন

উত্তরঃ (ক) বানার্ড’ শ।

২৩. হটাৎ পেছন থেকে শোভা যাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজ শোনা যায়—
(ক) অন্ন চাই, গৃহ চাই
(খ) চাল চাই, কাপড় চাই
(গ) ফ্যান চাই, ভাত চাই
(ঘ) এর কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (খ) চাল চাই, কাপড় চাই।

২৪. ‘বিভাব’ নাটকটির অনুপ্ররণা হলো—            (ক) জাপানি কাবুকি থিয়েটার
(খ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক
(গ) রবীন্দ্রনাথের নাটক
(ঘ) দীনবন্ধু মিত্রের নাটক

উত্তরঃ (ক) জাপানি কাবুকি থিয়েটার।

২৫. ‘বিভাব’ নাটকটির প্রধান চরিত্রের সংখ্যা হলো—
(ক) দুই (খ) তিন (গ) পাঁচ (ঘ) সাত

উত্তরঃ (খ) তিন।

২৬. “আমদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিৎ ‘অভাব নাটক’।” -কারণ—
(ক) এ নাটকের জন্ম দুরন্ত অভাব থেকে
(খ) এ নাটকে অর্থাভাব দেখানো হয়েছে
(গ) এ নাটকের চরিত্র সংখ্যার অভাব রয়েছে
(ঘ) এ নাটকে অভিনয় উপকরনের অভাব

উত্তরঃ (ক) এ নাটকের জন্ম দুরন্ত অভাব থেকে

২৭. অমর বাবু তৃপ্তি মিত্রের কাছে ক – কাপ চা চেয়েছেন ?
(ক) এক (খ) দুই (গ) তিন (ঘ) চার

উত্তরঃ দুই কাপ

২৮. ঠিক আছে ফেলে দিন না ….কি ?
(ক) চা (খ) বিড়ি (গ) সিগারেট (ঘ) দেশলাই

উত্তরঃ সিগারেট

২৯. “বিভাব” নাটকে লভ সিনের নায়ক হয়েছিলেন—
(ক) অমর (খ) শম্ভু (গ) ম্যানেজার (ঘ) বল্লভভাই

উত্তরঃ শম্ভু

৩০. “এর মাথায় খালি লভ সিন ঘুরে রে ?” কার মাথায় ?
(ক) অমর (খ) শম্ভু (গ) তৃপ্তি
(ঘ) নাট্য দলের ম্যানেজার

উত্তরঃ তৃপ্তি

৩১. বিভব নাটকে রবীন্দ্রনাথের ব্যাবহৃত গানটি হল –
(ক) মালতি লতা দলে
(খ) আমাদের জাতীয় সংগীত
(গ) আমি রূপে তোমায় ভুলবো না
(ঘ) আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে

উত্তরঃ (ক) মালতি লতা দলে

৩২.লাভ সিন করতে হলে প্রথমেই কী দরকার ?
(ক) একজন নায়ক একজন নায়িকা
(খ) চাঁদ, আকাশ এবং দক্ষিণের বাতাস
(গ) গঙ্গার তীরে বা গরের মাঠ
(ঘ) সুদৃশ্য বাগান ও ফুলের সমারোহ

উত্তরঃ (ক) একজন নায়ক একজন নায়িকা

৩৩. তুলসী লাহিড়ীর – নাটক থেকে বলি – (ফিল্মি ঢংয়ে) আমি চললাম … তুলসী লাহিড়ীর কোন নাটকের উক্তি ?
(ক) ছেঁড়া তার (খ) পথিক (গ) নবান্ন
(ঘ) এদের কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (খ) পথিক

৩৪. “মা ব্রয়াৎ সত্যম অপ্রিয়ম” কথাগুলি বলেছে ?
(ক) অমর (খ) বৌদি (গ) পুলিশ (ঘ) শম্ভু

উত্তরঃ (ঘ) শম্ভু

৩৫. “সংস্কৃতে তেরো পেয়েছিলাম বলে হেদপণ্ডিত স্কুলে প্রমোশন দেননি” – বক্তা কে ?
(ক) শম্ভু (খ) অমর (গ) বৌদি (ঘ) সার্জেন্ট

উত্তরঃ (খ) অমর

৩৬. “তুমি তো সহজে মরবে না – ওগো তুমি পালাও – তুমি বীর – তুমি পালাও – এখানে তুমি হলো –
(ক) পুলিশ (খ) (নায়ক) শম্ভু (গ) অমর
(ঘ) পালোয়ান

উত্তরঃ (ক) (নায়ক) শম্ভু

৩৭. “তার আপিস নেই, কলেজ নেই, কিছু নেই।” – কার সমন্ধে বলা হয়েছে ?
(ক) (নায়ক) শম্ভু (খ) অমর (গ) পুলিশ
(ঘ) বৌদি

উত্তরঃ (ক) (নায়ক) শম্ভু

৩৮. “রাজা রথারোহনম নাটকটির।” – এর অর্থ –
(ক) রাজা রথে আহরণ করলেন
(খ) রাজা রথ থেকে নামলেন
(গ) রাজা রথে আহরণ করার ভঙ্গি করলেন
(ঘ) রাজা রথে চড়ে যুদ্ধ যাত্রা করলেন

উত্তরঃ (গ) রাজা রথে আহরণ করার ভঙ্গি করলেন

৩৯. হঠাৎ পেছন থেকে শোভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজ শোনা যায় –
(ক) চাল কই কাপড় কই
(খ) ফ্যান চাই ভাত চাই
(গ) অন্ন চাই গৃহ চাই
(ঘ) এর কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (ক) চাল কই কাপড় কই

৪০. “পরদা খুলে দেখা যায়…” –
(ক) মঞ্চ ফাঁকা আছে
(খ) মঞ্চ অন্ধকার
(গ) মঞ্চ সম্পূর্ণ ফাঁকা
(ঘ) মঞ্চে নায়ক দাড়িয়ে আছে

উত্তরঃ (গ) মঞ্চ সম্পূর্ণ ফাঁকা

৪১. “আরে খিড়কি সে কিউ উতার আয়া। চোট্টা হনগে জরুর আরে পাকরো।”– বক্তা–
(ক) পুলিশ (খ) অমর (গ) শম্ভু (ঘ) সার্জেন্ট

উত্তরঃ (খ) অমর

৪২. “কী অমর – এবার হাসি পাচ্ছে ?” – অমরকে কে একথা বলেছেন ?
(ক) বৌদি অমর গাঙ্গুলিকে
(খ) সার্জেন্ট অমর গাঙ্গুলিকে
(গ) কোনোটিই নয়
(ঘ) শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলিকে

উত্তরঃ (ঘ) শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলিকে

৪৩. পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস কী ?
(ক) প্রেম
(খ) গসিপ
(গ) লারেলাপ্পা
(ঘ) পরচর্চা

উত্তরঃ (ক) প্রেম

৪৪. ‘বিভাব’ নাটকটির অনুপ্রেরণা হলো –
(ক) জাপানি কাবুকি নাটক
(খ) রবীন্দ্রনাথের নাটক
(গ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক
(ঘ) দীনবন্ধু মিত্রের নাটক

উত্তরঃ (ক) জাপানি কাবুকি নাটক

৪৫. “এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম।” – এখানে কোন সাহেবের কথা বলা হয়েছে ?
(ক) আইজেনস্টাইন
(খ) আলেকজান্ডার
(গ) লই ফিলিপ
(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত

উত্তরঃ (ক) আইজেনস্টাইন

৪৬. “হ্যাঁ বল্লভভাই বলে গেছেন” – বল্লভভাই কী বলেছেন ?
(ক) বাঙালিরা শক্তিশালী
(খ) বাঙালিরা চোর
(গ) বাঙালিরা কদুনে জাত
(ঘ) বাঙালিরা ভীতু

উত্তরঃ (গ) বাঙালিরা কদুনে জাত

অতিসংক্ষিপ্ত (SAQ) উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | বিভাব (নাটক) শম্ভু মিত্র – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

১.’বিভাব’ নাটকে অমর গাঙ্গুলি কোন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে অমর গাঙ্গুলি ‘বহুরুপী’ নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

২.শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকটি আঙ্গিকের দিক থেকে কী ধরনের নাটক ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকটি একটি একাঙ্ক নাটক।

৩.’বিভাব’ নাটকে অমর গাঙ্গুলি কোন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে অমর গাঙ্গুলি ‘বহুরূপী’ নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

৪.’বিভাব’ নাটকে বৌদি কে ছিলেন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে বহুরূপী’র সভ্য-স্বজনদের কাছে শম্ভু মিত্রের স্ত্রী অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্র ‘বৌদি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

৫.শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকটি শুরু হয়েছে কীভাবে?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকটি শুরু হয়েছে দর্শকদের সঙ্গে শম্ভু মিত্রের এক দীর্ঘ কথােপকথনের মধ্য দিয়ে।

৬.’বিভাব’ নাটকের নামকরণ হয়েছিল কীভাবে ?

উত্তরঃ কোনাে এক ভদ্রলােক পুরােনাে সব নাট্যশাস্ত্র খুঁজে শম্ভু মিত্রের নাটকের নাম দিয়েছিলেন ‘বিভাব’।

৭.শম্ভু মিত্রের মতে ‘বিভাব’ নাটকের নাম কী হওয়া উচিত ছিল ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের মতে ‘বিভাব’ নাটকের নাম হওয়া উচিত ছিল ‘অভাব নাটক’।

৮.শম্ভু মিত্র কেন তার নাটকের নাম ‘অভাব নাটক’ রাখতে চেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের মতে, দুরন্ত অভাব থেকে জন্ম নেওয়া এই নাটকের দৃশ্যায়নের জন্য প্রয়ােজনীয় কোনাে উপকরণই না থাকায় এর নাম ‘অভাব নাটক’ রাখা উচিত।

৯.’বিভাব’-এর সূচনায় শম্ভু মিত্র নাট্য অভিনয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে কী অভিযােগ এনেছেন?

উত্তরঃ নিদারুণ অভাবে শুধু ইচ্ছাশক্তির জোরে নাটক করতে নেমেও সরকারের পেয়াদাকে খাজনা দিতে হয়। পেশাদারি থিয়েটারের তুলনায় তাদের প্রতি সরকারের এই বিমাতৃসুলভ আচরণের কথা এখানে বলা হয়েছে।

১০.“এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে ?”— কী দেখে বক্তা এই মন্তব্য করেছেন ?

উত্তরঃ পুলিশের গুলিতে নিহত এবং আহত মানুষের হাহাকার ও গােঙানির দিকে তাকিয়ে সস্তা হাসি খোঁজার প্রবণতাকে ব্যঙ্গ করে শম্ভু মিত্র মন্তব্যটি করেছেন।

১১.শম্ভু মিত্র কেন অমর গাঙ্গুলির বাড়ি গিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ নাট্যদলের সম্পাদকের নির্দেশমতাে নাটকে হাসির উপাদান সন্ধান করতে নাট্যকার-অভিনেতা শম্ভু মিত্র সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে গিয়েছিলেন।

১২.”..তাই সরকার আমাদের গলা টিপে খাজনা আদায় করে নেন।”— মন্তব্যটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ নাটক নিয়ে ব্যাবসা না করলেও সরকার যেভাবে জোর করে গ্রুপ থিয়েটারগুলির কাছ থেকে খাজনা আদায় করে, তার উল্লেখ প্রসঙ্গেই মন্তব্যটি করা হয়েছে।

১৩.“…সেই নেওয়াটা এমন বিচিত্র সাঁড়াশি ভঙ্গিতে”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ ‘বহুরূপী’ নাট্যদলের কাছ থেকে সরকার যে কর গ্রহণ করে, সেই কর নেওয়ার কথা বলতে গিয়েই বক্তা আলােচ্য উক্তিটি করেছেন।

১৪.অমরের বাড়িতে লেখকের আসার কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ নাট্যদলের সম্পাদকের নির্দেশমতাে নাটকে হাসির উপাদান সন্ধান করতে নাট্যকার অভিনেতা শম্ভু মিত্র সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে গিয়েছিলেন।

১৫.“বুদ্ধিটা কী করে এল তা বলি।”—কোন বুদ্ধির কথা এখানে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ প্রয়ােজনীয় নাট্য-উপকরণকে অগ্রাহ্য করে দর্শকের সামনে কীভাবে নাটককে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপিত করা যায়—সেই বুদ্ধির কথা এখানে বলা হয়েছে।

১৬.”এক পুরােনাে বাংলা নাটকে দেখি..”— নাট্যকার সেখানে কী দেখেছিলেন ?

উত্তরঃ নাট্যকার,শম্ভু মিত্র একটি পুরােনাে বাংলা নাটকে দেখেছিলেন যে, লেখা আছে “রাজা রথারােহণম্ নাটয়তি”। অর্থাৎ “রাজা রথে আরােহণ করার ভঙ্গি করলেন”।

১৭.’বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত “রাজা রথারােহণম নাটয়তি” কথাটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত “রাজা রথারােহণম নাটয়তি” কথাটির অর্থ- ‘রাজা রথে আরােহণ করার ভঙ্গি করলেন।’

১৮.ওড়িয়া নাটকে দূত ঘােড়ায় চড়ার অভিনয় কীভাবে করে ?

উত্তরঃ ওড়িয়া নাটকে রাজা যখন দূতকে ঘােড়ায় চেপে দ্রুত খবর নিয়ে আসার কথা বলেন, তখন দূত ছােটো ছেলের মতাে দুই পায়ের ফাকে লাঠি গলিয়ে ঘােড়ায় চড়ার ভঙ্গিতে হেট হেট করতে করতে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

১৯.“দর্শক কিন্তু কেউ হাসল না” দর্শকরা কী দেখেও হাসেনি ?

উত্তরঃ উড়ে দেশের যাত্রায় পায়ের ফাঁকে লাঠি গলিয়ে দূতের ঘােড়ায় চড়ার ভঙ্গি করতে দেখেও দর্শকরা হাসেনি।

২০.”ব্যর্থ মনােরথ হয়ে চলল মন্দিরে”—কে ব্যর্থ মনােরথ হয়ে মন্দিরে যাচ্ছিল ?

উত্তরঃ মারাঠি তামাশায় একজন চাষি জমিদারের কাছে কাকুতিমিনতি করে ব্যর্থ হয়ে মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল।

২১.”মাঠ ভর্তি লােক নিঃশব্দে এসব মেনে নিয়ে দেখলে।”—কী মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ মারাঠি তামাশায় জমিদার সেজে অভিনয় করা ব্যক্তি যখন দর্শকের সামনেই মুখে দাড়ি গোঁফ এঁটে পুরুত সেজে চাষির সামনে গিয়ে আবার ধর্মীয় তর্জন শুরু করেছিল, তা মাঠ-ভরতি লােক নিঃশব্দে মেনে নিয়ে দেখেছিল।

২২.”মনে হল লােকে মানবে না।” -লােকে না মানার কারণ কী ?

উত্তরঃ ইংরেজি শিক্ষিত, রুচিমান দর্শকের কাছে শুধু দৈহিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাটকের অভিনয় যদি গ্রহণযােগ্য না হয়, তবে তারা সেই পদ্ধতিটা মানবে না।

২৩.“যেমন রবিঠাকুরকে মেনেছিল।” -কারা, কেন রবিঠাকুরকে মেনেছিল ?

উত্তরঃ শহরের ইংরেজি-জানা লােকেরা রবিঠাকুরকে মেনেছিল; লেখকের মতে, তার কারণ হল, সাহেবরা তাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

২৪.”মনে হল লােকে মানবে না।” -কোন বিশেষ শ্রেণির লােকের কথা বক্তা উল্লেখ করেছেন ?

উত্তরঃ প্যান্টালুন পরা এবং ইংরেজি জানা যেসব লােক প্রতি সপ্তাহে বিলিতি বায়ােস্কোপ দেখে, সেই শ্রেণির বাঙালি দর্শকের কথা এখানে বলা হয়েছে।

২৫.”তমে ঘােড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি”—এই নির্দেশ কে, কাকে দিয়েছিল বলে ‘বিভাব’ নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত, নির্দেশটি উড়ে দেশের যাত্রাতে রাজা দূতকে দিয়েছিল বলে ‘বিভাব’ নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে।

২৬.“এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম।”-সাহেবের নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত এই সাহেব ছিল বিখ্যাত রুশদেশীয় চিত্রপরিচালক আইজেনস্টাইন।

২৭.আইজেনস্টাইন কাবুকি থিয়েটারের অভিনয় কোথায় দেখেছিলেন ?

উত্তরঃ আইজেনস্টাইন মস্কোতে কাবুকি থিয়েটারের অভিনয় দেখেছিলেন।

২৮.”তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন।”—কাদের অভিনয়ের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ আলােচ্য অংশে জাপানি থিয়েটার কাবুকির অভিনয়ের কথা বলা হয়েছে।

২৯.’বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত কাবুকি’র বৈশিষ্ট্য কী ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত ‘কাবুকি’ থিয়েটারের বৈশিষ্ট্য ছিল সেই নাটকের অভিনয়ে ভঙ্গির বহুল ব্যবহার করা হত।

৩০.”…কাল্পনিকভাবে মরে গেল।” -কার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ জাপানের কাবুকি থিয়েটারে ভঙ্গিনির্ভর অভিনয়ে কাল্পনিক তলােয়ার হাতে দুই যােদ্ধার লড়াইয়ে, যার শেষ অবধি কাল্পনিক মৃত্যু ঘটে তার কথা বলা হয়েছে।

৩১.“..খুব আর্টিস্টিক মরা, একেবারে ইসথেটিক মরা।”-এই মৃত্যু কীরকম ?

উত্তরঃ জাপানের কাবুকি নাটকে দেখা যায়, দুই যােদ্ধার লড়াইয়ে যার মৃত্যু হচ্ছে তার হয়তাে হাতটা নড়ে উঠল, পা ধীরে কাপল, মুণ্ডু আর চোখ দুবার নড়ল; এরপরেই জিভ বের করে তার মৃত্যু হল। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বীভৎস খিচুনি বা রক্তাক্ততা নেই এই মৃত্যুর দৃশ্যে। তাই এই মৃত্যু খুব আর্টিস্টিক বা ইসথেটিক।

৩২.“… স্ত্রীর দুঃখটাই প্রধান সেখানে।”— কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ কাবুকি থিয়েটারে যােদ্ধর কাল্পনিক মৃত্যু ঘটলে তার বিধবা স্ত্রী যখন কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসে তখন মৃত লােকটি উঠে চলে গেলেও দর্শকরা কিছু মনে করে না। কারণ ওই দৃশ্যে স্বামীর মৃত্যুর বিষয়টি গুরুত্বহীন, সেখানে স্ত্রীর দুঃখ বা শােকপ্রকাশই প্রধান।

৩৩.”এই পড়ে বুকে ভরসা এল…”কী পড়ে বুকে ভরসা এল ?

উত্তরঃ রুশদেশীয় বিখ্যাত চিত্রপরিচালক আইজেনস্টাইন যে লেখায় জাপানের কাবুকি থিয়েটার অর্থাৎ দেহভঙ্গিনির্ভর নাট্যাভিনয় প্রসঙ্গে উচ্ছাস প্রকাশ করেছিলেন, সেই লেখা পড়ে নাট্যকার শম্ভু মিত্রের ভরসা এল।

৩৪.”এবারে নিশ্চয়ই আমাদের দেশের ইংরেজি শিক্ষিত লােকেরা এর কদর বুঝবেন।” -কীসের কদর ?

উত্তরঃ উপকরণের বাহুল্যহীন দেহের অঙ্গভঙ্গি নির্ভর নাট্যাভিনয়ের কদরের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

৩৫.”আর তাে কিছুই না, খালি মেনে নেওয়া।”—কী মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ নাটকের ভঙ্গিসর্বস্ব কাল্পনিক অভিনয়কে মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৩৬.’বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত ‘কাবুকি’ নাটকের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখাে।

উত্তরঃ কাবুকি নামক জাপানি থিয়েটারের বৈশিষ্ট্য হল মঞ্চসজ্জার বদলে সেখানে অভিনয় ভঙ্গির বহুল ব্যবহার করা হয়।

৩৭.”কী করে যাব ? দরজা বন্ধ যে।”—কোন্ দরজার কথা এখানে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে অমর গাঙ্গুলির কল্পিত বাড়ির নীচতলায় যে কল্পিত দরজাটি ছিল, যার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন শম্ভু মিত্র, সেই দরজার কথা বলা হয়েছে।

৩৮.”এমনি এলাম—একেবারে এমনি নয়…” -বক্তার আসার কারণ কী ?

উত্তরঃ হাসির নাটক লেখার খােরাক জোগাড় করতে ‘বিভাব’ নাটকের নাট্যকার শম্ভু মিত্র অমরবাবুর বাড়িতে এসেছিলেন।

৩৯.”বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত”—কে, কার উদ্দেশ্যে বলেছেন ?

উত্তরঃ উদ্ধৃত উক্তিটি আসলে বল্লভভাইয়ের মন্তব্য হলেও এখানে অমর গাঙ্গুলি শম্ভু মিত্রকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলেছেন।

৪০.”সম্পাদক বলেছে হাসির নাটক করতে হবে”—এ কথা বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ হাসির নাটকের ‘দারুণ বক্স অফিস’ অর্থাৎ দর্শকচাহিদা বেশি থাকার জন্য সম্পাদক হাসির নাটক করতে বলেছেন।

৪১.’বিভাব’ নাটকের নাট্যকার শম্ভু মিত্রকে নাট্যদলের সম্পাদক কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকের নাট্যকার শম্ভু মিত্রকে নাট্যদলের সম্পাদক হাসির নাটক লিখতে বলে এই কথা জানিয়েছিলেন যে, হাসির নাটকের বক্স অফিস দারুণ।

৪২.“হ্যা বল্লভভাই বলে গেছেন—” বল্লভভাই বলে গেছে বলে কী করতে হবে ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে অমর গাগুলি বলেছেন, বল্লভভাই বলে গেছেন তাই, হাসতে হলে বেশ কোমর বেঁধে হাসতে হবে।

৪৩.”ওঃ দাতাকর্ণ যে।” -বক্তা কাকে, কেন ‘দাতাকর্ণ’ বলেছেন ?

উত্তরঃ ‘বৌদি’-র আনা কল্পিত চা খেতে গিয়ে শম্ভু মিত্রের কল্পিত সিগারেটটি নষ্ট হলে অমর গাঙ্গুলি তাকে আবার সিগারেট দেওয়ার কথা বলায় শম্ভু মিত্র এ কথা বলেন।

৪৪.“কী হে, সিগারেট আছে নাকি ?” -বক্তা এ কথার কী উত্তর পেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের উদ্ধৃত প্রশ্নের উত্তরে অমর গাঙ্গুলি বলেছিলেন যে, তিনি যা চাইবেন তাই অমর গাঙ্গুলির কাছে পাবেন।

৪৫.”কেন, হাসি পাচ্ছে না ?” -বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিলেন ?

উত্তরঃ নিজের কল্পিত বসার ভঙ্গি নির্দেশ করে বক্তা শম্ভু মিত্র এ কথা বলেছিলেন।

৪৬.”..খামােখা হাসি পেলেই হল?” -কী করলে ঠিকঠাক হাসি পাবে ?

উত্তরঃ হাসির গল্প, হিউম্যান ইনটারেস্ট বা মানবস্বার্থ, পপুলার অ্যাপিল বা জনপ্রিয়তার আবেদন—এই রসদগুলি মজুত থাকলেই ঠিকঠাক হাসি পাবে।

৪৭.”আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত”- কখন বক্তা এ কথা বলেছেনৎ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকের নাট্যকার তথা অভিনেতা শম্ভু মিত্রকে মুখে সম্পাদক হাসির নাটক করার নির্দেশ দিয়েছেন শুনে সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলি মন্তব্যটি করেছেন।

৪৮.এমনি এলাম-একেবারে এমনি নয়…”— কে, কোথায় এসেছিলেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে এসেছিলেন।

৪৯.’বিভাব’ নাটকে বউদি তৃপ্তি মিত্রের মতে পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস কী ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে বউদি তৃপ্তি মিত্রের মতে, পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার অর্থাৎ জনপ্রিয় জিনিস হল প্রেম।

৫০.”..আমাদের একটা লভ সিন করা উচিত।” – কেন বক্তা এ কথা বলেছেন ?

উত্তরঃ বক্তা তৃপ্তি মিত্রের মতে, প্রেম হল পৃথিবীর সবচেয়ে পপুলার জিনিস। তাই একটা প্রেমের দৃশ্যের অভিনয় করলে সকলের হাসি পাবে বলে তার মত।

৫১.”বায়ােস্কোপে দেখেছি।”—বায়ােস্কোপে কী দেখার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকের অন্যতম অভিনেতা অমর গাঙ্গলি বায়ােস্কোপে লভ সিন’ বা প্রেমের দৃশ্য দেখার কথা বলেছেন।

৫২.”…আমাদের দরকার একজন নায়ক এবং একজন নায়িকা।” -কী জন্য এই দরকার ?

উত্তরঃ নাটকে ‘লভ সিন’ বা প্রেমের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য একজন নায়ক ও নায়িকার দরকার বলে ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্র মন্তব্য করেছেন।

৫৩.”..অনেকদিন থেকে আমাদের দলে রয়েছে।” – কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে ‘বহুরূপী’ নাট্যগােষ্ঠীতে ‘বৌদি’ বলে পরিচিত তৃপ্তি মিত্র সম্পর্কে মন্তব্যটি করা হয়েছে।

৫৪.”..অনেকদিন থেকে আমাদের দলে রয়েছেন।”- এই দল বলতে কোন দলের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘এই দল’ বলতে ‘বহুরূপী’ নাট্যগােষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে।

৫৫.“বৌদির কথা শুনে সে স্পষ্টত হতাশ।”- কার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকের সহ অভিনেতা অমর গাঙ্গুলি ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্রের কথা শুনে হতাশ হয়েছিলেন।

৫৬.“বৌদির কথা শুনে সে স্পষ্টত হতাশ।”- এই হতাশার কারণ কী ?

উত্তরঃ ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্র ‘বিভাব’ নাটকে শম্ভু মিত্রকে ‘লভ সিন’-এর নায়ক হিসেবে নির্বাচন করলে অমর গাঙ্গুলি হতাশ হন।

৫৭.”আমাকে অবশ্য মানায় ভালাে…” -কীসের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে ‘লভ সিন’ বা প্রেমের দৃশ্যে নায়ক হিসেবে নিজের গ্রহণযােগ্যতা প্রসঙ্গে শম্ভু মিত্র মন্তব্যটি করেছেন।

৫৮.”আমাকে অবশ্য মানায় ভালাে” -কাকে, কোন্ চরিত্রে মানায় ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকের নাট্যকার শম্ভু মিত্র মজা করে বলেছেন যে, তাকে নায়কের চরিত্রে মানায় ভালাে।

৫৯.”কেয়া আপ দেখতে নেহি…” -কখন বক্তা এই মন্তব্য করেন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে শম্ভু মিত্রের সঙ্গে তৃপ্তি মিত্রের ধাক্কা লাগলে ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্র মন্তব্যটি করেন।

৬০.শম্ভু মিত্র ‘বিভাব’ নাটকের ‘লভ সিন’-কে কেন বলেছেন জখমি লভ সিন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে লভ সিন করতে করতে ঘটনা পরম্পরায় তৃপ্তি মিত্র নায়ক শম্ভুর গালে একটা চড় বসিয়ে দিয়েছিলেন বলে শম্ভু মিত্র একে জখমি ‘লভ সিন’ বলেছেন।

৬১.’বিভাব’ নাটকের নেপথ্যে কোন গানটি শােনা গিয়েছিল ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকের নেপথ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মালতী লতা দোলে’ গানটি শােনা গিয়েছিল।

৬২.”রাস্তায় তাদের দুজনের ধাক্কাধাক্কি হবে।” -কাদের ধাক্কাধাক্কি হবে ?

উত্তরঃ রাস্তায় কলেজফেরত নায়িকা তৃপ্তি মিত্রের সঙ্গে নায়ক শম্ভু মিত্রের ধাকাধাকি হবে।

৬৩.”খালি সে ধাক্কা দিয়ে বেড়ায়”—কে খালি ধাক্কা দিয়ে বেড়ায় ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে বলা হয়েছে যে, নায়ক খালি ধাক্কা দিয়ে বেড়ায়।

৬৪.”বিশ্বভারতীই কি পারমিশন দেবে?” -কীসের পারমিশন ?

উত্তরঃ শত্রু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটক থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটিতে ‘মালতী লতা দোলে’ রবীন্দ্রসংগীতটি ফিল্মি কায়দায় গাওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর পারমিশন বা অনুমতি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৬৫.”Box office বলেও তাে একটা কথা আছে” -বক্তা কখন কথাটি বলেছিলেন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে ‘মালতী লতা দোলে’ রবীন্দ্রসংগীতটি ফিল্মি কায়দায় গাওয়া নিয়ে শঙ্তু মিত্র আপত্তি করলে নেপথ্যের হারমােনিয়ামবাদক কথাটি বলেছিলেন।

৬৬.”আচ্ছা আমি আর একটা চেষ্টা করব ?”— এই চেষ্টা কীসের জন্য ?

উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বক্তা তৃপ্তি মিত্র দর্শকদের হাসানাের জন্য ‘প্রগ্রেসিভ লভ সিন’-এ অভিনয়ের চেষ্টার কথা বলেছেন।

৬৭.’বিভাব’ নাটকে ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্রের কথিত ‘লভ সিন’-এর সঙ্গে ‘প্রগ্রেসিভ লভ সিন’-এর পার্থক্য কী ছিল ?

উত্তরঃ ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দুটি দৃশ্যের মধ্যে ‘লভ সিন’-এ শুধুমাত্র নায়ক নায়িকা থাকলেও ‘প্রগ্রেসিভ লভ সিন’-এ তাদের সঙ্গে একজন পুলিশও ছিল।

৬৮.”যুগটা কী দেখুন!”—কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এ কথা বলেছেন ?

উত্তরঃ হাসির দৃশ্য তৈরির ক্ষেত্রে একটি ‘লভ সিন’ ব্যর্থ হওয়ার পরে তৃপ্তি মিত্র যখন আর-একটা লভ সিন করার কথা বলেন, তখন তাতে শম্ভু মিত্র বিস্ময় প্রকাশ করলে অমর গাঙ্গুলি মন্তব্যটি করেন।

৬৯.“…তা হলে তুমি তাে একেবারে সার্জেন্ট হয়ে যাবে।” -বক্তার এই মন্তব্যের কারণ কী ?

উত্তরঃ পুলিশের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩২ ইঞ্চি বুক দরকার হলেও অমর গাঙ্গুলির ৩৩ ইঞ্চি বুক শুনে বক্তা শম্ভু মিত্র ব্যঙ্গার্থে এ কথা বলেন।

৭০.”..তােমাকে ধরবে না তাে কাকে ধরবে ?”—’বিভাব’ নাটকে এই মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্র বলেছেন যে, শম্ভু মিত্র যেহেতু একজন ‘underground political leader’ বা আত্মগােপনকারী রাজনৈতিক নেতা তাই পুলিশ তাকে ধরবেই।

৭১.নায়ক-নায়িকা ছাড়া প্রােগ্রেসিভ লভ সিনে আর কোন্ চরিত্রের দরকার ছিল ?

উত্তরঃ নায়ক-নায়িকা ছাড়া প্রােগ্রেসিভ লভ সিনে একজন পুলিশ চরিত্রের দরকার ছিল।

৭২.”আমি পুলিশ মানে এই চেহারায়?”— অমর গাঙ্গুলি তার এই কথার কী উত্তর পেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্র উত্তর দিয়েছিলেন যে, ৩২ ইঞ্চি বুক হলেই পুলিশ হওয়া যায়।

৭৩.”আর তার নীচের দিয়েই তাে একটা রাস্তা আছে?”—এই রাস্তাটার নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত এই রাস্তার নাম ছিল মণি সমাদ্দার লেন।

৭৪.”গল্পটা progressive হয় কী করে?”—গল্পকে প্রগ্রেসিভ হতে গেলে কী করা প্রয়ােজন ?

উত্তরঃ গল্পকে প্রােগ্রেসিভ করতে গেলে গল্পের নায়ককে আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিকাল লিডার করে তাতে রাজনৈতিক তাৎপর্য আনা প্রয়ােজন।

৭৫.“ওগাে, তুমি পালাও…”—কোথা দিয়ে বৌদি পালাতে বলেছে ?

উত্তরঃ ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্র সিঁড়ি দিয়ে না গিয়ে আত্মগােপনকারী রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে অভিনয়কারী শম্ভু মিত্রকে জানলা দিয়ে পালাতে বলেছিলেন।

৭৬.’বিভাব’ নাটকে শম্ভু মিত্র বার্নড় শ-এর কোন্ ডায়লগটা আবৃত্তি করেছিলেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্র বার্নড শ-এর নাটকের যে অংশটুকু আবৃত্তি করেছিলেন—“The night is calling me-me-me-“.

৭৭.”আমি তাে চললাম আবার দেখা হয় কিনা কে জানে…’, ” -কোন্ নাটকের উক্তি ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত এই উক্তিটি তুলসী লাহিড়ির পথিকনাটকের।

৭৮.“হাসি তাে পাবেই” -বক্তার এ কথা বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ অমর গাঙ্গুলি বলতে চেয়েছিলেন যে, যেহেতু শম্ভু মিত্র নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তাই তার হাসি পাওয়া প্রত্যাশিতই ছিল।

৭৯.“বৌদি রেগে স্টেজ থেকে চলে যান—” এই রাগের কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ বউদির নির্দেশনায় ‘প্রগ্রেসিভ লভ সিন’-ও যথেষ্ট হাসির উদ্রেক করতে পারেনি; অমর গাঙ্গুলি এ কথা বলায় ক্রুদ্ধ হয়ে বউদি অর্থাৎ তৃপ্তি মিত্র স্টেজ থেকে চলে যান।

৮০.”মা ব্রুয়াৎ সত্য অপ্রিয়”—কথাটির বাংলা কী ?

উত্তরঃ “মা ব্রুয়াৎ সত্যম্ অপ্রিয়”—কথাটির বাংলা তরজমা হল—অপ্রিয় সত্য বােলাে না।

৮১.অমর গাঙ্গুলিকে স্কুলের হেডপণ্ডিত পােমােশন দেননি কেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে স্কুলের হেডপণ্ডিত অমর গাগুলিকে প্রােমােশন দেননি, কারণ তিনি সংস্কৃতে তেরাে পেয়েছিলেন।

৮২.“মুখে ভীষণ চিন্তা”—এই চিন্তার কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ একাধিক চেষ্টার পরেও উপযুক্ত হাসির নাটক তৈরি করতে না পেরে শস্তু মিত্র ও অমর গাঙ্গুলি চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।

৮৩.”সুতরাং চলােবাইরে…”—এই বাইরে যাওয়ার দরকার কী ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের মতে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না, তাই সম্পাদকের চাহিদা অনুযায়ী হাসির উপাদান খুঁজতে বাইরে যেতেই হবে।

৮৪.“চলুন—যাওয়া যাক”— কোথায় যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ জীবনের সন্ধানে ঘরের চার দেয়ালের ভিতর থেকে বাইরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৮৫.”…ওদের ক্রস করে চলে যায়।” -কার চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ একজন লােক একটা মােটর আঁকা ছবি ধরে মুখে হর্নের আওয়াজ করতে করতে শম্ভু মিত্র ও অমর গাগুলিকে অতিক্রম করে চলে যায়।

৮৬.“দেখেছ, ইংরেজ কোম্পানি কিনা…”— কী দেখে এই মন্তব্য করা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে মঞ্চেলাইন ধরে ট্রাম চলার দৃশ্যের অভিনয় করা হলে সেই কাল্পনিক চলন্ত ট্রামের দিকে তাকিয়ে শম্ভু মিত্র মন্তব্যটি করেন।

৮৭.”হঠাৎ পেছন থেকে শােভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজ শােনা যায়।” -কীসের জন্য এই শােভাযাত্রা হচ্ছিল ?

উত্তরঃ চাল আর কাপড়ের দাবি জানিয়ে “বিভাব’ নাটকে এই শােভাযাত্রা হচ্ছিল।

৮৮.”এই নিয়ে নাটক লেখাে–দেখাে, পুলিশেও ছাড়বে না, আর লােকেও দেখবে না।” -কীসের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ খাদ্য আর বস্ত্রের দাবি জানিয়ে ‘বিভাব’ নাটকে রাস্তা দিয়ে যে মিছিল আসছিল এখানে তারই কথা বলা হয়েছে।

৮৯.“এইরে—পুলিশ আসছে। লাগল ঝঞ্জাট।”— পুলিশ আসছিল কেন ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে চাল আর কাপড়ের দাবিতে মানুষের মিছিলকে আটকাতে পুলিশ আসছিল।

৯০.পুলিশ আসতে দেখে শম্ভু মিত্র, অমর গাঙ্গুলি কী করেছিলেন ?

উত্তরঃ পুলিশ আসতে দেখে শম্ভু মিত্র ও অমর গাঙ্গুলি হাত ধরাধরি করে ডানদিকে পিছনের উইং দিয়ে পালিয়ে যান।

৯১.”সামনের কয়েকজন হাতটা উঁচু করে থাকে।” -তারা কী ইঙ্গিত করছিল ?

উত্তরঃ উঁচু করে ধরে রাখা হাত ইঙ্গিত করছিল যে, তাদের হাতে ফেস্টুন বা পতাকা-জাতীয় কিছু ধরা আছে।

৯২.”একজন সার্জেন্ট এবং দুজন পুলিশ অফিসার ঢােকে।”—এই সার্জেন্টের বিশেষত্ব কী ছিল ?

উত্তরঃ সার্জেন্টের পরনে একটি ক্রস বেল্ট ছিল, যা তার সঙ্গে পুলিশদের পার্থক্য তৈরি করেছিল।

৯৩.“তােমরা ফিরে যাও।” -কাদের উদ্দেশ্য করে কে এই মন্তব্যটি করেছেন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটকে চাল আর কাপড়ের দাবি জানিয়ে মিছিল করে আসা মানুষদের উদ্দেশ্য করে পুলিশ সার্জেন্ট মন্তব্যটি করেছেন।

৯৪.”পুলিশেরা বসে পড়ে-এবং কল্পিত বন্দুক তাগ করে ধরে…”— পুলিশরা কেন এইরূপ আচরণ করে ?

উত্তরঃ সার্জেন্টের নির্দেশমতাে চাল-কাপড়ের দাবিতে মিছিল করে যাওয়া মানুষেরা ফিরে যেতে না চাইলে সার্জেন্টের নির্দেশে পুলিশরা বন্দুক তাগ করে।

৯৫.”অমর দৌড়ে ঢােকে” – কখন অমর গাঙ্গুলিকে এভাবে দেখা যায় ?

উত্তরঃ পুলিশের গুলিচালনার পরে মঞ্চে যখন হাহাকার আর গােঙানির শব্দ শােনা যায়, আর পুলিশেরা চলে যায়—তখনই অমর গাঙ্গুলি দৌড়ে মঞ্চে আসেন।

রচনাধর্মী (Essay Type) প্রশ্নোত্তর | বিভাব (নাটক) শম্ভু মিত্র – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer

১. ‘বিভাব’ নাটকে নাট্যরীতির যে নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে তা আলোচনা করো।

উত্তরঃ বাংলা নাট্যজগতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং ‘বহুরুপী নাট্যগোষ্ঠীর প্রাণপুরুষ শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ একটি ভিন্ন স্বাদের একাঙ্কিকা। স্বয়ং শম্ভু মিত্রের ভাষায় নাটকটির জন্ম ‘দুরন্ত অভাব থেকে।’ বস্তুত, নাটকটি সৃষ্টির পিছনে ‘বহুরূপী’-র আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যহীনতা তো নিশ্চয়ই একটা কারণ। ‘নাটক করবার বোকামিটা’ ছাড়া ভালো স্টেজ, সিনসিনারি, আলো, ঝালর কিছুই তাদের ছিল না। তার উপরে ছিল সরকারি করের বোঝা। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই একটা ‘প্যাঁচ’ বের করতে হয়েছিল, যেখানে নিদেন একটা প্ল্যাটফর্ম বা ক্ষেত্র থাকলেই অভিনয় করা যাবে—সিনসিনারি, দরজা-জানলা, টেবিল-বেঞ্চি কোনো উপকরণই লাগবে না।

এ তো গেল একটা দিক। কিন্তু এ কথা ভুললে চলবে না, নাট্য অভিনয়, নাট্য-রচনা ও পরিচালনার পাশাপাশি শম্ভু মিত্র নাটক নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন। যার ফল হল ওয়ার্কশপধর্মী এই একাঙ্কিকা। তিনি পুরোনো বাংলা নাটক, প্রাদেশিক নাটক, এমনকি বিদেশি নাটক পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন কোনোরকম নাট্য-উপকরণ, সাজসজ্জা, জৌলুস, আলো, ঝালর ছাড়াই কেবল ভঙ্গির প্রয়োগে দর্শকের মনের রস নিষ্পত্তি ঘটানো যায়। তিনি উড়ে দেশের যাত্রা, মারাঠি লোকনাট্য, জাপানি কাবুকি থিয়েটার প্রভৃতির থেকে নির্যাস গ্রহণ করে সৃষ্টি করলেন ভঙ্গি প্রধান নাটক ‘বিভাব’। সেখানে কোনোরকম উপকরণের ব্যবহার তো রাখলেনই না, উপরন্তু নাটকের চরিত্ররাও বাস্তব জীবনের পরিচিতি নিয়েই উপস্থিত হলেন। কখনও নাটকের নায়ক-নায়িকা কখনও বাস্তব চরিত্র—উভয় সত্তায় তাঁরা অনায়াস যাতায়াত রাখলেন। এইভাবে অভিনয়ে একাধিক স্তর প্রকাশ করে চলা নিঃসন্দেহে উপভোগ্য। নাট্যকর্মী ও পরিচালক শাঁওলী মিত্রের ভাষায়—“এর উপস্থাপনায় ও অভিনয় রীতিতে ‘অ্যাবসার্ড’ নাটকের ছায়া খুব স্পষ্ট।”

সেই সঙ্গে বলতে হয় সমাজ বাস্তবতার যথাযথ প্রতিফলনের পাশাপাশি নাট্য সৃষ্টির পিছনে নাট্যকর্মীদের যে আন্তরিক নিষ্ঠা ও প্রয়াস ক্রিয়াশীল থাকে তা দর্শকের বোধের কাছে খুব সুন্দরভাবে পৌঁছে দিয়েছেন নাট্যকার। এখানেই এই অভিনব নাট্যরীতির সার্থকতা।

২. “তাই অনেক ভেবেচিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি।”– এখানে যে প্যাঁচের কথা বলা হয়েছে তার বিবরণ দাও। নাট্যকার এত ভাবনাচিন্তা কেন করেছিলেন ?

উত্তরঃ প্রখ্যাত নাট্যকার শম্ভু মিত্র তাঁর প্রখ্যাত একাঙ্কিকা ‘বিভাব’-এর প্রাক্ ভাষণ অংশে নাট্যাভিনয়ের অভিনব রীতিপদ্ধতি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। ‘বিভাব’ নাটকটিকে মঞ্চস্থ করার পদ্ধতি বিষয়ে এক বিশেষ ‘প্যাঁচ’-এর আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নাট্যকারের বক্তব্য অনুযায়ী, নাটক পরিবেশনার জন্য অঢেল উপকরণ, বিশালকায় নাট্যমঞ্চ কিংবা সাজসজ্জা নিষ্প্রয়োজন। যে-কোনো রকম একটা প্ল্যাটফর্ম হলেই ‘বিভাব’ নাটক অভিনয় করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে নাটকের কুশীলব বৃন্দ আপন অভিনয়গুণেই বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির দ্বারা অনুপস্থিত বস্তু সামগ্রীর প্রতীতি সৃষ্টি করে এই স্বয়ংসম্পূর্ণ নাটক পরিবেশন করতে পারে।

গণনাট্য সংঘ থেকে পৃথক হওয়ার পর নাট্যকার শম্ভু মিত্র যখন বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীর সূত্রপাত ঘটান তখন তাদের প্রভূত অর্থাভাবের সম্মুখীন হতে হয়। নাট্যকারের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের ‘বিভাব’ নাটকটিরও জন্ম ‘দুরন্ত অভাব’ থেকে। সে সময় তাদের না ছিল কোনো ভালো স্টেজ, না ছিল সিনসিনারি, আলোকসজ্জা, ঝালর কিংবা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসমূহ। নাট্যকারের মন্তব্যানুযায়ী— “থাকবার মধ্যে আছে কেবল নাটক করবার বোকামিটা।” কিন্তু সরকারি কর্তৃপক্ষ বিচিত্র সাঁড়াশি ভঙ্গিতে বলপূর্বক কর আদায় করত। নাট্যকার জানান সরকারের সেই অত্যাচারের প্রেক্ষিতে বহু কষ্টে জোগাড় করা অর্থটুকুও তাদের হস্তচ্যুত হত এবং— “আমরা সর্বস্ব দিয়ে থুয়ে আবার ‘ব্যোমকালী’ বলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি।” তবে অনাচার ও শোষণ যতই প্রবল হোক না কেন অভিনয়ের উন্মত্ত বাসনা তাদের অন্তর থেকে দূরীভূত হতে পারেনি। তাই তাঁরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিয়মের এই ‘ফাঁক’-টির আবিষ্কার করেন। এই বিচিত্র কৌশলের প্রয়োগে তাঁরা একই সঙ্গে যেমন নাট্য-প্রদর্শনের ব্যয়ভারকে সংকুচিত করতে সমর্থ হন তেমনি সরকারি অনাচারেরও প্রতিকার বিধান করেন।

৩. “আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত ‘অভাব নাটক’।”– অভাবের চিত্র ‘বিভাব’ নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো ?

অথবা,

‘বিভাব’-এর মতো মঞ্চসজ্জা ও অন্যান্য নাট্য উপকরণ ছাড়া নাটক প্রযোজনার বাসনা বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীর মনে এল কীভাবে ?

উত্তরঃ শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটকের শুরুতেই স্বয়ং নাট্যকার শম্ভু মিত্রের জবানিতে অপেশাদার নাট্যগোষ্ঠীগুলির সমস্যার কথা ফুটে উঠেছে। গ্রুপ থিয়েটারগুলির নাট্য-প্রযোজনার আন্তরিক ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক ও অন্যান্য নাট্য-উপাদান, সর্বোপরি মঞ্চের অভাব বাধা হয়ে দাঁড়াত। তাই বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীর সংকটমোচনের প্রত্যাশায় ‘বিভাব’-এর মতো ব্যতিক্রমী নাট্যপ্রয়াস।

নাটক যে দীর্ঘ সংলাপ দিয়ে শুরু হয়েছে, সেখানেই শম্ভু মিত্র বলেছেন এ নাটকের নাম হওয়া উচিত ‘অভাব নাটক’। গ্রুপ থিয়েটারগুলির নাট্য-প্রযোজনার ক্ষেত্রে বড়ো বাধা ছিল নাট্যমঞ্চ ৷ যে কয়টি সরকারি বা বেসরকারি নাট্যমঞ রয়েছে সেগুলি বহুরূপীর মতো নাট্যদলকে কেউ ভাড়া দিতে চান না। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা প্রদান তো দুরের কথা, উপরস্তু থাকে করের বোঝা।

সেই সঙ্গে প্রচলিত ধারায় নাট্য প্রযোজনার ক্ষেত্রে যেসব সিনসিনারি, আলো, ঝালর ইত্যাদি প্রয়োজন সেগুলিও এদের ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে ‘বিভাব’-এর মতো নাট্য-প্রযোজনার ভাবনা মাথায় এল বহুরূপী গোষ্ঠীর। এ নাটকে স্টেজের দরকার হবে না, দরজা, জানালা, সিনসিনারি কিছুই দরকার হবে না—একটা যে কোনো রকম প্ল্যাটফর্ম হলেই চলবে। সর্বোপরি, এরকম প্রযোজনার জন্য সরকার খাজনা আদায়ের খাতা হাতে হাজিরও হবে না।

৪. “বুদ্ধিটা কী করে এল তা বলি।”– কোন্ বুদ্ধিটার কথা বলা হয়েছে ? কীভাবে সেই বুদ্ধিটা বক্তার মাথায় এলো ?

অথবা,

“যথেষ্ট মঞ্চসজ্জা বা উপকরণ ছাড়া নাট্যবক্তব্য প্রকাশ সম্ভব”– এ বক্তব্যের সমর্থনে ‘বিভাব’ নাটকে দেশি-বিদেশি যে সকল দৃষ্টান্ত রয়েছে তার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটকে উক্তিটি করেছেন নাট্যকার শম্ভু মিত্র স্বয়ং। অপেশাদার নাট্যদল বহুরূপী নাট্য- প্রযোজনার ক্ষেত্রে যে সকল বাধার সম্মুখীন হয়েছিল সেগুলির সমাধানকল্পে এক ভিন্ন ধারার নাট্য-প্রযোজনার ভাবনার কথা এখানে বলা হয়েছে। এই ভাবনা অনুযায়ী প্রচলিত মঞ্চ, মঞ্চসজ্জা এসবের প্রয়োজন হবে না, যে-কোনো রকম একটা প্ল্যাটফর্ম হলেই এ নাটক উপস্থাপন করা যাবে।

শম্ভু মিত্র এরকম ভিন্ন রীতির ভাবনার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন দেশি ও বিদেশি কিছু উদাহরণ থেকে।

যেমন—পুরোনো কোনো এক বাংলা নাটকে লেখা আছে— ‘রাজা রথারোহণম নাটয়তি’—অর্থাৎ রাজা রথে আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন। রথ বা ঘোড়ার উপস্থিতি ছাড়াই দর্শকরা মনে করলেন রাজা রথে চড়লেন।

ওড়িশার এক নাটকে রাজা দূতকে বললেন—“তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি।” –দূত অমনি দুই পায়ের ফাঁকে একটা লাঠি গলিয়ে ঘোড়ায় চড়ার ভঙ্গি করল। দর্শক অত্যন্ত গম্ভীরভাবে মেনে নিল যে, দূত ঘোড়ায় চড়ে গেল এবং ফিরে এল।

আবার, মারাঠি তামাশায় দেখা গেল যে, জমিদারের কাছে চাষি অনেক কাকুতিমিনতি করার একটু পরেই মঞ্চের অন্য কোণে যখন ভগবানের কাছে নালিশ জানাতে গেল তখন সেই জমিদার অভিনেতাই মঞ্চের উপরে দাড়িগোঁফ লাগিয়ে ধর্মীয় তর্জন শুরু করে দিল। এমনকি মাঠ ভরতি দর্শক তা মেনেও নিল।

কিন্তু শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিদেশেও অভিনয়ে ভঙ্গির বহুল ব্যবহার লক্ষ করা যায়। রুশ চিত্র পরিচালক আইজেন স্টাইনের লেখা পড়ে জানা যায়, জাপানি কাবুকি থিয়েটারে Perspective রচনার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়। একজন নাইট যখন স্টেজে এগোচ্ছেন তখন দুজন শিফটার মস্ত দুর্গদ্বার ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে, এরপর নাইটের এগিয়ে যাওয়ার Perspective তৈরির জন্য নাইট সামান্য এগোলেই শিফটারদের দ্বারা দুর্গদ্বারের আকৃতি ক্রমান্বয়ে ছোটো হচ্ছে। অর্থাৎ, এইভাবে ধারের আকৃতি ছোটো করে নাইট কতদূর এসে পৌঁছেছেন তা বোঝানো হল।

এ সমস্ত দেশি-বিদেশি উদাহরণ থেকে শম্ভু মিত্র ‘’বিভাব’-এর মতো মঞ্চসজ্জাহীন, নাট্য-উপকরণহীন নাটক উপস্থাপনার ভাবনায় উৎসাহিত হয়েছিলেন।

৫. “আর একবার এক মারাঠি তামাশায় দেখেছিলাম” মারাঠি তামাশা’ বলতে কী বোঝো ? সেই তামাশায় নাট্যকার কী দেখেছিলেন ?

উত্তরঃ মারাঠি তামাশা হল মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্যের একটি বিশেষ রূপ। এই বিশেষ লোকনাট্য নৃত্যগীত সহযোগে মহারাষ্ট্রের স্থানীয় অথবা ভ্রাম্যমাণ নাট্যগোষ্ঠীর দ্বারা প্রদর্শিত হয়ে থাকে। এগুলি সাধারণত বিভিন্ন সামাজিক অসংগতি ও জীবনের বিবিধ অভিব্যক্তিকে মনোরঞ্জনকারী ভঙ্গিতে জনসমক্ষে তুলে ধরত। মহারাষ্ট্রে মূলত দু-ধরনের তামাশা অভিনীত হয়ে থাকে—‘ঢোলাকি ফাদচা’ তামাশা ও ‘সংগীত বারিচা’ তামাশা। নৃত্য-গীত-অভিনয় সহযোগে প্রদর্শিত এক পূর্ণাঙ্গ শিল্পরীতি হল ‘ঢোলাকি ফাদচা’ তামাশা। ঐতিহ্যবাহী মারাঠি তামাশার প্রাচীন ধারায় ‘নাচ্যা’ নামাঙ্কিত অংশে নৃত্যে পারদর্শী ছেলেরাই সাধারণত মেয়ের ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হত। বর্তমানে অবশ্য মেয়েরাও তামাশায় অংশগ্রহণ করছে। এই তামাশাগুলির রচয়িতা তথা কবি নাটকগুলির সূত্র ধরে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

একদা এই মারাঠা তামাশা দর্শন কালেই নাট্যকার শম্ভু মিত্র দেখেন যে, বিশালকায় সজ্জিত মঞ্চ, সিনসিনারির প্রয়োগবাহুল্য ব্যতীতই স্বল্প সংখ্যক অভিনেতার অভিনয় সৌকর্যের দ্বারা নাটকের কথাবস্তুটি দর্শকমনে গ্রহণযোগ্যতা লাভে সমর্থ হয়েছে। নাট্যকার দেখেন অভিনীত মারাঠি তামাশার চাষি চরিত্রটি জমিদারের কাছে প্রবল কাকুতিমিনতি করেও জমিদারের অনুকূল্য লাভে ব্যর্থ হলে ব্যর্থ মনোরথে সে— ‘চলল মন্দিরে, ভগবানের কাছে নালিশ জানাতে।” তার ভগবানের কাছে যাওয়ার পদ্ধতিটি বড়োই অভিনব, চাষি স্টেজ থেকে বেরিয়ে না গিয়েই মঞ্চসদৃশ্য তক্তার উপরে কয়েকবার ঘুরপাক খায় ও গ্রাম অতিক্রম করার ভঙ্গি প্রদর্শন করে। এরপর সে কাল্পনিক এক মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে ভগবানের কাছে আপন মনোবেদনা নিবেদন করতে থাকে। সর্বোপরি, জমিদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ অভিনেতাটির দর্শকসমক্ষে দাঁড়িয়েই ‘দাড়ি গোঁফ এঁটে পুরুত সেজে’ চাষিটিকে ধর্মীয় জ্ঞান প্রদান করতে থাকে এবং “মাঠ ভর্তি লোক নিঃশব্দে এসব মেনে নিয়ে দেখলে।” মারাঠি তামাশায় নাট্যকার এই বিশেষ ধরনের নাট্যপ্রদর্শনরীতি প্রত্যক্ষ করেছিলেন।

৬. “এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না …।”— জীবনকে উপলব্ধি করার জন্য বক্তা কী করেছিলেন ? শেষে তার কীরূপ অভিজ্ঞতা হয় ?

উত্তরঃ নাট্যকার শম্ভু মিত্র শুধুমাত্র শৌখিন ইচ্ছাবশতই নাটক নির্মাণ বা নাট্যাভিনয় করতেন না। তিনি প্রকৃত অর্থে এমন শিল্প সৃষ্টি করতে চাইতেন যার দ্বারা দর্শকদের মনে বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করা যায়। তিনি জানতেন যে, জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েই সাহিত্যশৈলী পূর্ণাঙ্গ রূপে বিকশিত হতে পারে। তবে জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত সাহিত্য সৃষ্টির জন্য জীবনকে উপলব্ধি করা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রথমে সম্পাদকের প্রস্তাবক্রমে হাসির নাটক তৈরির জন্য হাসির খোরাক জোগাড় করতে অমর গাঙ্গুলির বাড়ি যান। সেখানে বউদি অর্থাৎ তৃপ্তি মিত্রর কথানুযায়ী দুটো লাভ সিন করেও তাঁরা হাসির সন্ধান পাননি। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি উপলব্ধি করেন জীবনকে সম্পূর্ণ রূপে অনুভব করার জন্য চার দেয়ালের বাইরে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে ও মনকে মুক্ত করতে হবে। তিনি অমর গাঙ্গুলিকে বলেন জীবন আছে—“রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে। … সুতরাং চলো–বাইরে—হাসির খোরাক, পপুলার জিনিসের খোরাক পাবে।” অর্থাৎ, জীবনের সন্ধান লাভের জন্য বক্তা শম্ভু মিত্র চার দেয়ালের বাইরে বিশ্ববাসীর মাঝে নিজেকে উন্মুক্ত করেন, তিনি বাইরে বেরিয়ে পড়েন।

জীবনের সন্ধানে বাইরে বেরিয়ে তাঁদের মনে হয় যান্ত্রিকতা ও কৃত্রিমতার নিষ্পেষণে জীবনও যেন শুকিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইংরেজ শাসনের ছায়া তাঁরা লক্ষ করেন প্রতিটি জিনিসে। এমতাবস্থায় হঠাৎ-ই তাঁরা এক নৃশংস দৃশ্যের দর্শক হয়ে ওঠেন। ‘চাল চাই, কাপড় চাই’–এই ধ্বনিতে মুখরিত একটি পতাকাধারী শোভাযাত্রার গতিরোধ করার জন্য সার্জেন্টের নির্দেশক্রমে পুলিশ শোভাযাত্রার সামনে থাকা একটি ছেলে ও মেয়েকে গুলিবিদ্ধ করে। রক্তমাখা এক মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে জীবনের ঘৃণ্যতম অভিজ্ঞতায় ভরে ওঠে দুই শিল্পীর মন।

৭. “নাঃ কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই।”—বক্তা কে ? কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই বলে বক্তা মনে করেছেন কেন ?

উত্তরঃ প্রখ্যাত নাট্যকার শম্ভু মিত্র তথা ‘বিভাব’ নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র শম্ভু আলোচ্য উক্তিটির বক্তা।

সাহিত্য সমাজের দর্পণ। সাধারণত, জীবনের যাবতীয় অনুভূতিই তার নিজস্ব রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ সহযোগে নাটকে সংবেশিত হয় ও সেই অনুভূতিই নাটকের কুশীলবদের অভিনয়গুণে দর্শক সমক্ষে পরিবেশিত হয়। শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকটিতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাবলি নাটকীয় ভঙ্গিতে এই নাটকে উপস্থাপিত হয়েছে। বহুরূপী নাট্যদলের নাটকের প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব সম্পর্কিত দীর্ঘ সংলাপের মধ্য দিয়ে যে নাটকের সূচনা তারই পরিসমাপ্তি এক চরম জীবনবোধের প্রকাশে। নাট্য-সম্পাদকের কথানুযায়ী হাসির নাটকের প্রধান উপাদান হাসির খোরাক জোগাড় করতে গিয়ে শম্ভু বাড়ির আবদ্ধ পরিবেশে দুটি প্রেমের দৃশ্য অভিনয় করে দেখেন। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক প্রেমের আবহ সৃষ্টি করেই হোক কিংবা তাতে পলিটিকাল সিগনিফিক্যান্স এনেই হোক কোনোভাবেই তাতে হাসির সন্ধান পাওয়া যায় না। তাই শেষ পর্যন্ত শম্ভু সিদ্ধান্ত নেন—“এই চার দেওয়ালের মধ্যে, এই ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না–হাসিও পাবে না। সুতরাং চলো— বাইরে—হাসির খোরাক, পপুলার জিনিসের খোরাক পাবে।” কিন্তু প্রকৃতির মাঝেও তিনি মুক্তির সন্ধান পাননি। তিনি লক্ষ করেন, অতিযান্ত্রিকতা সেখানেও জীবনের স্পন্দনকে অব্যাহত থাকতে দেয়নি। জীবনের কাননে যে হাসির ফুল ফোটে তা নিরস হয়ে গেছে বর্তমানের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে। তাই নাট্যকার কোথাও হাসির ও জীবনের খোরাক খুঁজে পাননি।

আরও পড়ুনঃ

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন্ ২০২৪

Leave a Reply