সপ্তম শ্রেণির ভূগোল– ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

আমাদের পৃথিবী
সপ্তম শ্রেণি ভূগোল

সপ্তম শ্রেণির ভূগোল– ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

1. সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

4. সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

5. সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

বহু বিকল্পভিত্তিক MCQ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

১. উচ্চতা গঠন এবং বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পৃথিবীতে প্রধানত কত রকমের ভূমিরূপ দেখা যায় ?
(ক) দুই রকম
(খ) তিন রকম
(গ) চার রকম
(ঘ) পাঁচ রকম

উত্তরঃ (খ) তিন রকম

২. উৎপত্তি অনুযায়ী পর্বত প্রধানত কয় ধরনের হয় ?
(ক) দুই রকম
(খ) তিন রকম
(গ) চার রকম
(ঘ) পাঁচ রকম

উত্তরঃ (খ) তিন রকম

৩. রকি পর্বতমালা যে দেশে অবস্থিত—
(ক) উত্তর আমেরিকা
(খ) এশিয়া
(গ) ইউরোপ
(ঘ) দক্ষিণ আমেরিকা

উত্তরঃ (ক) উত্তর আমেরিকা

৪. ভারতের হিমালয় একটি—
(ক) আগ্নেয় পর্বত
(খ) স্তূপ পর্বত
(গ) ভঙ্গিল পর্বত
(ঘ) ক্ষয়জাত পর্বত

উত্তরঃ (গ) ভঙ্গিল পর্বত

৫. ভূ আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে অনেক সময় ফাটল সৃষ্টি হয়। এর ফলে সৃষ্টি হয়—
(ক) ভঙ্গিল পর্বত
(খ) স্তূপ পর্বত
(গ) আগ্নেয় পর্বত
(ঘ) ক্ষয়জাত পর্বত

উত্তরঃ (খ) স্তূপ পর্বত

৫. ভারতের সাতপুরা হল একটি—
(ক) ভঙ্গিল পর্বত
(খ) আগ্নেয় পর্বত
(গ) ক্ষয়জাত পর্বত
(ঘ) স্তূপ পর্বত

উত্তরঃ (ঘ) স্তূপ পর্বত

৬. লাভা সঞ্চিত হয়ে সৃষ্টি হয়—
(ক) ক্ষয়জাত পর্বত
(খ) ভঙ্গিল পর্বত
(গ) স্তূপ পর্বত
(ঘ) আগ্নেয় পর্বত

উত্তরঃ (ঘ) আগ্নেয় পর্বত

৭. অনেকগুলো পর্বতশ্রেণি বিভিন্ন দিক থেকে এক জায়গায় এসে মিশলে, তাকে বলে–

(ক) পর্বতগ্রন্থি
(খ) পর্বতশ্রেণি
(গ) পর্বতশৃঙ্গ
(ঘ) মাউন্ট

উত্তরঃ (ক) পর্বতগ্রন্থি

৮. ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া একটি—
(ক) ভঙ্গিল পর্বত
(খ) স্তূপ পর্বত
(গ) আগ্নেয় পর্বত
(ঘ) ক্ষয়জাত পর্বত

উত্তরঃ (গ) আগ্নেয় পর্বত

৯. দুটো পর্বতচূড়ার মাঝখানের নিচু খাতের মতো অংশটা হলো—
(ক) পর্বত শৃঙ্গ
(খ) পর্বত উপত্যকা
(গ) ভাঁজ পর্বত
(ঘ) কোনটিই নয়

উত্তরঃ (খ) উপত্যকা

৭. জাপানের ফুজিয়ামা হল একটি—
(ক) স্তূপ পর্বত
(খ) আগ্নেয় পর্বত
(গ) ভঙ্গিল পর্বত
(ঘ) ক্ষয়জাত পর্বত

উত্তরঃ (খ) আগ্নেয় পর্বত

৮. লাভা মালভূমি হল একটি—
(ক) সঞ্চয়জাত মালভূমি
(খ) ক্ষয়জাত মালভূমি
(গ) ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি
(ঘ) মহাদেশীয় মালভূমি

উত্তরঃ (ক) সঞ্চয়জাত

৯. যেসব উচ্চভূমির চারদিকের ঢাল বেশ খাড়া কিন্তু ওপরটা সমতল অর্থাৎ কিছুটা টেবিলের মতো, তাদের বলে—
(ক) পর্বত
(খ) পাহাড়
(গ) মালভূমি
(ঘ) সমভূমি

উত্তরঃ (গ) মালভূমি

১০. পৃথিবীর স্থলভাগের অধিকাংশই—
(ক) সমভূমি
(খ) মালভূমি
(গ) পার্বত্যভূমি
(ঘ) পাহাড়ি অঞ্চল

উত্তরঃ (খ) মালভূমি

১১. মালভূমির অপর নাম—
(ক) বিলডারল্যান্ড
(খ) কমপাউন্ড ল্যান্ড
(গ) পোল্ডারল্যান্ড
(ঘ) টেবিলল্যান্ড

উত্তরঃ (ঘ) টেবিলল্যান্ড

১২. পৃথিবীর ছাদ বলা হয়—
(ক) তিব্বত মালভূমিকে
(খ) লাদাখ মালভূমিকে
(গ) পামির মালভূমিকে
(ঘ) দাক্ষিণাত্যের মালভূমিকে

উত্তরঃ (গ) পামির মালভূমিকে

১৩. বায়ুবাহিত বালি বহু দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হলে সৃষ্টি হয়—
(ক) পলি সমভূমি
(খ) লোয়েস সমভূমি
(গ) উপকূলীয় সমভূমি
(ঘ) লাভা সমভূমি

উত্তরঃ (খ) লোয়েস সমভূমি

১৪. সর্বাধিক জনঘনত্ব দেখা যায়—
(ক) মালভূমি অঞ্চলে
(খ) পার্বত্য অঞ্চলে
(গ) পাহাড়ি অঞ্চলে
(ঘ) সমভূমি অঞ্চলে

উত্তরঃ (ঘ) সমভূমি অঞ্চলে

শূন্যস্থান পূরন করো | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

১. পৃথিবীর সমস্ত রকম ভূমিরূপ মূলত ________ রকম শক্তি দ্বারা তৈরি হয়েছে।

উত্তরঃ দুই

২. ইউরোপের আল্পস পর্বত হলো একটি _______ পর্বত।

উত্তরঃ ভঙ্গিল।

৩. ভারতের সাতপুরা একটি _________ পর্বত।

উত্তরঃ স্তূপ।

৪. পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় চার ভাগের _________ ভাগ পর্বতময়।

উত্তরঃ এক

৫. দুটো পর্বত চূড়ার মাঝখানের নিচু খাতের মতো অংশটা হল __________।

উত্তরঃ পর্বত উপত্যকা।

৬. আগ্নেয়গিরির _________জমে লাভা সমভূমি গঠিত হয়।

উত্তরঃ লাভা

৭. পৃথিবীর বেশিরভাগ সমভূমি _________ পলি সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তরঃ নদনদীর।

৮. মালভূমির উপরিভাগ _________ প্রকৃতির।

উত্তরঃ চ্যাপটা ও সমতল।

৯. নদীমাতৃক সভ্যতা _________-তে গড়ে ওঠে।

উত্তরঃ সমভূমি।

১০. নদী উপত্যকা দ্বারা বিভক্ত মালভূমিকে _________ মালভূমি বলে।

উত্তরঃ ব্যবচ্ছিন্ন।

১১. জাপানের ফুজিয়ামা হল একটি ________ পর্বত।

উত্তরঃ আগ্নেয়।

১২. যেসব উচ্চভূমির চারদিকের ঢাল বেশ খাড়া কিন্তু ওপরটা সমতল অর্থাৎ কিছুটা টেবিলের মতো, তাদের বলে _________।

উত্তরঃ মালভূমি।

১৩. হিমালয় একটি ________ পর্বত।

উত্তরঃ ভঙ্গিল।

১৪. লাভা মালভূমি হল একটি _________ মালভূমি।

উত্তরঃ সঞ্চয়জাত।

সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

১. ভূপৃষ্ঠ অনেকগুলো ছোট বড় পাত নিয়ে গঠিত।

উত্তরঃ সত্য।

২. পাত দুটোর প্রবল চাপে মাঝখানের ভূভাগ ভাঁজ খেয়ে উঁচু হয়ে উঠে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ সত্য।

৩. জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট একটি আগ্নেয় পর্বত।

উত্তরঃ মিথ্যা । ( স্তূপ পর্বত)

৪. পর্বতের উপরের দিকের সরু সূচালো অংশটা হল পর্বত গ্রন্থি।

উত্তরঃ মিথ্যা। (পর্বত শৃঙ্গ)

৫. লোয়েস সমভূমি মরু অঞ্চলে দেখা যায়।

উত্তরঃ সত্য।

৬. পাহাড়ের বিস্তৃতি পর্বতের চেয়ে অনেক বেশি।

উত্তরঃ মিথ্যা।

৭. পর্বতের উচ্চতা সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 900 মিটারেরও বেশি হয়।

উত্তরঃ সত্য

৮. পর্বতের একটিমাত্র শৃঙ্গ থাকে।

উত্তরঃ মিথ্যা

৯. সমভূমি অঞ্চল উর্বর প্রকৃতির হয়।

উত্তরঃ সত্য

১০. পর্বতের আকার গম্বুজের মতো হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা

১১. ভূপৃষ্ঠে ফাটলের ফলেই স্তূপ পর্বত সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ সত্য

১২. পৃথিবীর ভিতরকার ও বাইরের শক্তির প্রভাবে সকলপ্রকার সমভূমি সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ সত্য

১৩. আগ্নেয়গিরির লাভা জমে লাভা সমভূমি গঠিত হয়।

উত্তরঃ সত্য।

১৪. জাপানের ফুজিয়ামা হল একটি ভঙ্গিল পর্বত।

উত্তরঃ মিথ্যা। (আগ্নেয় পর্বত)

১৫. মাউন্ট এভারেস্ট হল একটি পর্বতগ্রন্থি।

উত্তরঃ মিথ্যা। (পর্বত শৃঙ্গ)

এক কথায় উত্তর দাও | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

১. ভূত্বক যে অনেকগুলি ছোটো-বড়ো খণ্ড নিয়ে গঠিত সেই খণ্ডগুলিকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ পাত বা প্লেট।

২. ভূগর্ভের লাভা ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে এসে যে বিস্তৃত সমতল ভূমিরূপ সৃষ্টি করেছে, তাকে কী বলে ?

উত্তরঃ লাভাগঠিত সমভূমি।

৩. নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন মালভূমিকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি।

৪. নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গের শক্তি এগুলি কী ধরনের শক্তি ?

উত্তরঃ বহির্জাত শক্তি।

৫. পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমির নাম কী ?

উত্তরঃ সাইবেরীয় সমভূমি।

৬. ভারতের একটি পলিগঠিত সমভূমির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ গাঙ্গেয় সমভূমি।

৭. অনেকগুলি পর্বতের শ্রেণিবদ্ধভাবে অবস্থানকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ পর্বতশ্রেণি।

৮. কোন্ পর্বত আগে অনেক উঁচু ছিল, কিন্তু এখন ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নীচু হয়ে গেছে ?

উত্তরঃ ক্ষয়জাত পর্বত।

৯. দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের একটি ভঙ্গিল পর্বতের নাম লেখো।

উত্তরঃ আন্দিজ।

১০. দুটি ফাটলের মধ্যবর্তী অংশ পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে ওপরে উঠে গিয়ে কোন্ পর্বত সৃষ্টি করে ?

উত্তরঃ স্তূপ পর্বত।

১১. পৃথিবীর বৃহত্তম মালভূমির নাম কী ?

উত্তরঃ তিব্বত মালভূমি।

১২. পৃথিবীর সর্বোচ্চ মালভূমি কোনটি ?

উত্তরঃ পামির মালভূমি।

১৩. ভারতের একটি নবীনতম ভঙ্গিল পর্বতের নাম লেখো।

উত্তরঃ হিমালয়।

১৪. একটি পলিগঠিত সমভূমির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ভারতের সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সমভূমি।

১৫. মালভূমির অপর নাম কী ?

উত্তরঃ টেবিলল্যান্ড।

অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান -১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

১. ভূমিরূপ গঠনকারী শক্তি গুলিকে কত ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি ?

উত্তরঃ ভূমিরূপ গঠনকারী শক্তি গুলিকে উৎপত্তি অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা হয় – (a) অভ্যন্তরীণ শক্তি ও (b) বহির্জাত শক্তি

২. অভ্যন্তরীণ শক্তি কাকে বলে ?

উত্তরঃ পৃথিবী পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে ভূ আন্দোলন জনিত কারণে যে শক্তির উৎপত্তি হয়, তাকে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে। যেমন – ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত প্রভৃতি।

৩. বহির্জাত শক্তি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ?

উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠের বাইরের শক্তি যা ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় তাকে বহির্জাত শক্তি বলে।
যেমন – নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গ প্রভৃতি।

৪. ভূমিরূপ কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠের ভূমিভাগ কোথাও খুব উঁচু, কোথাও ঢেউ খেলানো, কোথাও বা সমতল। ভূভাগের এই বৈচিত্র্যময় চেহারা বা রূপকে ভূমিরূপ বলা হয়।

৫. পর্বতগ্রন্থি কাকে বলে ?

উত্তরঃ অনেকগুলো পর্বতশ্রেণি বিভিন্ন দিক থেকে যখন এক জায়গায় মিলিত হয় তখন তাকে পর্বতগ্রন্থি বলে। যেমন— পামীরগ্রন্থি।

৬. পর্বত উপত্যকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ দুটি পর্বতচূড়ার মাঝখানের নীচু খাতের মতো অংশটিকে পর্বত উপত্যকা বলে।

৭. সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কতটা উঁচু হয় ?

উত্তরঃ সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 300 মিটারের কম উঁচু হয়।

৮. পৃথিবীর বেশিরভাগ সমভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?

উত্তরঃ পৃথিবীর বেশির ভাগ সমভূমি নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

৯. কলকাতার ভূমিরূপ কেমন ?

উত্তরঃ কলকাতার ভূমি আদৌ উঁচুনীচু নয় বরং অনেক বেশি সমতল।

১০. পশ্চিমবঙ্গের কোন্ কোন্ জেলাগুলি মালভূমি অঞ্চল ?

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বীরভূম, পু(লিয়া ও মেদিনীপুরের কিছু অংশ মালভূমি অঞ্চল।

১১. পামীর মালভূমিকে পৃথিবীর ছাদ বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ পামীর মালভূমি পৃথিবীর সর্বোচ্চ মালভূমি বলে একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়।

১২. পৃথিবীর কোথায় কোথায় মহাদেশীয় মালভূমি দেখা যায় ?

উত্তরঃ দক্ষিণ আফ্রিকা, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, আন্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডের বিস্তীর্ণ অংশ মহাদেশীয় মালভূমি দেখা যায়

১৩. পলিগঠিত সমভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ নদী, সমুদ্র, হ্রদে দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে পলিগঠিত সমভূমির সৃষ্টি হয়।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান- ২/৩ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

১. অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার কী ?

উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের তলদেশে প্রায় 700 কিমি গভীরতা পর্যন্ত একটি সান্দ্র বা থকথকে অর্ধগলিত স্তর রয়েছে তাকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বলে। ভূ-পৃষ্ঠে যে ছোটো বড়ো নানা পাত রয়েছে সেই পাতগুলো এই স্তরেই ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।

২. পাত কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠ অনেকগুলি ছোটো বড়ো খণ্ড নিয়ে গঠিত। এক একটি খণ্ডকে পাত বলা হয়। চায়ের প্লেট ভাঙলে যে রকম টুকরো হয়ে যায় পাতগুলিও সেই রকম টুকরোর সঙ্গে তুলনীয়। পাতগুলি একটি সান্দ্র বা থকথকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার ত্বকের মধ্যে ভেসে রয়েছে। পাতগুলি চলনশীল, ভাসতে ভাসতে এগুলি কখনও পরস্পরের দিকে এগিয়ে এসে ধাক্কা খায় আবার কখনও দূরে সরে যায়।

৩. ভূ-অভ্যন্তরীণ বা পৃথিবীর ভিতরকার শক্তি কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভূ-অভ্যন্তরে সৃষ্টি হওয়া যে শক্তির দ্বারা ভূ-আন্দোলন, অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদির সৃষ্টি হয় এবং যার ফলে পাহাড়, পর্বত, মালভূমি, সমভূমি সবরকম নতুন ভূমিরূপ গঠিত হয় সেই শক্তিকে ভূ-অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে। যেমন– ভূ আন্দোলনের শক্তি।

৪. বহির্জাত শক্তি বা পৃথিবীর বাইরের শক্তি কাকে বলে ?

উত্তরঃ নদী, সূর্যালোক, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত। হিমবাহ, তুষারপাত প্রভৃতি শক্তিসমূহ হল পৃথিবীর বর্হিজাত বা বাইরের শক্তি। এই প্রাকৃতিক শক্তিগুলি ভূমিরূপের ওপর সবসময় কাজ করে, কখনও ক্ষয়সাধন, কখনও সঞ্চয় দ্বারা গঠন করে ভূমিরূপের বৈচিত্র্য তৈরি করে। যেমন– নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গের শক্তি।

৫. উৎপত্তি অনুসারে পর্বত কয়প্রকার ও কী কী ? পর্বতশ্রেণি কীভাবে তৈরি হয় ?

উত্তরঃ উৎপত্তি অনুসারে পর্বত তিনপ্রকার। যথা : ভঙ্গিল পর্বত, স্তূপ পর্বত ও আগ্নেয় পর্বত। অনেকগুলি পর্বতশৃঙ্গ আর উপত্যকা বিরাট অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করলে পর্বতশ্রেণি তৈরি হয়।

৬. পর্বত কাকে বলে ? পর্বতশৃঙ্গ কী ?

উত্তরঃ সাধারণত 900 মিটারের বেশি উঁচু, অনেকদূর বিস্তৃত, খাড়া ঢাল বিশিষ্ট ও শিলাদ্বারা গঠিত ভূমিরূপকে পর্বত বলে। যেমন– হিমালয় পর্বত।

পর্বতের সবচেয়ে উচ্চ স্থান অর্থাৎ পর্বতের উপরের দিকের সরু, ছুঁচালো অংশকে বলে পর্বতশৃঙ্গ বা চূড়া। যেমন– হিমালয় পর্বতে মাউন্ট এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গ পৃথিবীর সব থেকে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ।

৭. ভঙ্গিল পর্বত কাকে বলে ? উদাহরণ সহ লেখো।

উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের কোমল পাললিক শিলাস্তর পলির স্তরের পার্শ্ববর্তী চাপে ভাঁজ পড়ে যে বিশাল আকৃতির ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। যেমন– ভারতের হিমালয়, দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ, উত্তর আমেরিকার রকি প্রভৃতি।

৮. স্তুপ পর্বত কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ ভূ আলোড়নের ফলে সৃষ্ট দুটি ফাটলের মধ্যবর্তী ভূখন্ড উঁচু হয়ে বা দুপাশের ভূখন্ড নিচে বসে গিয়ে গঠিত পর্বতকে স্তূপ পর্বত বলে। উদাহরণ– ভারতের সাত পুরা, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট, ফ্রান্সের ভোজ প্রভৃতি পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য স্তূপ পর্বত।

৯. আগ্নেয় পর্বত কাকে বলে ?

উত্তরঃ অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত লাভা, ছাই, পাথর প্রভৃতি ক্রমাগত সঞ্চিত সঞ্চিত হতে হতে উঁচু হয়ে যে ত্রিকোণাকার পর্বত গঠিত হয়, তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। যেমন- জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া, ইতালির এটনা, ভিসুভিয়াস, আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো প্রভৃতি।

১০. মালভূমি কাকে বলে ?

উত্তরঃ আশেপাশের অঞ্চল সাপেক্ষে হঠাৎ উঁচু (300 মিটারের বেশি উঁচু) বিস্তীর্ণ ভূভাগ, চারপাশ খাড়া ঢাল আছে, এরকম ভূমিরূপকে মালভূমি বলে। মালভূমির উপরটা সমতল, ঢেউ খেলানো অথবা উঁচু-নীচু হতে পারে।

১১. মালভূমিকে টেবিলল্যান্ড বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ মালভূমির উপরিভাগ টেবিলের মতো সমতল হয় ও চারপাশটা টেবিলের পায়ার মতো ঢালু এবং খাড়া থাকে। সেজন্যই মালভূমিকে টেবিলল্যান্ড বলা হয়।

১২. লাভা গঠিত মালভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয় ? উদাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ অগ্ন্যুৎপাতের সময় উত্তপ্ত ও গলিত লাভা ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল দিয়ে বেরিয়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে শীতল। ও কঠিন হয়ে যে বিরাট মালভূমির সৃষ্টি করে তাকে লাভা গঠিত মালভূমি বলে। যেমন– ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি, মালব মালভূমি এরকম লাভা গঠিত মালভূমি।

১৩. পর্বতবেষ্টিত মালভূমি কাকে বলে ?

উত্তরঃ যখন কোনো মালভূমি একাধিক পর্বত দ্বারা আবদ্ধ থাকে তখন তাকে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলে। পর্বত সৃষ্টির সময় চারপাশ থেকে প্রবল পার্শ্বচাপের ফলে মধ্যবর্তী স্থান উঁচু হয়ে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি সৃষ্টি হয়। যেমন– হিমালয় ও কুয়েনলুন পর্বতশ্রেণির মধ্যে অবস্থিত তিব্বতের মালভূমি।

১৪. ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি কাকে বলে ?

উত্তরঃ বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে প্রাচীন মালভূমি ও উচ্চভূমির কোমল শিলাস্তর ক্ষয় পায় এবং অপসারিত হয়, ফলে মালভূমির মাঝের কঠিন শিলাস্তর পাহাড় রূপে অবস্থান করে। এই মালভূমির মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে পাহাড়গুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এইভাবে বিভিন্ন নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন মালভূমিকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে। যেমন– ভারতের ছোটোনাগপুর মালভূমি ।

১৫. লোয়েস সমভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ বায়ুপ্রবাহ দ্বারা মরুভূমির বালি বহুদূরে উড়ে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয়। যেমন– হোয়াংহো নদী উপত্যকায় সৃষ্ট লোয়েস সমভূমি।

১৬. লাভা সমভূমি কীভাবে তৈরি হয় ?

উত্তরঃ অগ্নুৎপাতের ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরের গলিত লাভা ফাটল দিয়ে বেরিয়ে এসে আশেপাশে জমে লাভা সমভূমির সৃষ্টি হয়। যেমন— দাক্ষিণাত্যের উত্তর অংশের সমভূমি লাভা সমভূমি।

রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান-‌ ৫ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-4 wbbse

১. ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে ?

উত্তরঃ বর্তমানে যেখানে হিমালয় পর্বত অবস্থান করছে, সেখানে প্রায় 10 কোটি বছর আগে টেথিস নামে একটি মহীখাত (Geosyncline) ছিল। এই টেথিস সাগরের উত্তরে ছিল ‘আশারাল্যান্ড’ ও দক্ষিণের ভূখণ্ডের নাম ছিল ‘গন্ডোয়ানাল্যান্ড’। বহু বছর ধরে এই ভূখণ্ড থেকে নদীবাহিত ক্ষয়প্রাপ্ত পলি এই মহীখাতটিকে ভরটি করতে থাকে। ক্রমশ পলিস্তারের নিম্নমুখী চাপে খাতের তলদেশ বসতে থাকে এবং দু-পাশের ভূখণ্ডগুলি পরস্পরের দিকে সরে আসতে থাকে। এর ফলে মহীখাতে সঙ্কিত পলিতে ভাঁজ পড়ে ক্রমশ ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি হয়। মহীখাত থেকে ভি পর্বতের উৎপত্তি হয় বলে ভঙ্গিল পর্বতের প্রশ্ন অপেক্ষা দৈর্ঘ্য অনেক বেশি হয়।

২. উৎপত্তি অনুসারে সমভূমি কত রকমের হয়ে থাকে ?

উত্তরঃ উৎপত্তি ও ভূমিরূপের বিভিন্নতা অনুসারে সমভূমির শ্রেণিবিভাগ—

উৎপত্তি অনুসারে সমভূমিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : (ক) সঞ্চয়জাত সমভূমি, (খ) ক্ষয়জাত সমভূমি এবং (গ) ভূ-আন্দোলনের ফলে গঠিত সমভূমি।

(ক) সঞ্চয়জাত সমভূমির শ্রেণিবিভাগ— সঞ্চয়জাত সমভূমিকে প্রধানত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : (i) পলিগঠিত সমভূমি, (ii) প্লাবন ভূমি বা বন্যাগঠিত সমভূমি, (iii) ব-দ্বীপ সমভূমি, (iv) উপকূল সমভূমি, (v) হ্রদ সমভূমি, (vi) লাভা সমভূমি, (vii) হিমবাহ সমভূমি এবং (viii) লোয়েস সমভূমি।

(খ) ক্ষয়জাত সমভূমির শ্রেণিবিভাগ— ক্ষয়জাত সমভূমিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা : (i) সমপ্ৰায় ভূমি এবং (ii) পাদদেশীয় সমভূমি বা পেডিমেন্ট।

(গ) ভূ-আন্দোলনের ফলে গঠিত সমভূমির শ্রেণিবিভাগ—
ভূ-আন্দোলনের ফলে সাধারণত দু-রকমের সমভূমির সৃষ্টি হয়। যথা : (i) উন্নত সমভূমি এবং (ii) অবনত সমভূমি।

৩. সমভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে ? সমভূমি সম্বন্ধে যা জানো লেখো। পৃথিবীর কয়েকটি বিখ্যাত সমভূমি অঞ্চলের নাম লেখো।

উত্তরঃ কোনো নীচু, সমতল ও বিস্তীর্ণ ভূমিরূপকে সমভূমি বলা হয়। পৃথিবীর অন্তর্জাত ও বর্হিজাত প্রক্রিয়ার প্রভাবেই নানা ধরনের সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে। সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি উঁচু হয় না, সাধারণত 300 মিটারের কম হয়। সমভূমির উপরিভাগ সমতল বা সামান্য ঢেউ খেলানো হয়।

পৃথিবীর বেশির ভাগ সমভূমিই নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর কয়েকটি বিখ্যাত সমভূমি অঞ্চল হলো এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি, আফ্রিকার নীলনদের সমভূমি, উত্তর আমেরিকার প্রেইরি, দক্ষিণ আমেরিকার পম্পাস পৃথিবীর বিখ্যাত সমভূমি অঞ্চল।

৪. জনজীবনে মালভূমি ও সমভূমির প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তরঃ জনজীবনে মালভূমির নানা রকম প্রভাব রয়েছে। এগুলি হল—

(i) পশুচারণ করার অনুকূল পরিবেশঃ বেশির ভাগ বড়ো বড়ো মালভূমিগুলি সবই প্রায় শুষ্ক অঞ্চলে অবস্থিত। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য এখানকার বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে পশুচারণ করার অনুকূল পরিবেশ পাওয়া যায়।

(ii) খনিজ সম্পদঃ বেশিরভাগ মালভূমি অঞ্চলগুলি প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। তাই মালভূমিকে খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার হিসেবে ধরা হয়।

(iii) কৃষি কার্যের স্বল্পতাঃ মালভূমি অঞ্চলের রুক্ষ মাটি এবং প্রতিকূল জলবায়ু স্বল্প বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে খুব কম পরিমাণ চাষবাস করা যায়।

(iv) মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি সাধারণত খরস্রোতা হওয়ায় সহজেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

জনজীবনে সমভূমির প্রভাবগুলি হল—

(i) পৃথিবীর বেশিরভাগ সমভূমি নদ-নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হওয়ায় এই অঞ্চলগুলি পৃথিবীর সবথেকে উর্বর অঞ্চল এবং এখানেই পৃথিবীর অধিকাংশ কৃষিকাজ হয়ে থাকে।

(ii) সমভূমি অঞ্চলগুলিতেই একাধিক নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।

(iii) সমভূমি অঞ্চলগুলি পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল অঞ্চল। বেশিরভাগ শহর, নগর ও জনপদগুলি সবই সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। উর্বর সমভূমির জন্য কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং উন্নতমানের পরিবহণ সবকিছুর সুবিধা পাওয়া যায়।

৫. আমাদের জীবনে পর্বতের প্রভাব কতখানি আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভূমিরূপের সঙ্গে মানুষের জীবনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। যেখানে ভূমির প্রকৃতি যেরকম, মানুষ সেখানে সেভাবেই মানানসই জীবনযাত্রা গড়ে তোলে। ভূমি মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনৈতিক কাজকর্ম, মাঙ্গলিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের ধারক ও নিয়ন্ত্রক। মানবজীবনে পর্বতের নানারকম প্রভাব রয়েছে। এগুলি হল—

(i) উঁচু পর্বতের বরফগলা জল থেকে সৃষ্টি হয়েছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু প্রভৃতি বহু নদী। এই নদীগুলি থেকে সারা বছর জল পাওয়া যায়।

(ii) জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস হিমালয় পর্বতে ধাক্কা খেয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুরূপে ভারতে বৃষ্টিপাত ঘটায়।

(iii) পর্বত বিরাট প্রাচীরের মতো উষ্ণ ও শীতল বায়ুপ্রবাহকে আটকায়। শীতকালে সাইবেরিয়া থেকে আসা তীব্র শীতল বাতাসকে বাধা দিয়ে হিমালয় পর্বত ভারতে শীতের তীব্রতা কমিয়ে দেয়।

(iv) পার্বত্য অঞ্চলে গড়ে ওঠে নরম কাঠের মূল্যবান বনভূমি, পর্বতের ঢালে গড়ে ওঠা তৃণভূমিতে ভালো পশুচারণ ক্ষেত্র তৈরি হয়। বহু মানুষ এর থেকে জীবিকা অর্জন করেন এবং পর্বতের ঢালে ধাপ কেটে চাষবাসও করেন।

(v) পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলি খরস্রোত হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক হয়। কিছু কিছু পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।

(vi) পর্বতের শিলা, বোল্ডার এসবই ঘরবাড়ি তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

(vii) পার্বত্য অঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঠান্ডা ও আরামদায়ক আবহাওয়ার জন্য ভালো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। যেমন দার্জিলিং, সিমলা, কাশ্মীর, উটি প্রভৃতি অঞ্চল।

Leave a Reply